চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
চুয়াডাঙ্গায় চলতি মৌসুমে এখনো ইট উৎপাদনে যেতে পারেননি ইটভাটা মালিকেরা। জ্বালানি (কয়লা) সংকট ও দ্বিগুণেরও বেশি মূল্যবৃদ্ধির কারণে বিলম্বিত হচ্ছে ইট উৎপাদন। এরই মধ্যে অসময়ের বৃষ্টি আরও ক্ষতি করেছে ইটভাটার মালিকদের। হঠাৎ টানা বৃষ্টিতে জেলার ৯৫টি ইটভাটায় অন্তত ৯ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে বলে দাবি করেছে ইটভাটা মালিক সমিতি। কয়লার দাম ও অসময়ের বৃষ্টির ক্ষতিতে লোকসানে পড়েছেন মালিকেরা। একই সঙ্গে এ বছর ইট উৎপাদনে অনেক বেশি সময়ক্ষেপণ হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এতে করে নির্মাণকাজ বাধাগ্রস্ত হওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে।
জানা গেছে, গত বছর প্রতি টন কয়লার দাম ছিল সাড়ে ৮ থেকে ৯ হাজার টাকা। কিন্তু চলতি মৌসুমে খরচ বেড়ে টনপ্রতি মূল্য দাঁড়িয়েছে ১৯ থেকে ২২ হাজার টাকায়। আর এ কারণে অন্যান্য মৌসুমের চেয়ে অনেক দেরিতে ইটকাটা শুরু হয়। এ কারণে মাটিতেই পড়ে ছিল কাঁচা ইট। এরই মধ্যে বৃষ্টি দেয় বাগড়া। যার ফলে নষ্ট হয়ে যায় কাঁচা ইট। এরপর নষ্ট হওয়া ইট সরাতেও বেড়েছে খরচ। এতে দ্বিগুণ খরচে লোকসানে নাজেহাল ভাটা মালিকেরা।
চুয়াডাঙ্গা সদর ও আশপাশের বিভিন্ন ইটভাটা ঘুরে জানা যায়, গত বছরের ইট এরই মধ্যে বিক্রি শেষ। কিন্তু নতুন করে উৎপাদনে না যাওয়ায় জেলাজুড়ে ইটের বেশ সংকট তৈরি হচ্ছে। ব্যক্তি পর্যায় থেকে শুরু করে সরকারি উন্নয়নকাজে ঠিকাদাররা ইট কিনে কাজ করতে হিমশিম খাচ্ছেন। আর নতুন ইট উৎপাদনের পর যে দামে বিক্রি হবে, তা বর্তমান বাজার দরের দ্বিগুণ। ভাটা সংশ্লিষ্টরা জানান, সাধারণত ইট উৎপাদনে যাওয়ার সময় সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে। সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়েই মাটি কেনা, মাটি থেকে কাঁচা ইট তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়। কাঁচা ইট রোদে শুকিয়ে অক্টোবর মাসেই প্রথম কিস্তি ইট পোড়ানো শুরু করেন। কিন্তু এবার নভেম্বর মাস শুরুর পরও ইট উৎপাদন শুরু করা যায়নি।
ভাটামালিকদের ভাষ্য, গত বছর এক টন কয়লার দাম ছিল সাড়ে ৮ হাজার থেকে সাড়ে ৯ হাজার টাকা পর্যন্ত। অথচ কয়েক মাসের ব্যবধানে এখন ১৯ থেকে ২২ হাজার টাকা এক টন কয়লার দাম। তা-ও প্রয়োজন অনুযায়ী পাওয়া যাবে কি না ঠিক নেই। এরই মধ্যে বৃষ্টিতে কাঁচা ইট নষ্ট হয়ে গেছে। সে ক্ষতি কাটিয়ে উঠতেও সময় লাগবে। এতে ইটের বড় সংকটও তৈরি হবে।
দামুড়হুদা উপজেলার ইটভাটা মালিক বকুল হোসেন জানান, একটি মৌসুমে আট রাউন্ডে ৭ থেকে ৮ লাখ করে মোট ৫০ থেকে ৬০ লাখ ইট তৈরি হয়। একেক রাউন্ডে ইট পোড়াতে সময় লাগে ২০ থেকে ২৫ দিন। এবার কয়লার দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। আবার চলতি মৌসুমের প্রায় দুই মাস চলে গেছে। দাম না কমা পর্যন্ত কেউ ভাটা চালু করবে বলে মনে হচ্ছে না। এ ছাড়া বৃষ্টিতে অনেক ক্ষতি হয়েছে। সব মিলিয়ে এবার ইট উৎপাদনে এক ধরনের অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
আলমডাঙ্গা উপজেলার ভাটার মালিক আসিরুল ইসলাম সেলিম জানান, প্রতি রাউন্ডে ৭ থেকে ৮ লাখ ইট পোড়ানো হয়। এতে প্রায় ১৩০ টন কয়লা লাগে। এতে ৮ রাউন্ড পোড়ালে ১ হাজার টনের বেশি কয়লা প্রয়োজন হয়। তিনি আরও বলেন, ১ হাজার টন কয়লার দাম ছিল ৮০ থেকে ৯০ লাখ টাকা। সেই কয়লা এবার কিনতে হবে সোয়া ২ কোটি টাকায়। আবার টাকা হলেই কয়লা মিলছে না। সময়মতো সাপ্লাই পাওয়া যাচ্ছে না।
চুয়াডাঙ্গা জেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোতালেব জানান, ২২ হাজার টাকায় কয়লা ক্রয় করা ব্যাপক ঝুঁকি হিসেবে দেখছেন ভাটার মালিকেরা। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে এখনই এ বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া উচিত। তা না হলে বাজারে আসা নতুন ইটের উৎপাদন খরচ ব্যাপক বেড়ে যাবে।
মোতালেব আরও বলেন, এমনিতে এ বছর দেরিতে ইট কাটা শুরু হয়েছে। যখনই ইট কাটা শুরু হলো তখনই বাগড়া দিল বৃষ্টি। এতে ৯ কোটি টাকার কাঁচা ইট নষ্ট হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গায় চলতি মৌসুমে এখনো ইট উৎপাদনে যেতে পারেননি ইটভাটা মালিকেরা। জ্বালানি (কয়লা) সংকট ও দ্বিগুণেরও বেশি মূল্যবৃদ্ধির কারণে বিলম্বিত হচ্ছে ইট উৎপাদন। এরই মধ্যে অসময়ের বৃষ্টি আরও ক্ষতি করেছে ইটভাটার মালিকদের। হঠাৎ টানা বৃষ্টিতে জেলার ৯৫টি ইটভাটায় অন্তত ৯ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে বলে দাবি করেছে ইটভাটা মালিক সমিতি। কয়লার দাম ও অসময়ের বৃষ্টির ক্ষতিতে লোকসানে পড়েছেন মালিকেরা। একই সঙ্গে এ বছর ইট উৎপাদনে অনেক বেশি সময়ক্ষেপণ হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এতে করে নির্মাণকাজ বাধাগ্রস্ত হওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে।
জানা গেছে, গত বছর প্রতি টন কয়লার দাম ছিল সাড়ে ৮ থেকে ৯ হাজার টাকা। কিন্তু চলতি মৌসুমে খরচ বেড়ে টনপ্রতি মূল্য দাঁড়িয়েছে ১৯ থেকে ২২ হাজার টাকায়। আর এ কারণে অন্যান্য মৌসুমের চেয়ে অনেক দেরিতে ইটকাটা শুরু হয়। এ কারণে মাটিতেই পড়ে ছিল কাঁচা ইট। এরই মধ্যে বৃষ্টি দেয় বাগড়া। যার ফলে নষ্ট হয়ে যায় কাঁচা ইট। এরপর নষ্ট হওয়া ইট সরাতেও বেড়েছে খরচ। এতে দ্বিগুণ খরচে লোকসানে নাজেহাল ভাটা মালিকেরা।
চুয়াডাঙ্গা সদর ও আশপাশের বিভিন্ন ইটভাটা ঘুরে জানা যায়, গত বছরের ইট এরই মধ্যে বিক্রি শেষ। কিন্তু নতুন করে উৎপাদনে না যাওয়ায় জেলাজুড়ে ইটের বেশ সংকট তৈরি হচ্ছে। ব্যক্তি পর্যায় থেকে শুরু করে সরকারি উন্নয়নকাজে ঠিকাদাররা ইট কিনে কাজ করতে হিমশিম খাচ্ছেন। আর নতুন ইট উৎপাদনের পর যে দামে বিক্রি হবে, তা বর্তমান বাজার দরের দ্বিগুণ। ভাটা সংশ্লিষ্টরা জানান, সাধারণত ইট উৎপাদনে যাওয়ার সময় সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে। সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়েই মাটি কেনা, মাটি থেকে কাঁচা ইট তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়। কাঁচা ইট রোদে শুকিয়ে অক্টোবর মাসেই প্রথম কিস্তি ইট পোড়ানো শুরু করেন। কিন্তু এবার নভেম্বর মাস শুরুর পরও ইট উৎপাদন শুরু করা যায়নি।
ভাটামালিকদের ভাষ্য, গত বছর এক টন কয়লার দাম ছিল সাড়ে ৮ হাজার থেকে সাড়ে ৯ হাজার টাকা পর্যন্ত। অথচ কয়েক মাসের ব্যবধানে এখন ১৯ থেকে ২২ হাজার টাকা এক টন কয়লার দাম। তা-ও প্রয়োজন অনুযায়ী পাওয়া যাবে কি না ঠিক নেই। এরই মধ্যে বৃষ্টিতে কাঁচা ইট নষ্ট হয়ে গেছে। সে ক্ষতি কাটিয়ে উঠতেও সময় লাগবে। এতে ইটের বড় সংকটও তৈরি হবে।
দামুড়হুদা উপজেলার ইটভাটা মালিক বকুল হোসেন জানান, একটি মৌসুমে আট রাউন্ডে ৭ থেকে ৮ লাখ করে মোট ৫০ থেকে ৬০ লাখ ইট তৈরি হয়। একেক রাউন্ডে ইট পোড়াতে সময় লাগে ২০ থেকে ২৫ দিন। এবার কয়লার দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। আবার চলতি মৌসুমের প্রায় দুই মাস চলে গেছে। দাম না কমা পর্যন্ত কেউ ভাটা চালু করবে বলে মনে হচ্ছে না। এ ছাড়া বৃষ্টিতে অনেক ক্ষতি হয়েছে। সব মিলিয়ে এবার ইট উৎপাদনে এক ধরনের অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
আলমডাঙ্গা উপজেলার ভাটার মালিক আসিরুল ইসলাম সেলিম জানান, প্রতি রাউন্ডে ৭ থেকে ৮ লাখ ইট পোড়ানো হয়। এতে প্রায় ১৩০ টন কয়লা লাগে। এতে ৮ রাউন্ড পোড়ালে ১ হাজার টনের বেশি কয়লা প্রয়োজন হয়। তিনি আরও বলেন, ১ হাজার টন কয়লার দাম ছিল ৮০ থেকে ৯০ লাখ টাকা। সেই কয়লা এবার কিনতে হবে সোয়া ২ কোটি টাকায়। আবার টাকা হলেই কয়লা মিলছে না। সময়মতো সাপ্লাই পাওয়া যাচ্ছে না।
চুয়াডাঙ্গা জেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোতালেব জানান, ২২ হাজার টাকায় কয়লা ক্রয় করা ব্যাপক ঝুঁকি হিসেবে দেখছেন ভাটার মালিকেরা। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে এখনই এ বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া উচিত। তা না হলে বাজারে আসা নতুন ইটের উৎপাদন খরচ ব্যাপক বেড়ে যাবে।
মোতালেব আরও বলেন, এমনিতে এ বছর দেরিতে ইট কাটা শুরু হয়েছে। যখনই ইট কাটা শুরু হলো তখনই বাগড়া দিল বৃষ্টি। এতে ৯ কোটি টাকার কাঁচা ইট নষ্ট হয়েছে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে