নাটোর প্রতিনিধি
প্রয়োজনের তুলনায় স্বল্প আখ প্রাপ্যতার ঝুঁকি নিয়ে উৎপাদনে যাচ্ছে নাটোর সুগার মিল। আজ শুক্রবার থেকে চলতি মৌসুমে চালু হচ্ছে সুগার মিলটি। নাটোর সুগার মিল কর্তৃপক্ষ বলছে এবার ৪ হাজার ৫৩০ একর জমিতে আখ চাষ করা হয়েছে। ৩ লাখ মেট্রিক টন আখ মাড়াইয়ের বিপরীতে ৯৭ হাজার মেট্রিক টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। চিনি আহরণের হার ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ৬ শতাংশ।
জানা গেছে, নাটোর চিনিকল ও লালপুরের নর্থ বেঙ্গল চিনিকলের নিকট এ অঞ্চলের লক্ষাধিক চাষি আখ বিক্রি করেন। এর মধ্যে নাটোর চিনিকলের ৮টি সাব জোনের মোট ৪৭টি কেন্দ্রে প্রায় ১৩ হাজার চাষি আখ বিক্রি করেন। এ ছাড়া সুগার মিল কর্তৃপক্ষের কাছে আখ বিক্রি না করেন না এমন ৬০ হাজার চাষি রয়েছেন। পাওয়ার ক্রাশারের মাধ্যমে আখ মাড়িয়ে তাঁরা গুড় তৈরি করেন।
নাটোর সুগার মিল সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে সাড়ে ৪ হাজার একর জমিতে আখ চাষ করা হয়েছে। আখ উৎপাদন ৯২ হাজার মেট্রিক টন ধরলেও ৫০ হাজার মেট্রিক টনের বেশি আখ উৎপাদন হবে না। প্রকৃতপক্ষে আখের উৎপাদন ৩০ হাজার মেট্রিক টন। এতে চিনি উৎপাদন হতে পারে দেড় হাজার থেকে আড়াই হাজার মেট্রিক টন। এবার আখ মাড়াই কার্যক্রম ৬৫ দিন চলার লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও ৪৫ থেকে ৫০ দিনের বেশি মিল চালানো কঠিন হয়ে পড়বে এবং প্রয়োজনীয় পরিমাণ আখের অভাবে তাঁর আগেই এ কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আগের দিনগুলোতে মাঠে পর্যাপ্ত আখ থাকার প্রেক্ষিতে চার থেকে পাঁচ মাস ধরে মিল চালু থাকত। সে সময় প্রতি মৌসুমে এ সুগার মিলকে কেন্দ্র করে এই অঞ্চলে কমপক্ষে ১০০ কোটি টাকার অর্থনৈতিক লেনদেন হতো। কিন্তু এখন সে অবস্থা আর নেই। অন্যান্য ফসলের তুলনায় কম লাভ হওয়ার কারণে আখচাষিরা এখন আখ চাষ ছেড়ে দিয়ে অন্যান্য লাভজনক ফসল উৎপাদনে আগ্রহী হচ্ছেন। ১৮ মাস মেয়াদি আখ চাষ করে একজন আখচাষি প্রতি বিঘায় খরচ বাদে পাচ্ছেন ১২ থেকে ১৩ হাজার টাকা। অথচ ওই একই সময়ে একই জমিতে ধান, গম, ভুট্টা, পাট বা অন্যান্য ফসল চাষাবাদ করে কৃষক পাচ্ছেন ৪৫ থেকে ৫৫ হাজার টাকা।
সদর উপজেলার বড় হরিশপুর ইউনিয়নের জাঠিয়ান গ্রামের কৃষক বাবর আলী বলেন, ‘আগে আখ চাষ করতাম। প্রথম প্রথম আখের উৎপাদন বেশি হলেও পরবর্তী সময়ে আখের উৎপাদন কমে যায়। ফলে লাভ হয় না দেখে ছেড়ে দিয়ে ধান, গম, ভুট্টা, মসুর, পাট চাষ করি।’
কেন্দ্রীয় আখচাষি ফেডারেশনের সহসভাপতি মোসলেম উদ্দীন বলেন, এক বিঘা জমিতে আখ উৎপাদন করে যে দাম সুগার মিল দেয় তাতে কোনো পরতা পড়ে না বা লাভ হয় না। কৃষক যেদিকে লাভ হবে সেদিকে যাবে। আখ উৎপাদন করতে ১৮ মাস সময় লাগে। এ সময়ে ১ বিঘা আখ উৎপাদন করে বিক্রি করে পাওয়া যায় ২০ হাজার টাকা। তা থেকে সার-কীটনাশক, জমি লিজ, বীজ ক্রয়, জমি নিড়ানি, আখ কাটাই বাবদ যে খরচ হয় তা বাদ দিয়ে সর্বসাকল্যে থাকে ৫ হাজার টাকা। সেখানে একই জমিতে অন্যান্য ফসল যেমন ধান, ভুট্টা, গম, মসুর ইত্যাদি তিনবার চাষ করা যায়। এতে কৃষক পায় ৪৫ থেকে ৫৫ হাজার টাকা। তারপর সুগার করপোরেশন আখ নেওয়ার পর যে টাকাটা আখচাষির পাওনা থাকে তা পরিশোধ করতে দীর্ঘদিন সময় লাগে। অথচ অন্যান্য ফসলে নগদ অর্থ পায়।
নাটোর সুগার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মো. আবু বকর বলেন, এবার এই মিলের আওতাধীন জমিতে ৫০ হাজার মেট্রিক টনের বেশি আখ উৎপাদন করা যায়নি। তবে আখের মূল্যবৃদ্ধি, সময়মতো প্রয়োজনীয় সার সরবরাহ ও মিলে আখ সরবরাহের সঙ্গে সঙ্গেই আখের মূল্য পরিশোধ করা হলে চাষিরা আবার আখ উৎপাদনে আগ্রহী হবে।
প্রয়োজনের তুলনায় স্বল্প আখ প্রাপ্যতার ঝুঁকি নিয়ে উৎপাদনে যাচ্ছে নাটোর সুগার মিল। আজ শুক্রবার থেকে চলতি মৌসুমে চালু হচ্ছে সুগার মিলটি। নাটোর সুগার মিল কর্তৃপক্ষ বলছে এবার ৪ হাজার ৫৩০ একর জমিতে আখ চাষ করা হয়েছে। ৩ লাখ মেট্রিক টন আখ মাড়াইয়ের বিপরীতে ৯৭ হাজার মেট্রিক টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। চিনি আহরণের হার ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ৬ শতাংশ।
জানা গেছে, নাটোর চিনিকল ও লালপুরের নর্থ বেঙ্গল চিনিকলের নিকট এ অঞ্চলের লক্ষাধিক চাষি আখ বিক্রি করেন। এর মধ্যে নাটোর চিনিকলের ৮টি সাব জোনের মোট ৪৭টি কেন্দ্রে প্রায় ১৩ হাজার চাষি আখ বিক্রি করেন। এ ছাড়া সুগার মিল কর্তৃপক্ষের কাছে আখ বিক্রি না করেন না এমন ৬০ হাজার চাষি রয়েছেন। পাওয়ার ক্রাশারের মাধ্যমে আখ মাড়িয়ে তাঁরা গুড় তৈরি করেন।
নাটোর সুগার মিল সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে সাড়ে ৪ হাজার একর জমিতে আখ চাষ করা হয়েছে। আখ উৎপাদন ৯২ হাজার মেট্রিক টন ধরলেও ৫০ হাজার মেট্রিক টনের বেশি আখ উৎপাদন হবে না। প্রকৃতপক্ষে আখের উৎপাদন ৩০ হাজার মেট্রিক টন। এতে চিনি উৎপাদন হতে পারে দেড় হাজার থেকে আড়াই হাজার মেট্রিক টন। এবার আখ মাড়াই কার্যক্রম ৬৫ দিন চলার লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও ৪৫ থেকে ৫০ দিনের বেশি মিল চালানো কঠিন হয়ে পড়বে এবং প্রয়োজনীয় পরিমাণ আখের অভাবে তাঁর আগেই এ কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আগের দিনগুলোতে মাঠে পর্যাপ্ত আখ থাকার প্রেক্ষিতে চার থেকে পাঁচ মাস ধরে মিল চালু থাকত। সে সময় প্রতি মৌসুমে এ সুগার মিলকে কেন্দ্র করে এই অঞ্চলে কমপক্ষে ১০০ কোটি টাকার অর্থনৈতিক লেনদেন হতো। কিন্তু এখন সে অবস্থা আর নেই। অন্যান্য ফসলের তুলনায় কম লাভ হওয়ার কারণে আখচাষিরা এখন আখ চাষ ছেড়ে দিয়ে অন্যান্য লাভজনক ফসল উৎপাদনে আগ্রহী হচ্ছেন। ১৮ মাস মেয়াদি আখ চাষ করে একজন আখচাষি প্রতি বিঘায় খরচ বাদে পাচ্ছেন ১২ থেকে ১৩ হাজার টাকা। অথচ ওই একই সময়ে একই জমিতে ধান, গম, ভুট্টা, পাট বা অন্যান্য ফসল চাষাবাদ করে কৃষক পাচ্ছেন ৪৫ থেকে ৫৫ হাজার টাকা।
সদর উপজেলার বড় হরিশপুর ইউনিয়নের জাঠিয়ান গ্রামের কৃষক বাবর আলী বলেন, ‘আগে আখ চাষ করতাম। প্রথম প্রথম আখের উৎপাদন বেশি হলেও পরবর্তী সময়ে আখের উৎপাদন কমে যায়। ফলে লাভ হয় না দেখে ছেড়ে দিয়ে ধান, গম, ভুট্টা, মসুর, পাট চাষ করি।’
কেন্দ্রীয় আখচাষি ফেডারেশনের সহসভাপতি মোসলেম উদ্দীন বলেন, এক বিঘা জমিতে আখ উৎপাদন করে যে দাম সুগার মিল দেয় তাতে কোনো পরতা পড়ে না বা লাভ হয় না। কৃষক যেদিকে লাভ হবে সেদিকে যাবে। আখ উৎপাদন করতে ১৮ মাস সময় লাগে। এ সময়ে ১ বিঘা আখ উৎপাদন করে বিক্রি করে পাওয়া যায় ২০ হাজার টাকা। তা থেকে সার-কীটনাশক, জমি লিজ, বীজ ক্রয়, জমি নিড়ানি, আখ কাটাই বাবদ যে খরচ হয় তা বাদ দিয়ে সর্বসাকল্যে থাকে ৫ হাজার টাকা। সেখানে একই জমিতে অন্যান্য ফসল যেমন ধান, ভুট্টা, গম, মসুর ইত্যাদি তিনবার চাষ করা যায়। এতে কৃষক পায় ৪৫ থেকে ৫৫ হাজার টাকা। তারপর সুগার করপোরেশন আখ নেওয়ার পর যে টাকাটা আখচাষির পাওনা থাকে তা পরিশোধ করতে দীর্ঘদিন সময় লাগে। অথচ অন্যান্য ফসলে নগদ অর্থ পায়।
নাটোর সুগার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মো. আবু বকর বলেন, এবার এই মিলের আওতাধীন জমিতে ৫০ হাজার মেট্রিক টনের বেশি আখ উৎপাদন করা যায়নি। তবে আখের মূল্যবৃদ্ধি, সময়মতো প্রয়োজনীয় সার সরবরাহ ও মিলে আখ সরবরাহের সঙ্গে সঙ্গেই আখের মূল্য পরিশোধ করা হলে চাষিরা আবার আখ উৎপাদনে আগ্রহী হবে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৫ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৯ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৯ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৯ দিন আগে