ছাত্রী লাঞ্ছনার প্রতিবাদে বাকৃবিতে সড়ক অবরোধ

বাকৃবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৭ মার্চ ২০২২, ০৭: ০৪
আপডেট : ২৭ মার্চ ২০২২, ১২: ০৪

স্বাধীনতা দিবসের শোভাযাত্রায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় কয়েকজন ছাত্রীকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদে গতকাল শনিবার সকাল ১০টার দিকে বিক্ষুব্ধ ছাত্রীরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনের সড়ক অবরোধ এবং টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে অভিযুক্তদের বহিষ্কার ও বিচার দাবি করেন।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সকাল ৮টার দিকে বাকৃবির বেগম রোকেয়া হল ছাত্রলীগের ছাত্রীরা একটি শোভাযাত্রা বের করে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ মরণ সাগর বেদিতে ফুল দিতে যান। এ সময় ছাত্রলীগের আরেকটি গ্রুপ এসে তাঁদের বাধা দেয়। এতে ওই গ্রুপের ছাত্রলীগ নেত্রী ইসরাত জাহান রিজা শোভাযাত্রা থেকে কিছু ছাত্রী নিয়ে আলাদা হতে চান। এ সময় হলের সাধারণ সম্পাদক তানজিনা শিকদার বাধা দিলে বাগ্‌বিতণ্ডার সৃষ্টি হয়।

একপর্যায়ে ছাত্রলীগ নেতা তায়েফ রিয়াদ ও তাঁর কর্মীরা এসে কিছু ছাত্রীকে আলাদা করে নিয়ে চলে যান। এ সময় লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে বিচার দাবি করে সাধারণ ছাত্রীদের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা ও প্রক্টর বরাবর একটি অভিযোগপত্র দেন ভুক্তভোগী ছাত্রীরা।

অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ঘটনাস্থলে তায়েফ রিয়াদের নেতৃত্বে শতাধিক ছাত্রলীগের নেতা–কর্মী তাঁদের বাধা দিয়েছেন। একপর্যায়ে কয়েকজন একাধিক ছাত্রীর গায়ে হাত দেন। এ ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় না আনলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান তাঁরা।

বেগম রোকেয়া হল ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক তানজিলা সিকদার বলেন, ‘ঘটনাস্থলে আমিসহ কয়েকজন ছাত্রীর গায়ে হাত দেয় ও গালিগালাজ করে ওই গ্রুপের তায়েফ রিয়াদসহ কয়েকজন নেতা। আমি এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।’

ছাত্রলীগ নেত্রী ইসরাত জাহান রিজা বলেন, ‘ঘটনাস্থলে আমিও উপস্থিত ছিলাম। কাউকে লাঞ্ছিত করা হয়নি। যেসব মেয়েরা আমার সঙ্গে আসতে চেয়েছিল, তাঁদের জোর করে নিয়ে যেতে চেয়েছিল। এ সময় আমি বাধা দিলে আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হয়।’

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে তায়েফ রিয়াদ বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ সাজানো নাটক। এমন কিছুই করা হয়নি। মেয়েরা হলের সিনিয়র নেত্রীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে। আমাকে হেয় করার জন্য এমন করা হয়েছে।’

পরে বিষয়টি নিয়ে বেলা আড়াইটার দিকে আন্দোলনকারী ছাত্রীরা ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টার কার্যালয় অভিযোগ নিয়ে আসলে তাঁদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বৈঠকে বসেন। বৈঠক শেষে প্রশাসনের পক্ষ থেকে উভয় গ্রুপের সঙ্গে বসে আলোচনা করে মীমাংসা করার আশ্বাস দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমি তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। আমরা কিছু সময় চেয়েছি তাদের কাছ থেকে। দুই গ্রুপের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি মীমাংসা করে দেব।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত