যশোর প্রতিনিধি
যশোরে করোনা সংক্রমণ ক্রমেই ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। জেলায় এক দিনে করোনা শনাক্ত সোয়া দুই শ ছাড়িয়েছে। গতকাল বুধবার ৪৭৪ নমুনা পরীক্ষা করে ২২৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৪৮.৩১ শতাংশ।
এদিন দীর্ঘ কয়েক মাস পর যশোর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তরিকুল ইসলাম নামের এক করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
তবে সংক্রমণ বাড়লেও স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে জনসাধারণের মাঝে উদাসীনতা ঠিক আগের মতোই দেখা গেছে। এই অসচেতনতার কারণেই পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মাস থেকেই যশোরে করোনা সংক্রমণ বেড়েছে। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তা ক্রমেই বাড়ছে। চলতি সপ্তাহে জেলায় ৪০ শতাংশের ওপরে ছিল করোনা শনাক্তের হার। সোমবার এই শনাক্তের হার ৫০ শতাংশ পেরিয়ে যায়।
এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি যশোর সদর উপজেলায়। প্রতিদিন এখানে গড়ে প্রায় দেড় শ জন করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। এরপরই রয়েছে ঝিকরগাছা ও শার্শা উপজেলা। তবে সংক্রমণের দিক থেকে তুলনামূলক ভালো অবস্থানে রয়েছে বাঘারপাড়া, কেশবপুর, অভয়নগর উপজেলা। সেখানে নতুন নতুন রোগী শনাক্ত হলেও, এখনো পর্যন্ত তা ভয়াবহতা ছড়ায়নি।
যশোরের সিভিল সার্জনের মুখপাত্র ডা. রেহেনেওয়াজ জানান, বুধবার যশোরে ৪৭৪টি নমুনা পরীক্ষা করে ২২৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৮৫টি নমুনা পরীক্ষা ১১৯, জিন এক্সপার্টের পাঁচটিতে তিনজনের এবং র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের ১৮৯ টিতে ১০৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে বরাবরের মতো এদিনও যশোর সদরে সর্বোচ্চ ১৬৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ ছাড়া ঝিকরগাছায় ৩০, চৌগাছায় ১১, মনিরামপুরে ৮, ঝিকরগাছায় ৭, শার্শায় ৭ জন রয়েছেন।
মুখপাত্র ডা. রেহেনেওয়াজ আরও জানান, যশোরে এ পর্যন্ত ২৩ হাজার ২৪৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ২১ হাজার ৪৩৪ জন। আর মারা গেছেন ৫১৭ জন। বর্তমানে জেলায় সক্রিয় রোগী রয়েছেন ১ হাজার ২৯৩ জন। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৬ জন।
যশোর সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. আরিফ আহমেদ বলেন, ‘বুধবার হাসপাতালের রেড জোনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তরিকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। ঝিনাইদহ সদরের শ্রীরামপুর এলাকার মহিউদ্দিনের ছেলে তরিকুল মঙ্গলবার সদর হাসপাতালে করোনা নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন।’
করোনার এ ভয়াবহতার মধ্যেও যশোরে সাধারণের মাঝে সচেতনতার কোনো বালাই নেই। বিষয়টি যশোরবাসীর জন্য ভয়াবহ আখ্যা দিয়েছেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ও জিনোম সেন্টারের সহযোগী পরিচালক অধ্যাপক ড. ইকবাল কবির জাহিদ।
অধ্যাপক ড. ইকবাল কবির জাহিদ বলেন, ‘যশোরে করোনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করে এখন পর্যন্ত ৩৮ জনের শরীরে ওমিক্রন ভাইরাস পাওয়া গেছে, যা ইতিমধ্যেই স্থানীয়ভাবে সংক্রমণ শুরু করেছে। আর এ ধরনটি এখনো পর্যন্ত পাওয়া সব ধরনের থেকে বেশি সংক্রমিত করে মানুষকে।’
জিনোম সেন্টারের সহযোগী পরিচালক অধ্যাপক ড. ইকবাল কবির জাহিদ আরও বলেন, ‘এটির উপসর্গ খুবই সাধারণ ও হালকা হওয়ায় মানুষ একে খুব একটা আমলে নিচ্ছে না। এতে সংক্রমণ কয়েক গুণ বেশি ছড়াচ্ছে।’
অধ্যাপক ড. ইকবাল কবির জাহিদ আরও বলেন, ‘করোনার ওমিক্রন ধরনটি তুলনামূলক উপসর্গহীন হলেও, এটি মানুষের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গকে কার্যত দুর্বল ও স্থায়ী কিংবা ক্ষণস্থায়ী ক্ষতিগ্রস্ত করে। সুতরাং এখনই মানুষের মাঝে সচেতনতা তৈরি না হলে, যশোরবাসীর জন্য সামনে ভয়াবহ পরিস্থিতি অপেক্ষা করছে।’
যশোরে করোনা সংক্রমণ ক্রমেই ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। জেলায় এক দিনে করোনা শনাক্ত সোয়া দুই শ ছাড়িয়েছে। গতকাল বুধবার ৪৭৪ নমুনা পরীক্ষা করে ২২৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৪৮.৩১ শতাংশ।
এদিন দীর্ঘ কয়েক মাস পর যশোর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তরিকুল ইসলাম নামের এক করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
তবে সংক্রমণ বাড়লেও স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে জনসাধারণের মাঝে উদাসীনতা ঠিক আগের মতোই দেখা গেছে। এই অসচেতনতার কারণেই পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মাস থেকেই যশোরে করোনা সংক্রমণ বেড়েছে। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তা ক্রমেই বাড়ছে। চলতি সপ্তাহে জেলায় ৪০ শতাংশের ওপরে ছিল করোনা শনাক্তের হার। সোমবার এই শনাক্তের হার ৫০ শতাংশ পেরিয়ে যায়।
এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি যশোর সদর উপজেলায়। প্রতিদিন এখানে গড়ে প্রায় দেড় শ জন করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। এরপরই রয়েছে ঝিকরগাছা ও শার্শা উপজেলা। তবে সংক্রমণের দিক থেকে তুলনামূলক ভালো অবস্থানে রয়েছে বাঘারপাড়া, কেশবপুর, অভয়নগর উপজেলা। সেখানে নতুন নতুন রোগী শনাক্ত হলেও, এখনো পর্যন্ত তা ভয়াবহতা ছড়ায়নি।
যশোরের সিভিল সার্জনের মুখপাত্র ডা. রেহেনেওয়াজ জানান, বুধবার যশোরে ৪৭৪টি নমুনা পরীক্ষা করে ২২৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৮৫টি নমুনা পরীক্ষা ১১৯, জিন এক্সপার্টের পাঁচটিতে তিনজনের এবং র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের ১৮৯ টিতে ১০৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে বরাবরের মতো এদিনও যশোর সদরে সর্বোচ্চ ১৬৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ ছাড়া ঝিকরগাছায় ৩০, চৌগাছায় ১১, মনিরামপুরে ৮, ঝিকরগাছায় ৭, শার্শায় ৭ জন রয়েছেন।
মুখপাত্র ডা. রেহেনেওয়াজ আরও জানান, যশোরে এ পর্যন্ত ২৩ হাজার ২৪৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ২১ হাজার ৪৩৪ জন। আর মারা গেছেন ৫১৭ জন। বর্তমানে জেলায় সক্রিয় রোগী রয়েছেন ১ হাজার ২৯৩ জন। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৬ জন।
যশোর সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. আরিফ আহমেদ বলেন, ‘বুধবার হাসপাতালের রেড জোনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তরিকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। ঝিনাইদহ সদরের শ্রীরামপুর এলাকার মহিউদ্দিনের ছেলে তরিকুল মঙ্গলবার সদর হাসপাতালে করোনা নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন।’
করোনার এ ভয়াবহতার মধ্যেও যশোরে সাধারণের মাঝে সচেতনতার কোনো বালাই নেই। বিষয়টি যশোরবাসীর জন্য ভয়াবহ আখ্যা দিয়েছেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ও জিনোম সেন্টারের সহযোগী পরিচালক অধ্যাপক ড. ইকবাল কবির জাহিদ।
অধ্যাপক ড. ইকবাল কবির জাহিদ বলেন, ‘যশোরে করোনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করে এখন পর্যন্ত ৩৮ জনের শরীরে ওমিক্রন ভাইরাস পাওয়া গেছে, যা ইতিমধ্যেই স্থানীয়ভাবে সংক্রমণ শুরু করেছে। আর এ ধরনটি এখনো পর্যন্ত পাওয়া সব ধরনের থেকে বেশি সংক্রমিত করে মানুষকে।’
জিনোম সেন্টারের সহযোগী পরিচালক অধ্যাপক ড. ইকবাল কবির জাহিদ আরও বলেন, ‘এটির উপসর্গ খুবই সাধারণ ও হালকা হওয়ায় মানুষ একে খুব একটা আমলে নিচ্ছে না। এতে সংক্রমণ কয়েক গুণ বেশি ছড়াচ্ছে।’
অধ্যাপক ড. ইকবাল কবির জাহিদ আরও বলেন, ‘করোনার ওমিক্রন ধরনটি তুলনামূলক উপসর্গহীন হলেও, এটি মানুষের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গকে কার্যত দুর্বল ও স্থায়ী কিংবা ক্ষণস্থায়ী ক্ষতিগ্রস্ত করে। সুতরাং এখনই মানুষের মাঝে সচেতনতা তৈরি না হলে, যশোরবাসীর জন্য সামনে ভয়াবহ পরিস্থিতি অপেক্ষা করছে।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১৫ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে