মুলাদীতে টিকা না পেয়ে ফিরল অনেক শিক্ষার্থী

মুলাদী প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৪ ডিসেম্বর ২০২১, ০৪: ৪৪
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২১, ১৩: ৩১

মুলাদীতে করোনা প্রতিরোধে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের ফাইজারের টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় মুলাদী সরকারি কলেজের নতুন একাডেমিক ভবনে টিকা দেওয়া শুরু হয়। তবে উপস্থিত শিক্ষার্থীর থেকে টিকার সংখ্যা কম থাকায় বেশ কিছু শিক্ষার্থীকে টিকা না দিয়ে ফিরতে হয়েছে।

প্রথম দিনে মুলাদী সরকারি মাহমুদজান মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও চরকালেখান আইডিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮০০ শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া হয়। আনুমানিক ২০০ শিক্ষার্থী কেন্দ্রে এসেও টিকা দিতে পারেননি বলে অনুমান করা হচ্ছে।

জানা গেছে, ফাইজারের টিকা দেওয়ার জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষের প্রয়োজন। শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার জন্য মুলাদী সরকারি কলেজের নতুন একাডেমিক ভবনের একটি কক্ষে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। গতকাল ওই কক্ষে ৪টি বুথ করে শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হয়।

টিকার পর্যাপ্ত চাহিদা না দেওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী টিকা না পেয়ে ফিরে গেছে। তারা টিকাদানে সমন্বয়হীনতার অভিযোগ করেছেন। তবে টিকা সংরক্ষণ ও পরিবহন সমস্যার কারণে উপজেলায় কম টিকা আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় কতজন শিক্ষার্থী টিকা নিতে আসবে তা নিয়েও দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছিল। যেসব শিক্ষার্থী টিকা পায়নি তাদের পরবর্তীতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।

উপজেলা স্যানিটারি পরিদর্শক জাহানারা বেগম জানান, সরকারিভাবে শিক্ষার্থীদের ফাইজারের টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিন্তু উপজেলা সদরে ফাইজারের টিকা সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেই। তাই প্রাথমিক পর্যায়ে ১ হাজার ২০০ টিকার কথা বলা হলেও পরবর্তীতে জেলায় ৮০০ টিকার চাহিদা দেওয়া হয়। আগামী ২৬ ডিসেম্বরের জন্য ৩ হাজার টিকার চাহিদা দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, মুলাদী সরকারি মাহমুদজান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রায় সাড়ে ৮ শ এবং চরকালেখান আইডিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ৭ শ শিক্ষার্থী রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকেরা কতজন শিক্ষার্থী উপস্থিত করতে পারবেন তা জানাতে পারেননি। টিকা ফেরত যাওয়ার আশঙ্কায় ৮০০ টিকা আনা হয়েছিল। কিন্তু টিকা দেওয়ার দিনে প্রায় ১ হাজার শিক্ষার্থী উপস্থিত হয়েছে। মেয়েদের প্রাধান্য দিয়ে টিকা দেওয়া হয়েছে। তবে কিছু শিক্ষার্থী টিকা না পেয়ে ফিরে গেছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. সাইয়েদুর রহমান জানান, পর্যাপ্ত শিক্ষার্থী হাজির না হলে অবশিষ্ট টিকা বরিশাল সংরক্ষণাগারে প্রেরণ করতে হতো। সংরক্ষণাগার বিকেল ৫টার মধ্যে বন্ধ হয়ে যায়। মীরগঞ্জ ফেরি পারাপারের সমস্যা থাকায় প্রথম দিন কম টিকা আনা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত