অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি
কোনো এক সময় যশোরের অভয়নগর উপজেলার গ্রামীণ সড়কের দুই পাশে সারি সারি খেজুরগাছ চোখে পড়ত। গাছ কেটে রস সংগ্রহ করতে ব্যস্ত সময় পার করতেন গাছিরা। কিন্তু কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে যশোরের যশ খ্যাত খেজুরের রস। এখন আর রাস্তার দুই পাশে সারি সারি চোখে পড়ে না অভয়নগরের অধিকাংশ এলাকায়। যে কারণে বেড়েছে রসের দাম। বর্তমানে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এক ভাঁড় খেজুরের রস।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরের দেখা যায়, ২০০ টাকায় এক ভাঁড় ও প্রতি গ্লাস রস ১০ টাকায় বিক্রি করছেন গাছিরা।
নগরায়ণের ফলে এবং গাছিদের সংকটের কারণে খেজুরগাছের সংখ্যা কমতে শুরু করেছে, অভিমত স্থানীয়দের। ফলে তুলনামূলকভাবে প্রতি বছরই রসের দাম বাড়ছে।
উপজেলা কৃষি অফিস বলছে, গত পাঁচ বছর আগেও অভয়নগরে ৬০ হাজার খেজুরগাছ ছিল। এখন তা অর্ধেকে নেমে এসেছে। ফলে খেজুরের রস ও গুড়ের দাম বেড়ে গেছে।
পায়রা ইউনিয়নের বারান্দি গ্রামের গাছি মো. শামিম গাজী বলেন, ‘আমাদের গ্রামটি ভবদহ অঞ্চলে হওয়ায় বছরজুড়ে থাকে জলাবদ্ধতা। খেজুরের রস থেকে গুড় তৈরিতে রয়েছে জ্বালানি সংকট। এ দুই কারণে আমাদের গ্রামের অধিকাংশ খেজুরগাছ বিক্রি করে দিয়েছেন মালিকেরা।’
গাছি মো. শামিম গাজী বলেন, ‘চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম হওয়ায় বেড়েছে রসের দাম। মাটির ঠিলার দামও বেড়েছে। এক সময় ১০ টাকায় এক ভাঁড় রস বিক্রি করেছি। বর্তমানে এক ভাঁড় রস ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি করেও সংসার চালাতে কষ্ট হচ্ছে।’
একই বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিভিন্ন বাজারে রস বিক্রি করতে আসা গাছিরা। উপজেলার নওয়াপাড়া বাজারের রস ক্রেতা জাকির হোসেন বলেন, ‘গত বছর ১৫০ টাকায় এক ভাঁড় খেজুরের রস কিনেছি। কিন্তু এ বছর সেই রস কিনতে হচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকায়।’
উপজেলার প্রেমবাগ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান বলেন, ‘যশোরের যশ, খেজুরের রস’ এই প্রবাদের সঙ্গে বাস্তবতার খুব একটা মিল নেই। শীত মৌসুমে খেজুরের রস ও গুড় দিয়ে নানা ধরনের পিঠা-পায়েস তৈরি হতো। নানা প্রতিকূলতার কারণে গ্রামীণ এ ঐতিহ্য হারিয়ে যেতে বসেছে। ঐতিহ্য ধরে রাখতে হলে খেজুরগাছ রোপণ, গাছিদের প্রশিক্ষণ ও ক্ষুদ্র ঋণের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।’
উপজেলা বন কর্মকর্তা সমীরণ বিশ্বাস বলেন, ‘যে পরিমাণ খেজুরগাছ কাটা পড়ছে, সেই পরিমাণ রোপণ করা হয়নি। যে কারণে রস ও গুড়ের দাম বেড়ে যাচ্ছে।’
অভয়নগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গোলাম ছামদানী বলেন, ‘খেজুরগাছ সংরক্ষণের অভাবে বিলুপ্ত হতে চলেছে। পাঁচ বছর আগেও অভয়নগরে প্রায় ৬০ হাজার খেজুরগাছ ছিল। অবাধ নিধনের কারণে এখন তা অর্ধেকে নেমে এসেছে। এ ছাড়া রস থেকে গুড় তৈরিতে রয়েছে জ্বালানি সংকট ও গাছির অভাব। ফলে চাহিদার তুলনায় বেড়েছে রস ও গুড়ের দাম।’
কোনো এক সময় যশোরের অভয়নগর উপজেলার গ্রামীণ সড়কের দুই পাশে সারি সারি খেজুরগাছ চোখে পড়ত। গাছ কেটে রস সংগ্রহ করতে ব্যস্ত সময় পার করতেন গাছিরা। কিন্তু কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে যশোরের যশ খ্যাত খেজুরের রস। এখন আর রাস্তার দুই পাশে সারি সারি চোখে পড়ে না অভয়নগরের অধিকাংশ এলাকায়। যে কারণে বেড়েছে রসের দাম। বর্তমানে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এক ভাঁড় খেজুরের রস।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরের দেখা যায়, ২০০ টাকায় এক ভাঁড় ও প্রতি গ্লাস রস ১০ টাকায় বিক্রি করছেন গাছিরা।
নগরায়ণের ফলে এবং গাছিদের সংকটের কারণে খেজুরগাছের সংখ্যা কমতে শুরু করেছে, অভিমত স্থানীয়দের। ফলে তুলনামূলকভাবে প্রতি বছরই রসের দাম বাড়ছে।
উপজেলা কৃষি অফিস বলছে, গত পাঁচ বছর আগেও অভয়নগরে ৬০ হাজার খেজুরগাছ ছিল। এখন তা অর্ধেকে নেমে এসেছে। ফলে খেজুরের রস ও গুড়ের দাম বেড়ে গেছে।
পায়রা ইউনিয়নের বারান্দি গ্রামের গাছি মো. শামিম গাজী বলেন, ‘আমাদের গ্রামটি ভবদহ অঞ্চলে হওয়ায় বছরজুড়ে থাকে জলাবদ্ধতা। খেজুরের রস থেকে গুড় তৈরিতে রয়েছে জ্বালানি সংকট। এ দুই কারণে আমাদের গ্রামের অধিকাংশ খেজুরগাছ বিক্রি করে দিয়েছেন মালিকেরা।’
গাছি মো. শামিম গাজী বলেন, ‘চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম হওয়ায় বেড়েছে রসের দাম। মাটির ঠিলার দামও বেড়েছে। এক সময় ১০ টাকায় এক ভাঁড় রস বিক্রি করেছি। বর্তমানে এক ভাঁড় রস ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি করেও সংসার চালাতে কষ্ট হচ্ছে।’
একই বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিভিন্ন বাজারে রস বিক্রি করতে আসা গাছিরা। উপজেলার নওয়াপাড়া বাজারের রস ক্রেতা জাকির হোসেন বলেন, ‘গত বছর ১৫০ টাকায় এক ভাঁড় খেজুরের রস কিনেছি। কিন্তু এ বছর সেই রস কিনতে হচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকায়।’
উপজেলার প্রেমবাগ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান বলেন, ‘যশোরের যশ, খেজুরের রস’ এই প্রবাদের সঙ্গে বাস্তবতার খুব একটা মিল নেই। শীত মৌসুমে খেজুরের রস ও গুড় দিয়ে নানা ধরনের পিঠা-পায়েস তৈরি হতো। নানা প্রতিকূলতার কারণে গ্রামীণ এ ঐতিহ্য হারিয়ে যেতে বসেছে। ঐতিহ্য ধরে রাখতে হলে খেজুরগাছ রোপণ, গাছিদের প্রশিক্ষণ ও ক্ষুদ্র ঋণের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।’
উপজেলা বন কর্মকর্তা সমীরণ বিশ্বাস বলেন, ‘যে পরিমাণ খেজুরগাছ কাটা পড়ছে, সেই পরিমাণ রোপণ করা হয়নি। যে কারণে রস ও গুড়ের দাম বেড়ে যাচ্ছে।’
অভয়নগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গোলাম ছামদানী বলেন, ‘খেজুরগাছ সংরক্ষণের অভাবে বিলুপ্ত হতে চলেছে। পাঁচ বছর আগেও অভয়নগরে প্রায় ৬০ হাজার খেজুরগাছ ছিল। অবাধ নিধনের কারণে এখন তা অর্ধেকে নেমে এসেছে। এ ছাড়া রস থেকে গুড় তৈরিতে রয়েছে জ্বালানি সংকট ও গাছির অভাব। ফলে চাহিদার তুলনায় বেড়েছে রস ও গুড়ের দাম।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১৭ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে