আব্দুর রব, মৌলভীবাজার
মৌলভীবাজারে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। সেইসঙ্গে বাড়ছে জ্বর, সর্দি, কাশির রোগী। এদিকে উপসর্গ থাকা সত্ত্বেও সামাজিকতার ভয়ে অনেকেই নমুনা পরীক্ষা করাতে চাচ্ছেন না।
গতকাল মঙ্গলবার জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্যমতে, ২৪ ঘণ্টায় ১৩৫ জনসহ ১৮ জানুয়ারি থেকে ২৫ জানুয়ারি এই আট দিনে জেলায় ৬০৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। উপসর্গ থাকলেও করোনা পজিটিভ হওয়ার আশঙ্কায় অনেকেই পরীক্ষা করাতে ভয় পাচ্ছেন।
গত কয়েক দিন জেলাজুড়ে চলছে বৈরী আবহাওয়া। শীতের সঙ্গে ঘরে ঘরে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। জ্বরের প্রকোপ বাড়লেও অনেকেই মনে করছেন শীতল আবহাওয়া এর জন্য দায়ী। ফলে করোনা পরীক্ষায় অনীহা অনেকের। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে সকলের সতর্ক থাকা উচিত বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জেলার বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অনেক বাসাবাড়িতে জ্বর, সর্দি, কাশিতে আক্রান্ত হচ্ছেন পরিবারের সদস্যরা। এর মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধের সংখ্যা বেশি। আশঙ্কাজনক হারে জ্বরের রোগী বেড়ে যাওয়ায় জনসাধারণের মধ্যে রয়েছে করোনার ভীতি।
স্থানীয়রা জানান, জ্বর-সর্দি-কাশি থেকে নিরাময় পেতে অধিকাংশ রোগী ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনে খাচ্ছেন। এ কারণে জেলায় করোনা সংক্রমণের প্রকৃত চিত্র পাওয়া যাচ্ছে না, এমন ধারণা সচেতন মহলের। এ মুহূর্তে আক্রান্ত চিহ্নিত না হলে সংক্রমণ বৃদ্ধির ভয়াবহ পরিস্থিতির আশঙ্কা দেখছেন তাঁরা।
শহরের সৈয়ারপুর এলাকার মিন্টু দেব জানান, এক সপ্তাহ ধরে তাঁর সর্দি-জ্বর ছিল। এখন শারীরিক দুর্বলতায় ভুগছেন। চিকিৎসকের পরামর্শে এখনো ওষুধ খাচ্ছেন।
একই কথা বলেন শহরের বাসিন্দা শিমুল ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘এক সপ্তাহ থেকে জ্বর, সর্দি, কাশিতে ভুগছি। ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনে খাচ্ছি।’
সদর উপজেলার গিয়াসনগর ইউনিয়নের নুরুল ইসলাম জামাল বলেন, ‘তিন দিন ধরে ঠান্ডাজনিত রোগে ভুগছি। তবে করোনার পরীক্ষা করা হয়নি। ফার্মেসি থেকে ওষুধ নিয়ে খাচ্ছি। জ্বরে সারা শরীরে ব্যথা অনুভব করছি। ওষুধ খেলে জ্বর কমে কিন্তু আবার বেড়ে যায়।’ এমন কথা জানান পৌর এলাকার বেশ কয়েকজন সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তি।
করোনা পরীক্ষা কেন করছেন না এ প্রশ্নের জবাবে তাঁদের একজন বলেন, ‘করোনা যদি হয়, তবে তো সামাজিকভাবে হেয় হতে হবে। এ ভয়ে পরীক্ষা করাতে যাইনি।’
এদিকে, জেলা সদরের ফার্মেসিতে আগতদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বেশির ভাগই এসেছেন জ্বর, সর্দি ও কাশির ওষুধ নিতে। শহরের এক ফার্মেসি ব্যবসায়ী খন্দকার হেবজুল বারী জানান, বর্তমানে সর্দি ও জ্বরের ওষুধ বেশি বিক্রি হচ্ছে।
মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক চিকিৎসক বিনেন্দু ভৌমিক বলেন, ‘বর্তমানে জেলায় করোনা সংক্রমণ বেড়ে গেছে। সেইসঙ্গে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। অনেকেই নিজের ইচ্ছেমতো প্যারাসিটামল বা অ্যান্টিবায়োটিক কিনে খাচ্ছেন। এটা মোটেও ঠিক নয়।’
পরামর্শ জানিয়ে এ চিকিৎসক বলেন, ‘মৌসুমি সর্দি-জ্বর, নাকি করোনার তা পরীক্ষা করে জানা উচিত। পরে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হবে।’
মৌলভীবাজারে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। সেইসঙ্গে বাড়ছে জ্বর, সর্দি, কাশির রোগী। এদিকে উপসর্গ থাকা সত্ত্বেও সামাজিকতার ভয়ে অনেকেই নমুনা পরীক্ষা করাতে চাচ্ছেন না।
গতকাল মঙ্গলবার জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্যমতে, ২৪ ঘণ্টায় ১৩৫ জনসহ ১৮ জানুয়ারি থেকে ২৫ জানুয়ারি এই আট দিনে জেলায় ৬০৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। উপসর্গ থাকলেও করোনা পজিটিভ হওয়ার আশঙ্কায় অনেকেই পরীক্ষা করাতে ভয় পাচ্ছেন।
গত কয়েক দিন জেলাজুড়ে চলছে বৈরী আবহাওয়া। শীতের সঙ্গে ঘরে ঘরে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। জ্বরের প্রকোপ বাড়লেও অনেকেই মনে করছেন শীতল আবহাওয়া এর জন্য দায়ী। ফলে করোনা পরীক্ষায় অনীহা অনেকের। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে সকলের সতর্ক থাকা উচিত বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জেলার বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অনেক বাসাবাড়িতে জ্বর, সর্দি, কাশিতে আক্রান্ত হচ্ছেন পরিবারের সদস্যরা। এর মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধের সংখ্যা বেশি। আশঙ্কাজনক হারে জ্বরের রোগী বেড়ে যাওয়ায় জনসাধারণের মধ্যে রয়েছে করোনার ভীতি।
স্থানীয়রা জানান, জ্বর-সর্দি-কাশি থেকে নিরাময় পেতে অধিকাংশ রোগী ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনে খাচ্ছেন। এ কারণে জেলায় করোনা সংক্রমণের প্রকৃত চিত্র পাওয়া যাচ্ছে না, এমন ধারণা সচেতন মহলের। এ মুহূর্তে আক্রান্ত চিহ্নিত না হলে সংক্রমণ বৃদ্ধির ভয়াবহ পরিস্থিতির আশঙ্কা দেখছেন তাঁরা।
শহরের সৈয়ারপুর এলাকার মিন্টু দেব জানান, এক সপ্তাহ ধরে তাঁর সর্দি-জ্বর ছিল। এখন শারীরিক দুর্বলতায় ভুগছেন। চিকিৎসকের পরামর্শে এখনো ওষুধ খাচ্ছেন।
একই কথা বলেন শহরের বাসিন্দা শিমুল ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘এক সপ্তাহ থেকে জ্বর, সর্দি, কাশিতে ভুগছি। ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনে খাচ্ছি।’
সদর উপজেলার গিয়াসনগর ইউনিয়নের নুরুল ইসলাম জামাল বলেন, ‘তিন দিন ধরে ঠান্ডাজনিত রোগে ভুগছি। তবে করোনার পরীক্ষা করা হয়নি। ফার্মেসি থেকে ওষুধ নিয়ে খাচ্ছি। জ্বরে সারা শরীরে ব্যথা অনুভব করছি। ওষুধ খেলে জ্বর কমে কিন্তু আবার বেড়ে যায়।’ এমন কথা জানান পৌর এলাকার বেশ কয়েকজন সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তি।
করোনা পরীক্ষা কেন করছেন না এ প্রশ্নের জবাবে তাঁদের একজন বলেন, ‘করোনা যদি হয়, তবে তো সামাজিকভাবে হেয় হতে হবে। এ ভয়ে পরীক্ষা করাতে যাইনি।’
এদিকে, জেলা সদরের ফার্মেসিতে আগতদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বেশির ভাগই এসেছেন জ্বর, সর্দি ও কাশির ওষুধ নিতে। শহরের এক ফার্মেসি ব্যবসায়ী খন্দকার হেবজুল বারী জানান, বর্তমানে সর্দি ও জ্বরের ওষুধ বেশি বিক্রি হচ্ছে।
মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক চিকিৎসক বিনেন্দু ভৌমিক বলেন, ‘বর্তমানে জেলায় করোনা সংক্রমণ বেড়ে গেছে। সেইসঙ্গে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। অনেকেই নিজের ইচ্ছেমতো প্যারাসিটামল বা অ্যান্টিবায়োটিক কিনে খাচ্ছেন। এটা মোটেও ঠিক নয়।’
পরামর্শ জানিয়ে এ চিকিৎসক বলেন, ‘মৌসুমি সর্দি-জ্বর, নাকি করোনার তা পরীক্ষা করে জানা উচিত। পরে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হবে।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে