নগরীর হালিশহরে দেড় বছর আগে অজ্ঞাত এক নারীর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় তাঁর স্বামী সোহাইল আহমেদ (৪০) ও সতিন নাহিদা আক্তারকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশ বলছে, নিহত ওই নারী লাকী আক্তার পিংকি অভিযুক্ত সোহাইলের চতুর্থ স্ত্রী ছিলেন। পারিবারিক বিরোধের জের ধরে তাঁকে খুনের পর এত দিন আত্মগোপনে ছিলেন সোহাইল। আর এই খুনে সহযোগিতা করেছিলেন তাঁর তৃতীয় স্ত্রী নাহিদা।

গতকাল নগরীর আগ্রাবাদে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) পশ্চিম জোন কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় পুলিশ। এর আগে গত সোমবার বাগেরহাট থেকে সোহাইলকে ও পতেঙ্গা থেকে নাহিদাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

২০২০ সালের ২১ জুলাই নগরীর হালিশহরের রহমানবাগ আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে আনুমানিক ২৫ বছর বয়সী এক নারীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সে সময় পুলিশ ওই নারীর পরিচয় জানতে পারেনি। এ ঘটনায় বাসাটির তত্ত্বাবধায়ক বাদী হয়ে হালিশহর থানায় একটি মামলা করেন। তদন্তে নেমে ১৬ মাসের মাথায় পুলিশ ওই তরুণীর পরিচয় শনাক্ত করে। এর পাশাপাশি তাঁকে হত্যায় জড়িত স্বামী ও সতিনকে গ্রেপ্তার ও ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেন।

ডিসি (পশ্চিম) মো. আব্দুল ওয়ারিশ বলেন, সোহাইল মোট চারটি বিয়ে করেছিলেন। প্রথম স্ত্রী পারভীনের সঙ্গে তাঁর ছাড়াছাড়ি হয়। দ্বিতীয় স্ত্রী নাসিমাকে বাগেরহাট মোংলা থানার মিঠাখালীতে, তৃতীয় স্ত্রী নাহিদাকে নগরীর পতেঙ্গায় এবং চতুর্থ স্ত্রী লাকীকে হালিশহর রহমানবাগের একটি ভাড়া বাসায় রাখেন। লাকী, নাহিদা এবং সোহাইল একই পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। ২০১৬ সালে সহকর্মী নাহিদাকে এবং ২০২০ সালে লাকীকে বিয়ে করেছিলেন তিনি।

আব্দুল ওয়ারিশ বলেন, সোহাইল বিভিন্ন সময় লাকীর চালচলন নিয়ে সন্দেহ করতেন। এ নিয়ে প্রায়ই তাঁদের মধ্যে ঝগড়া লেগে থাকত। গত বছরের ১৬ জুলাই রাতে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী লাকীকে মারধর করেন সোহাইল। এতে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়লে শরীরের কাপড় খুলে লাকীর গলায় ফাঁস দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করেন।