মেহেরপুর প্রতিনিধি
মেহেরপুরে হঠাৎ ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। প্রতিনিয়ত হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগী বাড়ছে। এদিকে হাসপাতালে পর্যাপ্ত শয্যা না থাকায় অনেকের ঠাঁই হয়েছে বারান্দায়। সেখানেও গাদাগাদি করে থেকে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে রোগীদের। আর একটি কক্ষে সর্বোচ্চ দুজন রোগী থাকার কথা থাকলেও চিকিৎসা নিচ্ছেন কয়েক গুণ বেশি। এ চিত্র মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের।
জানা গেছে, গত শনিবার ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছলিমা খাতুন (৫৯) নামে এক নারী মারা গেছেন।
গতকাল বুধবার হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালে ১০ শয্যার বিপরীতে ভর্তি আছে ৬৫ জন। নতুন করে রোগী ভর্তি হয়েছে ১৯ জন। ছাড়পত্র পেয়েছে ৩০ জন রোগী। এক সপ্তাহে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৩৫৩ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ২৮৮ জন রোগী।
এদিন হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, পর্যাপ্ত শয্যা না থাকায় বারান্দায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেকেই। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থেকে বাধ্য হয়েই তাদের চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। এ ছাড়া নেই পর্যাপ্ত শৌচাগার। রোগীদের পরিচর্যা করতে গিয়ে পরিবারের সদস্যরাও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে বেশির ভাগই পৌর এলাকার মানুষ। বিশেষ করে শহরের স্টেডিয়ামপাড়া, বোসপাড়া, মল্লিকপাড়া, শিশু বাগানপাড়ার মানুষ ডায়রিয়ায় বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। অবশ্য কিছু কিছু রোগী গ্রামেরও রয়েছে।
স্টেডিয়ামপাড়ার ইকবাল হোসেন তিন দিন ধরে হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন। এখন তাঁর অবস্থা কিছুটা উন্নতি হয়েছে। কিছুদিন আগে তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে হাসপাতাল ভর্তি ছিলেন। স্ত্রীর সেবা করতে গিয়ে এখন তিনি নিজেই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। বাড়িতে আরও দুজন সদস্য ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে বাড়িতেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। ইকবাল বলেন, ‘হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণ ওষুধ সরবরাহ রয়েছে। কোনো ওষুধই বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে না। এখানকার চিকিৎসক ও সেবিকারাও ভালো করে চিকিৎসা দিচ্ছেন।’ হাসপাতালের পরিবেশ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি বলেন, ‘শৌচাগারের অবস্থা খুবই খারাপ। পাশাপাশি দুই শয্যার কক্ষে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৫ জন। এভাবেই প্রতিটি কক্ষে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ হয়ে উঠেছে।’
মল্লিকপাড়ার আব্দুল হালিম বলেন, ‘কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই হঠাৎ করে কয়েকবার বমি হয়। এরপর শুরু হয় পাতলা পায়খানা। স্যালাইন খেয়েও কোনো কাজ হয়নি। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পুরো শরীর নিস্তেজ হয়ে পড়ে। দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি হই। চার দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠতে পারিনি। আমি শুধু নিজেই নয়, বাড়ির আরও তিন সদস্য ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।’
ডায়রিয়া ওয়ার্ডের ইনচার্জ নিপু আক্তার বলেন, ‘প্রতিনিয়তই হাসপাতালে ডায়রিয়ায় রোগী বাড়ছে। ডায়রিয়া ওয়ার্ডে পা ফেলবার জায়গা নেই। জনবল বাড়িয়েও আমাদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এমন রোগীর চাপ আগে কখনোই দেখিনি।’
মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মোখলেছুর রহমান বলেন, এ পর্যন্ত ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। তিনি কিডনি রোগে আক্রান্ত ছিলেন। অতিরিক্ত পানিশূন্যতার কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। রোগীটি মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেওয়ার পর মধ্য রাতে আমাদের হাসপাতালে ভর্তি হন। ভোররাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তিনি আরও বলেন, হাসপাতালে ১০ জন রোগীর নমুনা সংগ্রহ করা হয়ছিল। পরীক্ষা করে ৭ জনের শরীরে কলেরার জীবাণু পাওয়া গেছে। এটি পানির কারণেও হতে পারে। তবে পুরো পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করা পর্যন্ত কিছুই বলা যাবে না। এ সময় বাড়তি সতর্কতার কথা বললেন তিনি। বিশেষ করে ইফতারের সময় ভাজাপোড়া, বাসি খাবার না খাওয়া। সব সময় হাত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা, তরমুজ জাতীয় ফল না খাওয়া। এভাবে চললে ডায়রিয়া থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
মেহেরপুরে হঠাৎ ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। প্রতিনিয়ত হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগী বাড়ছে। এদিকে হাসপাতালে পর্যাপ্ত শয্যা না থাকায় অনেকের ঠাঁই হয়েছে বারান্দায়। সেখানেও গাদাগাদি করে থেকে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে রোগীদের। আর একটি কক্ষে সর্বোচ্চ দুজন রোগী থাকার কথা থাকলেও চিকিৎসা নিচ্ছেন কয়েক গুণ বেশি। এ চিত্র মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের।
জানা গেছে, গত শনিবার ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছলিমা খাতুন (৫৯) নামে এক নারী মারা গেছেন।
গতকাল বুধবার হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালে ১০ শয্যার বিপরীতে ভর্তি আছে ৬৫ জন। নতুন করে রোগী ভর্তি হয়েছে ১৯ জন। ছাড়পত্র পেয়েছে ৩০ জন রোগী। এক সপ্তাহে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৩৫৩ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ২৮৮ জন রোগী।
এদিন হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, পর্যাপ্ত শয্যা না থাকায় বারান্দায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেকেই। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থেকে বাধ্য হয়েই তাদের চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। এ ছাড়া নেই পর্যাপ্ত শৌচাগার। রোগীদের পরিচর্যা করতে গিয়ে পরিবারের সদস্যরাও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে বেশির ভাগই পৌর এলাকার মানুষ। বিশেষ করে শহরের স্টেডিয়ামপাড়া, বোসপাড়া, মল্লিকপাড়া, শিশু বাগানপাড়ার মানুষ ডায়রিয়ায় বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। অবশ্য কিছু কিছু রোগী গ্রামেরও রয়েছে।
স্টেডিয়ামপাড়ার ইকবাল হোসেন তিন দিন ধরে হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন। এখন তাঁর অবস্থা কিছুটা উন্নতি হয়েছে। কিছুদিন আগে তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে হাসপাতাল ভর্তি ছিলেন। স্ত্রীর সেবা করতে গিয়ে এখন তিনি নিজেই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। বাড়িতে আরও দুজন সদস্য ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে বাড়িতেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। ইকবাল বলেন, ‘হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণ ওষুধ সরবরাহ রয়েছে। কোনো ওষুধই বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে না। এখানকার চিকিৎসক ও সেবিকারাও ভালো করে চিকিৎসা দিচ্ছেন।’ হাসপাতালের পরিবেশ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি বলেন, ‘শৌচাগারের অবস্থা খুবই খারাপ। পাশাপাশি দুই শয্যার কক্ষে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৫ জন। এভাবেই প্রতিটি কক্ষে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ হয়ে উঠেছে।’
মল্লিকপাড়ার আব্দুল হালিম বলেন, ‘কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই হঠাৎ করে কয়েকবার বমি হয়। এরপর শুরু হয় পাতলা পায়খানা। স্যালাইন খেয়েও কোনো কাজ হয়নি। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পুরো শরীর নিস্তেজ হয়ে পড়ে। দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি হই। চার দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠতে পারিনি। আমি শুধু নিজেই নয়, বাড়ির আরও তিন সদস্য ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।’
ডায়রিয়া ওয়ার্ডের ইনচার্জ নিপু আক্তার বলেন, ‘প্রতিনিয়তই হাসপাতালে ডায়রিয়ায় রোগী বাড়ছে। ডায়রিয়া ওয়ার্ডে পা ফেলবার জায়গা নেই। জনবল বাড়িয়েও আমাদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এমন রোগীর চাপ আগে কখনোই দেখিনি।’
মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মোখলেছুর রহমান বলেন, এ পর্যন্ত ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। তিনি কিডনি রোগে আক্রান্ত ছিলেন। অতিরিক্ত পানিশূন্যতার কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। রোগীটি মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেওয়ার পর মধ্য রাতে আমাদের হাসপাতালে ভর্তি হন। ভোররাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তিনি আরও বলেন, হাসপাতালে ১০ জন রোগীর নমুনা সংগ্রহ করা হয়ছিল। পরীক্ষা করে ৭ জনের শরীরে কলেরার জীবাণু পাওয়া গেছে। এটি পানির কারণেও হতে পারে। তবে পুরো পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করা পর্যন্ত কিছুই বলা যাবে না। এ সময় বাড়তি সতর্কতার কথা বললেন তিনি। বিশেষ করে ইফতারের সময় ভাজাপোড়া, বাসি খাবার না খাওয়া। সব সময় হাত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা, তরমুজ জাতীয় ফল না খাওয়া। এভাবে চললে ডায়রিয়া থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে