সম্পাদকীয়
মুন্সী আব্দুর রউফ বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা।
পিতার মৃত্যুর পর তিনি বেশি দূর লেখাপড়া করতে পারেননি। সংসারের হাল ধরতে অষ্টম শ্রেণিতে লেখাপড়া ছেড়ে দিয়ে ১৯৬৩ সালের ৮ মে তিনি যোগ দেন ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলসে (ইপিআর)। তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানে প্রশিক্ষণ শেষে তিনি কুমিল্লার রাইফেলসে যোগ দেন।
১৯৭১ সালে তিনি চট্টগ্রাম সেক্টরের অধীন ১১ নম্বর উইংয়ের ল্যান্স নায়েক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পরবর্তী সময়ে তিনি ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের হয়ে স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
মুন্সী রউফ যুদ্ধ করেন রাঙামাটির নানিয়ারচরের বুড়িঘাটে। এখানে তাঁদের বাহিনী পরিখায় অবস্থান নেয়। কিন্তু পাকিস্তানি বাহিনীর গোলাগুলির তীব্রতায় প্রতিরোধব্যবস্থা ভেঙে যায়। এই পর্যায়ে আব্দুর রউফ বুঝতে পারেন, এভাবে চলতে থাকলে ঘাঁটির সবাইকে মৃত্যুবরণ করতে হবে। তিনি তখন কৌশলগত কারণে পশ্চাদপসরণের সিদ্ধান্ত নেন। সহযোদ্ধাদের পিছু হটার সুযোগ করে দিয়ে তিনি নিজে পরিখায় দাঁড়িয়ে অনবরত গুলি করতে থাকেন পাকিস্তানি স্পিডবোটগুলো লক্ষ্য করে। পাকিস্তানিদের সাতটি স্পিডবোট একে একে ডুবিয়ে দিলে তারা তাদের দুটি লঞ্চ নিয়ে পিছু হটতে বাধ্য হয়। লঞ্চ দুটি পিছু হটলে আব্দুর রউফের মেশিনগানের গুলির আওতার বাইরে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান নেয়। পাকিস্তানি বাহিনী এরপর লঞ্চ থেকে মর্টারের গোলাবর্ষণ শুরু করে। মর্টারের গোলার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা তাঁর একার পক্ষে সম্ভব ছিল না। তবু তিনি চেষ্টা চালিয়ে যান। হঠাৎ একটি মর্টারের গোলা তাঁর বাংকারে এসে পড়লে তিনি সেখানেই শহীদ হন। সেদিন আব্দুর রউফের আত্মত্যাগে তাঁদের কোম্পানির প্রায় ১৫০ জন মুক্তিযোদ্ধার জীবন রক্ষা পায়। ১৯৭১ সালের ২০ এপ্রিল যুদ্ধ করতে করতে শহীদ হন মুন্সী আব্দুর রউফ।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে চরম সাহসিকতা আর অসামান্য বীরত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ যে সাতজন বীরকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়, তিনি হলেন তাঁদের অন্যতম।
মুন্সী আব্দুর রউফ বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা।
পিতার মৃত্যুর পর তিনি বেশি দূর লেখাপড়া করতে পারেননি। সংসারের হাল ধরতে অষ্টম শ্রেণিতে লেখাপড়া ছেড়ে দিয়ে ১৯৬৩ সালের ৮ মে তিনি যোগ দেন ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলসে (ইপিআর)। তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানে প্রশিক্ষণ শেষে তিনি কুমিল্লার রাইফেলসে যোগ দেন।
১৯৭১ সালে তিনি চট্টগ্রাম সেক্টরের অধীন ১১ নম্বর উইংয়ের ল্যান্স নায়েক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পরবর্তী সময়ে তিনি ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের হয়ে স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
মুন্সী রউফ যুদ্ধ করেন রাঙামাটির নানিয়ারচরের বুড়িঘাটে। এখানে তাঁদের বাহিনী পরিখায় অবস্থান নেয়। কিন্তু পাকিস্তানি বাহিনীর গোলাগুলির তীব্রতায় প্রতিরোধব্যবস্থা ভেঙে যায়। এই পর্যায়ে আব্দুর রউফ বুঝতে পারেন, এভাবে চলতে থাকলে ঘাঁটির সবাইকে মৃত্যুবরণ করতে হবে। তিনি তখন কৌশলগত কারণে পশ্চাদপসরণের সিদ্ধান্ত নেন। সহযোদ্ধাদের পিছু হটার সুযোগ করে দিয়ে তিনি নিজে পরিখায় দাঁড়িয়ে অনবরত গুলি করতে থাকেন পাকিস্তানি স্পিডবোটগুলো লক্ষ্য করে। পাকিস্তানিদের সাতটি স্পিডবোট একে একে ডুবিয়ে দিলে তারা তাদের দুটি লঞ্চ নিয়ে পিছু হটতে বাধ্য হয়। লঞ্চ দুটি পিছু হটলে আব্দুর রউফের মেশিনগানের গুলির আওতার বাইরে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান নেয়। পাকিস্তানি বাহিনী এরপর লঞ্চ থেকে মর্টারের গোলাবর্ষণ শুরু করে। মর্টারের গোলার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা তাঁর একার পক্ষে সম্ভব ছিল না। তবু তিনি চেষ্টা চালিয়ে যান। হঠাৎ একটি মর্টারের গোলা তাঁর বাংকারে এসে পড়লে তিনি সেখানেই শহীদ হন। সেদিন আব্দুর রউফের আত্মত্যাগে তাঁদের কোম্পানির প্রায় ১৫০ জন মুক্তিযোদ্ধার জীবন রক্ষা পায়। ১৯৭১ সালের ২০ এপ্রিল যুদ্ধ করতে করতে শহীদ হন মুন্সী আব্দুর রউফ।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে চরম সাহসিকতা আর অসামান্য বীরত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ যে সাতজন বীরকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়, তিনি হলেন তাঁদের অন্যতম।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৭ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগে