মাইনউদ্দিন শাহেদ, কক্সবাজার
পর্যটনের ভরা মৌসুমে সরগরম দেশের প্রধান পর্যটনকেন্দ্র কক্সবাজার। এরই মধ্যে দেশজুড়ে বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। যার প্রভাব পড়েছে কক্সবাজার শহর ও আশপাশের এলাকায়। বিপুলসংখ্যক পর্যটক কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত ছাড়াও প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন, শৈল দ্বীপ মহেশখালীতে ভিড় করছেন। তবে শহরের মার্কেট, হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ ও সৈকতে কোথাও স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই। পর্যটকদের ভিড়ের চাপে যেন পিষ্ট হয়ে যাচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে পর্যটকদের প্রতি বারবার আহ্বান জানানো হলেও তাঁরা তা তোয়াক্কাই করছেন না। এতে অনীহা প্রকাশ করে আসছেন বেশির ভাগ পর্যটক। যে কারণে আবারও লকডাউন ঘোষণার আতঙ্কে আছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
পর্যটনের ভরা মৌসুমে কক্সবাজারসহ আশপাশের পাহাড়-প্রকৃতি দেখতে প্রতিদিন ছুটে আসেন দেশি-বিদেশি হাজারো পর্যটক। তাঁদের ওপর নির্ভরশীল বহু মানুষ। করোনার সংক্রমণ রোধে গত দুবছরে প্রায় সাড়ে ৯ মাস সমুদ্রসৈকতে পর্যটক সমাগম নিষিদ্ধ ছিল। এতে পর্যটকনির্ভর শহরটির হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ ও দোকানপাট ছিল বন্ধ।
গত বছরের ১৯ আগস্ট স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্তে জেলা প্রশাসন সমুদ্রসৈকতসহ পর্যটনকেন্দ্র উন্মুক্ত করে দেয়। শুরুতে একটু কড়াকড়ি থাকলেও এখন কোথাও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা বা জেলা প্রশাসনের জারি করা নিয়মের তোয়াক্কা নেই।
জেলা প্রশাসনের শর্ত অনুযায়ী আবাসিক হোটেল-মোটেল, কটেজ, গেস্ট হাউস ও রেস্তোরাঁয় ৫০ শতাংশ কক্ষ খালি রাখার সিদ্ধান্ত ছিল। তবে তা থেকে গেছে উপেক্ষিতই। এ দিকে করোনা সংক্রমণের মধ্যেও হোটেল-মোটেল জোনের পর্যটন গলফ মাঠে কক্সবাজার শিল্প ও বাণিজ্য মেলা চলছে। এতে প্রতিদিন সমবেত হচ্ছেন বিপুল মানুষ। এ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন শহরবাসী।
সমুদ্রসৈকতের লাবণী পয়েন্টে গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় দেখা যায়, হ্যান্ড মাইকে পর্যটকদের প্রতি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছেন সৈকত কর্মী বেলাল হোসেন। এ রকম প্রতিটি পয়েন্টে সৈকতকর্মী ও টুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা সচেতনতামূলক প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে বেশির ভাগ পর্যটকের মুখেই ছিল না মাস্ক।
বেলাল হোসেন বলেন, পর্যটকদের মধ্যে কেউ স্বাস্থ্যবিধি মানেন, কেউ মানেন না।
কক্সবাজার হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার বলেন, ব্যবসায়ী ও পর্যটনকর্মীরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটকদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, পর্যটকদের সচেতনতা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে পুলিশ সব ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে।
কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবের হিসাবে দেখা গেছে, গত রোববার ২৪১ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ এবং জেলা সদর হাসপাতালের ৮০১ জনের নমুনা পরীক্ষায় তাঁদের সংক্রমণ ধরা পড়ে। সোমবার ১ হাজার ১৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২৪৬ জনের ফল ছিল করোনা পজিটিভ। গতকাল মঙ্গলবার ২৫২ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এদিন কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাব ও জেলা সদর হাসপাতালে ১ হাজার ১৮৪ নমুনা পরীক্ষায় করা হয়।
জেলা সিভিল সার্জন মাহবুবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, কক্সবাজারে করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলছে। এর থেকে নিস্তার পেতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও জনসমাগম এড়িয়ে চলার বিকল্প নেই।
পর্যটনের ভরা মৌসুমে সরগরম দেশের প্রধান পর্যটনকেন্দ্র কক্সবাজার। এরই মধ্যে দেশজুড়ে বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। যার প্রভাব পড়েছে কক্সবাজার শহর ও আশপাশের এলাকায়। বিপুলসংখ্যক পর্যটক কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত ছাড়াও প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন, শৈল দ্বীপ মহেশখালীতে ভিড় করছেন। তবে শহরের মার্কেট, হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ ও সৈকতে কোথাও স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই। পর্যটকদের ভিড়ের চাপে যেন পিষ্ট হয়ে যাচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে পর্যটকদের প্রতি বারবার আহ্বান জানানো হলেও তাঁরা তা তোয়াক্কাই করছেন না। এতে অনীহা প্রকাশ করে আসছেন বেশির ভাগ পর্যটক। যে কারণে আবারও লকডাউন ঘোষণার আতঙ্কে আছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
পর্যটনের ভরা মৌসুমে কক্সবাজারসহ আশপাশের পাহাড়-প্রকৃতি দেখতে প্রতিদিন ছুটে আসেন দেশি-বিদেশি হাজারো পর্যটক। তাঁদের ওপর নির্ভরশীল বহু মানুষ। করোনার সংক্রমণ রোধে গত দুবছরে প্রায় সাড়ে ৯ মাস সমুদ্রসৈকতে পর্যটক সমাগম নিষিদ্ধ ছিল। এতে পর্যটকনির্ভর শহরটির হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ ও দোকানপাট ছিল বন্ধ।
গত বছরের ১৯ আগস্ট স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্তে জেলা প্রশাসন সমুদ্রসৈকতসহ পর্যটনকেন্দ্র উন্মুক্ত করে দেয়। শুরুতে একটু কড়াকড়ি থাকলেও এখন কোথাও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা বা জেলা প্রশাসনের জারি করা নিয়মের তোয়াক্কা নেই।
জেলা প্রশাসনের শর্ত অনুযায়ী আবাসিক হোটেল-মোটেল, কটেজ, গেস্ট হাউস ও রেস্তোরাঁয় ৫০ শতাংশ কক্ষ খালি রাখার সিদ্ধান্ত ছিল। তবে তা থেকে গেছে উপেক্ষিতই। এ দিকে করোনা সংক্রমণের মধ্যেও হোটেল-মোটেল জোনের পর্যটন গলফ মাঠে কক্সবাজার শিল্প ও বাণিজ্য মেলা চলছে। এতে প্রতিদিন সমবেত হচ্ছেন বিপুল মানুষ। এ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন শহরবাসী।
সমুদ্রসৈকতের লাবণী পয়েন্টে গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় দেখা যায়, হ্যান্ড মাইকে পর্যটকদের প্রতি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছেন সৈকত কর্মী বেলাল হোসেন। এ রকম প্রতিটি পয়েন্টে সৈকতকর্মী ও টুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা সচেতনতামূলক প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে বেশির ভাগ পর্যটকের মুখেই ছিল না মাস্ক।
বেলাল হোসেন বলেন, পর্যটকদের মধ্যে কেউ স্বাস্থ্যবিধি মানেন, কেউ মানেন না।
কক্সবাজার হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার বলেন, ব্যবসায়ী ও পর্যটনকর্মীরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটকদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, পর্যটকদের সচেতনতা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে পুলিশ সব ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে।
কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবের হিসাবে দেখা গেছে, গত রোববার ২৪১ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ এবং জেলা সদর হাসপাতালের ৮০১ জনের নমুনা পরীক্ষায় তাঁদের সংক্রমণ ধরা পড়ে। সোমবার ১ হাজার ১৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২৪৬ জনের ফল ছিল করোনা পজিটিভ। গতকাল মঙ্গলবার ২৫২ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এদিন কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাব ও জেলা সদর হাসপাতালে ১ হাজার ১৮৪ নমুনা পরীক্ষায় করা হয়।
জেলা সিভিল সার্জন মাহবুবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, কক্সবাজারে করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলছে। এর থেকে নিস্তার পেতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও জনসমাগম এড়িয়ে চলার বিকল্প নেই।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৪ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৮ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৮ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৮ দিন আগে