বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
বছরের শুরুতেই রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় আর রপ্তানিতে এল সুখবর। টানা ছয় মাসের নেতিবাচক ধারা ভেঙে বিদায়ী বছরের ডিসেম্বরে ঊর্ধ্বমুখী হলো রেমিট্যান্সপ্রবাহ। গত নভেম্বরের চেয়ে ডিসেম্বরে ৭ কোটি ডলার বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। রেমিট্যান্সের পাশাপাশি রপ্তানিতেও সুবাতাস। পোশাক খাতে ভর করে ডিসেম্বরে প্রায় ৫০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে অর্থনীতির প্রাণ হিসেবে পরিচিত রপ্তানি খাতে। দেশের ইতিহাসে এটাও রেকর্ড। বাংলাদেশ ব্যাংক ও ইপিবি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। রেমিট্যান্স ও রপ্তানি প্রবৃদ্ধির বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন খাত-সংশ্লিষ্টরা।
আগের সব রেকর্ড ভেঙে সদ্যসমাপ্ত ডিসেম্বরে রপ্তানি আয় গিয়ে ঠেকেছে প্রায় ৫ বিলিয়ন বা ৫০০ কোটি ডলারে, টাকার অঙ্কে প্রায় ৪৩ হাজার কোটি টাকা। বাংলাদেশের ইতিহাসে এর আগে কখনোই এক মাসে পণ্য রপ্তানি থেকে এত বেশি বিদেশি মুদ্রা দেশে আসেনি। প্রবৃদ্ধি প্রায় ৫০ শতাংশ। বিদায়ী ডিসেম্বরে গত বছরের ডিসেম্বরের চেয়ে আয় বেশি এসেছে ৪৮ দশমিক ২৭ শতাংশ। এর আগে এক মাসে সর্বোচ্চ আয় এসেছিল গত অক্টোবরে, ৪৭২ কোটি ৭৫ লাখ ডলার।
আর চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসের (জুলাই-ডিসেম্বর) হিসাবে প্রায় ২৪ দশমিক ৭০ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৪৬৯ কোটি ৮৫ লাখ ডলার রপ্তানি আয় দেশে এসেছে। এই অঙ্ক গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২৮ দশমিক ৪১ শতাংশ বেশি। করোনা ঘিরে যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল, তা রপ্তানি খাত অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছে। এখন একে অব্যাহত রাখা এবং করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনকে নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতির মোকাবিলায় যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি বলে মনে করছেন এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা।
রপ্তানি এই প্রবৃদ্ধির বিষয়ে বিজিএমইএর ভাইস প্রেসিডেন্ট শহীদুল্লাহ আজিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘করোনার সময় সবকিছু বন্ধের মধ্যেও পোশাক কারখানা চালু থাকায় পোশাক রপ্তানি স্বাভাবিক ছিল। ভিয়েতনামসহ প্রতিযোগী দেশগুলো করোনার কারণে তাদের দেশের সবকিছু বন্ধ রেখেছিল। আমরা এর সুবিধা পেয়েছি।’ তবে ওমিক্রনের ঝুঁকি থাকলেও পোশাক খাত সচল রাখলে প্রবৃদ্ধির এ ধারা সামনেও বজায় থাকবে বলে তিনি আশাবাদ প্রকাশ করেন।
এদিকে ডিসেম্বর মাসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ১৬২ কোটি ৯০ লাখ ডলার, যা নভেম্বর মাসের তুলনায় ৭ কোটি ডলার বেশি। প্রতি ডলার সমান ৮৫ টাকা ধরে টাকার অঙ্কে ডিসেম্বরে পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ প্রায় ১৩ হাজার ৮৪৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
গত অক্টোবরে তার আগের মাসের তুলনায় প্রবাসী আয় কমে। আবার সেপ্টেম্বর মাসে প্রবাসী আয় কমে আগস্টের তুলনায় ৯ কোটি ডলার। জুলাই মাসে ১৮৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স আসে, যা জুনের তুলনায় ৬ কোটি ৯৩ লাখ ডলার কম। জুন মাসে প্রবাসী আয় আসে ১৯৪ কোটি ডলার, যা মে মাসের তুলনায় ২৩ কোটি ডলার কম। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে আরও জানা গেছে, ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) দেশে রেমিট্যান্স আসে ১ হাজার ২৩ কোটি ৯০ লাখ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ৮৭ হাজার ২১ কোটি ৩০ লাখ টাকা, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৭৯ কোটি ৮২ লাখ ডলার কম।
এ ব্যাপারে বিআইবিএমের সাবেক মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, বৈধ চ্যানেলে বেশি এলে প্রবাসী আয়ের পরিমাণ বেশি দেখা যায়। আর হুন্ডির মাত্রা বাড়লে তা কমে যায়। এখন যেটা হয়েছে, তাতে বোঝা যাচ্ছে, ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্সপ্রবাহ বেড়েছে। এ কারণে ডিসেম্বরে প্রবৃদ্ধি ইতিবাচক হয়েছে।
বছরের শুরুতেই রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় আর রপ্তানিতে এল সুখবর। টানা ছয় মাসের নেতিবাচক ধারা ভেঙে বিদায়ী বছরের ডিসেম্বরে ঊর্ধ্বমুখী হলো রেমিট্যান্সপ্রবাহ। গত নভেম্বরের চেয়ে ডিসেম্বরে ৭ কোটি ডলার বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। রেমিট্যান্সের পাশাপাশি রপ্তানিতেও সুবাতাস। পোশাক খাতে ভর করে ডিসেম্বরে প্রায় ৫০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে অর্থনীতির প্রাণ হিসেবে পরিচিত রপ্তানি খাতে। দেশের ইতিহাসে এটাও রেকর্ড। বাংলাদেশ ব্যাংক ও ইপিবি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। রেমিট্যান্স ও রপ্তানি প্রবৃদ্ধির বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন খাত-সংশ্লিষ্টরা।
আগের সব রেকর্ড ভেঙে সদ্যসমাপ্ত ডিসেম্বরে রপ্তানি আয় গিয়ে ঠেকেছে প্রায় ৫ বিলিয়ন বা ৫০০ কোটি ডলারে, টাকার অঙ্কে প্রায় ৪৩ হাজার কোটি টাকা। বাংলাদেশের ইতিহাসে এর আগে কখনোই এক মাসে পণ্য রপ্তানি থেকে এত বেশি বিদেশি মুদ্রা দেশে আসেনি। প্রবৃদ্ধি প্রায় ৫০ শতাংশ। বিদায়ী ডিসেম্বরে গত বছরের ডিসেম্বরের চেয়ে আয় বেশি এসেছে ৪৮ দশমিক ২৭ শতাংশ। এর আগে এক মাসে সর্বোচ্চ আয় এসেছিল গত অক্টোবরে, ৪৭২ কোটি ৭৫ লাখ ডলার।
আর চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসের (জুলাই-ডিসেম্বর) হিসাবে প্রায় ২৪ দশমিক ৭০ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৪৬৯ কোটি ৮৫ লাখ ডলার রপ্তানি আয় দেশে এসেছে। এই অঙ্ক গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২৮ দশমিক ৪১ শতাংশ বেশি। করোনা ঘিরে যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল, তা রপ্তানি খাত অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছে। এখন একে অব্যাহত রাখা এবং করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনকে নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতির মোকাবিলায় যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি বলে মনে করছেন এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা।
রপ্তানি এই প্রবৃদ্ধির বিষয়ে বিজিএমইএর ভাইস প্রেসিডেন্ট শহীদুল্লাহ আজিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘করোনার সময় সবকিছু বন্ধের মধ্যেও পোশাক কারখানা চালু থাকায় পোশাক রপ্তানি স্বাভাবিক ছিল। ভিয়েতনামসহ প্রতিযোগী দেশগুলো করোনার কারণে তাদের দেশের সবকিছু বন্ধ রেখেছিল। আমরা এর সুবিধা পেয়েছি।’ তবে ওমিক্রনের ঝুঁকি থাকলেও পোশাক খাত সচল রাখলে প্রবৃদ্ধির এ ধারা সামনেও বজায় থাকবে বলে তিনি আশাবাদ প্রকাশ করেন।
এদিকে ডিসেম্বর মাসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ১৬২ কোটি ৯০ লাখ ডলার, যা নভেম্বর মাসের তুলনায় ৭ কোটি ডলার বেশি। প্রতি ডলার সমান ৮৫ টাকা ধরে টাকার অঙ্কে ডিসেম্বরে পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ প্রায় ১৩ হাজার ৮৪৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
গত অক্টোবরে তার আগের মাসের তুলনায় প্রবাসী আয় কমে। আবার সেপ্টেম্বর মাসে প্রবাসী আয় কমে আগস্টের তুলনায় ৯ কোটি ডলার। জুলাই মাসে ১৮৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স আসে, যা জুনের তুলনায় ৬ কোটি ৯৩ লাখ ডলার কম। জুন মাসে প্রবাসী আয় আসে ১৯৪ কোটি ডলার, যা মে মাসের তুলনায় ২৩ কোটি ডলার কম। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে আরও জানা গেছে, ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) দেশে রেমিট্যান্স আসে ১ হাজার ২৩ কোটি ৯০ লাখ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ৮৭ হাজার ২১ কোটি ৩০ লাখ টাকা, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৭৯ কোটি ৮২ লাখ ডলার কম।
এ ব্যাপারে বিআইবিএমের সাবেক মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, বৈধ চ্যানেলে বেশি এলে প্রবাসী আয়ের পরিমাণ বেশি দেখা যায়। আর হুন্ডির মাত্রা বাড়লে তা কমে যায়। এখন যেটা হয়েছে, তাতে বোঝা যাচ্ছে, ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্সপ্রবাহ বেড়েছে। এ কারণে ডিসেম্বরে প্রবৃদ্ধি ইতিবাচক হয়েছে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে