নিহত ৫ জনের পরিবারকে লাখ টাকা করে অনুদান

বগুড়া প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১১ জানুয়ারি ২০২২, ০৭: ০৩
আপডেট : ১১ জানুয়ারি ২০২২, ১৪: ৩০

বগুড়ার গাবতলী উপজেলায় নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত পাঁচজনের পরিবারকে এক লাখ টাকা করে আর্থিক অনুদান দিয়েছে জেলা প্রশাসন। নিহতের মধ্যে চারজন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান এবং অন্যজন প্রতিপক্ষের হামলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নিহত হন।

গতকাল সোমবার বেলা ১১টার দিকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষ করতোয়া অডিটরিয়ামে নিহতদের পরিবারকে এ অনুদান দেন ডিসি মো. জিয়াউল হক।

নির্বাচনী সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহতরা হলেন আব্দুর রশিদ, খোরশেদ, আলমগীর ও কুলসুম। তাঁরা চারজনই গাবতলী উপজেলার বালিয়াদিঘি ইউনিয়নের কালাইহাটা গ্রামের বাসিন্দা। অন্যজন হলেন জাকির হোসেন। তিনি গাবতলী উপজেলার রামেশ্বরপুর ইউনিয়নের জাইগুলি গ্রামের বাসিন্দা।

৫ জানুয়ারি ভোট চলাকালে উপজেলার রামেশ্বরপুর জাইগুলি গ্রামে দুই ইউপি সদস্য প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই সময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হন জাকির। পরে তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

উপজেলার বালিয়াদিঘি ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ শেষে গণনা ও ফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী ইউনুস আলী ফকিরের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। ওই সময় উত্তেজিত হয়ে নৌকা প্রতীকের কর্মী-সমর্থকেরা পুলিশ, বিজিবি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রের গাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লাঠিচার্জ ও গুলিবর্ষণ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নারীসহ চারজন নিহত হন।

ভোটকেন্দ্রে হামলা, ভাঙচুর, ব্যালট পেপার ছিনতাই ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে পরদিন গাবতলী মডেল থানায় মামলা করেন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা জাকির হোসেন।

গাবতলী মডেল থানার ওসি মো. জিয়া লতিফুল ইসলাম বলেন, মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। আর গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহতদের পরিবার থেকেও কোনো মামলা করা হয়নি।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত