আনোয়ার হোসেন, মনিরামপুর
মনিরামপুরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের জমির নামজারি ও সনদ ফি বাবদ অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। গত বছর উপজেলা প্রশাসনের কাছে এ বাবদ ৫ লাখের বেশি টাকা বরাদ্দ আসে, কিন্তু আজও সে টাকা হাতে পাননি আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর পাওয়া ভূমিহীনেরা। আশ্রয়ণ পল্লির বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে টাকা ফেরত না পাওয়ার বিষয়টি জানা গেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা ভূমি অফিসে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভূমিহীনদের ঘরের কাগজপত্র ঠিক করে দেওয়া বাবদ খরচ দেখিয়ে সরকারের কাছে চিঠি দেওয়া হয়। পরে গত বছরের শেষের দিকে ২৬২টি ঘরের খরচ বাবদ ৫ লাখ ২৮ হাজার টাকা বরাদ্দ আসে। সে টাকা থেকে নামজারি ও স্টাম্প ফি বাবদ গত ১ ডিসেম্বর চেকের মাধ্যমে ৩ লাখ ৭৪ হাজার ১৩৬ টাকা হাতে পেয়েছেন উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি)। সে টাকা থেকে নামজারি বাবদ ১ হাজার ১৭০ টাকা এবং স্টাম্প ফি বাবদ ২৫৮ টাকা মোট ১ হাজার ৪২৮ টাকা করে ফেরত দেওয়ার জন্য আশ্রয়ণ পল্লির ২৬২ জনের তালিকা করা হয়েছে।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আশ্রয়ণ পল্লির বাসিন্দাদের কাছ থেকে খরচ বাবদ সংশ্লিষ্ট নায়েবরা ২ হাজার ১৯০ টাকা থেকে ২ হাজার ২৯০ টাকা করে আদায় করেছেন। এখন ১ হাজার ৪২৮ টাকা করে ফেরত দেওয়ার জন্য তাঁদের তালিকা করা হয়েছে। বাকি ৭৬২-৮৬২ টাকার কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছে না।’
মাছনা আশ্রয়ণ পল্লির বাসিন্দা শেফালী বেগম বলেন, ‘ঘর দেওয়ার সময় খরচের কথা বলে নায়েব ২ হাজার ১৯০ টাকা করে নিল। সে টাকা ফেরত আইছে কিনা জানিনে। টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে আমাদের কেউ কিছু বলেনি।’
আব্দুস সাত্তার নামের আরেকজন বলেন, ‘খুব কষ্টে আছি। টাকাগুলো ফেরত পালি ভালো হইতো।’
জানা যায়, মনিরামপুরে এ পর্যন্ত ভূমিহীনদের জন্য ৩৭৪টি ঘরের বরাদ্দ এসেছে। যার মধ্যে পৌর এলাকার হাকোবা, গাংড়া, তাহেরপুর, মাছনা, হাজরাইল, শিরালী, মশ্মিমনগরসহ বিভিন্ন এলাকায় এ পর্যন্ত ২৯২টি ঘর নির্মাণ করে ভূমিহীনদের মাঝে হস্তান্তর করা হয়েছে।
হেলাঞ্চি, মশ্মিমনগর ও শ্যামকুড় এলাকায় ১৫টি ঘর নির্মাণের কাজ চলমান আছে। ৬৭টি ঘর নির্মাণের প্রস্তুতি চলছে। দুই শতক খাস জমি ভূমিহীনদের নামে বরাদ্দ দিয়ে গত বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চে ২৬২টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে।
জমির দলিল, নামপত্তন ও স্টাম্প ফিসহ নানা খরচ দেখিয়ে তখন সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তারা ঘর মালিকদের কাছ থেকে ২ হাজার ১৯০ টাকা থেকে ২ হাজার ২৯০ টাকা করে আদায় করেছেন।
সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয় সূত্র জানা গেছে, ভূমিহীনদের থেকে নায়েবরা যে টাকা নিয়েছেন তা জমি রেজিস্ট্রেশন, নকল তোলা, সার্টিফিকেট দেওয়া এবং নামজারি বাবদ খরচ করা হয়েছে। এ ছাড়া নাম ফলক ও ফোল্ডার তৈরিতে কিছু টাকা খরচ হয়েছে। সরকারিভাবে ৫ লাখ ২৮ হাজার টাকা আসার পর হিসেব করে দেখা গেছে, ২৬২টি ঘরের বিপরীতে ২ হাজার ১৫ টাকা করে ফেরত পাওয়া গেছে। সব খরচ সমন্বয় করে ঘর প্রতি ১ হাজার ৪২০ টাকা করে ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) হরেকৃষ্ণ অধিকারী জানিয়েছেন, এ সপ্তাহে ভূমিহীনদের মাঝে সরকারের কাছ থেকে আসা টাকা বিতরণ করা হবে।
হরেকৃষ্ণ অধিকারী বলেন, ‘আশ্রয়ণ পল্লির ২৬২ জনের জন্য সম্ভবত ৫ লাখ ২৮ হাজার টাকা এসেছে। এর মধ্যে নামজারি ও স্টাম্প ফি বাবদ ফেরত দেওয়ার জন্য আমি ৩ লাখ ৭৪ হাজার টাকা হাতে পেয়েছি। টাকা পাওয়ার পরপরই আমি ঢাকায় প্রশিক্ষণে গিয়েছি। দেড় মাস পর ফিরেছি। যাদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে, তাঁদের তালিকা করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহে টাকা বিতরণ শুরু করব।’
মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ জাকির হাসান বলেন, ‘আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের খরচ বাবদ কত টাকা এসেছে তা ফাইলপত্র না দেখে বলা যাবে না। বিষয়টি এসিল্যান্ড (সহকারী কমিশনার–ভূমি) বলতে পারবেন।’
মনিরামপুরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের জমির নামজারি ও সনদ ফি বাবদ অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। গত বছর উপজেলা প্রশাসনের কাছে এ বাবদ ৫ লাখের বেশি টাকা বরাদ্দ আসে, কিন্তু আজও সে টাকা হাতে পাননি আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর পাওয়া ভূমিহীনেরা। আশ্রয়ণ পল্লির বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে টাকা ফেরত না পাওয়ার বিষয়টি জানা গেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা ভূমি অফিসে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভূমিহীনদের ঘরের কাগজপত্র ঠিক করে দেওয়া বাবদ খরচ দেখিয়ে সরকারের কাছে চিঠি দেওয়া হয়। পরে গত বছরের শেষের দিকে ২৬২টি ঘরের খরচ বাবদ ৫ লাখ ২৮ হাজার টাকা বরাদ্দ আসে। সে টাকা থেকে নামজারি ও স্টাম্প ফি বাবদ গত ১ ডিসেম্বর চেকের মাধ্যমে ৩ লাখ ৭৪ হাজার ১৩৬ টাকা হাতে পেয়েছেন উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি)। সে টাকা থেকে নামজারি বাবদ ১ হাজার ১৭০ টাকা এবং স্টাম্প ফি বাবদ ২৫৮ টাকা মোট ১ হাজার ৪২৮ টাকা করে ফেরত দেওয়ার জন্য আশ্রয়ণ পল্লির ২৬২ জনের তালিকা করা হয়েছে।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আশ্রয়ণ পল্লির বাসিন্দাদের কাছ থেকে খরচ বাবদ সংশ্লিষ্ট নায়েবরা ২ হাজার ১৯০ টাকা থেকে ২ হাজার ২৯০ টাকা করে আদায় করেছেন। এখন ১ হাজার ৪২৮ টাকা করে ফেরত দেওয়ার জন্য তাঁদের তালিকা করা হয়েছে। বাকি ৭৬২-৮৬২ টাকার কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছে না।’
মাছনা আশ্রয়ণ পল্লির বাসিন্দা শেফালী বেগম বলেন, ‘ঘর দেওয়ার সময় খরচের কথা বলে নায়েব ২ হাজার ১৯০ টাকা করে নিল। সে টাকা ফেরত আইছে কিনা জানিনে। টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে আমাদের কেউ কিছু বলেনি।’
আব্দুস সাত্তার নামের আরেকজন বলেন, ‘খুব কষ্টে আছি। টাকাগুলো ফেরত পালি ভালো হইতো।’
জানা যায়, মনিরামপুরে এ পর্যন্ত ভূমিহীনদের জন্য ৩৭৪টি ঘরের বরাদ্দ এসেছে। যার মধ্যে পৌর এলাকার হাকোবা, গাংড়া, তাহেরপুর, মাছনা, হাজরাইল, শিরালী, মশ্মিমনগরসহ বিভিন্ন এলাকায় এ পর্যন্ত ২৯২টি ঘর নির্মাণ করে ভূমিহীনদের মাঝে হস্তান্তর করা হয়েছে।
হেলাঞ্চি, মশ্মিমনগর ও শ্যামকুড় এলাকায় ১৫টি ঘর নির্মাণের কাজ চলমান আছে। ৬৭টি ঘর নির্মাণের প্রস্তুতি চলছে। দুই শতক খাস জমি ভূমিহীনদের নামে বরাদ্দ দিয়ে গত বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চে ২৬২টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে।
জমির দলিল, নামপত্তন ও স্টাম্প ফিসহ নানা খরচ দেখিয়ে তখন সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তারা ঘর মালিকদের কাছ থেকে ২ হাজার ১৯০ টাকা থেকে ২ হাজার ২৯০ টাকা করে আদায় করেছেন।
সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয় সূত্র জানা গেছে, ভূমিহীনদের থেকে নায়েবরা যে টাকা নিয়েছেন তা জমি রেজিস্ট্রেশন, নকল তোলা, সার্টিফিকেট দেওয়া এবং নামজারি বাবদ খরচ করা হয়েছে। এ ছাড়া নাম ফলক ও ফোল্ডার তৈরিতে কিছু টাকা খরচ হয়েছে। সরকারিভাবে ৫ লাখ ২৮ হাজার টাকা আসার পর হিসেব করে দেখা গেছে, ২৬২টি ঘরের বিপরীতে ২ হাজার ১৫ টাকা করে ফেরত পাওয়া গেছে। সব খরচ সমন্বয় করে ঘর প্রতি ১ হাজার ৪২০ টাকা করে ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) হরেকৃষ্ণ অধিকারী জানিয়েছেন, এ সপ্তাহে ভূমিহীনদের মাঝে সরকারের কাছ থেকে আসা টাকা বিতরণ করা হবে।
হরেকৃষ্ণ অধিকারী বলেন, ‘আশ্রয়ণ পল্লির ২৬২ জনের জন্য সম্ভবত ৫ লাখ ২৮ হাজার টাকা এসেছে। এর মধ্যে নামজারি ও স্টাম্প ফি বাবদ ফেরত দেওয়ার জন্য আমি ৩ লাখ ৭৪ হাজার টাকা হাতে পেয়েছি। টাকা পাওয়ার পরপরই আমি ঢাকায় প্রশিক্ষণে গিয়েছি। দেড় মাস পর ফিরেছি। যাদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে, তাঁদের তালিকা করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহে টাকা বিতরণ শুরু করব।’
মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ জাকির হাসান বলেন, ‘আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের খরচ বাবদ কত টাকা এসেছে তা ফাইলপত্র না দেখে বলা যাবে না। বিষয়টি এসিল্যান্ড (সহকারী কমিশনার–ভূমি) বলতে পারবেন।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৪ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৮ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৮ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৮ দিন আগে