রিমন রহমান, রাজশাহী
গভীর নলকূপ বসিয়ে দিনরাত পানি তোলার কারণে পানিশূন্য হয়ে পড়ছে বরেন্দ্র অঞ্চলের পাতাল। এক জরিপে এই অঞ্চলের পাঁচটি ইউনিয়নে দেড় হাজার ফুট মাটির নিচেও পানির সন্ধান মেলেনি। সরকারি প্রতিষ্ঠান পানিসম্পদ পরিকল্পনা সংস্থা (ওয়ারপো) এই জরিপ চালিয়েছিল।
জানতে চাইলে ওয়ারপোর মহাপরিচালক মো. দেলোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁ জেলায় এই জরিপ চালানো হয়েছে। জরিপের কাজ হচ্ছে পানি আহরণযোগ্য সীমা নির্ধারণ করা। প্রকল্প শেষে সভা-সেমিনার করে মানুষকে সেই তথ্য জানিয়ে দেওয়া হবে। তখন আহরণযোগ্য সীমার বেশি পানি কেউ তুলতে পারবে না।
বরেন্দ্র অঞ্চলে পানি না পাওয়াকে কেন্দ্র করে ২১ মার্চ রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার নিমঘুটু গ্রামে দুই সাঁওতাল কৃষক বিষপানে আত্মহত্যা করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এলাকার কৃষকেরা বলছেন, তাঁরা এখনই চাহিদামতো পানি পাচ্ছেন না। এলাকাভেদে বোরো ধানের জমিতে সেচের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে ৭ থেকে ১৫ দিন পর্যন্ত। গভীর নলকূপের অপারেটররাও বলছেন, আগের মতো আর পানি উঠছে না গভীর নলকূপে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল বলেন, ‘বরেন্দ্র অঞ্চলের ভূগর্ভস্থ মাটির গঠনের কারণে ভূগর্ভে পানি রিচার্জ ঠিকমতো হচ্ছে না। কিন্তু সেচসহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহারের জন্য ক্রমাগত ভূগর্ভের পানি ওঠানো হচ্ছে। এই কারণে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর আরও নিচে নেমে যাচ্ছে। এটার সমাধানের জন্য ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহার কমিয়ে ভূপৃষ্ঠের পানি ব্যবহারের দিকে আমাদের মনোযোগী হতে হবে।
সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের গবেষকেরা দেখেছেন, বোরো ধানের মৌসুমে যান্ত্রিক ত্রুটি কিংবা বিদ্যুতের গোলযোগ না হলে সব সময়ই বরেন্দ্র অঞ্চলে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) গভীর নলকূপ চলে। এর ফলে ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর প্রতিনিয়ত নিচে নেমে যায়। প্রতিবছর যে পরিমাণ পানি নিচে নেমে যাচ্ছে, তা আর পুনর্ভরণ হচ্ছে না। সমালোচনার মুখে ২০১২ সালের জুন মাস থেকে বিএমডিএ বরেন্দ্র অঞ্চলে নতুন করে গভীর নলকূপ বসানো বন্ধ করে দিয়েছে। তারপরও রাজশাহী বিভাগে এখনো ৮ হাজার ৮২৬টি গভীর নলকূপ চালু আছে।
অভিযোগ রয়েছে, এসব গভীর নলকূপ বরেন্দ্র অঞ্চলের পাতাল পানিশূন্য করছে। পানিসম্পদ পরিকল্পনা সংস্থার (ওয়ারপো) জরিপে তার প্রমাণও মিলেছে। তারা গত বছরের জুন থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত হাইড্রোলজিক্যাল মডেলিংয়ের মাধ্যমে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁর ৫০টি স্থানে প্রায় দেড় হাজার ফুট পর্যন্ত গভীরে যান। এতে রাজশাহীর তানোর উপজেলার পাচন্দর ইউনিয়ন, মুন্ডুমালা পৌর এলাকা, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল, নওগাঁর পোরশার ছাওড় ইউনিয়ন এবং সাপাহার উপজেলার সদর ইউনিয়নসহ মোট পাঁচটি স্থানে পানির স্তরই পাওয়া যায়নি। সাধারণত ১৫০ থেকে ২০০ ফুট মাটির গভীরে পানির স্তর পাওয়ার কথা। কিন্তু উঁচু বরেন্দ্র এলাকার কয়েকটি জায়গায় তা পাওয়া যায়নি। তবে এই এলাকাগুলোর আশপাশে ছোট ছোট পকেট স্তর পাওয়া গেছে। সেখানে থেকে এখনো খাবার ও সেচের জন্য পানি তোলা হচ্ছে। আর যে এলাকায় পকেট স্তরে পানি নেই, সেখানকার মানুষকে অন্তত এক কিলোমিটার দূর থেকে খাবার পানি সংগ্রহ করতে হচ্ছে।
২৫ মার্চ দুপুরে গোদাগাড়ীর পালপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, একটি গভীর নলকূপের পাশে বোরো ধানের গাছ বাতাসে দোল খাচ্ছে। এর পাশেই অনাবাদি পড়ে আছে কিছু জমি। নলকূপ অপারেটর মো. কালাম জানালেন, অনাবাদি জমির পরিমাণ ৫০ বিঘা। নলকূপে পানি কম উঠছে বলে ওই জমিগুলো চাষের আওতায় আনা যায়নি। পাশের একটি গভীর নলকূপ দেখিয়ে কালাম বললেন, সেখানে ১৫ দিন লাইন দিয়েও মানুষ পানি পাচ্ছে না।
তানোর উপজেলার বাঁধাইড়ের জজটোলা গ্রামে গিয়ে প্রায় ১৫ থেকে ১৬টি নতুন বাড়ি করতে দেখা যায়। এখান থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে একটি পাম্প হচ্ছে তাদের খাবার পানির একমাত্র উৎস। নতুন বাড়ি করছেন সরল সরেন (২৭)। তিনি জানেন না যেখানে তাঁরা বসতি স্থাপন করছেন, সেখানে মাটির নিচে পানির স্তর আছে কি নেই। তিনি বলেন, নলকূপে পানি ওঠে না। পাম্প বসালে পানি পাওয়া যেতে পারে এই ভরসায় বাড়ি করছেন। না পেলে এক কিলোমিটার দূরে আলপথে হেঁটে গিয়ে উচ্চাডাংগা গ্রাম থেকে পানি এনে খেতে হবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার বড়বুনগ্রামের একটি বাড়ির পাশের পাম্প থেকে কৃষিজমিতে সেচ দিতে দেখা যায়। খাবার পানির জন্য ইউনিয়ন পরিষদ থেকে এই পাম্পটি বসানো হয়েছে। বাড়ির মালিক সেই পাম্প থেকেই ছয় বিঘা ধানের জমিতে পানি দিচ্ছেন। তিনি বলেন, গভীর নলকূপে আর আগের মতো পানি উঠছে না। জমি পড়ে থাকবে তাই খাবার পানির জন্য বসানো পাম্প থেকে বাধ্য হয়ে সেচ দিচ্ছেন।
পানিসংকটের কারণে কয়েক দশক আগেও বরেন্দ্র অঞ্চলে তেমন ফসল হতো না। এই সমস্যার সমাধানে জন্ম নেয় বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ)। ১৯৮৫-৮৬ সাল থেকে বিএমডিএ বরেন্দ্রজুড়ে গভীর নলকূপ বসাতে শুরু করে। তারপর ভূ-গর্ভস্থ পানি তুলে চাষাবাদ শুরু হওয়ায় সবুজে ভরে ওঠে বরেন্দ্র অঞ্চল। কিন্তু সেই সম্ভাবনা এখন নতুন বিপদ হয়ে দেখা দিয়েছে।
জানতে চাইলে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক মো. আব্দুর রশীদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কিছু এলাকার পানি না পাওয়াকে গোটা বরেন্দ্র এলাকার চিত্র বলে ধরে নেওয়া ঠিক হবে না। তা ছাড়া ভূ-গর্ভস্থ পানি শুধু বরেন্দ্র কর্তৃপক্ষ একা তুলছে না। ব্যক্তিমালিকানায় পাম্প বসিয়ে পানি তুলে সেচ দেওয়া হচ্ছে। তাতেও পাতালের পানি কমছে। আসলে বৃষ্টিপাত হচ্ছে না বলে পাতালে পানির স্তর ভরছে না। এতে একটা সংকট দেখা দিচ্ছে। সে কারণে বেশি সেচ লাগে না এমন ফসল চাষাবাদে আমরা কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছি।’
পানিসম্পদ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ আইনুন নিশাত আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বরেন্দ্র অঞ্চলে পানির স্তর অনেক নিচে নেমে যাচ্ছে, এটা খুবই স্বাভাবিক। উত্তরবঙ্গে এবার খরা চলছে, তেমন বৃষ্টি হয়নি। লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, রংপুর ও দিনাজপুরে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম বৃষ্টি হয়েছে। ভূগর্ভস্থের পানির ব্যবহার বেড়েছে। সেচের ৮০ শতাংশ ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহার করা হচ্ছে। পানির অপচয় বন্ধ করতে হবে।’
গভীর নলকূপ বসিয়ে দিনরাত পানি তোলার কারণে পানিশূন্য হয়ে পড়ছে বরেন্দ্র অঞ্চলের পাতাল। এক জরিপে এই অঞ্চলের পাঁচটি ইউনিয়নে দেড় হাজার ফুট মাটির নিচেও পানির সন্ধান মেলেনি। সরকারি প্রতিষ্ঠান পানিসম্পদ পরিকল্পনা সংস্থা (ওয়ারপো) এই জরিপ চালিয়েছিল।
জানতে চাইলে ওয়ারপোর মহাপরিচালক মো. দেলোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁ জেলায় এই জরিপ চালানো হয়েছে। জরিপের কাজ হচ্ছে পানি আহরণযোগ্য সীমা নির্ধারণ করা। প্রকল্প শেষে সভা-সেমিনার করে মানুষকে সেই তথ্য জানিয়ে দেওয়া হবে। তখন আহরণযোগ্য সীমার বেশি পানি কেউ তুলতে পারবে না।
বরেন্দ্র অঞ্চলে পানি না পাওয়াকে কেন্দ্র করে ২১ মার্চ রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার নিমঘুটু গ্রামে দুই সাঁওতাল কৃষক বিষপানে আত্মহত্যা করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এলাকার কৃষকেরা বলছেন, তাঁরা এখনই চাহিদামতো পানি পাচ্ছেন না। এলাকাভেদে বোরো ধানের জমিতে সেচের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে ৭ থেকে ১৫ দিন পর্যন্ত। গভীর নলকূপের অপারেটররাও বলছেন, আগের মতো আর পানি উঠছে না গভীর নলকূপে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল বলেন, ‘বরেন্দ্র অঞ্চলের ভূগর্ভস্থ মাটির গঠনের কারণে ভূগর্ভে পানি রিচার্জ ঠিকমতো হচ্ছে না। কিন্তু সেচসহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহারের জন্য ক্রমাগত ভূগর্ভের পানি ওঠানো হচ্ছে। এই কারণে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর আরও নিচে নেমে যাচ্ছে। এটার সমাধানের জন্য ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহার কমিয়ে ভূপৃষ্ঠের পানি ব্যবহারের দিকে আমাদের মনোযোগী হতে হবে।
সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের গবেষকেরা দেখেছেন, বোরো ধানের মৌসুমে যান্ত্রিক ত্রুটি কিংবা বিদ্যুতের গোলযোগ না হলে সব সময়ই বরেন্দ্র অঞ্চলে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) গভীর নলকূপ চলে। এর ফলে ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর প্রতিনিয়ত নিচে নেমে যায়। প্রতিবছর যে পরিমাণ পানি নিচে নেমে যাচ্ছে, তা আর পুনর্ভরণ হচ্ছে না। সমালোচনার মুখে ২০১২ সালের জুন মাস থেকে বিএমডিএ বরেন্দ্র অঞ্চলে নতুন করে গভীর নলকূপ বসানো বন্ধ করে দিয়েছে। তারপরও রাজশাহী বিভাগে এখনো ৮ হাজার ৮২৬টি গভীর নলকূপ চালু আছে।
অভিযোগ রয়েছে, এসব গভীর নলকূপ বরেন্দ্র অঞ্চলের পাতাল পানিশূন্য করছে। পানিসম্পদ পরিকল্পনা সংস্থার (ওয়ারপো) জরিপে তার প্রমাণও মিলেছে। তারা গত বছরের জুন থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত হাইড্রোলজিক্যাল মডেলিংয়ের মাধ্যমে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁর ৫০টি স্থানে প্রায় দেড় হাজার ফুট পর্যন্ত গভীরে যান। এতে রাজশাহীর তানোর উপজেলার পাচন্দর ইউনিয়ন, মুন্ডুমালা পৌর এলাকা, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল, নওগাঁর পোরশার ছাওড় ইউনিয়ন এবং সাপাহার উপজেলার সদর ইউনিয়নসহ মোট পাঁচটি স্থানে পানির স্তরই পাওয়া যায়নি। সাধারণত ১৫০ থেকে ২০০ ফুট মাটির গভীরে পানির স্তর পাওয়ার কথা। কিন্তু উঁচু বরেন্দ্র এলাকার কয়েকটি জায়গায় তা পাওয়া যায়নি। তবে এই এলাকাগুলোর আশপাশে ছোট ছোট পকেট স্তর পাওয়া গেছে। সেখানে থেকে এখনো খাবার ও সেচের জন্য পানি তোলা হচ্ছে। আর যে এলাকায় পকেট স্তরে পানি নেই, সেখানকার মানুষকে অন্তত এক কিলোমিটার দূর থেকে খাবার পানি সংগ্রহ করতে হচ্ছে।
২৫ মার্চ দুপুরে গোদাগাড়ীর পালপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, একটি গভীর নলকূপের পাশে বোরো ধানের গাছ বাতাসে দোল খাচ্ছে। এর পাশেই অনাবাদি পড়ে আছে কিছু জমি। নলকূপ অপারেটর মো. কালাম জানালেন, অনাবাদি জমির পরিমাণ ৫০ বিঘা। নলকূপে পানি কম উঠছে বলে ওই জমিগুলো চাষের আওতায় আনা যায়নি। পাশের একটি গভীর নলকূপ দেখিয়ে কালাম বললেন, সেখানে ১৫ দিন লাইন দিয়েও মানুষ পানি পাচ্ছে না।
তানোর উপজেলার বাঁধাইড়ের জজটোলা গ্রামে গিয়ে প্রায় ১৫ থেকে ১৬টি নতুন বাড়ি করতে দেখা যায়। এখান থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে একটি পাম্প হচ্ছে তাদের খাবার পানির একমাত্র উৎস। নতুন বাড়ি করছেন সরল সরেন (২৭)। তিনি জানেন না যেখানে তাঁরা বসতি স্থাপন করছেন, সেখানে মাটির নিচে পানির স্তর আছে কি নেই। তিনি বলেন, নলকূপে পানি ওঠে না। পাম্প বসালে পানি পাওয়া যেতে পারে এই ভরসায় বাড়ি করছেন। না পেলে এক কিলোমিটার দূরে আলপথে হেঁটে গিয়ে উচ্চাডাংগা গ্রাম থেকে পানি এনে খেতে হবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার বড়বুনগ্রামের একটি বাড়ির পাশের পাম্প থেকে কৃষিজমিতে সেচ দিতে দেখা যায়। খাবার পানির জন্য ইউনিয়ন পরিষদ থেকে এই পাম্পটি বসানো হয়েছে। বাড়ির মালিক সেই পাম্প থেকেই ছয় বিঘা ধানের জমিতে পানি দিচ্ছেন। তিনি বলেন, গভীর নলকূপে আর আগের মতো পানি উঠছে না। জমি পড়ে থাকবে তাই খাবার পানির জন্য বসানো পাম্প থেকে বাধ্য হয়ে সেচ দিচ্ছেন।
পানিসংকটের কারণে কয়েক দশক আগেও বরেন্দ্র অঞ্চলে তেমন ফসল হতো না। এই সমস্যার সমাধানে জন্ম নেয় বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ)। ১৯৮৫-৮৬ সাল থেকে বিএমডিএ বরেন্দ্রজুড়ে গভীর নলকূপ বসাতে শুরু করে। তারপর ভূ-গর্ভস্থ পানি তুলে চাষাবাদ শুরু হওয়ায় সবুজে ভরে ওঠে বরেন্দ্র অঞ্চল। কিন্তু সেই সম্ভাবনা এখন নতুন বিপদ হয়ে দেখা দিয়েছে।
জানতে চাইলে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক মো. আব্দুর রশীদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কিছু এলাকার পানি না পাওয়াকে গোটা বরেন্দ্র এলাকার চিত্র বলে ধরে নেওয়া ঠিক হবে না। তা ছাড়া ভূ-গর্ভস্থ পানি শুধু বরেন্দ্র কর্তৃপক্ষ একা তুলছে না। ব্যক্তিমালিকানায় পাম্প বসিয়ে পানি তুলে সেচ দেওয়া হচ্ছে। তাতেও পাতালের পানি কমছে। আসলে বৃষ্টিপাত হচ্ছে না বলে পাতালে পানির স্তর ভরছে না। এতে একটা সংকট দেখা দিচ্ছে। সে কারণে বেশি সেচ লাগে না এমন ফসল চাষাবাদে আমরা কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছি।’
পানিসম্পদ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ আইনুন নিশাত আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বরেন্দ্র অঞ্চলে পানির স্তর অনেক নিচে নেমে যাচ্ছে, এটা খুবই স্বাভাবিক। উত্তরবঙ্গে এবার খরা চলছে, তেমন বৃষ্টি হয়নি। লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, রংপুর ও দিনাজপুরে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম বৃষ্টি হয়েছে। ভূগর্ভস্থের পানির ব্যবহার বেড়েছে। সেচের ৮০ শতাংশ ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহার করা হচ্ছে। পানির অপচয় বন্ধ করতে হবে।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২০ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে