গাজীপুর মহানগরীর কুনিয়া বড়বাড়ি এলাকায় বন্ধ ঘোষণা করা একটি তৈরি পোশাক কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকেরা। গতকাল শনিবার সকালে এ বিক্ষোভের সময় তাঁরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধের চেষ্টা করেন। তবে পুলিশ লাঠিপেটা, টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

বিক্ষোভকারী শ্রমিকেরা জানান, কুনিয়া বড়বাড়ি এলাকায় অবস্থিত নাসা গ্রুপের লিজ অ্যাপারেলস লিমিটেডের শ্রমিকেরা্ বেতন-ভাতা বৃদ্ধির বিষয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বারবার কথা বলে আসছিলেন। এর মধ্যেই হঠাৎ গত বুধবার কারখানায় অগ্নিকাণ্ড ঘটে। তখন শ্রমিকেরা আতঙ্কিত হয়ে কর্মস্থল থেকে কারখানা চত্বরে অবস্থান নেন।

এ সময় কারখানার কর্মকর্তারা শ্রমিকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে পুনরায় কাজে যোগ দিতে বলেন। কর্মকর্তারা কিছু শ্রমিককে গালাগালি ও মারধর করেন। একপর্যায়ে শ্রমিকেরা কারখানা থেকে বের হয়ে যান।

পরদিন শ্রমিকেরা কাজে যোগ দিতে কারখানায় এসে কোনোরকম দিকনির্দেশনা না পেয়ে অলস সময় কাটিয়ে ফিরে যান। শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি শেষে গত শনিবার কাজে যোগ দিতে এসে শ্রমিকেরা কারখানার প্রধান ফটকে বন্ধের নোটিশ দেখতে পান।

পরে কারখানা খুলে দেওয়া ও বার্ষিক বর্ধিত বেতন-ভাতা পরিশোধের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন। পুলিশ শটগানের গুলি, টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ ও লাঠিপেটা করে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ ঘটনায় প্রায় ২০ জন শ্রমিক আহত হয়েছেন।

অপরদিকে ওই কারখানার পরিচালক গাজী মোহাম্মদ জাবের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কারখানার শ্রমিকেরা কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অমান্য করে কাজ বন্ধ রেখেছেন। তাঁরা আশরাফ নামের এক কর্মকর্তাকে বেধড়ক মারধর ও কারখানার ফ্লোরে ঢুকে আসবাব ভাঙচুর করেছেন।

গাজীপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াসিউজ্জামান চৌধুরী বলেন, কারখানার মালিক পক্ষকে চাপ দিয়ে দ্রুত সমস্যার কার্যত সমাধান নিশ্চিতকরণে গাজীপুর জেলা প্রশাসন, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ, শিল্পপুলিশ এবং কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর সম্মিলিতভাবে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।