ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের বিবাদ-বিভক্তি মেটাতে কেন্দ্রের নেতারা জেলার নেতাদের নিয়ে একটি বৈঠক করেছেন। চলতি সপ্তাহে ঢাকায় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে জুন মাসে জেলার দলীয় সাংসদের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে ঢাকাতেই আরেকটি বৈঠক হয়েছিল। এবারের বৈঠকেও জেলার সাংসদেরা উপস্থিত ছিলেন।
তবে বৈঠকের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে একাধিক অভিযোগ তুলে ধরা হয়। বিভক্ত জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা এসব অভিযোগ তুলে ধরেন। তাঁদের মধ্যে জেলা কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি সাবেক পৌর মেয়র হেলাল উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল আলম খোকন টাকার বিনিময়ে পৌর শহরে রিকশার লাইসেন্স দেওয়া, ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে একক কর্তৃত্ব এবং পৌরসভা ও উপজেলা নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের মনোনয়ন বিমুখ করার অভিযোগ করেন জেলা কমিটির শীর্ষ এক নেতার বিরুদ্ধে।
তবে জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার এসব অভিযোগের জবাব দেন।
বৈঠকে জেলার দলীয় সাংসদদের জেলা কমিটিতে না রেখে উপদেষ্টা হিসেবে রাখা নিয়েও কথা হয়। আলোচনা হয় সাবেক পৌর মেয়র হেলাল উদ্দিনকে দলের কার্যক্রমে না ডাকার অভিযোগ নিয়েও। পরে কেন্দ্রীয় নেতারা জেলার শীর্ষ নেতাদের মিলেমিশে কাজ করার পরামর্শ দেন।
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বৈঠকটি পরিচালনা করেন। জেলার সাংসদদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সদরের সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনের সাংসদ আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনের ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের সাংসদ এবাদুল করিম বুলবুল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনের সাংসদ বি এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম, সংরক্ষিত নারী সাংসদ উম্মে ফাতেমা নাজমা আক্তার শিউলী।
জেলার নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহসভাপতি, সাবেক পৌর মেয়র হেলাল উদ্দিন, সহসভাপতি ও বর্তমান মেয়র নায়ার কবির, আবু তাহের, হেলাল উদ্দিন ও তাজ মো. ইয়াছিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু প্রমুখ।
বৈঠকে জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা করার সিদ্ধান্ত হয়। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর সম্মেলন হয় জেলা আওয়ামী লীগের। এরপর ২০১৫ সালের মে মাসে জেলা কমিটি কেন্দ্রীয় অনুমোদন পায়। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন করার তোড়জোড় দেখা যায় প্রথম। এ লক্ষ্যে ওই বছরের জুলাই মাসে জেলা আওয়ামী লীগের এক সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর মধ্যে বিজয়নগর, সদর উপজেলা ও শহর আওয়ামী লীগ এবং বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সম্মেলন সম্পন্ন হয়। পরে ওই বছর আর সম্মেলন হয়নি। গত ১৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে ২৭ নভেম্বর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়। ১০ অক্টোবর থেকে ১৫ নভেম্বরের মধ্যে কয়েকটি উপজেলা শাখার সম্মেলন সম্পন্ন করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ৬ অক্টোবর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক টিমের উপস্থিতিতে তৃণমূল প্রতিনিধি সভা ও ৭ অক্টোবর বর্ধিত সভা করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তখন। কিন্তু কোনোটাই হয়নি।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকার বলেন, ঢাকায় আনুষ্ঠানিক কোনো সভা হয়নি। তবে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে জেলার সাংগঠনিক মতবিনিময়ের অংশ হিসেবে সিনিয়র নেতাদের কথা হয়েছে। এখানে দলের অভ্যন্তরীণ মতপার্থক্য নিরসন করে তৃণমূল থেকে জেলা পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন ইউনিটের সম্মেলন করতে আলোচনা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের বিবাদ-বিভক্তি মেটাতে কেন্দ্রের নেতারা জেলার নেতাদের নিয়ে একটি বৈঠক করেছেন। চলতি সপ্তাহে ঢাকায় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে জুন মাসে জেলার দলীয় সাংসদের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে ঢাকাতেই আরেকটি বৈঠক হয়েছিল। এবারের বৈঠকেও জেলার সাংসদেরা উপস্থিত ছিলেন।
তবে বৈঠকের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে একাধিক অভিযোগ তুলে ধরা হয়। বিভক্ত জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা এসব অভিযোগ তুলে ধরেন। তাঁদের মধ্যে জেলা কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি সাবেক পৌর মেয়র হেলাল উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল আলম খোকন টাকার বিনিময়ে পৌর শহরে রিকশার লাইসেন্স দেওয়া, ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে একক কর্তৃত্ব এবং পৌরসভা ও উপজেলা নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের মনোনয়ন বিমুখ করার অভিযোগ করেন জেলা কমিটির শীর্ষ এক নেতার বিরুদ্ধে।
তবে জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার এসব অভিযোগের জবাব দেন।
বৈঠকে জেলার দলীয় সাংসদদের জেলা কমিটিতে না রেখে উপদেষ্টা হিসেবে রাখা নিয়েও কথা হয়। আলোচনা হয় সাবেক পৌর মেয়র হেলাল উদ্দিনকে দলের কার্যক্রমে না ডাকার অভিযোগ নিয়েও। পরে কেন্দ্রীয় নেতারা জেলার শীর্ষ নেতাদের মিলেমিশে কাজ করার পরামর্শ দেন।
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বৈঠকটি পরিচালনা করেন। জেলার সাংসদদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সদরের সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনের সাংসদ আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনের ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের সাংসদ এবাদুল করিম বুলবুল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনের সাংসদ বি এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম, সংরক্ষিত নারী সাংসদ উম্মে ফাতেমা নাজমা আক্তার শিউলী।
জেলার নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহসভাপতি, সাবেক পৌর মেয়র হেলাল উদ্দিন, সহসভাপতি ও বর্তমান মেয়র নায়ার কবির, আবু তাহের, হেলাল উদ্দিন ও তাজ মো. ইয়াছিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু প্রমুখ।
বৈঠকে জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা করার সিদ্ধান্ত হয়। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর সম্মেলন হয় জেলা আওয়ামী লীগের। এরপর ২০১৫ সালের মে মাসে জেলা কমিটি কেন্দ্রীয় অনুমোদন পায়। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন করার তোড়জোড় দেখা যায় প্রথম। এ লক্ষ্যে ওই বছরের জুলাই মাসে জেলা আওয়ামী লীগের এক সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর মধ্যে বিজয়নগর, সদর উপজেলা ও শহর আওয়ামী লীগ এবং বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সম্মেলন সম্পন্ন হয়। পরে ওই বছর আর সম্মেলন হয়নি। গত ১৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে ২৭ নভেম্বর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়। ১০ অক্টোবর থেকে ১৫ নভেম্বরের মধ্যে কয়েকটি উপজেলা শাখার সম্মেলন সম্পন্ন করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ৬ অক্টোবর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক টিমের উপস্থিতিতে তৃণমূল প্রতিনিধি সভা ও ৭ অক্টোবর বর্ধিত সভা করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তখন। কিন্তু কোনোটাই হয়নি।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকার বলেন, ঢাকায় আনুষ্ঠানিক কোনো সভা হয়নি। তবে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে জেলার সাংগঠনিক মতবিনিময়ের অংশ হিসেবে সিনিয়র নেতাদের কথা হয়েছে। এখানে দলের অভ্যন্তরীণ মতপার্থক্য নিরসন করে তৃণমূল থেকে জেলা পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন ইউনিটের সম্মেলন করতে আলোচনা হয়েছে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১১ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগে