‘হামরা ঘর-ট্যাকা পায়া খুব উপকার হইছে ’

চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৭ জুন ২০২২, ০৬: ৩৫
আপডেট : ১৭ জুন ২০২২, ১৫: ০৭

‘ইউএনও (উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা) স্যার সরকার থেকে হামাক ঘর ও উপবৃত্তির টাকা দিছে। হামরা ঘর-ট্যাকা পায়া খুব উপকার হইছে। ভাবি নাই স্যারের সঙ্গে দেখা করবের পামো। দোয়া করি স্যার ভালো থাকুক।’ কথাগুলো বলছিলেন রমনা মডেল ইউনিয়নের বাঁধ এলাকার জহিরন বেগম (৬০) ও সম্মান তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মোছা লিপি আক্তার।

কুড়িগ্রামের চিলমারীর ইউএনও মো. মাহবুবুর রহমান উপজেলায় যোগ দেওয়ার পর থেকে গরিব অসহায় মানুষ ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের হাসি ফুটিয়েছেন। ইতিমধ্যে তিনি শিক্ষার্থীদের জন্য উপবৃত্তি দেওয়া শুরু করেছেন। এর সঙ্গে ভিক্ষাবৃত্তি জড়িত ও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার সহায়তায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় পিছিয়ে ভূমিহীনদের সরকারি ঘর দিতে সহায়তা করেছেন। এখন তিনি মানুষের মুখে মুখে মানবিক ইউএনও।

উপজেলার রমনা মডেল ইউনিয়নের বাঁধ এলাকার মোছা রহিমা বেগম বলেন, ‘ইউএনও স্যার আমার বাড়িত আচ্ছিলো। কথা দিছিলো মোক একটা ঘর দিবে। তাই সরকারি ঘর দিছে, স্যার কথা রাখছে। এই রহম ইউএনও স্যার গরিব মানুষের জন্য দরকার।’ তৃতীয় লিঙ্গের রুপিয়া (৩৫) বলেন, ‘ইউএনও স্যার চিলমারীত আসার পর থেকে হামার বিভিন্ন সহযোগিতা করে আসছেন। হিজড়াদের জন্য তিনি ঘর দিতে জায়গা খুঁজছেন।’

ইউএনও মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘সব দপ্তরের কর্মকর্তারা ও রাজনৈতিক নেতাদের সহযোগিতায় চিলমারীকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করি। এ জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করছি।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত