নূসরাত জাহান
পরীক্ষা ঘনিয়ে এলে আমরা যে কাজটা করতে কোমর বেঁধে নামি সেটা হলো, রিভিশন। রিভিশনেই যেন লুকিয়ে আছে ভালো ফলাফলের সূত্র। ব্যাপারটা এমন নয় মোটেও। রিভিশন ব্যাপারটাই পড়াশোনার সঙ্গে মানানসই নয়। তুমি একটা কিছু শিখে ফেললে, সেটা আবার রিভিশন দিতে হবে কেন? রিভিশন না দিলে কি সেটা ভুলে যাবে? রিভিশন দিলে নতুন করে কিছু বুঝবে? প্রশ্নগুলো শুনলেই মনে হবে, রিভিশন ব্যাপারটার মধ্যে গলদ আছে।
ক্লাস টেনে পড়ছে জারা। পরীক্ষা কদিন পরেই। কেন সে রিভিশন দিচ্ছে না, সেটা নিয়ে খানিক বকাঝকাও শুনেছে। জারার কথা হলো সে তো বিজ্ঞান বইটার আগাগোড়া সবই জানে। টেক্সট বই পড়া শেষ করে প্রতিটা চ্যাপ্টারের ওপর ইউটিউবে মজার মজার ভিডিও দেখেছে, গুগলে সার্চ করেও অনেক কিছু শিখেছে। আবার কিছু প্র্যাকটিক্যাল নিজে থেকেও করেছে। বইতে নেই, এমন অনেক কিছুও তার জানা। এখন আবার রিভিশনের প্রশ্ন আসছে কেন? এই রিভিশন ব্যাপারটা আবিষ্কার করল কে? কেনই বা করল? নাহ, উত্তর মিলছে না একটারও।
জারা যা করছে তা হলো খাতাকলম সামনে রেখে মনে মনে নিজের পরীক্ষা নিচ্ছে। আর মনের কথাগুলোই আঁকিবুঁকি করছে। যেমন নিজেকে প্রশ্ন করল—সমাণুকরণ বিক্রিয়াটা কী? আহা, নামের মধ্যেই তো সূত্র আছে। সমাণু মানে সম অণু, মানে সমপরিমাণ অণু থাকলেও এতে পরমাণুগুলোর বিন্যাস বদলে যাবে। ইংরেজিতে বলে আইসোমেরাইজেশন। শব্দটা গুগলে সার্চ করেও সে অনেক কিছু পড়ে নিয়েছিল। জারা এটাও জানে এই প্রক্রিয়ায় দুর্বল অকটেন নামের একটি জ্বালানির চেহারা বদলে শক্তিশালী অকটেন তৈরি করা যায়। নতুন ওষুধ তৈরিতেও আইসোমেরাইজেশন বিক্রিয়ার ব্যবহার আছে। তো এত কিছু জানার পরও নিশ্চয়ই তাকে আবার বই খুলে এর সংজ্ঞা পড়তে হবে না?
আবার ধরা যাক, নিউক্লিয়ার ফিউশন ব্যাপারটা কী? জারা এটাও জানে, দুটো হালকা নিউক্লিয়াস যুক্ত হয়ে একটি ভারী নিউক্লিয়াস তৈরি হয়—সেটাকে বলে নিউক্লিয়ার ফিউশন। এ যুক্ত হওয়ার সময় ১ + ১ = ২ হয় না। নিউক্লিয়াসের কিছু অংশ তাপ ও আলো হয়ে বেরিয়ে যায়। ঠিক যেমনটা ঘটছে সূর্যের ভেতর। দুটো হাইড্রোজেন এক হয়ে তৈরি করছে হিলিয়াম। আর এ সময় যে তাপ ও আলো ছিটকে যায় সেটাই ছুটে আসে পৃথিবীতে। জারা পত্রিকা পড়ে জেনেছে, এই নিউক্লিয়ার ফিউশন বিক্রিয়াটা ল্যাবরেটরিতে বানানোর চেষ্টা করছে বিজ্ঞানীরা। এ ক্ষেত্রে তাঁরা সূর্যের মতোই দুটো হাইড্রোজেনকে শক্তিশালী লেজার ছুড়ে হিলিয়াম বানাচ্ছেন। তবে এখনো পুরো ব্যাপারটা নাকি বাগে আসেনি।
জারা যে মনে মনে প্রশ্ন করে এভাবে উত্তর মিলিয়ে নিচ্ছে সেটাকে বলে সক্রিয় স্মরণ। আমরা যা ভালো করেই শিখেছি, সেটাকে প্রশ্ন করে করে মনে করার এই প্রক্রিয়াটা মূলত পরীক্ষায় ভালো করে লেখার জন্যই। গবেষকেরাও এই পদ্ধতিটাকে ভালো মনে করেন। তাঁরা এটাও বলেছেন, পরীক্ষার আগে গড়গড় করে আবার পুরো বইটা পড়ার কোনো মানেই হয় না। এমনটা যারা করে, তারা আসলে কোনো কিছু মনোযোগ দিয়ে পড়েনি বা কিছু না বুঝেই মুখস্থ করেছে। যারা ঠিকঠাক বুঝেছে, তাদের কাছে রিভিশন মানেই সময় নষ্ট।
এদিকে একটা টপিক বুঝতে না পেরে জারাকে মোবাইলে ফোন করল তার বন্ধু সুদীপ্ত। জারা সেটা বোঝানো শুরু করতেই সুদীপ্ত বলল, এক মিনিট, নোট নিয়ে নিই। সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদ করল জারা—‘এভাবে নোট নিলে তো বুঝতে পারবি না। সায়েন্স ফিকশন মুভি দেখতে বসলে কি নোট নিতে থাকিস? দেড় ঘণ্টা পর তো ঠিকই সিনেমার গোটা কাহিনি বলে দিতে পারবি।’ জারার কথা হলো পরীক্ষার আগে রিভিশন হোক আর পড়া হোক, বই বা কারও খাতা দেখে হুবহু কপি করার নাম কখনই পড়াশোনা হতে পারে না।
পরীক্ষা ঘনিয়ে এলে আমরা যে কাজটা করতে কোমর বেঁধে নামি সেটা হলো, রিভিশন। রিভিশনেই যেন লুকিয়ে আছে ভালো ফলাফলের সূত্র। ব্যাপারটা এমন নয় মোটেও। রিভিশন ব্যাপারটাই পড়াশোনার সঙ্গে মানানসই নয়। তুমি একটা কিছু শিখে ফেললে, সেটা আবার রিভিশন দিতে হবে কেন? রিভিশন না দিলে কি সেটা ভুলে যাবে? রিভিশন দিলে নতুন করে কিছু বুঝবে? প্রশ্নগুলো শুনলেই মনে হবে, রিভিশন ব্যাপারটার মধ্যে গলদ আছে।
ক্লাস টেনে পড়ছে জারা। পরীক্ষা কদিন পরেই। কেন সে রিভিশন দিচ্ছে না, সেটা নিয়ে খানিক বকাঝকাও শুনেছে। জারার কথা হলো সে তো বিজ্ঞান বইটার আগাগোড়া সবই জানে। টেক্সট বই পড়া শেষ করে প্রতিটা চ্যাপ্টারের ওপর ইউটিউবে মজার মজার ভিডিও দেখেছে, গুগলে সার্চ করেও অনেক কিছু শিখেছে। আবার কিছু প্র্যাকটিক্যাল নিজে থেকেও করেছে। বইতে নেই, এমন অনেক কিছুও তার জানা। এখন আবার রিভিশনের প্রশ্ন আসছে কেন? এই রিভিশন ব্যাপারটা আবিষ্কার করল কে? কেনই বা করল? নাহ, উত্তর মিলছে না একটারও।
জারা যা করছে তা হলো খাতাকলম সামনে রেখে মনে মনে নিজের পরীক্ষা নিচ্ছে। আর মনের কথাগুলোই আঁকিবুঁকি করছে। যেমন নিজেকে প্রশ্ন করল—সমাণুকরণ বিক্রিয়াটা কী? আহা, নামের মধ্যেই তো সূত্র আছে। সমাণু মানে সম অণু, মানে সমপরিমাণ অণু থাকলেও এতে পরমাণুগুলোর বিন্যাস বদলে যাবে। ইংরেজিতে বলে আইসোমেরাইজেশন। শব্দটা গুগলে সার্চ করেও সে অনেক কিছু পড়ে নিয়েছিল। জারা এটাও জানে এই প্রক্রিয়ায় দুর্বল অকটেন নামের একটি জ্বালানির চেহারা বদলে শক্তিশালী অকটেন তৈরি করা যায়। নতুন ওষুধ তৈরিতেও আইসোমেরাইজেশন বিক্রিয়ার ব্যবহার আছে। তো এত কিছু জানার পরও নিশ্চয়ই তাকে আবার বই খুলে এর সংজ্ঞা পড়তে হবে না?
আবার ধরা যাক, নিউক্লিয়ার ফিউশন ব্যাপারটা কী? জারা এটাও জানে, দুটো হালকা নিউক্লিয়াস যুক্ত হয়ে একটি ভারী নিউক্লিয়াস তৈরি হয়—সেটাকে বলে নিউক্লিয়ার ফিউশন। এ যুক্ত হওয়ার সময় ১ + ১ = ২ হয় না। নিউক্লিয়াসের কিছু অংশ তাপ ও আলো হয়ে বেরিয়ে যায়। ঠিক যেমনটা ঘটছে সূর্যের ভেতর। দুটো হাইড্রোজেন এক হয়ে তৈরি করছে হিলিয়াম। আর এ সময় যে তাপ ও আলো ছিটকে যায় সেটাই ছুটে আসে পৃথিবীতে। জারা পত্রিকা পড়ে জেনেছে, এই নিউক্লিয়ার ফিউশন বিক্রিয়াটা ল্যাবরেটরিতে বানানোর চেষ্টা করছে বিজ্ঞানীরা। এ ক্ষেত্রে তাঁরা সূর্যের মতোই দুটো হাইড্রোজেনকে শক্তিশালী লেজার ছুড়ে হিলিয়াম বানাচ্ছেন। তবে এখনো পুরো ব্যাপারটা নাকি বাগে আসেনি।
জারা যে মনে মনে প্রশ্ন করে এভাবে উত্তর মিলিয়ে নিচ্ছে সেটাকে বলে সক্রিয় স্মরণ। আমরা যা ভালো করেই শিখেছি, সেটাকে প্রশ্ন করে করে মনে করার এই প্রক্রিয়াটা মূলত পরীক্ষায় ভালো করে লেখার জন্যই। গবেষকেরাও এই পদ্ধতিটাকে ভালো মনে করেন। তাঁরা এটাও বলেছেন, পরীক্ষার আগে গড়গড় করে আবার পুরো বইটা পড়ার কোনো মানেই হয় না। এমনটা যারা করে, তারা আসলে কোনো কিছু মনোযোগ দিয়ে পড়েনি বা কিছু না বুঝেই মুখস্থ করেছে। যারা ঠিকঠাক বুঝেছে, তাদের কাছে রিভিশন মানেই সময় নষ্ট।
এদিকে একটা টপিক বুঝতে না পেরে জারাকে মোবাইলে ফোন করল তার বন্ধু সুদীপ্ত। জারা সেটা বোঝানো শুরু করতেই সুদীপ্ত বলল, এক মিনিট, নোট নিয়ে নিই। সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদ করল জারা—‘এভাবে নোট নিলে তো বুঝতে পারবি না। সায়েন্স ফিকশন মুভি দেখতে বসলে কি নোট নিতে থাকিস? দেড় ঘণ্টা পর তো ঠিকই সিনেমার গোটা কাহিনি বলে দিতে পারবি।’ জারার কথা হলো পরীক্ষার আগে রিভিশন হোক আর পড়া হোক, বই বা কারও খাতা দেখে হুবহু কপি করার নাম কখনই পড়াশোনা হতে পারে না।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে