নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
কুষ্টিয়ার খুদে খামারি শাহজাহান মিয়া এবার নয়টি গরু নিয়ে গাবতলীর হাটে এসেছেন। সেখান থেকে ছোট আকারের দুটি গরু বিক্রি করতে পেরেছেন গত চার দিনে। শুধু শাহজাহান মিয়া নন, তাঁর মতো আরও অসংখ্য খামারি ও ব্যাপারী ক্রেতার পথ চেয়ে বসে আছেন। ক্রেতা যে একেবারে নেই, তা নয়। তাঁরা আসছেন, দেখছেন, কেউ কেউ কিনছেনও। তবে ক্রেতাদের বড় অংশই অপেক্ষা করছেন শেষ দুই দিনের জন্য।
গতকাল সোমবার রাজধানীর গাবতলী, আফতাবনগরসহ কয়েকটি হাট ঘুরে কোরবানির পশুর পর্যাপ্ত মজুত চোখে পড়েছে। সে তুলনায় বিক্রি জমে ওঠেনি গতকাল পর্যন্ত। ঢাকার বাসিন্দারা সচরাচর ঈদের আগের দুই দিন কোরবানির পশু কেনেন। বিক্রেতা এখন সেই সময়ের অপেক্ষায় আছেন, যা শুরু হচ্ছে আজ থেকে।
বিক্রেতা, হাসিল আদায়কারীসহ হাটসংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার গরুর দাম তুলনামূলক বেশি। বেশি দাম শুনলে ক্রেতারা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। ছোট ও মাঝারি আকারের গরুতে বেশি আগ্রহ তাদের।
গাবতলীর হাটে আসা খামারি শাহজাহান মিয়া জানান, তিনি যে দুটি বিক্রি করেছেন সেগুলো এবারের চালানের সব থেকে কম দামি ও দুর্বল গরু ছিল। তিনি বলেন, ‘২ লাখের বেশি দামের একটা গরুও বিক্রি করতে পারিনি। বড় গরুগুলোর দাম শুনেই মানুষ চলে যায়।’
আফতাবনগরের পশুর হাটে এবার সর্বনিম্ন ৫৫ হাজার থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১৪ লাখ টাকা দামের গরুও দেখা গেছে। তবে দাম দেড় থেকে আড়াই লাখ টাকার মধ্যে—এমন গরুর প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ বেশি। গতকাল হাটটিতে এই দামের গরু বেশি বিক্রি হতে দেখা গেছে।
চুয়াডাঙ্গার ব্যবসায়ী মো. কামরুল এবার আটটি গরু নিয়ে আফতাবনগর হাটে এসেছেন। তিনি ১২ মণ ওজনের গরুটির দাম হেঁকেছেন ১২ লাখ টাকা। বাকিগুলো দেড় থেকে আড়াই মণ ওজনের ছোট ও মাঝারি গড়নের গরু। সেগুলোর দাম ১ লাখ ২০ থেকে ২ লাখ ৮০ হাজারের মধ্যে নির্ধারণ করেছেন তিনি।
কামরুল বলেন, ‘বড় গরুটির দাম শুনে ক্রেতারা চলে যান। আর বাকিগুলোর জন্য বেশ দরদাম করলেও বিক্রি হয়নি একটাও। ঈদের সময় ঘনিয়ে আসায় কিছুটা দুশ্চিন্তা হচ্ছে। তবে এখানে বেচাকেনা যেহেতু শেষ দুদিনে হয়, সে আশায় আছি।’
বিক্রি বেড়েছে ছাগলের
গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর ছাগলের বিক্রি বেড়েছে হাটে। গাবতলী ও আফতাবনগর দুই হাটেই ছাগল ব্যবসায়ী ও হাসিল আদায়কারীদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে। গাইবান্ধার কামারজানি এলাকা থেকে ১০০টি ছাগল নিয়ে আফতাবনগর হাটে এসেছেন মো. রেজাউল করিম। গত দুই দিনে সেখান থেকে ৬০টি ছাগল বিক্রি করেছেন তিনি। বাকিগুলো আর দুই দিনের মধ্যেই বিক্রি হয়ে যাবে—এমন আশা এই বিক্রেতার।
রেজাউল বলেন, ‘সাত বছর ধরে আমি রাজধানীর হাটে ছাগল নিয়ে আসি। চার-পাঁচ দিন থেকেও ৪০টির বেশি বিক্রি করতে পারিনি কোনোবার। এবার দুই দিনেই ৬০টি বিক্রি হয়েছে। বাকিগুলোও দ্রুত বিক্রি হয়ে যাবে। কাস্টমার বেশি এবার।’
আফতাবনগর হাটের কয়েকজন হাসিল আদায়কারীও এ তথ্য সমর্থন করেছেন। তানজির আহমেদ নামে এক হাসিল আদায়কারী বলেন, ‘আইজকা পর্যন্ত গরু বেচা-বিক্রি কম। ছাগলের হাসিল কাটছি সকাল থাইকা কয়েকটা। গরুর বেচাবিক্রি কাইল থাইকা বাড়ব আশা করি।’
ক্রেতা নেই মহিষের
গরু ও ছাগল কমবেশি বিক্রি হলেও গাবতলীর মহিষের হাটে নেই কোনো কোলাহল। সেখানে মহিষ নিয়ে আসা সাতজন ব্যাপারীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল পর্যন্ত কেউ একটি মহিষও বিক্রি করতে পারেননি। হাটের এই পাশটায় ক্রেতাই ভেড়েন না। যাঁরা ভেড়েন তাঁরা কৌতূহল থেকে দাম জিজ্ঞেস করেই চলে যান। এই অবস্থায় লাভের আশা বাদ দিয়ে চালান তুলতে পারবেন কি না, এই চিন্তায় দিন পার করছেন মহিষ ব্যবসায়ীরা।
আকার ও ওজনভেদে মহিষের দাম ১ লাখ ৩০ হাজার থেকে ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা হাঁকছেন ব্যাপারীরা। কুষ্টিয়া থেকে ১১টি মহিষ নিয়ে গাবতলী হাটে আসা মোহাম্মদ বজলু বলেন, ‘চার দিন আগে গাবতলী হাটে এসেছি। এখন পর্যন্ত কোনো মহিষ বিক্রি করতে পারিনি। আমার কাছে থাকা সর্বনিম্ন ছয় মণ ওজনের মহিষের দাম ২ লাখ ২০ হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ১৩ মণ ওজনের মহিষের দাম ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা চাইছি। কিন্তু ক্রেতারা দাম শুনে চলে যান।’
পটুয়াখালী থেকে ২৫টি মহিষ নিয়ে গাবতলী হাটে এসেছেন রিয়াজ মওলা। লালমনিরহাটের আরেক ব্যবসায়ী শামছুল আলম এনেছেন নয়টি মহিষ। তাঁরা কেউই গতকাল দুপুর পর্যন্ত একটি মহিষও বিক্রি করতে পারেননি।
এখনো পশু আসছে হাটে
আজ মঙ্গলবারসহ হিসাবে নিলে ঈদের আর মাত্র দুই দিন বাকি। কিন্তু শেষ সময়েও নতুন নতুন পশু আসছে। গতকাল সকালেই বগুড়া থেকে ১২ মণ ওজনের একটি গরু নিয়ে গাবতলী এসেছেন হুশনে আরা বেগম। তিনি বলেন, ‘আজকে সকালেই হাঁটে আসছি। জায়গা পেতে একটু সমস্যা হয়েছে। তবে অন্য সবকিছুই ঠিক আছে। রাস্তায় কোনো ঝামেলা হয়নি।’
কুষ্টিয়ার খুদে খামারি শাহজাহান মিয়া এবার নয়টি গরু নিয়ে গাবতলীর হাটে এসেছেন। সেখান থেকে ছোট আকারের দুটি গরু বিক্রি করতে পেরেছেন গত চার দিনে। শুধু শাহজাহান মিয়া নন, তাঁর মতো আরও অসংখ্য খামারি ও ব্যাপারী ক্রেতার পথ চেয়ে বসে আছেন। ক্রেতা যে একেবারে নেই, তা নয়। তাঁরা আসছেন, দেখছেন, কেউ কেউ কিনছেনও। তবে ক্রেতাদের বড় অংশই অপেক্ষা করছেন শেষ দুই দিনের জন্য।
গতকাল সোমবার রাজধানীর গাবতলী, আফতাবনগরসহ কয়েকটি হাট ঘুরে কোরবানির পশুর পর্যাপ্ত মজুত চোখে পড়েছে। সে তুলনায় বিক্রি জমে ওঠেনি গতকাল পর্যন্ত। ঢাকার বাসিন্দারা সচরাচর ঈদের আগের দুই দিন কোরবানির পশু কেনেন। বিক্রেতা এখন সেই সময়ের অপেক্ষায় আছেন, যা শুরু হচ্ছে আজ থেকে।
বিক্রেতা, হাসিল আদায়কারীসহ হাটসংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার গরুর দাম তুলনামূলক বেশি। বেশি দাম শুনলে ক্রেতারা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। ছোট ও মাঝারি আকারের গরুতে বেশি আগ্রহ তাদের।
গাবতলীর হাটে আসা খামারি শাহজাহান মিয়া জানান, তিনি যে দুটি বিক্রি করেছেন সেগুলো এবারের চালানের সব থেকে কম দামি ও দুর্বল গরু ছিল। তিনি বলেন, ‘২ লাখের বেশি দামের একটা গরুও বিক্রি করতে পারিনি। বড় গরুগুলোর দাম শুনেই মানুষ চলে যায়।’
আফতাবনগরের পশুর হাটে এবার সর্বনিম্ন ৫৫ হাজার থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১৪ লাখ টাকা দামের গরুও দেখা গেছে। তবে দাম দেড় থেকে আড়াই লাখ টাকার মধ্যে—এমন গরুর প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ বেশি। গতকাল হাটটিতে এই দামের গরু বেশি বিক্রি হতে দেখা গেছে।
চুয়াডাঙ্গার ব্যবসায়ী মো. কামরুল এবার আটটি গরু নিয়ে আফতাবনগর হাটে এসেছেন। তিনি ১২ মণ ওজনের গরুটির দাম হেঁকেছেন ১২ লাখ টাকা। বাকিগুলো দেড় থেকে আড়াই মণ ওজনের ছোট ও মাঝারি গড়নের গরু। সেগুলোর দাম ১ লাখ ২০ থেকে ২ লাখ ৮০ হাজারের মধ্যে নির্ধারণ করেছেন তিনি।
কামরুল বলেন, ‘বড় গরুটির দাম শুনে ক্রেতারা চলে যান। আর বাকিগুলোর জন্য বেশ দরদাম করলেও বিক্রি হয়নি একটাও। ঈদের সময় ঘনিয়ে আসায় কিছুটা দুশ্চিন্তা হচ্ছে। তবে এখানে বেচাকেনা যেহেতু শেষ দুদিনে হয়, সে আশায় আছি।’
বিক্রি বেড়েছে ছাগলের
গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর ছাগলের বিক্রি বেড়েছে হাটে। গাবতলী ও আফতাবনগর দুই হাটেই ছাগল ব্যবসায়ী ও হাসিল আদায়কারীদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে। গাইবান্ধার কামারজানি এলাকা থেকে ১০০টি ছাগল নিয়ে আফতাবনগর হাটে এসেছেন মো. রেজাউল করিম। গত দুই দিনে সেখান থেকে ৬০টি ছাগল বিক্রি করেছেন তিনি। বাকিগুলো আর দুই দিনের মধ্যেই বিক্রি হয়ে যাবে—এমন আশা এই বিক্রেতার।
রেজাউল বলেন, ‘সাত বছর ধরে আমি রাজধানীর হাটে ছাগল নিয়ে আসি। চার-পাঁচ দিন থেকেও ৪০টির বেশি বিক্রি করতে পারিনি কোনোবার। এবার দুই দিনেই ৬০টি বিক্রি হয়েছে। বাকিগুলোও দ্রুত বিক্রি হয়ে যাবে। কাস্টমার বেশি এবার।’
আফতাবনগর হাটের কয়েকজন হাসিল আদায়কারীও এ তথ্য সমর্থন করেছেন। তানজির আহমেদ নামে এক হাসিল আদায়কারী বলেন, ‘আইজকা পর্যন্ত গরু বেচা-বিক্রি কম। ছাগলের হাসিল কাটছি সকাল থাইকা কয়েকটা। গরুর বেচাবিক্রি কাইল থাইকা বাড়ব আশা করি।’
ক্রেতা নেই মহিষের
গরু ও ছাগল কমবেশি বিক্রি হলেও গাবতলীর মহিষের হাটে নেই কোনো কোলাহল। সেখানে মহিষ নিয়ে আসা সাতজন ব্যাপারীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল পর্যন্ত কেউ একটি মহিষও বিক্রি করতে পারেননি। হাটের এই পাশটায় ক্রেতাই ভেড়েন না। যাঁরা ভেড়েন তাঁরা কৌতূহল থেকে দাম জিজ্ঞেস করেই চলে যান। এই অবস্থায় লাভের আশা বাদ দিয়ে চালান তুলতে পারবেন কি না, এই চিন্তায় দিন পার করছেন মহিষ ব্যবসায়ীরা।
আকার ও ওজনভেদে মহিষের দাম ১ লাখ ৩০ হাজার থেকে ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা হাঁকছেন ব্যাপারীরা। কুষ্টিয়া থেকে ১১টি মহিষ নিয়ে গাবতলী হাটে আসা মোহাম্মদ বজলু বলেন, ‘চার দিন আগে গাবতলী হাটে এসেছি। এখন পর্যন্ত কোনো মহিষ বিক্রি করতে পারিনি। আমার কাছে থাকা সর্বনিম্ন ছয় মণ ওজনের মহিষের দাম ২ লাখ ২০ হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ১৩ মণ ওজনের মহিষের দাম ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা চাইছি। কিন্তু ক্রেতারা দাম শুনে চলে যান।’
পটুয়াখালী থেকে ২৫টি মহিষ নিয়ে গাবতলী হাটে এসেছেন রিয়াজ মওলা। লালমনিরহাটের আরেক ব্যবসায়ী শামছুল আলম এনেছেন নয়টি মহিষ। তাঁরা কেউই গতকাল দুপুর পর্যন্ত একটি মহিষও বিক্রি করতে পারেননি।
এখনো পশু আসছে হাটে
আজ মঙ্গলবারসহ হিসাবে নিলে ঈদের আর মাত্র দুই দিন বাকি। কিন্তু শেষ সময়েও নতুন নতুন পশু আসছে। গতকাল সকালেই বগুড়া থেকে ১২ মণ ওজনের একটি গরু নিয়ে গাবতলী এসেছেন হুশনে আরা বেগম। তিনি বলেন, ‘আজকে সকালেই হাঁটে আসছি। জায়গা পেতে একটু সমস্যা হয়েছে। তবে অন্য সবকিছুই ঠিক আছে। রাস্তায় কোনো ঝামেলা হয়নি।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে