শাহীন রহমান, পাবনা
উত্তরাঞ্চলে পেঁয়াজের ভান্ডার হিসেবে খ্যাত পাবনার সুজানগর। এ বছর এ অঞ্চলে পেঁয়াজের ফলন ভালো হয়েছে। প্রথম দফায় ভালো দাম না পাওয়ায় অনেকে সনাতন পদ্ধতিতে সংরক্ষণের চেষ্টা করছেন। কিন্তু আধুনিক সংরক্ষণাগার না থাকায় বিপাকে পড়েছেন এ অঞ্চলের পেঁয়াজচাষিরা।
সুজানগরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ঘরে বাঁশের মাচা বানিয়ে পেঁয়াজ সংরক্ষণ করা হয়েছে। বর্তমানে কৃষকেরা এই সনাতন পদ্ধতিতে পেঁয়াজ সংরক্ষণ করেন। এতে যে পরিমাণ পেঁয়াজ নষ্ট হয়, তাতে মূল খরচ তোলা নিয়ে শঙ্কা রয়েছেন তাঁরা। স্থানীয় কৃষকেরা দীর্ঘদিন ধরে একটি আধুনিক সংরক্ষণাগারের দাবি জানিয়ে এলেও তার বাস্তবায়ন নেই।
কৃষকেরা জানান, পেঁয়াজের ভরা মৌসুমে বাজারদর কম থাকে। ওই সময় বিক্রি করলে উৎপাদন খরচ ওঠে না। তবে আধুনিক পদ্ধতিতে পেঁয়াজ সংরক্ষণ করে তা পর্যায়ক্রমে বিক্রি করতে পারলে তাঁদের লাভ হতো। বর্তমানে বাঁশের মাচা তৈরি করে দীর্ঘমেয়াদে পেঁয়াজ সংরক্ষণ করা যায় না।
উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের চাষি কামরুজ্জামান বলেন, এক মণ পেঁয়াজ উৎপাদন করতে প্রায় ১ হাজার ১৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা খরচ করতে হয়েছে। সংরক্ষণ, বাছাই, বস্তাবন্দী এবং পরিবহনে মণপ্রতি আরও খরচ হয়েছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। কিন্তু বাজারে এখন ১ হাজার ৩০০ টাকা মণ দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। দামের এই অবস্থার পাশাপাশি পেঁয়াজ পচে যাওয়ায় বড় লোকসানের আশঙ্কায় রয়েছেন তিনি।
ওই গ্রামের কৃষক চাঁদ আলীর একই অবস্থা। তিনি প্রায় ১ হাজার মণ পেঁয়াজ ঘরে তুলেছেন। মৌসুমের শুরুতে দাম ভালো না পাওয়ায় পুরো পেঁয়াজ সংরক্ষণ করে এখন আরও বিপাকে পড়েছেন তিনি। ইতিমধ্যে তাঁর প্রায় ৩০০ মণ পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে গেছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাফিউল ইসলাম বলেন, ‘সুজানগরে রয়েছে প্রায় সাত হাজারের বেশি প্রাচীন পদ্ধতির পেঁয়াজ সংরক্ষণাগার। প্রতিটি খাঁচার দুই ফুট পর্যন্ত পুরু করে মাচায় পেঁয়াজ সংরক্ষণ করেন তাঁরা। এই পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করা গেলেও কমপক্ষে ২৫ শতাংশ পেঁয়াজ নষ্ট হয়।’
বাংলাদেশ মসলা গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শৈলেন্দ্রনাথ মজুমদার বলেন, মসলা গবেষণা কেন্দ্র একটি বিশেষায়িত কোল্ডস্টোরেজ নির্মাণের কাজ হাতে নিয়েছে। এটি নির্মাণ করা হলে পেঁয়াজ সংরক্ষণব্যবস্থা নিয়ে গবেষণা ত্বরান্বিত হবে।
উত্তরাঞ্চলে পেঁয়াজের ভান্ডার হিসেবে খ্যাত পাবনার সুজানগর। এ বছর এ অঞ্চলে পেঁয়াজের ফলন ভালো হয়েছে। প্রথম দফায় ভালো দাম না পাওয়ায় অনেকে সনাতন পদ্ধতিতে সংরক্ষণের চেষ্টা করছেন। কিন্তু আধুনিক সংরক্ষণাগার না থাকায় বিপাকে পড়েছেন এ অঞ্চলের পেঁয়াজচাষিরা।
সুজানগরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ঘরে বাঁশের মাচা বানিয়ে পেঁয়াজ সংরক্ষণ করা হয়েছে। বর্তমানে কৃষকেরা এই সনাতন পদ্ধতিতে পেঁয়াজ সংরক্ষণ করেন। এতে যে পরিমাণ পেঁয়াজ নষ্ট হয়, তাতে মূল খরচ তোলা নিয়ে শঙ্কা রয়েছেন তাঁরা। স্থানীয় কৃষকেরা দীর্ঘদিন ধরে একটি আধুনিক সংরক্ষণাগারের দাবি জানিয়ে এলেও তার বাস্তবায়ন নেই।
কৃষকেরা জানান, পেঁয়াজের ভরা মৌসুমে বাজারদর কম থাকে। ওই সময় বিক্রি করলে উৎপাদন খরচ ওঠে না। তবে আধুনিক পদ্ধতিতে পেঁয়াজ সংরক্ষণ করে তা পর্যায়ক্রমে বিক্রি করতে পারলে তাঁদের লাভ হতো। বর্তমানে বাঁশের মাচা তৈরি করে দীর্ঘমেয়াদে পেঁয়াজ সংরক্ষণ করা যায় না।
উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের চাষি কামরুজ্জামান বলেন, এক মণ পেঁয়াজ উৎপাদন করতে প্রায় ১ হাজার ১৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা খরচ করতে হয়েছে। সংরক্ষণ, বাছাই, বস্তাবন্দী এবং পরিবহনে মণপ্রতি আরও খরচ হয়েছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। কিন্তু বাজারে এখন ১ হাজার ৩০০ টাকা মণ দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। দামের এই অবস্থার পাশাপাশি পেঁয়াজ পচে যাওয়ায় বড় লোকসানের আশঙ্কায় রয়েছেন তিনি।
ওই গ্রামের কৃষক চাঁদ আলীর একই অবস্থা। তিনি প্রায় ১ হাজার মণ পেঁয়াজ ঘরে তুলেছেন। মৌসুমের শুরুতে দাম ভালো না পাওয়ায় পুরো পেঁয়াজ সংরক্ষণ করে এখন আরও বিপাকে পড়েছেন তিনি। ইতিমধ্যে তাঁর প্রায় ৩০০ মণ পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে গেছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাফিউল ইসলাম বলেন, ‘সুজানগরে রয়েছে প্রায় সাত হাজারের বেশি প্রাচীন পদ্ধতির পেঁয়াজ সংরক্ষণাগার। প্রতিটি খাঁচার দুই ফুট পর্যন্ত পুরু করে মাচায় পেঁয়াজ সংরক্ষণ করেন তাঁরা। এই পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করা গেলেও কমপক্ষে ২৫ শতাংশ পেঁয়াজ নষ্ট হয়।’
বাংলাদেশ মসলা গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শৈলেন্দ্রনাথ মজুমদার বলেন, মসলা গবেষণা কেন্দ্র একটি বিশেষায়িত কোল্ডস্টোরেজ নির্মাণের কাজ হাতে নিয়েছে। এটি নির্মাণ করা হলে পেঁয়াজ সংরক্ষণব্যবস্থা নিয়ে গবেষণা ত্বরান্বিত হবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৫ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪