ফেনী প্রতিনিধি
মাছের খাবার, ওষুধ, লবণ, চুনসহ চাষের প্রয়োজনীয় সব উপকরণের দাম কয়েক ধাপে বেড়েছে। কিন্তু মাছের বিক্রয়মূল্য না বাড়ার কারণে ফেনীর মৎস্য চাষিদের লোকসান গুনতে হচ্ছে।
ফেনী জেলা মৎস্য অফিস সূত্র জানায়, জেলায় মৎস্যচাষির সংখ্যা প্রায় ১৫ হাজার। বছরে ফেনীতে ৩৪ হাজার টনের বেশি মাছ চাষ হয়। এতে খাদ্যের প্রয়োজন হয় প্রায় ৫০ হাজার টন।
এলাকার একাধিক মৎস্যচাষি জানান, গত দুই মাসে তিন দফায় মাছের খাদ্যের দাম কেজিতে পাঁচ টাকা করে বেড়েছে। মাছ চাষের অন্যান্য উপকরণের দামও বেড়ে যাওয়ায় এখন খরচ বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। কিন্তু সে অনুযায়ী বাজারে মাছের দাম বাড়েনি।
মৎস্য চাষি মিজানুর রহমান বলেন, ছয় একর পুকুরে মাছ চাষ করেন তিনি। করোনা শুরুর আগেও মাছ চাষ করে লাভবান ছিলেন। কিন্তু বর্তমানে খাদ্যসহ সব জিনিসের দাম বেড়ে যাওয়ায় লোকসান গুনতে হচ্ছে।
মমতা এগ্রো অ্যান্ড হ্যাচারির মালিক আবদুল্লাহ জানান, গত বছর থেকে মাছের মড়ক দেখা দিয়েছে। এ ব্যবসায় আবহাওয়ার এমন বিরূপ আচরণ বড় সমস্যা তৈরি করছে।
মৎস্যচাষি পরশুরাম পৌরসভার মেয়র নিজাম উদ্দিন সাজেল জানান, তাঁর প্রায় ৬৮টি পুকুর এবং দিঘি রয়েছে। তিনি মৎস্য চাষে একবার জেলার শ্রেষ্ঠত্ব লাভ করেছেন। করোনা পরিস্থিতির কারণে গত দুই বছরে তিনি প্রায় ৩ কোটি টাকা লোকসান গুনেছেন। তাঁর দাবি, মাছ চাষ কৃষির অন্তর্ভুক্ত হলেও পুকুর সেচ কাজে ব্যবহৃত বিদ্যুৎ বিল দিতে হয় বাণিজ্যিক হারে। একই সঙ্গে মাছের খাবারসহ প্রয়োজনীয় সব উপকরণের দাম বেড়েছে। তাতে মাছ বিক্রিতে লোকসান গুনতে হচ্ছে।
নিজাম উদ্দিন সাজেল আরও বলেন, কৃষি অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে করোনাকালীন প্রণোদনাসহ নিয়মিত প্রণোদনা এলেও সেগুলো খামারি পর্যন্ত পৌঁছায় না।
স্থানীয় মাছের খাবার ব্যবসায়ী দাউদ পোলট্রি ফিডের স্বত্বাধিকারী নাজমুল করিম আলমগীর বলেন, উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় মালামালের মূল্য বেড়েছে। এতে তাঁদের কিছু করার নেই।
নাহিদ পোলট্রির সত্ত্বাধিকারী জানায়, প্রতিটি কোম্পানি তাদের খাবারের দাম বাড়িয়েছে। তারা বলছে, কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু সংশ্লিষ্টরা সঠিকভাবে দেখভাল করলে হয়তো এমনটি হতো না।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘ধাপে ধাপে মাছের খাবারের দাম বাড়লেও দীর্ঘ ১০ বছরেও মাছের দাম বাড়েনি। তবে মৎস্য অধিদপ্তর আয়োজিত বিভিন্ন সভা-সেমিনারে খাবারের দাম কমানো ও নিয়ন্ত্রণে রাখার বিষয়ে আলোচনা করেছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করেছি। আশা করছি, সরকার এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেবে।’
মাছের খাবার, ওষুধ, লবণ, চুনসহ চাষের প্রয়োজনীয় সব উপকরণের দাম কয়েক ধাপে বেড়েছে। কিন্তু মাছের বিক্রয়মূল্য না বাড়ার কারণে ফেনীর মৎস্য চাষিদের লোকসান গুনতে হচ্ছে।
ফেনী জেলা মৎস্য অফিস সূত্র জানায়, জেলায় মৎস্যচাষির সংখ্যা প্রায় ১৫ হাজার। বছরে ফেনীতে ৩৪ হাজার টনের বেশি মাছ চাষ হয়। এতে খাদ্যের প্রয়োজন হয় প্রায় ৫০ হাজার টন।
এলাকার একাধিক মৎস্যচাষি জানান, গত দুই মাসে তিন দফায় মাছের খাদ্যের দাম কেজিতে পাঁচ টাকা করে বেড়েছে। মাছ চাষের অন্যান্য উপকরণের দামও বেড়ে যাওয়ায় এখন খরচ বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। কিন্তু সে অনুযায়ী বাজারে মাছের দাম বাড়েনি।
মৎস্য চাষি মিজানুর রহমান বলেন, ছয় একর পুকুরে মাছ চাষ করেন তিনি। করোনা শুরুর আগেও মাছ চাষ করে লাভবান ছিলেন। কিন্তু বর্তমানে খাদ্যসহ সব জিনিসের দাম বেড়ে যাওয়ায় লোকসান গুনতে হচ্ছে।
মমতা এগ্রো অ্যান্ড হ্যাচারির মালিক আবদুল্লাহ জানান, গত বছর থেকে মাছের মড়ক দেখা দিয়েছে। এ ব্যবসায় আবহাওয়ার এমন বিরূপ আচরণ বড় সমস্যা তৈরি করছে।
মৎস্যচাষি পরশুরাম পৌরসভার মেয়র নিজাম উদ্দিন সাজেল জানান, তাঁর প্রায় ৬৮টি পুকুর এবং দিঘি রয়েছে। তিনি মৎস্য চাষে একবার জেলার শ্রেষ্ঠত্ব লাভ করেছেন। করোনা পরিস্থিতির কারণে গত দুই বছরে তিনি প্রায় ৩ কোটি টাকা লোকসান গুনেছেন। তাঁর দাবি, মাছ চাষ কৃষির অন্তর্ভুক্ত হলেও পুকুর সেচ কাজে ব্যবহৃত বিদ্যুৎ বিল দিতে হয় বাণিজ্যিক হারে। একই সঙ্গে মাছের খাবারসহ প্রয়োজনীয় সব উপকরণের দাম বেড়েছে। তাতে মাছ বিক্রিতে লোকসান গুনতে হচ্ছে।
নিজাম উদ্দিন সাজেল আরও বলেন, কৃষি অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে করোনাকালীন প্রণোদনাসহ নিয়মিত প্রণোদনা এলেও সেগুলো খামারি পর্যন্ত পৌঁছায় না।
স্থানীয় মাছের খাবার ব্যবসায়ী দাউদ পোলট্রি ফিডের স্বত্বাধিকারী নাজমুল করিম আলমগীর বলেন, উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় মালামালের মূল্য বেড়েছে। এতে তাঁদের কিছু করার নেই।
নাহিদ পোলট্রির সত্ত্বাধিকারী জানায়, প্রতিটি কোম্পানি তাদের খাবারের দাম বাড়িয়েছে। তারা বলছে, কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু সংশ্লিষ্টরা সঠিকভাবে দেখভাল করলে হয়তো এমনটি হতো না।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘ধাপে ধাপে মাছের খাবারের দাম বাড়লেও দীর্ঘ ১০ বছরেও মাছের দাম বাড়েনি। তবে মৎস্য অধিদপ্তর আয়োজিত বিভিন্ন সভা-সেমিনারে খাবারের দাম কমানো ও নিয়ন্ত্রণে রাখার বিষয়ে আলোচনা করেছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করেছি। আশা করছি, সরকার এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেবে।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৪ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৮ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৮ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৮ দিন আগে