খায়রুল বাসার নির্ঝর, ঢাকা
পণ্যের প্রচারণায় নাটকীয়তা বা গুজবের কাটতি সব সময় বেশি। কথায় আছে, আলোর চেয়ে দ্রুতগতি নিয়ে ছড়িয়ে পড়ে গুজব, পৌঁছে যায় এ-কান থেকে ও-কানে। সোশ্যাল মিডিয়ার এই মহামারির সময়ে আসলের চেয়ে মেকির গুরুত্ব যেমন বেশি, তেমনি সত্যের চেয়ে মিথ্যারও। বিনোদন দুনিয়ায় মিথ্যাকে হাতিয়ার করার প্রবণতা সব সময়ই ছিল। সিনেমা হিট করতে হলিউড-বলিউডে একসময় নানা নাটকীয় গুজব ছড়িয়ে দেওয়া হতো। কখনো সেটা তারকাদের প্রেম বা বিয়ের গুঞ্জন, কিংবা তারায় তারায় দ্বন্দ্বের গুঞ্জন।
এসব গুজবের বড়শি দিয়ে দর্শকদের মনোযোগ টানার চেষ্টা করতেন নির্মাতারা। সব সময় যে ফল অনুকূল হতো তা নয়, বেশির ভাগ সময় তৈরি হতো বিতর্ক। তবে এখন যেন বিতর্কই চান সবাই। বিতর্ক ছাড়া প্রচারণা জমে না। আর তার জন্য চাই জুতসই গুজব। এই তো কয়েক মাস আগেও ভারতীয় মডেল পুনম পান্ডে মরে গিয়েও হঠাৎ বেঁচে উঠলেন। তারপর বললেন, ক্যানসারের সচেতনতার জন্য এমনটা করেছেন। ছি ছি রব উঠেছিল সবখানে। কিন্তু তাতে এমন চর্চা কমেনি।
বাংলাদেশেও ইদানীং এ প্রবণতা বেড়েছে। শুধু সিনেমা নয়, ওয়েব কনটেন্ট, টিভি অনুষ্ঠান, এমনকি বিজ্ঞাপনের প্রচারের জন্যও নানা ধরনের মিথ্যে মিথ্যে খেলায় অংশ নিচ্ছেন তারকারা। হয়তো কেউ লাইভে এসে জানালেন, তাঁর খুব বিপদ; কেউ ফাঁস করলেন বিতর্কিত ফোনকল, দুই ভালো বন্ধু হঠাৎ এসে পরস্পরের বিষোদগার করা শুরু করলেন। তাতে দর্শকেরা শুরুতে বেশ ভড়কে যান। হচ্ছেটা কী! তারপর যখন জানতে পারেন, এসব কিছুই নয়। আসল ব্যাপারটা অন্য। তখন বয়ে যায় গালাগালির বন্যা। কিন্তু ততক্ষণে তো উদ্দেশ্য হাসিল হয়ে গেছে, পোস্টের রিচ হাজার ছাড়িয়ে মিলিয়নে। গালাগালিতে কী আসে যায়!
এ বিষয়ে কথা হয় নির্মাতা অমিতাভ রেজার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বিজ্ঞাপনের কোড অব এথিকস বলে, কোনো পণ্যকে আপনি সরাসরি ভালো বা মন্দ বলে দিতে পারেন না। তবে আমাদের এখানে যেহেতু এ-বিষয়ক কোনো নীতিমালা, নীতিনির্ধারক বা অথরিটি নেই; তাই যে কেউ পণ্যের প্রচারে এ ধরনের নাটকীয়তা বা ঘটনার জন্ম দিতে পারেন। তবে আপনি কতটা বলবেন, কতটা বলবেন না, কীভাবে বলবেন—পুরোটা একটা কমনসেন্সের ব্যাপার।’
একটি ঘটনায় তাহসানকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি দিয়েছিলেন অসহায় উত্তর, ‘আমাদের কাজ বিনোদন দেওয়া। গান করা, অভিনয় করা। আমাদের কাজ কিন্তু ভাইরাল হওয়া না। কিন্তু আমরা এখন একটা প্রেশারে থাকি, যেকোনো ক্যাম্পেইন, যেকোনো একটা গান বা মুভি করার পরে প্রডিউসার বলে, চ্যানেল বলে, সবাই বলে—একটা কিছু স্ক্যান্ডাল হোক। একটা কিছু ভাইরাল হোক। তাহলে ক্যাম্পেইনটা জমবে ভালো।’
পুনম পান্ডের ঘটনার পর জয়া আহসান এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, তাঁকেও একবার এমন মিথ্যের খেলায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। এক বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান প্রস্তাব দিয়েছিল, জয়া আহসান নিখোঁজ—এমন গুজব প্রচারের। তাতে ওই বিজ্ঞাপনের কাটতি ভালো হবে। রাজি হননি জয়া। তাঁর যুক্তি ছিল, ‘শিল্পী হিসেবে আমাদের একটা দায়িত্ববোধ রয়েছে। সেটা ভুলে গেলে চলবে না। দর্শক আর ভক্তদের জন্যই তারকাদের অস্তিত্ব, সেটা ভুলে গিয়ে তাঁদের ভাবাবেগে আঘাত করা উচিত নয়।’
তবে জয়ার মতো এমন কথা কি এখন মাথায় রাখেন কেউ? প্রত্যেক মিথ্যাবাদী রাখাল যে শেষ পর্যন্ত বাঘের পেটেই যায়, যুগ যুগ ধরে জীবনদর্শন কিন্তু আমাদের সেটাই শিখিয়ে আসছে।
বোন নিখোঁজের ‘নাটক’ ফারিণের
গত বছরের জুনে নিজের ফেসবুক পেজ থেকে লাইভে আসেন অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ। বেশ বিধ্বস্ত দেখাচ্ছিল তাঁকে। ঢাকা শহরের একটি নির্জন গলিতে দাঁড়িয়ে অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি খুব বড় একটা বিপদে পড়ে গেছি। আমি বুঝতেছি না, কীভাবে কী করা উচিত।’ কাঁদতে কাঁদতে ফারিণ জানান, তিনি তাঁর বোনকে হারিয়ে ফেলেছেন। অনেক খুঁজেও পাওয়া যাচ্ছে না। বোনকে খুঁজতে দর্শকদের সাহায্য চান ফারিণ। স্বাভাবিকভাবেই ভক্তরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন এমন খবরে। তবে, কেউ ঘুণাক্ষরেও আন্দাজ করতে পারেননি যে বিষয়টি সাজানো হতে পারে! কয়েক দিন পর জানা যায়, দীপ্ত প্লের ‘নিকষ’ ওয়েব ফিল্মের প্রচারের জন্যই এমন মিথ্যা নাটকের আশ্রয় নিয়েছেন অভিনেত্রী।
লাইভে সাজানো বিপদ
এ ঘটনার কেন্দ্রেও আছেন তাসনিয়া ফারিণ। সঙ্গে তাহসান। তাঁদের প্রেমের গুঞ্জন নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একসময় বেশ মাতামাতি হয়েছে। সেই গুঞ্জনকে ‘গিমিক’ করেই নতুন প্রচারে নামেন তাঁরা। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাত ১০টায় তাহসানের ফেসবুক পেজ থেকে কয়েক সেকেন্ডের লাইভ করা হয়। তাতে ফারিণকে তাহসানের সঙ্গে অন্ধকারাচ্ছন্ন একটি শোরুমে দেখা যায়। তাঁদের কথোপকথনে বোঝা যায়, কোনো এক বদ্ধ জায়গায় আটকা পড়েছেন তাঁরা। ঘণ্টাখানেক পর ফারিণও তাঁর ফেসবুক পেজে লেখেন, ‘এত রাতে এ কোথায় ফেঁসে গেলাম?’ দুজনই বোঝাতে চান, কোনো বিপদে পড়েছেন তাঁরা। উদ্বিগ্ন ভক্তরা নানান কমেন্ট করতে শুরু করেন। সবাইকে বোকা বানিয়ে কয়েক দিন পর তাহসান ও ফারিণ সংবাদ সম্মেলনে জানান, জুতা প্রস্তুতকারী একটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের জন্যই এমন বিপদের নাটক সাজিয়েছেন তাঁরা।
সিয়াম-মেহজাবীনের সাজানো দ্বন্দ্ব
সিয়াম আহমেদ ও মেহজাবীন চৌধুরীর মধ্যে বরাবরই খুব ভালো সম্পর্ক—অন্তত এমনটাই জানেন দর্শক। তবে ২২ এপ্রিল হঠাৎ দুজনই ফেসবুকে একযোগে পোস্ট করেন পরস্পরের বিরুদ্ধে। মেহজাবীন লেখেন, ‘সিয়াম যেখানে থাকবে; প্লিজ, আমাকে সেখানে ডাকবেন না’। একই ধরনের পোস্ট ছিল সিয়ামের। তাঁদের এ পোস্ট ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। দুই দিন পর আরেক ফেসবুক পোস্টে সিয়াম-মেহজাবীন জানান, মূলত নারকেল তেলের একটি ব্র্যান্ডের মডেল হয়েছেন তাঁরা। সেটির প্রচারের জন্যই এই দ্বন্দ্বের নাটক সাজানো!
অপুর ফোনকল ফাঁস
অপু বিশ্বাসের কাছে এক টিভি চ্যানেলের সাংবাদিকের কল। অপুর সাক্ষাৎকার নিতে চান তিনি। অভিনেত্রীও সায় দেন। এরপর একে একে ধেয়ে আসতে থাকে প্রশ্ন। শাকিব-ইধিকার প্রেমের গুঞ্জন, অপুর দ্বিতীয় বিয়ের গুঞ্জন, শাকিবের সঙ্গে বুবলীর বিচ্ছেদ প্রসঙ্গ—একের পর এক বিতর্কিত প্রশ্ন করতে থাকেন সাংবাদিক। অপুও কপট রাগ দেখিয়ে একপর্যায়ে ফোন কেটে দেন। রোজার ঈদের আগে এ ফোনালাপ ‘ফাঁস’ হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। পক্ষে-বিপক্ষে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলে। এর মধ্যেই একদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় অপুর পোস্ট করা ভিডিও থেকে জানা যায়, ফোনালাপ ফাঁসের বিষয়টি ছিল পুরোই সাজানো। মূলত রোজার ঈদে প্রচারের জন্য নির্মিত ‘অপুর ভালোবাসার ডায়েরি’ অনুষ্ঠানের জন্য এত কাণ্ড! এই অনুষ্ঠানের প্রমোশনের জন্যই এমন কৌশল অবলম্বন করেন অপু।
বাঁধনের বিশ্বাসঘাতক কে!
ভালো অভিনেত্রী হিসেবে আজমেরী হক বাঁধনের প্রতি আস্থা আছে দর্শকদের। অভিনয়ের বাইরে সমাজকর্মী হিসেবেও পরিচিতি আছে তাঁর। তবে এই মিথ্যা মিথ্যা খেলায় যুক্ত হয়েছে তাঁর নামও। ২৯ মার্চ একটি ভিডিও পোস্ট করে বাঁধন জানান, কেউ তাঁর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। একবার নয়, বহুবার। সবকিছু বলতে তিনি অচিরেই দর্শকদের সামনে আসবেন। বাঁধনের এই ভিডিও নিয়ে দর্শকদের মধ্যে তৈরি হয় মিশ্র প্রতিক্রিয়া। ১ এপ্রিল একটি নারকেল তেলের বিজ্ঞাপনের ক্লিপস শেয়ার করেন অভিনেত্রী। তখনই স্পষ্ট হয়, আগের ভিডিওটি ছিল এ বিজ্ঞাপনের প্রচারকৌশলের অংশ।
পণ্যের প্রচারণায় নাটকীয়তা বা গুজবের কাটতি সব সময় বেশি। কথায় আছে, আলোর চেয়ে দ্রুতগতি নিয়ে ছড়িয়ে পড়ে গুজব, পৌঁছে যায় এ-কান থেকে ও-কানে। সোশ্যাল মিডিয়ার এই মহামারির সময়ে আসলের চেয়ে মেকির গুরুত্ব যেমন বেশি, তেমনি সত্যের চেয়ে মিথ্যারও। বিনোদন দুনিয়ায় মিথ্যাকে হাতিয়ার করার প্রবণতা সব সময়ই ছিল। সিনেমা হিট করতে হলিউড-বলিউডে একসময় নানা নাটকীয় গুজব ছড়িয়ে দেওয়া হতো। কখনো সেটা তারকাদের প্রেম বা বিয়ের গুঞ্জন, কিংবা তারায় তারায় দ্বন্দ্বের গুঞ্জন।
এসব গুজবের বড়শি দিয়ে দর্শকদের মনোযোগ টানার চেষ্টা করতেন নির্মাতারা। সব সময় যে ফল অনুকূল হতো তা নয়, বেশির ভাগ সময় তৈরি হতো বিতর্ক। তবে এখন যেন বিতর্কই চান সবাই। বিতর্ক ছাড়া প্রচারণা জমে না। আর তার জন্য চাই জুতসই গুজব। এই তো কয়েক মাস আগেও ভারতীয় মডেল পুনম পান্ডে মরে গিয়েও হঠাৎ বেঁচে উঠলেন। তারপর বললেন, ক্যানসারের সচেতনতার জন্য এমনটা করেছেন। ছি ছি রব উঠেছিল সবখানে। কিন্তু তাতে এমন চর্চা কমেনি।
বাংলাদেশেও ইদানীং এ প্রবণতা বেড়েছে। শুধু সিনেমা নয়, ওয়েব কনটেন্ট, টিভি অনুষ্ঠান, এমনকি বিজ্ঞাপনের প্রচারের জন্যও নানা ধরনের মিথ্যে মিথ্যে খেলায় অংশ নিচ্ছেন তারকারা। হয়তো কেউ লাইভে এসে জানালেন, তাঁর খুব বিপদ; কেউ ফাঁস করলেন বিতর্কিত ফোনকল, দুই ভালো বন্ধু হঠাৎ এসে পরস্পরের বিষোদগার করা শুরু করলেন। তাতে দর্শকেরা শুরুতে বেশ ভড়কে যান। হচ্ছেটা কী! তারপর যখন জানতে পারেন, এসব কিছুই নয়। আসল ব্যাপারটা অন্য। তখন বয়ে যায় গালাগালির বন্যা। কিন্তু ততক্ষণে তো উদ্দেশ্য হাসিল হয়ে গেছে, পোস্টের রিচ হাজার ছাড়িয়ে মিলিয়নে। গালাগালিতে কী আসে যায়!
এ বিষয়ে কথা হয় নির্মাতা অমিতাভ রেজার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বিজ্ঞাপনের কোড অব এথিকস বলে, কোনো পণ্যকে আপনি সরাসরি ভালো বা মন্দ বলে দিতে পারেন না। তবে আমাদের এখানে যেহেতু এ-বিষয়ক কোনো নীতিমালা, নীতিনির্ধারক বা অথরিটি নেই; তাই যে কেউ পণ্যের প্রচারে এ ধরনের নাটকীয়তা বা ঘটনার জন্ম দিতে পারেন। তবে আপনি কতটা বলবেন, কতটা বলবেন না, কীভাবে বলবেন—পুরোটা একটা কমনসেন্সের ব্যাপার।’
একটি ঘটনায় তাহসানকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি দিয়েছিলেন অসহায় উত্তর, ‘আমাদের কাজ বিনোদন দেওয়া। গান করা, অভিনয় করা। আমাদের কাজ কিন্তু ভাইরাল হওয়া না। কিন্তু আমরা এখন একটা প্রেশারে থাকি, যেকোনো ক্যাম্পেইন, যেকোনো একটা গান বা মুভি করার পরে প্রডিউসার বলে, চ্যানেল বলে, সবাই বলে—একটা কিছু স্ক্যান্ডাল হোক। একটা কিছু ভাইরাল হোক। তাহলে ক্যাম্পেইনটা জমবে ভালো।’
পুনম পান্ডের ঘটনার পর জয়া আহসান এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, তাঁকেও একবার এমন মিথ্যের খেলায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। এক বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান প্রস্তাব দিয়েছিল, জয়া আহসান নিখোঁজ—এমন গুজব প্রচারের। তাতে ওই বিজ্ঞাপনের কাটতি ভালো হবে। রাজি হননি জয়া। তাঁর যুক্তি ছিল, ‘শিল্পী হিসেবে আমাদের একটা দায়িত্ববোধ রয়েছে। সেটা ভুলে গেলে চলবে না। দর্শক আর ভক্তদের জন্যই তারকাদের অস্তিত্ব, সেটা ভুলে গিয়ে তাঁদের ভাবাবেগে আঘাত করা উচিত নয়।’
তবে জয়ার মতো এমন কথা কি এখন মাথায় রাখেন কেউ? প্রত্যেক মিথ্যাবাদী রাখাল যে শেষ পর্যন্ত বাঘের পেটেই যায়, যুগ যুগ ধরে জীবনদর্শন কিন্তু আমাদের সেটাই শিখিয়ে আসছে।
বোন নিখোঁজের ‘নাটক’ ফারিণের
গত বছরের জুনে নিজের ফেসবুক পেজ থেকে লাইভে আসেন অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ। বেশ বিধ্বস্ত দেখাচ্ছিল তাঁকে। ঢাকা শহরের একটি নির্জন গলিতে দাঁড়িয়ে অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি খুব বড় একটা বিপদে পড়ে গেছি। আমি বুঝতেছি না, কীভাবে কী করা উচিত।’ কাঁদতে কাঁদতে ফারিণ জানান, তিনি তাঁর বোনকে হারিয়ে ফেলেছেন। অনেক খুঁজেও পাওয়া যাচ্ছে না। বোনকে খুঁজতে দর্শকদের সাহায্য চান ফারিণ। স্বাভাবিকভাবেই ভক্তরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন এমন খবরে। তবে, কেউ ঘুণাক্ষরেও আন্দাজ করতে পারেননি যে বিষয়টি সাজানো হতে পারে! কয়েক দিন পর জানা যায়, দীপ্ত প্লের ‘নিকষ’ ওয়েব ফিল্মের প্রচারের জন্যই এমন মিথ্যা নাটকের আশ্রয় নিয়েছেন অভিনেত্রী।
লাইভে সাজানো বিপদ
এ ঘটনার কেন্দ্রেও আছেন তাসনিয়া ফারিণ। সঙ্গে তাহসান। তাঁদের প্রেমের গুঞ্জন নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একসময় বেশ মাতামাতি হয়েছে। সেই গুঞ্জনকে ‘গিমিক’ করেই নতুন প্রচারে নামেন তাঁরা। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাত ১০টায় তাহসানের ফেসবুক পেজ থেকে কয়েক সেকেন্ডের লাইভ করা হয়। তাতে ফারিণকে তাহসানের সঙ্গে অন্ধকারাচ্ছন্ন একটি শোরুমে দেখা যায়। তাঁদের কথোপকথনে বোঝা যায়, কোনো এক বদ্ধ জায়গায় আটকা পড়েছেন তাঁরা। ঘণ্টাখানেক পর ফারিণও তাঁর ফেসবুক পেজে লেখেন, ‘এত রাতে এ কোথায় ফেঁসে গেলাম?’ দুজনই বোঝাতে চান, কোনো বিপদে পড়েছেন তাঁরা। উদ্বিগ্ন ভক্তরা নানান কমেন্ট করতে শুরু করেন। সবাইকে বোকা বানিয়ে কয়েক দিন পর তাহসান ও ফারিণ সংবাদ সম্মেলনে জানান, জুতা প্রস্তুতকারী একটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের জন্যই এমন বিপদের নাটক সাজিয়েছেন তাঁরা।
সিয়াম-মেহজাবীনের সাজানো দ্বন্দ্ব
সিয়াম আহমেদ ও মেহজাবীন চৌধুরীর মধ্যে বরাবরই খুব ভালো সম্পর্ক—অন্তত এমনটাই জানেন দর্শক। তবে ২২ এপ্রিল হঠাৎ দুজনই ফেসবুকে একযোগে পোস্ট করেন পরস্পরের বিরুদ্ধে। মেহজাবীন লেখেন, ‘সিয়াম যেখানে থাকবে; প্লিজ, আমাকে সেখানে ডাকবেন না’। একই ধরনের পোস্ট ছিল সিয়ামের। তাঁদের এ পোস্ট ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। দুই দিন পর আরেক ফেসবুক পোস্টে সিয়াম-মেহজাবীন জানান, মূলত নারকেল তেলের একটি ব্র্যান্ডের মডেল হয়েছেন তাঁরা। সেটির প্রচারের জন্যই এই দ্বন্দ্বের নাটক সাজানো!
অপুর ফোনকল ফাঁস
অপু বিশ্বাসের কাছে এক টিভি চ্যানেলের সাংবাদিকের কল। অপুর সাক্ষাৎকার নিতে চান তিনি। অভিনেত্রীও সায় দেন। এরপর একে একে ধেয়ে আসতে থাকে প্রশ্ন। শাকিব-ইধিকার প্রেমের গুঞ্জন, অপুর দ্বিতীয় বিয়ের গুঞ্জন, শাকিবের সঙ্গে বুবলীর বিচ্ছেদ প্রসঙ্গ—একের পর এক বিতর্কিত প্রশ্ন করতে থাকেন সাংবাদিক। অপুও কপট রাগ দেখিয়ে একপর্যায়ে ফোন কেটে দেন। রোজার ঈদের আগে এ ফোনালাপ ‘ফাঁস’ হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। পক্ষে-বিপক্ষে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলে। এর মধ্যেই একদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় অপুর পোস্ট করা ভিডিও থেকে জানা যায়, ফোনালাপ ফাঁসের বিষয়টি ছিল পুরোই সাজানো। মূলত রোজার ঈদে প্রচারের জন্য নির্মিত ‘অপুর ভালোবাসার ডায়েরি’ অনুষ্ঠানের জন্য এত কাণ্ড! এই অনুষ্ঠানের প্রমোশনের জন্যই এমন কৌশল অবলম্বন করেন অপু।
বাঁধনের বিশ্বাসঘাতক কে!
ভালো অভিনেত্রী হিসেবে আজমেরী হক বাঁধনের প্রতি আস্থা আছে দর্শকদের। অভিনয়ের বাইরে সমাজকর্মী হিসেবেও পরিচিতি আছে তাঁর। তবে এই মিথ্যা মিথ্যা খেলায় যুক্ত হয়েছে তাঁর নামও। ২৯ মার্চ একটি ভিডিও পোস্ট করে বাঁধন জানান, কেউ তাঁর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। একবার নয়, বহুবার। সবকিছু বলতে তিনি অচিরেই দর্শকদের সামনে আসবেন। বাঁধনের এই ভিডিও নিয়ে দর্শকদের মধ্যে তৈরি হয় মিশ্র প্রতিক্রিয়া। ১ এপ্রিল একটি নারকেল তেলের বিজ্ঞাপনের ক্লিপস শেয়ার করেন অভিনেত্রী। তখনই স্পষ্ট হয়, আগের ভিডিওটি ছিল এ বিজ্ঞাপনের প্রচারকৌশলের অংশ।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে