খান রফিক, বরিশাল
পূর্ণাঙ্গ আন্তর্জাতিক মানে গড়ে তোলা হচ্ছে বরিশাল স্টেডিয়াম। গত মাস থেকে শুরু হওয়া উন্নয়নকাজ চলছে জোরেশোরে। প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে বরিশাল স্টেডিয়াম উন্নয়ন প্রকল্পে থাকছে মাঠ, গ্যালারি সংস্কারসহ নানা কর্মযজ্ঞ।
খেলার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা দাবি করেন, বছরের পর বছর এ স্টেডিয়াম বন্ধ থাকাটা সমস্যা। জানা যায়, চার বছর খেলা হয় না বরিশালের শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত স্টেডিয়ামে। তাই স্টেডিয়াম সংস্কার শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ অঞ্চলের খেলাধুলা বিকল্প স্থানে গড়ানো জরুরি।
প্রকল্পটির পরিচালক যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. শাহ আলম সরদার সাংবাদিকদের জানান, শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত স্টেডিয়ামটি আন্তর্জাতিক মানে উন্নীতকরণ এবং জেলা সুইমিংপুলের উন্নয়ন প্রকল্প বাবদ বরাদ্দ ৪৯ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। ২০২৩ সালে এক ধাপের কাজ শেষ হবে।
প্রকল্পের কাজ তদারক করা ঢাকা ক্রীড়া পরিষদের প্রকৌশলী শিবু লাল খাসকেল বলেন, ‘১৬ ধাপের গ্যালারিসহ এ স্টেডিয়াম আন্তর্জাতিক মানের করতে মাঠসহ বিভিন্ন কাজ চলছে।’
জানা গেছে, উন্নয়নের ফলে ইনডোর ও আউটডোরে আমূল পরিবর্তন আসবে। একই সঙ্গে সুইমিং পুলের সংকটও কাটবে। প্রকল্পের আওতায় আন্তর্জাতিক মানসম্মত ক্রিকেট মাঠ, পাঁচটি পিচ, গ্যালারিতে চেয়ার সিটিং ও আচ্ছাদন নির্মাণ, শরীরচর্চাকেন্দ্র, ইনডোর নেট প্রশিক্ষণের সুবিধা, প্যাভিলিয়ন ভবন, মিডিয়া ভবন, খেলোয়াড়দের ড্রেসিং রুম, ডরমিটরি তৈরি, ফ্লাডলাইট, গার্ডেনিংসহ বিভিন্ন উন্নয়ন করা হচ্ছে। তবে প্রথম ধাপে প্যাভিলিয়ন ভবন ও মিডিয়া ভবন, চাপকলসহ ডরমিটরি নির্মাণ, ইনডোর নেট প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, খেলোয়াড়দের ড্রেসিং রুম, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী মাঠ তৈরি ও গ্যালারিতে আচ্ছাদন দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।
বরিশাল বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আসাদুজ্জামান খসরু বলেন, ‘১৯৬৭ সালে ২৯ একর জমির ওপর নির্মিত হয় বরিশাল স্টেডিয়াম। ২০০৬ সালে এখানকার উন্নয়নসহ ফ্লাডলাইট স্থাপন করা হয়। কিন্তু ১৫ বছরেও ফ্লাডলাইট চালু হয়নি। অবকাঠামোর উন্নয়ন হচ্ছে, এটা ভালো খবর। কিন্তু এক যুগেও জাঁকজমকপূর্ণ বড় খেলা হয়নি এ স্টেডিয়ামে। আন্তবিভাগীয় ক্রিকেট ও ফুটবল, জেলা প্রিমিয়ার লিগ, ফুটবল লিগ, প্রথম বিভাগ, জাতীয় লিগ এখানে হচ্ছে না বহু বছর। খেলা মাঠে না গড়ালে কীভাবে প্রতিভার বিকাশ ঘটবে? অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি ক্রীড়াঙ্গনে যোগ্য ও রাজনীতিমুক্ত নেতৃত্ব সৃষ্টি দরকার। ২৩ বছর অ্যাডহক কমিটি দিয়ে জেলা ক্রীড়া সংস্থা চলছে। স্টেডিয়াম যত আধুনিকায়ন করা হোক, খেলাধুলা তো মাঠে গড়াতে হবে!’
বাংলাদেশ ক্রিকেট আম্পায়ার্স অ্যান্ড স্কোরার অ্যাসোসিয়েশনের বিভাগীয় সভাপতি মাহবুব মোর্শেদ শামিম বলেন, উন্নয়নের পাশাপাশি বরিশালে দীর্ঘদিন যে সব ধরনের খেলাধুলা বন্ধ, তার অবসান চান। অন্তত বিকল্প মাঠে ব্যবস্থা করা দরকার। জেলা ক্রীড়া সংস্থায় নেতৃত্ব না থাকায় প্রায় চার বছর মাঠে খেলা গড়াচ্ছে না।
বরিশাল বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন আলো বলেন, ‘স্টেডিয়ামের উন্নয়নকাজ শেষ হলে আগামী বছর এখানে খেলা গড়াতে পারে। শুধু স্টেডিয়াম নয়, এর সঙ্গে ইনডোর স্টেডিয়াম, আউটডোর ভেনু, লাইটিং ও সুইমিং পুল চালু হতে যাচ্ছে।’ বিকল্প স্থানে খেলা গড়ানোর দাবি প্রসঙ্গে বলেন, বিকল্প মাঠ কোথায় আছে। জেলা ক্রীড়া সংস্থা অন্য মাঠে কেন যাবে? এত বছর খেলা না হওয়া প্রসঙ্গে বলেন, আন্তর্জাতিক মানের হলে সেই সংকট থাকবে না।
এ ব্যাপারে বরিশাল জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্যসচিব ও জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. সোহেল মারুফ বলেন, ‘বরিশাল স্টেডিয়াম পূর্ণাঙ্গ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পরিণত হচ্ছে। সুইমিংপুল ছাড়া অন্য সব কাজ এ বছরই শেষ হবে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হবে এ স্টেডিয়ামেই।’ তিনি দাবি করেন, মাঠের কাজ শেষ হলে আগামী বছরই খেলা গড়াবে স্টেডিয়ামে।
পূর্ণাঙ্গ আন্তর্জাতিক মানে গড়ে তোলা হচ্ছে বরিশাল স্টেডিয়াম। গত মাস থেকে শুরু হওয়া উন্নয়নকাজ চলছে জোরেশোরে। প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে বরিশাল স্টেডিয়াম উন্নয়ন প্রকল্পে থাকছে মাঠ, গ্যালারি সংস্কারসহ নানা কর্মযজ্ঞ।
খেলার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা দাবি করেন, বছরের পর বছর এ স্টেডিয়াম বন্ধ থাকাটা সমস্যা। জানা যায়, চার বছর খেলা হয় না বরিশালের শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত স্টেডিয়ামে। তাই স্টেডিয়াম সংস্কার শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ অঞ্চলের খেলাধুলা বিকল্প স্থানে গড়ানো জরুরি।
প্রকল্পটির পরিচালক যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. শাহ আলম সরদার সাংবাদিকদের জানান, শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত স্টেডিয়ামটি আন্তর্জাতিক মানে উন্নীতকরণ এবং জেলা সুইমিংপুলের উন্নয়ন প্রকল্প বাবদ বরাদ্দ ৪৯ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। ২০২৩ সালে এক ধাপের কাজ শেষ হবে।
প্রকল্পের কাজ তদারক করা ঢাকা ক্রীড়া পরিষদের প্রকৌশলী শিবু লাল খাসকেল বলেন, ‘১৬ ধাপের গ্যালারিসহ এ স্টেডিয়াম আন্তর্জাতিক মানের করতে মাঠসহ বিভিন্ন কাজ চলছে।’
জানা গেছে, উন্নয়নের ফলে ইনডোর ও আউটডোরে আমূল পরিবর্তন আসবে। একই সঙ্গে সুইমিং পুলের সংকটও কাটবে। প্রকল্পের আওতায় আন্তর্জাতিক মানসম্মত ক্রিকেট মাঠ, পাঁচটি পিচ, গ্যালারিতে চেয়ার সিটিং ও আচ্ছাদন নির্মাণ, শরীরচর্চাকেন্দ্র, ইনডোর নেট প্রশিক্ষণের সুবিধা, প্যাভিলিয়ন ভবন, মিডিয়া ভবন, খেলোয়াড়দের ড্রেসিং রুম, ডরমিটরি তৈরি, ফ্লাডলাইট, গার্ডেনিংসহ বিভিন্ন উন্নয়ন করা হচ্ছে। তবে প্রথম ধাপে প্যাভিলিয়ন ভবন ও মিডিয়া ভবন, চাপকলসহ ডরমিটরি নির্মাণ, ইনডোর নেট প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, খেলোয়াড়দের ড্রেসিং রুম, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী মাঠ তৈরি ও গ্যালারিতে আচ্ছাদন দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।
বরিশাল বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আসাদুজ্জামান খসরু বলেন, ‘১৯৬৭ সালে ২৯ একর জমির ওপর নির্মিত হয় বরিশাল স্টেডিয়াম। ২০০৬ সালে এখানকার উন্নয়নসহ ফ্লাডলাইট স্থাপন করা হয়। কিন্তু ১৫ বছরেও ফ্লাডলাইট চালু হয়নি। অবকাঠামোর উন্নয়ন হচ্ছে, এটা ভালো খবর। কিন্তু এক যুগেও জাঁকজমকপূর্ণ বড় খেলা হয়নি এ স্টেডিয়ামে। আন্তবিভাগীয় ক্রিকেট ও ফুটবল, জেলা প্রিমিয়ার লিগ, ফুটবল লিগ, প্রথম বিভাগ, জাতীয় লিগ এখানে হচ্ছে না বহু বছর। খেলা মাঠে না গড়ালে কীভাবে প্রতিভার বিকাশ ঘটবে? অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি ক্রীড়াঙ্গনে যোগ্য ও রাজনীতিমুক্ত নেতৃত্ব সৃষ্টি দরকার। ২৩ বছর অ্যাডহক কমিটি দিয়ে জেলা ক্রীড়া সংস্থা চলছে। স্টেডিয়াম যত আধুনিকায়ন করা হোক, খেলাধুলা তো মাঠে গড়াতে হবে!’
বাংলাদেশ ক্রিকেট আম্পায়ার্স অ্যান্ড স্কোরার অ্যাসোসিয়েশনের বিভাগীয় সভাপতি মাহবুব মোর্শেদ শামিম বলেন, উন্নয়নের পাশাপাশি বরিশালে দীর্ঘদিন যে সব ধরনের খেলাধুলা বন্ধ, তার অবসান চান। অন্তত বিকল্প মাঠে ব্যবস্থা করা দরকার। জেলা ক্রীড়া সংস্থায় নেতৃত্ব না থাকায় প্রায় চার বছর মাঠে খেলা গড়াচ্ছে না।
বরিশাল বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন আলো বলেন, ‘স্টেডিয়ামের উন্নয়নকাজ শেষ হলে আগামী বছর এখানে খেলা গড়াতে পারে। শুধু স্টেডিয়াম নয়, এর সঙ্গে ইনডোর স্টেডিয়াম, আউটডোর ভেনু, লাইটিং ও সুইমিং পুল চালু হতে যাচ্ছে।’ বিকল্প স্থানে খেলা গড়ানোর দাবি প্রসঙ্গে বলেন, বিকল্প মাঠ কোথায় আছে। জেলা ক্রীড়া সংস্থা অন্য মাঠে কেন যাবে? এত বছর খেলা না হওয়া প্রসঙ্গে বলেন, আন্তর্জাতিক মানের হলে সেই সংকট থাকবে না।
এ ব্যাপারে বরিশাল জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্যসচিব ও জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. সোহেল মারুফ বলেন, ‘বরিশাল স্টেডিয়াম পূর্ণাঙ্গ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পরিণত হচ্ছে। সুইমিংপুল ছাড়া অন্য সব কাজ এ বছরই শেষ হবে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হবে এ স্টেডিয়ামেই।’ তিনি দাবি করেন, মাঠের কাজ শেষ হলে আগামী বছরই খেলা গড়াবে স্টেডিয়ামে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে