অরক্ষিত শহীদ মিনারে জমেছে আবর্জনা

আলী আকবর সাজু, ভালুকা
প্রকাশ : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৭: ৩৭
আপডেট : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৭: ৩০

ভালুকা উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নির্মিত শহীদ মিনারে জমেছে ময়লা-আবর্জনা। অনেকের অভিযোগ, শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর কেউ আর খোঁজ রাখে না শহীদ মিনারের। সারা বছরই থাকে অরক্ষিত। কয়েকটি শহীদ মিনার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

উপজেলার কয়েকটি শহীদ মিনার ঘুরে জানা গেছে, ভাষা শহীদের স্মরণে এবং শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান জানানোর জন্য ভালুকায় কেন্দ্রীয় ও উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নির্মাণ করা হয়েছে শহীদ মিনার। এসব শহীদ মিনার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের। কিন্তু সারা বছরই শহীদ মিনারগুলো থাকছে অপরিচ্ছন্ন ও ময়লায় বিবর্ণ।

নারী নেত্রী শারমিন খানম লামিয়া বলেন, ‘ফেসবুকে শহীদ মিনারে গোবর শুকানোর দৃশ্য দেখে ছুটে যাই কংশেরকুল উচ্চ বিদ্যালয়ে। সেখানে গিয়ে শহীদ মিনারে গোবর শুকানো দেখে তাঁদের বুঝিয়ে সেটি পরিষ্কার করাই। ভবিষ্যতে এমন কাজ না করার জন্য অনুরোধ করি।’

সরেজমিনে ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এলেই শুরু হয় শহীদ মিনারগুলোর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও ঘষা-মাজার কাজ। তুলির আঁচড়ে রাঙিয়ে তোলা হয় শহীদ মিনার। বর্ণমালা আকিঁয়ে সৌন্দর্য বাড়ানো হয়। রঙিন বাতির চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জায় সজ্জিত করে তোলা হয়।

উপজেলার গোয়ারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফজলুল হক ফজলু বলেন, ‘ভাষা শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়েছে। এগুলো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব প্রতিষ্ঠানের। মিনারগুলো অপরিচ্ছন্ন রাখা অত্যন্ত দুঃখজনক।’

এ বিষয়ে ইউএনও সালমা খাতুন বলেন, ‘আমি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের বলেছি স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের স্থাপনা, স্মৃতিসৌধ ও শহীদ মিনার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে। যদি এর কোনো অবহেলা হয়, তাহলে তাঁদের জবাবদিহি করতে হবে। অন্যথায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত