আশিস রহমান, দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ)
আগাছা ও শেওলায় ছেয়ে গেছে ক্লিনিক ভবন। সামান্য বৃষ্টি হলেই ভবনের ছাদ চুইয়ে মেঝেতে পড়ে পানি। ভবনের অনেক জায়গার সিমেন্টের আস্তর খসে পড়েছে। যেকোনো সময় ছাদ ধসে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া ক্লিনিকে বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা নেই। এমনকি বিদ্যুৎ সংযোগও নেই। এভাবেই চলছে টেংরাটিলা কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম।
শুধু টেংরাটিলা কমিউনিটি ক্লিনিকই নয়, সরেজমিন দেখা গেছে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার ২৬টি কমিউনিটি ক্লিনিকের সব কটিই নানান সমস্যা ও সংকটে জর্জরিত। এর মধ্যে উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের পাইকপাড়া কমিউনিটি ক্লিনিক, নরসিংপুর ইউনিয়নের সোনাপুর কমিউনিটি ক্লিনিক, দোয়ারগাঁও কমিউনিটি ক্লিনিক, খাইরগাঁও কমিউনিটি ক্লিনিক, দোয়ারা সদর ইউনিয়নের বাজিতপুর কমিউনিটি ক্লিনিক, লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের রণভূমি কমিউনিটি ক্লিনিক, মাঠগাঁও কমিউনিটি ক্লিনিক ও সুরমা ইউনিয়নের টেংরাটিলা কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম চলছে জরাজীর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে।
উপজেলার সব কটি কমিউনিটি ক্লিনিকেই রয়েছে জনবলের সংকট। কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতি পাঁচজন মাল্টিপারপাস হেলথ ভলান্টিয়ারের (এমএইচভি) জায়গায় উপজেলার ২৬ কমিউনিটি ক্লিনিকেই ভলান্টিয়ার পদ শূন্য অবস্থায় পড়ে আছে দীর্ঘদিন। এ ছাড়া কমিউনিটি ক্লিনিক এলাকায় ইউনিট প্রতি একজন করে স্বাস্থ্য সহকারীর জায়গায় বেশির ভাগ ইউনিটই শূন্য রয়েছে। ফলে সীমিত জনবল ও শুধু কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডারের (সিএইচসিপি) ওপর নির্ভর করেই চলছে এসব সেবা কার্যক্রম।
সূত্রে জানা যায়, কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় টিকা দান, পরিবার পরিকল্পনা, জন্মনিয়ন্ত্রণ, মা ও শিশুর স্বাস্থ্যবিষয়ক বিভিন্ন পরামর্শ ও সেবা দেওয়া হয়। নিয়ম অনুযায়ী কমিউনিটি ক্লিনিকে সপ্তাহে ছয় দিন একজন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) এবং তিন দিন একজন স্বাস্থ্য সহকারী (এইচএ) ও একজন পরিবার কল্যাণ সহকারী উপস্থিত থাকার কথা।
তবে সেবা নিতে আসা বাঁশতলা গ্রামের বিলকিস আক্তার বলেন, ‘আমরা গ্রামাঞ্চলের গরিব মানুষ দূর-দূরান্তে গিয়ে চিকিৎসা নিতে পারি না। কিন্তু কমিউনিটি ক্লিনিকে সরকারিভাবে অভিজ্ঞ এমবিবিএস ডাক্তার নিয়োগ দিলে আমরা এখানে সহজেই চিকিৎসাসেবা নিতে পারতাম।’
উপজেলা কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) অ্যাসোসিয়েশনের নেতা ও টেংরাটিলা কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি আমাদের চাকরি রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য। কিন্তু এটি এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। তা ছাড়া সেবার মান বাড়ানোর জন্য আমাদের আরও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা দরকার। অনেক সময় প্রশিক্ষণে অথবা ফিল্ডে কাজ করতে গেলে জনবলের সংকটের কারণে ক্লিনিক বন্ধ রাখতে হয়।’
আগাছা ও শেওলায় ছেয়ে গেছে ক্লিনিক ভবন। সামান্য বৃষ্টি হলেই ভবনের ছাদ চুইয়ে মেঝেতে পড়ে পানি। ভবনের অনেক জায়গার সিমেন্টের আস্তর খসে পড়েছে। যেকোনো সময় ছাদ ধসে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া ক্লিনিকে বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা নেই। এমনকি বিদ্যুৎ সংযোগও নেই। এভাবেই চলছে টেংরাটিলা কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম।
শুধু টেংরাটিলা কমিউনিটি ক্লিনিকই নয়, সরেজমিন দেখা গেছে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার ২৬টি কমিউনিটি ক্লিনিকের সব কটিই নানান সমস্যা ও সংকটে জর্জরিত। এর মধ্যে উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের পাইকপাড়া কমিউনিটি ক্লিনিক, নরসিংপুর ইউনিয়নের সোনাপুর কমিউনিটি ক্লিনিক, দোয়ারগাঁও কমিউনিটি ক্লিনিক, খাইরগাঁও কমিউনিটি ক্লিনিক, দোয়ারা সদর ইউনিয়নের বাজিতপুর কমিউনিটি ক্লিনিক, লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের রণভূমি কমিউনিটি ক্লিনিক, মাঠগাঁও কমিউনিটি ক্লিনিক ও সুরমা ইউনিয়নের টেংরাটিলা কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম চলছে জরাজীর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে।
উপজেলার সব কটি কমিউনিটি ক্লিনিকেই রয়েছে জনবলের সংকট। কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতি পাঁচজন মাল্টিপারপাস হেলথ ভলান্টিয়ারের (এমএইচভি) জায়গায় উপজেলার ২৬ কমিউনিটি ক্লিনিকেই ভলান্টিয়ার পদ শূন্য অবস্থায় পড়ে আছে দীর্ঘদিন। এ ছাড়া কমিউনিটি ক্লিনিক এলাকায় ইউনিট প্রতি একজন করে স্বাস্থ্য সহকারীর জায়গায় বেশির ভাগ ইউনিটই শূন্য রয়েছে। ফলে সীমিত জনবল ও শুধু কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডারের (সিএইচসিপি) ওপর নির্ভর করেই চলছে এসব সেবা কার্যক্রম।
সূত্রে জানা যায়, কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় টিকা দান, পরিবার পরিকল্পনা, জন্মনিয়ন্ত্রণ, মা ও শিশুর স্বাস্থ্যবিষয়ক বিভিন্ন পরামর্শ ও সেবা দেওয়া হয়। নিয়ম অনুযায়ী কমিউনিটি ক্লিনিকে সপ্তাহে ছয় দিন একজন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) এবং তিন দিন একজন স্বাস্থ্য সহকারী (এইচএ) ও একজন পরিবার কল্যাণ সহকারী উপস্থিত থাকার কথা।
তবে সেবা নিতে আসা বাঁশতলা গ্রামের বিলকিস আক্তার বলেন, ‘আমরা গ্রামাঞ্চলের গরিব মানুষ দূর-দূরান্তে গিয়ে চিকিৎসা নিতে পারি না। কিন্তু কমিউনিটি ক্লিনিকে সরকারিভাবে অভিজ্ঞ এমবিবিএস ডাক্তার নিয়োগ দিলে আমরা এখানে সহজেই চিকিৎসাসেবা নিতে পারতাম।’
উপজেলা কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) অ্যাসোসিয়েশনের নেতা ও টেংরাটিলা কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি আমাদের চাকরি রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য। কিন্তু এটি এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। তা ছাড়া সেবার মান বাড়ানোর জন্য আমাদের আরও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা দরকার। অনেক সময় প্রশিক্ষণে অথবা ফিল্ডে কাজ করতে গেলে জনবলের সংকটের কারণে ক্লিনিক বন্ধ রাখতে হয়।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে