কুমিল্লা সিটি: শিক্ষায় এগিয়ে তাহসীন সম্পদে ভারী সাক্কু

কুমিল্লা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯: ৫৬

জমে উঠেছে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন উপনির্বাচন। নির্বাচনকে ঘিরে নগরজুড়ে চলছে নানা আলোচনা। এর মধ্যে মেয়র পদপ্রার্থীদের হলফনামা প্রকাশের পর আলোচনায় শুরু হয়েছে প্রার্থীদের সম্পদ, শিক্ষা, মামলা, দায়দেনাসহ নানা হিসাব নিয়ে। প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা নিজাম উদ্দিন কায়সার, সম্পদে সাবেক মেয়র ও বিএনপি নেতা মনিরুল হক সাক্কু, আর শিক্ষায় এগিয়ে কুমিল্লার সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিনের মেয়ে ও আওয়ামী লীগ নেতা তাহসীন বাহার সূচনা। অপর প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা নূর উর রহমান মাহমুদ তানিমের আয়, অস্থাবর, স্থাবর সম্পদ বাকিদের চেয়ে কম।

সাবেক মেয়র মনিরুল হক হলফনামায় উল্লেখ করেছেন তিনি এসএসসি পাস। পেশা ব্যবসা ও ঠিকাদারি। বার্ষিক আয় ৭২ লাখ টাকা। এর মধ্যে বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট, দোকানসহ অন্যান্য ভাড়া পান ৪২ লাখ ৯২ হাজার ৬৭৬ টাকা। শেয়ার, সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক আমানত থেকে পান ২ লাখ টাকা। এ ছাড়া তাঁর ব্যবসায়িক আয় ২৭ লাখ ৩৮ হাজার ১৫০ টাকা। তাঁর নগদ, ব্যাংক জমা, বন্ড ও শেয়ার, ইলেকট্রনিক সামগ্রী ও আসবাবপত্র মিলিয়ে মোট অস্থাবর সম্পদ আছে ৩৮ লাখ টাকা। তবে তাঁর স্ত্রী আফরোজা জেসমিনের মূল টাকার পরিমাণ ৩ কোটি ৮১ লাখ।মনিরুল হক সাক্কুর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে একটি ও আয়কর অধ্যাদেশ আইনে একটি মামলা হাইকোর্টে বিচারাধীন। অতীতে বিভিন্ন ঘটনায় মনিরুলের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা, মারামারির পাঁচটি, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে দুটি ও ৩৪ ধারায় দুটি মামলা ছিল। এসব মামলা থেকে তিনি খালাস পান। 

এবারের আলোচিত প্রার্থী তাহসীন বাহার পেশায় ব্যবসায়ী। তবে এমবিবিএস পাস। ব্যবসা থেকে তাঁর বার্ষিক আয় ১০ লাখ টাকা; শেয়ার, সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক আমানত ৩ লাখ টাকা। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে আছে নগদ টাকা ৮ লাখ, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ৫৬ লাখ ৩ হাজার ৯১০ টাকা। বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্রে বা স্থায়ী আমানতের বিনিয়োগ ১ কোটি, জিপ গাড়ি আছে ৯১ লাখ টাকার। স্থাবর সম্পদের মধ্যে রাজধানীর উত্তরায় ৪২ লাখ টাকার একটি ফ্ল্যাট আছে। এ প্রার্থীর বিরুদ্ধে নেই কোনো মামলা।

আরেক প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার পেশায় ব্যবসায়ী। তিনি স্নাতক পাস। তাঁর বার্ষিক আয় ৪ লাখ টাকা। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নগদ টাকা আছে ৩২ লাখ, ব্যাংকে জমা ২ লাখ টাকা। তাঁর কোনো স্থাবর সম্পদ নেই। তাঁর বিরুদ্ধে ৯টি মামলা আছে। এর মধ্যে বিশেষ ক্ষমতা আইনে চারটি, বিস্ফোরক আইনে তিনটি, সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি, মারামারির ঘটনায় একটি মামলা আছে। অতীতে নিজামের বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা ছিল। এর মধ্যে দ্রুত বিচার আইনে চারটি ও মারামারির ঘটনায় দুটি মামলা ছিল।

আরেক প্রার্থী নূর-উর রহমান মাহমুদ তানিম স্নাতক পাস। পেশায় ব্যবসায়ী। ব্যবসা থেকে তাঁর বার্ষিক আয় ৪ লাখ টাকা। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নগদ টাকা ২ লাখ, স্ত্রীর নামে ১ লাখ টাকা, ব্যাংকে নিজ নামে ২০ হাজার ও স্ত্রীর নামে ১০ হাজার টাকা আছে। স্থাবর সম্পদের মধ্যে যৌথ মালিকানায় ৮ শতক জমির মধ্যে তিনি ২ শতকের মালিক। তবে এনআরবিসি ব্যাংকে ৩০ লাখ টাকা ঋণ আছে। তাঁর বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে একটি, বিস্ফোরক আইনে একটি ও জননিরাপত্তা আইনে দুটি মামলা ছিল। অস্ত্র মামলায় তিনি খালাস পান। অপর তিন মামলায় তিনি অব্যাহতি পান।

আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘প্রার্থীদের পাওয়া হলফনামা আমরা গ্রহণ করেছি। তাঁরা হলফনামার প্রয়োজনীয় তথ্য উপস্থাপন করেছেন।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

জাতিকে ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত