Ajker Patrika

জ্বালানির আগুন নিত্যপণ্যে

বগুড়া প্রতিনিধি
আপডেট : ১৪ আগস্ট ২০২২, ১৩: ৪৯
জ্বালানির আগুন নিত্যপণ্যে

জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পরপরই বগুড়ায় বাড়তে শুরু করেছে কাঁচা মরিচ, ডিমসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম। একই সঙ্গে বেড়েছে ভোজ্যতেল, চিনি, ডাল ও আটার দাম। ব্যবসায়ীরা বলছেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় পরিবহন খরচ বেড়েছে। তাই লোকসান এড়াতে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ানো হয়েছে।

নিম্ন আয়ের ক্রেতারা বলছেন, জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়লেও আয় বাড়েনি। নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় তাঁদের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।

গত শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বগুড়া শহরের রাজাবাজার, ফতেহ আলী বাজার ও বনানী সুলতানগঞ্জ হাট ঘুরে দেখা গেছে, কাঁচা মরিচের কেজি ২৪০ টাকা। আলু, পেঁয়াজসহ অন্যান্য সবজির দাম স্বাভাবিক রয়েছে।

ফতেহ আলী বাজারের সবজি বিক্রেতা আব্দুল হালিম বলেন, বেশি দামে সবজি কিনতে হচ্ছে। ফলে লোকসান যেন না হয়, সেদিকে লক্ষ রেখেই খুচরা বিক্রি করতে হয়।

ফতেহ আলী বাজারের ডিম ব্যবসায়ী মো. আল আমিন জনি বলেন, ডিমের দাম হালিপ্রতি বেড়েছে ১২ টাকা। আগে ডিমের হালি বিক্রি করা হতো ৩৬ টাকায়। এখন বিক্রি করা হচ্ছে ৪৮ টাকায়। পাইকারি দামের ওপর নির্ভর করেই খুচরা বিক্রি করতে হচ্ছে।

এদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সয়াবিন তেল, ডাল, চিনি ও আটার দাম বেড়েছে। সপ্তাহখানেক আগে এক লিটার সয়াবিন তেল (বোতলজাত) বিক্রি হতো ১৮০ টাকায়, যা বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। আটার (প্যাকেটজাত) কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩৮ টাকা।

মসুর ডাল (মোটা) কেজিপ্রতি ৩০ টাকা বেড়েছে। আগে বিক্রি হতো ৯০ টাকা কেজি দরে, এখন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। মসুর (চিকন) ডালে বেড়েছে কেজিপ্রতি ৪০ টাকা পর্যন্ত। বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা কেজি দরে।

বগুড়ায় স্থানভেদে সাদা ব্রয়লার মুরগি ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি, লাল লেয়ার (কক) মুরগি ৩৫০ থেকে ৩৮০ টাকা কেজি, পাকিস্তানি ছোট (লাল) মুরগি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা প্রতিটি বিক্রি হচ্ছে। আর গরুর মাংস ৬০০ থেকে ৬৫০ এবং খাসির মাংস ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বনানী সুলতানগঞ্জ হাটে কথা হয় কারখানার শ্রমিক বাবু প্রামাণিকের সঙ্গে। তিনি বলেন, সব জিনিসের দাম বাড়লেও তাঁদের আয় বাড়েনি। এই ভোগান্তির শেষ কবে হবে জানেন না তাঁরা। এখন ডাল-ভাত খেয়ে বেঁচে থাকায় কষ্টকর হয়ে পড়েছে। বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত দামেই বাজার করতে হচ্ছে। বর্তমান সময়ে টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়বে।

আরেক ক্রেতা কৃষি অফিসের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী বেলাল হোসেন বলেন, আয়-রোজগার বাড়েনি। কিন্তু নিত্যপণ্যের দাম প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। যা রোজগার করেন তা দিয়ে কোনোভাবে সংসার চলছিল। বর্তমানে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় সংসার চালাতে নাভিশ্বাস উঠেছে।

জানতে চাইলে বনানী বন্দর এলাকার জাকারিয়া স্টোরের স্বত্বাধিকারী রাজু আহম্মেদ বলেন, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পরপরই নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেড়ে গেছে। কারণ, বেড়েছে পণ্যের পরিবহন খরচ। সব মিলিয়ে পাইকারি মূল্যের ওপর নির্ভর করে খুচরা বাজারে বিক্রি করতে হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত