ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
এস এস শোহান, বাগেরহাট ‘এক কেজি করলা ১০ টাকা, শসা ৭-৮ টাকা। এই দামে বিক্রি করে কি আর সংসার বাঁচে? এ বছর ফলন ভালো হয়েছে। ভেবেছিলাম ভালো লাভ হবে। কিন্তু এখন খরচও উঠবে না। করোনায় সব শেষ করে দিল।’ গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে বাগেরহাট সদর উপজেলার শ্রীঘাট পাইকারি বাজারে সবজি বিক্রি শেষে এসব কথা বলছিলেন উপজেলার উৎকুল গ্রামের আইয়ুব আলী।
আইয়ুব আলী আরও বলেন, ঘেরে চিংড়ি এবং পাড়ে সবজি চাষ করেই তাঁরা জীবিকা নির্বাহ করেন। কিন্তু এ বছর বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই লকডাউনে সবজির দাম কমে যায়। এখন লকডাউন শিথিল হলেও দাম বাড়ছে না। এভাবে হলে সব কৃষককেই পথে বসতে হবে। শুধু আইয়ুব আলী নন, শ্রীঘাট পাইকারি বাজারে সবজি বিক্রি করতে আশা বেশির ভাগ চাষির বক্তব্য একই রকম। বাগেরহাট জেলা কষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় এবার ৬ হাজার ২২৫ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫০ হাজার মেট্রিক টন।
এসব সবজি জেলার চাহিদা মিটিয়ে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন বড় বড় শহরে যায়। জেলায় এবার সবচেয়ে বেশি চাষ হয়েছে বাগেরহাট সদর উপজেলায় এক হাজার ৬৫০ হেক্টর। ফলনও ভালো হয়েছে। কিন্তু দাম কম হওয়ায় কাঙ্ক্ষিত লাভ হচ্ছে না চাষিদের। লোকসান গুনতে হবে অনেক চাষিকে। তবে কৃষি বিভাগ বলছে, লকডাউন শিথিল হওয়ায় সবজির দাম বাড়তে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার সকালে জেলার সবচেয়ে বড় পাইকারি সবজির হাট শ্রীঘাটে দেখা যায়, শসা ৭-৮ টাকা, করলা ১০-১২ টাকা, ঢ্যাঁড়স ১৫-২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এ ছাড়া লাউ ১০ থেকে ১৫ টাকা, চালকুমড়া ১০-১৫ টাকা ও মিষ্টিকুমড়ার মণ ৪০০-৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু গেল বছর একই সময় এসব সবজির দাম কেজিতে অন্তত ১৫ থেকে ২৫ টাকা বেশি ছিল। শ্রীঘাট নয়, বাগেরহাট সদর উপজেলার পোলেরহাট, কচুয়ার গজালিয়া, চিতলমারীর বাবুরহাটসহ বাগেরহাটের বেশির ভাগ পাইকারি সবজির হাটে সবজির দাম খুব কম। বাগেরহাট সদর উপজেলার উৎকুল গ্রামের চাষি গাউস শেখ বলেন, গেল কয়েক বছর সবজির ভালো দাম পেয়েছেন। লাভও করেছেন। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে গত বছরও তেমন লাভ হয়নি।
এবার লাভ তো দূরের কথা, চার বিঘা জমিতে তাঁর অন্তত ৫০ হাজার টাকা লোকসান হবে। শ্রীঘাট গ্রামের সাইদুল ইসলাম নামে এক সবজিচাষি বলেন, তিন বিঘা ঘেরের পাড়ে করলা, শসা, মিষ্টিকুমড়া চাষ করেছেন, ফলনও ভালো হয়েছে। কিন্তু সবজি বিক্রি করে খরচের টাকা ওঠাতে পারছেন না। কচুয়ার গজালিয়া গ্রামের রফিকুল ফকির বলেন, নগদ টাকায় জমি রেখে মাছ ও সবজি চাষ করেন। কিন্তু এবার সবজির দাম এত কম যে, সার–ওষুধের দামও উঠবে না। একই গ্রামে আব্বাস শেখ বলেন, ভালো ফলনের জন্য সবজি গাছের পেছনে অনেক শ্রম দিতে হয়।
সার–কীটনাশকও প্রচুর প্রয়োগ করতে হয়। সবজির দাম কম থাকলেও শ্রমিক এবং সার–কীটনাশকের দাম অনেক বেশি। এ অবস্থায় সবজিচাষিদের জন্য সরকারিভাবে ভর্তুকি দেওয়ার দাবি জানান তিনি। সদর উপজেলার পোলেরহাট সাপ্তাহিক সবজির হাটের ইজারাদার মনির হোসেন বলেন, এ বছর প্রথম থেকেই সবজির দাম কম। লকডাউন স্বাভাবিক হলে দাম বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করেছিলেন। কিন্তু লকডাউন ওঠার দুই দিন হলেও দাম তেমন বাড়েনি। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বাগেরহাটের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, বাগেরহাটে খরিফ মৌসুম-২ এর ব্যাপক ফলন হয়েছে। চাষিদের উৎপাদিত সবজির ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে কৃষি বিভাগ কাজ করছে। তবে লকডাউন চলাকালীন পরিবহন বন্ধ থাকায় সবজির দাম কম ছিল। এখন সবকিছু স্বাভাবিক হয়েছে। আস্তে আস্তে সবজির মূল্যও বৃদ্ধি পাবে এবং কৃষকেরা ন্যায্যমূল্য পাবেন বলে আশা করেন তিনি।
এস এস শোহান, বাগেরহাট ‘এক কেজি করলা ১০ টাকা, শসা ৭-৮ টাকা। এই দামে বিক্রি করে কি আর সংসার বাঁচে? এ বছর ফলন ভালো হয়েছে। ভেবেছিলাম ভালো লাভ হবে। কিন্তু এখন খরচও উঠবে না। করোনায় সব শেষ করে দিল।’ গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে বাগেরহাট সদর উপজেলার শ্রীঘাট পাইকারি বাজারে সবজি বিক্রি শেষে এসব কথা বলছিলেন উপজেলার উৎকুল গ্রামের আইয়ুব আলী।
আইয়ুব আলী আরও বলেন, ঘেরে চিংড়ি এবং পাড়ে সবজি চাষ করেই তাঁরা জীবিকা নির্বাহ করেন। কিন্তু এ বছর বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই লকডাউনে সবজির দাম কমে যায়। এখন লকডাউন শিথিল হলেও দাম বাড়ছে না। এভাবে হলে সব কৃষককেই পথে বসতে হবে। শুধু আইয়ুব আলী নন, শ্রীঘাট পাইকারি বাজারে সবজি বিক্রি করতে আশা বেশির ভাগ চাষির বক্তব্য একই রকম। বাগেরহাট জেলা কষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় এবার ৬ হাজার ২২৫ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫০ হাজার মেট্রিক টন।
এসব সবজি জেলার চাহিদা মিটিয়ে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন বড় বড় শহরে যায়। জেলায় এবার সবচেয়ে বেশি চাষ হয়েছে বাগেরহাট সদর উপজেলায় এক হাজার ৬৫০ হেক্টর। ফলনও ভালো হয়েছে। কিন্তু দাম কম হওয়ায় কাঙ্ক্ষিত লাভ হচ্ছে না চাষিদের। লোকসান গুনতে হবে অনেক চাষিকে। তবে কৃষি বিভাগ বলছে, লকডাউন শিথিল হওয়ায় সবজির দাম বাড়তে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার সকালে জেলার সবচেয়ে বড় পাইকারি সবজির হাট শ্রীঘাটে দেখা যায়, শসা ৭-৮ টাকা, করলা ১০-১২ টাকা, ঢ্যাঁড়স ১৫-২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এ ছাড়া লাউ ১০ থেকে ১৫ টাকা, চালকুমড়া ১০-১৫ টাকা ও মিষ্টিকুমড়ার মণ ৪০০-৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু গেল বছর একই সময় এসব সবজির দাম কেজিতে অন্তত ১৫ থেকে ২৫ টাকা বেশি ছিল। শ্রীঘাট নয়, বাগেরহাট সদর উপজেলার পোলেরহাট, কচুয়ার গজালিয়া, চিতলমারীর বাবুরহাটসহ বাগেরহাটের বেশির ভাগ পাইকারি সবজির হাটে সবজির দাম খুব কম। বাগেরহাট সদর উপজেলার উৎকুল গ্রামের চাষি গাউস শেখ বলেন, গেল কয়েক বছর সবজির ভালো দাম পেয়েছেন। লাভও করেছেন। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে গত বছরও তেমন লাভ হয়নি।
এবার লাভ তো দূরের কথা, চার বিঘা জমিতে তাঁর অন্তত ৫০ হাজার টাকা লোকসান হবে। শ্রীঘাট গ্রামের সাইদুল ইসলাম নামে এক সবজিচাষি বলেন, তিন বিঘা ঘেরের পাড়ে করলা, শসা, মিষ্টিকুমড়া চাষ করেছেন, ফলনও ভালো হয়েছে। কিন্তু সবজি বিক্রি করে খরচের টাকা ওঠাতে পারছেন না। কচুয়ার গজালিয়া গ্রামের রফিকুল ফকির বলেন, নগদ টাকায় জমি রেখে মাছ ও সবজি চাষ করেন। কিন্তু এবার সবজির দাম এত কম যে, সার–ওষুধের দামও উঠবে না। একই গ্রামে আব্বাস শেখ বলেন, ভালো ফলনের জন্য সবজি গাছের পেছনে অনেক শ্রম দিতে হয়।
সার–কীটনাশকও প্রচুর প্রয়োগ করতে হয়। সবজির দাম কম থাকলেও শ্রমিক এবং সার–কীটনাশকের দাম অনেক বেশি। এ অবস্থায় সবজিচাষিদের জন্য সরকারিভাবে ভর্তুকি দেওয়ার দাবি জানান তিনি। সদর উপজেলার পোলেরহাট সাপ্তাহিক সবজির হাটের ইজারাদার মনির হোসেন বলেন, এ বছর প্রথম থেকেই সবজির দাম কম। লকডাউন স্বাভাবিক হলে দাম বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করেছিলেন। কিন্তু লকডাউন ওঠার দুই দিন হলেও দাম তেমন বাড়েনি। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বাগেরহাটের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, বাগেরহাটে খরিফ মৌসুম-২ এর ব্যাপক ফলন হয়েছে। চাষিদের উৎপাদিত সবজির ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে কৃষি বিভাগ কাজ করছে। তবে লকডাউন চলাকালীন পরিবহন বন্ধ থাকায় সবজির দাম কম ছিল। এখন সবকিছু স্বাভাবিক হয়েছে। আস্তে আস্তে সবজির মূল্যও বৃদ্ধি পাবে এবং কৃষকেরা ন্যায্যমূল্য পাবেন বলে আশা করেন তিনি।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে