রাজশাহী প্রতিনিধি
চার শতাব্দীর বেশি সময় ধরে বছরে একবার নরোত্তম ভক্তরা সমবেত হন খেতুরীধামে। অনুষ্ঠিত হয় ঠাকুর নরোত্তমের তিরোভাব তিথি মহোৎসব। যুগের পর যুগ চলে আসা এ অনুষ্ঠানে গত বছর ছেদ পড়েছিল করোনার কারণে। এবার করোনার প্রকোপ কমে আসায় অনুষ্ঠান হয়েছে।
নরোত্তম খেতুরে শ্রীগৌরাঙ্গ, শ্রীবল্লবীকান্ত, শ্রীকৃষ্ণ, শ্রীব্রজমোহন, শ্রীরাধামোহন ও শ্রীরাধাকান্ত এই ছয়টি শ্রীবিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সে কারণে বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের লোকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। তখন শীর্ষস্থানীয় আচার্য, বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের জ্ঞানী-গুণী ব্যক্তি, গায়ক, বাদকসহ আরও নানা পেশার মানুষ আসেন। বৈষ্ণবসাহিত্যে এই উৎসব খেতুরীর মহোৎসব নামে পরিচিত। ঠাকুর নরোত্তম দাস এখন না থাকলেও এখনো এই মহোৎসব হয়। তবে এখন সেটা ঠাকুর নরোত্তম দাসের তিরোভাব তিথি মহোৎসব। দুর্গাপূজার পর তাঁর স্মৃতিবিজড়িত এলাকায় ছুটে আসেন বৈষ্ণব ধর্মের অনুসারীরা।
বিভিন্ন বইপত্রের তথ্যমতে, ১৬১১ খ্রিষ্টাব্দের কার্তিকী কৃষ্ণা পঞ্চমী তিথিতে ঠাকুর নরোত্তম দাস গঙ্গাস্নানের বাসনা প্রকাশ করেন। শিষ্যরা তাঁকে গঙ্গাজলে নিয়ে যান। নরোত্তম নিজের দেহকে অর্ধনিমজ্জিত করে শিষ্য গঙ্গানারায়ণ ও রামকৃষ্ণকে আদেশ করেন তাঁর দেহ মার্জন করতে। দুই শিষ্য তা করতে থাকলে পুরো দেহ একসময় সাদা দুধের মতো তরল পদার্থে পরিণত হয়ে গঙ্গাজলে মিলিত হয়ে যায়। কিন্তু আজও হারিয়ে যায়নি ঠাকুর নরোত্তম দাসের ইতিহাস। তাঁর মন্দিরটি এখন খেতুরীধাম নামে পরিচিত।
বিশ্বজুড়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মোট ছয়টি ধাম রয়েছে। এর পাঁচটিই ভারতবর্ষে। আর একটি এই খেতুরীধাম। ব্রিটিশ আমল থেকে এটি শ্রীগৌরাঙ্গ দেববিগ্রহ ট্রাস্টি বোর্ডের মাধ্যমে পরিচালিত। প্রতিবছর মহোৎসবে বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, নেপালসহ বিশ্বের নানা দেশ থেকে কয়েক লাখ ভক্তের আগমন ঘটে এই খেতুরীধামে। বাংলাদেশে এটিই সনাতন হিন্দু ও বৈষ্ণবদের সবচেয়ে বড় মিলনমেলা। মহোৎসবের সময় খেতুরীধামের চারপাশজুড়ে বসে মেলা। গত বছর করোনার কারণে মেলা হয়নি।
শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গদেব ট্রাস্টের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে গত বছর ভক্তদেরও আসতে বারণ করা হয়। হাতে গোনা কয়েকজন অংশ গ্রহণে সীমিত পরিসরে হয়েছিল অনুষ্ঠান। এবার অনুষ্ঠান কিছুটা বড় পরিসরে হলেও ভক্তের সংখ্যা ছিল কম। গত রোববার সন্ধ্যায় শুভ অধিবাসের মধ্য দিয়ে খেতুরীধামে ঠাকুর নরোত্তম দাসের তিরোভাব তিথির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। সোমবার অরুণোদয় থেকে অষ্ট প্রহরব্যাপী তারক ব্রাহ্মনাম সংকীর্তন হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে দধিমঙ্গল, দুপুরে ভোগ আরতি ও মাহান্ত বিদায়ের মধ্য দিয়ে মহোৎসব শেষ হয়েছে।
১৫৩১ খ্রিষ্টাব্দের মাঘী পূর্ণিমা তিথিতে গোপালপুর পরগণার রাজা কৃষ্ণানন্দ দত্তের ঘরে জন্ম হলো এক শিশুর। তাঁর নামই রাখা হলো নরোত্তম। বৈষ্ণবদের বিশ্বাস, চৈতন্যদেবের আহ্বানেই আবির্ভাব হয়েছিল তাঁর।
খেতুর এখন রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার একটি গ্রাম। ঠাকুর নরোত্তম দাস এখানে আসার পর রাজ্যভার অর্পণ করেছিলেন চাচাতো ভাই সন্তোষের কাছে। আর তিনি মনোনিবেশ করেন বৈষ্ণব ধর্ম প্রচার, সমাজসংস্কার ও মানবসেবায়।
চার শতাব্দীর বেশি সময় ধরে বছরে একবার নরোত্তম ভক্তরা সমবেত হন খেতুরীধামে। অনুষ্ঠিত হয় ঠাকুর নরোত্তমের তিরোভাব তিথি মহোৎসব। যুগের পর যুগ চলে আসা এ অনুষ্ঠানে গত বছর ছেদ পড়েছিল করোনার কারণে। এবার করোনার প্রকোপ কমে আসায় অনুষ্ঠান হয়েছে।
নরোত্তম খেতুরে শ্রীগৌরাঙ্গ, শ্রীবল্লবীকান্ত, শ্রীকৃষ্ণ, শ্রীব্রজমোহন, শ্রীরাধামোহন ও শ্রীরাধাকান্ত এই ছয়টি শ্রীবিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সে কারণে বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের লোকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। তখন শীর্ষস্থানীয় আচার্য, বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের জ্ঞানী-গুণী ব্যক্তি, গায়ক, বাদকসহ আরও নানা পেশার মানুষ আসেন। বৈষ্ণবসাহিত্যে এই উৎসব খেতুরীর মহোৎসব নামে পরিচিত। ঠাকুর নরোত্তম দাস এখন না থাকলেও এখনো এই মহোৎসব হয়। তবে এখন সেটা ঠাকুর নরোত্তম দাসের তিরোভাব তিথি মহোৎসব। দুর্গাপূজার পর তাঁর স্মৃতিবিজড়িত এলাকায় ছুটে আসেন বৈষ্ণব ধর্মের অনুসারীরা।
বিভিন্ন বইপত্রের তথ্যমতে, ১৬১১ খ্রিষ্টাব্দের কার্তিকী কৃষ্ণা পঞ্চমী তিথিতে ঠাকুর নরোত্তম দাস গঙ্গাস্নানের বাসনা প্রকাশ করেন। শিষ্যরা তাঁকে গঙ্গাজলে নিয়ে যান। নরোত্তম নিজের দেহকে অর্ধনিমজ্জিত করে শিষ্য গঙ্গানারায়ণ ও রামকৃষ্ণকে আদেশ করেন তাঁর দেহ মার্জন করতে। দুই শিষ্য তা করতে থাকলে পুরো দেহ একসময় সাদা দুধের মতো তরল পদার্থে পরিণত হয়ে গঙ্গাজলে মিলিত হয়ে যায়। কিন্তু আজও হারিয়ে যায়নি ঠাকুর নরোত্তম দাসের ইতিহাস। তাঁর মন্দিরটি এখন খেতুরীধাম নামে পরিচিত।
বিশ্বজুড়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মোট ছয়টি ধাম রয়েছে। এর পাঁচটিই ভারতবর্ষে। আর একটি এই খেতুরীধাম। ব্রিটিশ আমল থেকে এটি শ্রীগৌরাঙ্গ দেববিগ্রহ ট্রাস্টি বোর্ডের মাধ্যমে পরিচালিত। প্রতিবছর মহোৎসবে বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, নেপালসহ বিশ্বের নানা দেশ থেকে কয়েক লাখ ভক্তের আগমন ঘটে এই খেতুরীধামে। বাংলাদেশে এটিই সনাতন হিন্দু ও বৈষ্ণবদের সবচেয়ে বড় মিলনমেলা। মহোৎসবের সময় খেতুরীধামের চারপাশজুড়ে বসে মেলা। গত বছর করোনার কারণে মেলা হয়নি।
শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গদেব ট্রাস্টের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে গত বছর ভক্তদেরও আসতে বারণ করা হয়। হাতে গোনা কয়েকজন অংশ গ্রহণে সীমিত পরিসরে হয়েছিল অনুষ্ঠান। এবার অনুষ্ঠান কিছুটা বড় পরিসরে হলেও ভক্তের সংখ্যা ছিল কম। গত রোববার সন্ধ্যায় শুভ অধিবাসের মধ্য দিয়ে খেতুরীধামে ঠাকুর নরোত্তম দাসের তিরোভাব তিথির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। সোমবার অরুণোদয় থেকে অষ্ট প্রহরব্যাপী তারক ব্রাহ্মনাম সংকীর্তন হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে দধিমঙ্গল, দুপুরে ভোগ আরতি ও মাহান্ত বিদায়ের মধ্য দিয়ে মহোৎসব শেষ হয়েছে।
১৫৩১ খ্রিষ্টাব্দের মাঘী পূর্ণিমা তিথিতে গোপালপুর পরগণার রাজা কৃষ্ণানন্দ দত্তের ঘরে জন্ম হলো এক শিশুর। তাঁর নামই রাখা হলো নরোত্তম। বৈষ্ণবদের বিশ্বাস, চৈতন্যদেবের আহ্বানেই আবির্ভাব হয়েছিল তাঁর।
খেতুর এখন রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার একটি গ্রাম। ঠাকুর নরোত্তম দাস এখানে আসার পর রাজ্যভার অর্পণ করেছিলেন চাচাতো ভাই সন্তোষের কাছে। আর তিনি মনোনিবেশ করেন বৈষ্ণব ধর্ম প্রচার, সমাজসংস্কার ও মানবসেবায়।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৫ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৯ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৯ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৯ দিন আগে