উপল বড়ুয়া, ঢাকা
মেক্সিকোয় ১৯৮৬ বিশ্বকাপে ডিয়েগো ম্যারাডোনার হোটেল রুমের সঙ্গী ছিলেন সতীর্থ পেদ্রো পাসকুলি। ফুটবল ঈশ্বর তাঁর বেডরুমের দেয়ালটা সাজিয়েছিলেন ভার্জিন ম্যারি ও আর্জেন্টাইন গায়িকা ভ্যালেরিয়া লিঞ্চের ছবি সেঁটে। সে সময় ম্যারাডোনার দরকার ছিল একজন আস্থাশীল সঙ্গী। যিনি চার সপ্তাহের ফুটবল যুদ্ধে তাঁকে আত্মবিশ্বাস জোগাবেন। পাসকুলি সে কাজটিই করেছিলেন।
দুর্দান্ত নেতৃত্বগুণে কীভাবে অসাধ্যসাধন হয়, সেটির অন্যতম উদাহরণ ম্যারাডোনা। দলকে দারুণভাবে উজ্জীবিত রাখতে পারতেন তিনি।সতীর্থরাও ম্যারাডোনাকে বিশ্বকাপ এনে দিতে মাঠে সবকিছু করতে রাজি ছিলেন। কাতারে যেমন নিজের শেষ বিশ্বকাপ খেলতে আসা লিওনেল মেসিকে অধরা শিরোপা এনে দিতে সব উজাড় করে দিতে চান তাঁর সতীর্থরা। আর মেসিও মাঠের পারফরম্যান্সে মনে করিয়ে দিচ্ছেন ৩৬ বছর আগের ম্যারাডোনাকে। ভিন্ন প্রজন্মের, ভিন্ন সময়ের দুই মহাতারকা মিলে যাচ্ছেন এক বিন্দুতে, সবুজ ক্যানভাসে বাঁ পায়ের জাদুতে মোহিত করছেন কোটি কোটি মানুষকে।
মিল আরও দেখুন, ১৯৯০ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার শুরুটা হয়েছিল হার দিয়ে। কাতারেও উড়তে থাকা লিওনেল স্কালোনির শিষ্যদের মাটিতে নামায় সৌদি আরব। এরপর মেসির জাদুতে ঘুরে দাঁড়িয়ে আর্জেন্টিনা নিশ্চিত করেছে কোয়ার্টার ফাইনাল। গ্রুপ পর্বে মেক্সিকোর বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে ‘ডেড লক’ ভাঙা গোলটি করে যেন ম্যারাডোনাকেই স্মরণ করেছিলেন তিনি। ২৫ নভেম্বর ফুটবল ঈশ্বরের দ্বিতীয় প্রয়াণ দিবসে এর চেয়ে বড় শ্রদ্ধাঞ্জলি আর কী হতে পারে!
শেষ ষোলোয় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আরেক মাইলফলকের সাক্ষী হলেন মেসি। ক্যারিয়ারের ১০০০তম এবং অধিনায়ক হিসেবে শততম ম্যাচ খেলতে নেমে করলেন দুর্দান্ত এক গোল। এ নিয়ে এক অ্যাসিস্ট ও তিন গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতাদের শীর্ষেও উঠে এলেন তিনি।ছিয়াশিতে অবশ্য পাঁচ গোলের পাশাপাশি পাঁচ অ্যাসিস্ট করেছিলেন ম্যারাডোনা। মেসিও যেন হাঁটছেন সেই পথে। এরই মধ্যে যোগ্য শিষ্য হিসেবে গুরুর অনেক রেকর্ডও যে ভেঙে ফেলেছেন তিনি।
ক্যারিয়ারের ৭৮৯তম গোলটি করে আনন্দের আতিশয্যে মেসি উঠে পড়লেন হুলিয়ান আলভারাসের কোলে। কী মিল, ছিয়াশির বিশ্বকাপে সতীর্থ অস্কার রুগেরির কোলে উঠে গোল উদ্যাপন করেছিলেন ম্যারাডোনাও। কাতারে মেসির দলকে দেখে সাবেক ইংলিশ স্ট্রাইকার গ্যারি লিনেকারের মন্তব্য, ‘এই দল আমাকে ১৯৮৬ বিশ্বকাপের ম্যারাডোনার দলকে মনে করিয়ে দিচ্ছে।’
সেই বিশ্বকাপে লিনেকারদের কাঁদিয়েছিলেন ম্যারাডোনা। এবার মেসি-জাদু দেখে রিও ফার্দিনান্দ বলে ফেললেন, ‘বিশ্বকাপে সেরা একক পারফরম্যান্স। এটা প্রায় ঈশ্বরের মতো।’ আর সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক অ্যালেন শিয়েরার বললেন, ‘আমরা ভাগ্যবান তাঁকে (মেসি) স্টেডিয়ামে দেখে।’
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয়ের পর চারদিকে উঠল তুমুল ধ্বনি, ‘মেসি, মেসি, মেসি’। তা দেখে মেসি লাজুক চেহারায় শুধু বলেন, ‘এটা অসাধারণ অনুভূতি। সমর্থকদের সঙ্গে সুন্দর মুহূর্তটি ভাগাভাগি করতে পেরে আমি আনন্দিত।’
মেক্সিকোয় ১৯৮৬ বিশ্বকাপে ডিয়েগো ম্যারাডোনার হোটেল রুমের সঙ্গী ছিলেন সতীর্থ পেদ্রো পাসকুলি। ফুটবল ঈশ্বর তাঁর বেডরুমের দেয়ালটা সাজিয়েছিলেন ভার্জিন ম্যারি ও আর্জেন্টাইন গায়িকা ভ্যালেরিয়া লিঞ্চের ছবি সেঁটে। সে সময় ম্যারাডোনার দরকার ছিল একজন আস্থাশীল সঙ্গী। যিনি চার সপ্তাহের ফুটবল যুদ্ধে তাঁকে আত্মবিশ্বাস জোগাবেন। পাসকুলি সে কাজটিই করেছিলেন।
দুর্দান্ত নেতৃত্বগুণে কীভাবে অসাধ্যসাধন হয়, সেটির অন্যতম উদাহরণ ম্যারাডোনা। দলকে দারুণভাবে উজ্জীবিত রাখতে পারতেন তিনি।সতীর্থরাও ম্যারাডোনাকে বিশ্বকাপ এনে দিতে মাঠে সবকিছু করতে রাজি ছিলেন। কাতারে যেমন নিজের শেষ বিশ্বকাপ খেলতে আসা লিওনেল মেসিকে অধরা শিরোপা এনে দিতে সব উজাড় করে দিতে চান তাঁর সতীর্থরা। আর মেসিও মাঠের পারফরম্যান্সে মনে করিয়ে দিচ্ছেন ৩৬ বছর আগের ম্যারাডোনাকে। ভিন্ন প্রজন্মের, ভিন্ন সময়ের দুই মহাতারকা মিলে যাচ্ছেন এক বিন্দুতে, সবুজ ক্যানভাসে বাঁ পায়ের জাদুতে মোহিত করছেন কোটি কোটি মানুষকে।
মিল আরও দেখুন, ১৯৯০ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার শুরুটা হয়েছিল হার দিয়ে। কাতারেও উড়তে থাকা লিওনেল স্কালোনির শিষ্যদের মাটিতে নামায় সৌদি আরব। এরপর মেসির জাদুতে ঘুরে দাঁড়িয়ে আর্জেন্টিনা নিশ্চিত করেছে কোয়ার্টার ফাইনাল। গ্রুপ পর্বে মেক্সিকোর বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে ‘ডেড লক’ ভাঙা গোলটি করে যেন ম্যারাডোনাকেই স্মরণ করেছিলেন তিনি। ২৫ নভেম্বর ফুটবল ঈশ্বরের দ্বিতীয় প্রয়াণ দিবসে এর চেয়ে বড় শ্রদ্ধাঞ্জলি আর কী হতে পারে!
শেষ ষোলোয় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আরেক মাইলফলকের সাক্ষী হলেন মেসি। ক্যারিয়ারের ১০০০তম এবং অধিনায়ক হিসেবে শততম ম্যাচ খেলতে নেমে করলেন দুর্দান্ত এক গোল। এ নিয়ে এক অ্যাসিস্ট ও তিন গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতাদের শীর্ষেও উঠে এলেন তিনি।ছিয়াশিতে অবশ্য পাঁচ গোলের পাশাপাশি পাঁচ অ্যাসিস্ট করেছিলেন ম্যারাডোনা। মেসিও যেন হাঁটছেন সেই পথে। এরই মধ্যে যোগ্য শিষ্য হিসেবে গুরুর অনেক রেকর্ডও যে ভেঙে ফেলেছেন তিনি।
ক্যারিয়ারের ৭৮৯তম গোলটি করে আনন্দের আতিশয্যে মেসি উঠে পড়লেন হুলিয়ান আলভারাসের কোলে। কী মিল, ছিয়াশির বিশ্বকাপে সতীর্থ অস্কার রুগেরির কোলে উঠে গোল উদ্যাপন করেছিলেন ম্যারাডোনাও। কাতারে মেসির দলকে দেখে সাবেক ইংলিশ স্ট্রাইকার গ্যারি লিনেকারের মন্তব্য, ‘এই দল আমাকে ১৯৮৬ বিশ্বকাপের ম্যারাডোনার দলকে মনে করিয়ে দিচ্ছে।’
সেই বিশ্বকাপে লিনেকারদের কাঁদিয়েছিলেন ম্যারাডোনা। এবার মেসি-জাদু দেখে রিও ফার্দিনান্দ বলে ফেললেন, ‘বিশ্বকাপে সেরা একক পারফরম্যান্স। এটা প্রায় ঈশ্বরের মতো।’ আর সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক অ্যালেন শিয়েরার বললেন, ‘আমরা ভাগ্যবান তাঁকে (মেসি) স্টেডিয়ামে দেখে।’
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয়ের পর চারদিকে উঠল তুমুল ধ্বনি, ‘মেসি, মেসি, মেসি’। তা দেখে মেসি লাজুক চেহারায় শুধু বলেন, ‘এটা অসাধারণ অনুভূতি। সমর্থকদের সঙ্গে সুন্দর মুহূর্তটি ভাগাভাগি করতে পেরে আমি আনন্দিত।’
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে