জমির উদ্দিন, চট্টগ্রাম
মুখে অক্সিজেন সাপোর্ট। দুই হাত কনুই পর্যন্ত ব্যান্ডেজ মোড়ানো। আর দুই পা প্রায় নিশ্চল। হাঁটুর ওপরেও আগুনে পোড়া ক্ষত। সেই ক্ষতের যন্ত্রণার সঙ্গে একটু পরপর বড় বড় শ্বাস-প্রশ্বাস নিচ্ছিলেন মো. শাহেদ। যিনি সীতাকুণ্ডে বিএম ডিপোতে বিস্ফোরণে দগ্ধ হন। ছেলের এমন ছটফট সহ্য করার ক্ষমতা কি কোনো মায়ের-ই আছে! পাশে বসা মা আফিয়া খাতুনের তাই দুই হাত তুলে প্রার্থনা ‘ও আল্লাহ তুমি আমার জীবনটা নিয়ে নাও, বিনিময়ে ছেলেকে ফিরে দাও’।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ৩৬ নম্বর বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগে মা-ছেলের এমন করুণ আর্তি দেখে চিকিৎসকেরও চোখে জল আসে। মো. শাহেদের মতো এই বিভাগের বর্তমান চিত্র এটিই। কারও মুখ ঝলছে গেছে, কারও পা আর কারও শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে।
অগ্নিদগ্ধ ২২ বছর বয়সী মো. শাহেদ ওই ডিপোতে কার্ভাডভ্যানের সহকারী ছিলেন। তাঁর বাড়ি নোয়াখালীর একলাশপুলে। তাঁরা বন্দরে এক আত্মীয়ের সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকতেন। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন শাহেদ।
চমেক হাসপাতালে যখন শাহেদের মা আফিয়া খাতুনের সঙ্গে কথা হয়, তখন কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। শনিবার থেকে তিনি নির্ঘুম রাত-দিন পার করছেন। খাবার-দাবার, ওষুধ সব নিজেই সামলাচ্ছেন। ছেলের পাশে বসে একটু পরপর আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছেন, ছেলেকে সুস্থ করে দেওয়ার।
আফিয়া খাতুন বলেন, খুব আদরের ছেলে। মাস শেষে বেতন যা পেতো, প্রায় সবটাই দিয়ে দিতেন। প্রতিদিন কল করে আমার খবর নিতেন। সবসময় কী কী লাগবে জিজ্ঞেস করতেন। সেই ছেলে দুইদিন কথা বলতে পারছে না। চোখও খুলতে পারছে না। এখন আল্লাহর কাছে একটাই চাওয়া, নিজের জীবনের বিনিময়ে হলেও আল্লাহ যেন ছেলেকে সুস্থ করে দেন।
(চমেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান বলেন, বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টি সার্জারি বিভাগে ১০২ জন রোগী ভর্তি আছেন। বিস্ফোরণের পর থেকে ২০০ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন।
বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টি সার্জারি বিভাগের তথ্যমতে, হাসপাতালে ভর্তি থাকা ৩ জনের অবস্থা একটু গুরুতর। এরমধ্যে একজনের ২৫ শতাংশ, আরেক জনের ২০ ও বাকিজনের ১৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। ২৫ শতাংশ পুড়ে যাওয়া ব্যক্তিকে ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য পরিবার চাইলে নিয়ে যেতে পারবে। আর বাকি যারা ভর্তি আছেন তাদের সবারই ৩-১৫ শতাংশ পুড়ে গেছে।
মুখে অক্সিজেন সাপোর্ট। দুই হাত কনুই পর্যন্ত ব্যান্ডেজ মোড়ানো। আর দুই পা প্রায় নিশ্চল। হাঁটুর ওপরেও আগুনে পোড়া ক্ষত। সেই ক্ষতের যন্ত্রণার সঙ্গে একটু পরপর বড় বড় শ্বাস-প্রশ্বাস নিচ্ছিলেন মো. শাহেদ। যিনি সীতাকুণ্ডে বিএম ডিপোতে বিস্ফোরণে দগ্ধ হন। ছেলের এমন ছটফট সহ্য করার ক্ষমতা কি কোনো মায়ের-ই আছে! পাশে বসা মা আফিয়া খাতুনের তাই দুই হাত তুলে প্রার্থনা ‘ও আল্লাহ তুমি আমার জীবনটা নিয়ে নাও, বিনিময়ে ছেলেকে ফিরে দাও’।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ৩৬ নম্বর বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগে মা-ছেলের এমন করুণ আর্তি দেখে চিকিৎসকেরও চোখে জল আসে। মো. শাহেদের মতো এই বিভাগের বর্তমান চিত্র এটিই। কারও মুখ ঝলছে গেছে, কারও পা আর কারও শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে।
অগ্নিদগ্ধ ২২ বছর বয়সী মো. শাহেদ ওই ডিপোতে কার্ভাডভ্যানের সহকারী ছিলেন। তাঁর বাড়ি নোয়াখালীর একলাশপুলে। তাঁরা বন্দরে এক আত্মীয়ের সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকতেন। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন শাহেদ।
চমেক হাসপাতালে যখন শাহেদের মা আফিয়া খাতুনের সঙ্গে কথা হয়, তখন কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। শনিবার থেকে তিনি নির্ঘুম রাত-দিন পার করছেন। খাবার-দাবার, ওষুধ সব নিজেই সামলাচ্ছেন। ছেলের পাশে বসে একটু পরপর আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছেন, ছেলেকে সুস্থ করে দেওয়ার।
আফিয়া খাতুন বলেন, খুব আদরের ছেলে। মাস শেষে বেতন যা পেতো, প্রায় সবটাই দিয়ে দিতেন। প্রতিদিন কল করে আমার খবর নিতেন। সবসময় কী কী লাগবে জিজ্ঞেস করতেন। সেই ছেলে দুইদিন কথা বলতে পারছে না। চোখও খুলতে পারছে না। এখন আল্লাহর কাছে একটাই চাওয়া, নিজের জীবনের বিনিময়ে হলেও আল্লাহ যেন ছেলেকে সুস্থ করে দেন।
(চমেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান বলেন, বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টি সার্জারি বিভাগে ১০২ জন রোগী ভর্তি আছেন। বিস্ফোরণের পর থেকে ২০০ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন।
বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টি সার্জারি বিভাগের তথ্যমতে, হাসপাতালে ভর্তি থাকা ৩ জনের অবস্থা একটু গুরুতর। এরমধ্যে একজনের ২৫ শতাংশ, আরেক জনের ২০ ও বাকিজনের ১৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। ২৫ শতাংশ পুড়ে যাওয়া ব্যক্তিকে ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য পরিবার চাইলে নিয়ে যেতে পারবে। আর বাকি যারা ভর্তি আছেন তাদের সবারই ৩-১৫ শতাংশ পুড়ে গেছে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২১ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে