একই জমিতে একাধিক ফসল আবাদ, সুযোগ বাড়তি আয়ের

খালিদ হাসান, শিবগঞ্জ (বগুড়া)
প্রকাশ : ১৮ নভেম্বর ২০২২, ১৪: ০৯

বগুড়ার শিবগঞ্জে দুইতলা ও সাথি ফসল চাষে আগ্রহী হচ্ছেন কৃষকেরা। এতে করে একই জমিতে একসঙ্গে দুই প্রকারের ফসল আবাদে বাড়তি আয়ের সুযোগ হওয়ায় খুশি তাঁরা। কৃষি বিভাগ বলছে, জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে এবং অধিক ফলনের জন্য সাথি ফসল, মিশ্র ফসল, রিলে ফসল ও আইল ফসল চাষে কাজ করছেন তাঁরা।

উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, বছরব্যাপী বর্তমানে শিবগঞ্জের ৩১০ হেক্টর জমিতে সাথি ও দুইতলা ফসলের আবাদ হচ্ছে। এর মধ্যে সাথি ফসল হিসেবে কপি ও কলা ৮০ হেক্টর, কলা ও আলু ২০০ হেক্টর এবং দুইতলা ফসল হিসেবে মাচার বিভিন্ন ফসলের নিচে আদা ২০ হেক্টর, মাষকলাই ১০ হেক্টর জমিতে আবাদ হচ্ছে।

উপজেলার রহবল পশ্চিমপাড়া এলাকার দুইতলা ফসল চাষি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন থেকে মাচার ফসল যেমন করলা, পটোল, চিচিঙ্গা, শিম আবাদ করি। এবার কৃষি দপ্তরের পরামর্শে দুইতলা ফসল আবাদ করছি। পটোলের মাচার নিচের অংশে চাষ করছি মাষকলাই।’

মোকামতলা এলাকার কাশিপুর গ্রামের চাষি জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘মাচার ফসলের নিচে সাধারণত হলুদ ও আদা চাষ করে থাকি। কিন্তু আদা ও হলুদ ছাড়াও মাষকলাইয়ের মতো ফসলের আবাদ হবে, তা আগে জানা ছিল না।’

কৃষ্ণপুর গ্রামের সায়েদজামান জানান, দুইতলা ফসল ও রাস্তার পাশের পতিত জমিতে মাষকলাইয়ের চাষ করেছেন। এসব ফসল আবাদে উৎপাদন খরচ তুলনামূলক অনেক কম এবং লাভ বেশি।

রহবল ব্লকের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. সাইফুর রহমান বলেন, ‘সাথি ফসল, মিশ্র ফসল, রিলে ফসল, আইল ফসল চাষ করে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি নিরাপদ ফসল চাষে আমরা কৃষকদের পরামর্শ দেই।’

জাবারিপুর এলাকার দুইতলা ফসলচাষি নছির উদ্দিন জানান, ‘আগে শুধু একটি ফসল আবাদ করতাম। আর এখন একসঙ্গে দুই প্রকারের ফসল আবাদ করছি। এতে করে বাড়তি আয় হচ্ছে।

খরচও তুলনামূলক অনেক কম।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আল মুজাহিদ সরকার বলেন, ‘সাথি ফসল চাষে আমরা কৃষকদের নানাভাবে উদ্বুদ্ধ করে আসছি। এতে করে আমাদের খাদ্যঘাটতি পূরণ হবে এবং জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত হবে।’ 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত