Ajker Patrika

বিলুপ্তির পথে মাটির ঘর

আনিসুল ইসলাম, কাপাসিয়া (গাজীপুর)
আপডেট : ০৩ জানুয়ারি ২০২২, ১৩: ৫১
বিলুপ্তির পথে মাটির ঘর

ফুলের কারুকার্য দিয়ে তৈরি করা মাটির ঘর। কিন্তু দেখে বোঝাই যাবে না যে মাটি দিয়ে ওই ঘর তৈরি করা হয়েছে। দৃষ্টিনন্দন এ রকম মাটির ঘর গাজীপুরের কাপাসিয়ার বিভিন্ন এলাকাজুড়ে রয়েছে।

একসময় ঐতিহ্য আর আভিজাত্য প্রকাশ পেত এই মাটির ঘরগুলোয়। দৃষ্টিনন্দন ও মনোমুগ্ধকর কারুকার্য দেখলে বোঝা যেত কে ধনী আর কে গরিব। মাটির ঘরে সব ঋতুতেই বসবাস করা আরামদায়ক। মাটির ঘর গরমকালে ঠান্ডা থাকে। আর শীতকালে থাকে গরম।

উপজেলার তরগাঁও ইউনিয়নের বাঘিয়া গ্রামের বাসিন্দা খলিলুর রহমান জানান, মাটির ঘর বানাতে গেলে ভালো মাটির প্রয়োজন হয়। একটি ৯ হাত পাশ ও ১৮ হাত লম্বা মাটির ঘর তৈরি করতে গেলে ৭-৮টি রদা (স্তরে স্তরে পর্যায়ক্রমে রেখে ওপর দিকে ওঠাতে হয়) প্রয়োজন হয়। একটি রদার উচ্চতা থাকে একহাত পরিমাণ। একটি রদা দেওয়ার পর আরেকটি দেওয়ার জন্য ১৫-২০ দিন শুকানোর জন্য অপেক্ষা করতে হয়। শুকানো শেষ হলে মাটিতে ফাটল সৃষ্টি হয়, তা আবার কাদামাটি দিয়ে ভরাট করতে হয়। তারপর ঘরের দেয়ালগুলোতে লেপন দিয়ে কারুকার্য তৈরির কাজ শুরু করা হয়। একটি মাটির ঘর তিন থেকে চারবার লেপন দিতে হয়। এই লেপনগুলো দিতে কখনো এক বছরও সময় লেগে যায়।

খলিলুর রহমান আরও জানান, শুকানো শেষ হলে মাটির ঘরে রং করতে হয়। দরজা-জানালা টিনের চাল সব মিলিয়ে একটি মাটির ঘর তৈরি করতে প্রায় দুই বছর সময় লেগে যায়।

মাটির ঘর তৈরি করার কারিগর হুমায়ুন বলেন, ‘মাটির গোলা তৈরি করা থেকে শুরু করে টিনের চাল ওঠানো পর্যন্ত ঘর তৈরি করতে আমরা তখনকার সময় নিতাম ১৫-২০ হাজার টাকা। তখন প্রতি মাসে আট থেকে দশটি বাড়ি বানানোর কাজ পেতাম। টিনের চাল, দরজা-জানালার রং করার কারিগরদের নকশার ওপর টাকার পরিমাণ নির্ভর করে। এখনকার সময় মাটির ঘর আর কেউ বানাতে চান না। আমরা আমাদের পেশা পরিবর্তন করে অন্য পেশায় চলে গেছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আমিনুল ইসলাম নন, শিক্ষা উপদেষ্টা হচ্ছেন অধ্যাপক আবরার

গণপিটুনিতে নিহত জামায়াত কর্মী নেজাম ও তাঁর বাহিনী গুলি ছোঁড়ে, মিলেছে বিদেশি পিস্তল: পুলিশ

উপদেষ্টা হচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

বসুন্ধরায় ছিনতাইকারী সন্দেহে ২ বিদেশি নাগরিককে মারধর

বিএনপির দুই পেশাজীবী সংগঠনের কমিটি বিলুপ্ত

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত