নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
কয়েক কোটি নাগরিকের গোপন তথ্য ফাঁসের ঘটনায় তিন দিন পরও কোনো মামলা বা সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়নি। এই ঘটনায় দায় কার বা কাদের, তা-ও নিরূপণ হয়নি। শুধু দুইটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তথ্য ফাঁসের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার সুযোগ রয়েছে। তবে এর আগে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করে দায়ী হিসেবে যারা চিহ্নিত হবে, তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয়, ফৌজদারি, ডিজিটাল নিরাপত্তা কিংবা দুদক আইনে মামলা করা যাবে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অনলাইন সংবাদ মাধ্যম টেকক্রাঞ্চের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারি একটি ওয়েবসাইট থেকেই নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়েছে বলে একটি সাইবার সিকিউরিটি প্রতিষ্ঠান প্রমাণ পেয়েছে। সেই সাইট থেকে কয়েক কোটি মানুষের নাম, ফোন নম্বর, ই-মেইল ঠিকানা, এনআইডি নম্বরসহ ব্যক্তিগত গোপনীয় তথ্য পাওয়া যায়।
এক দিন পর সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি স্বীকার করেছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেছেন, ঘটনাটি ঘটেছে কারিগরি দুর্বলতায়। কেউ ওয়েবসাইট হ্যাক করেনি।
ওয়েবসাইটটি নিজে থেকেই ভঙ্গুর ছিল। সরকার বলছে, প্রাথমিকভাবে সরকারি দুটি সার্ভার থেকে নাগরিকদের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিগত তথ্য ‘ফাঁস’ হয়েছে বলে জানা গেছে। দুটি ওয়েবসাইটের একটি জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন-সংক্রান্ত রেজিস্ট্রার জেনারেল কার্যালয়। এটি স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনে। ওয়েবসাইটটি এনআইডির তথ্যভান্ডারের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও মাঝে কোনো নিরাপত্তাবলয় ছিল না।
তথ্য ফাঁসের খবর প্রকাশের পর তথ্যের সুরক্ষা নিয়ে সবার মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে কী ধরনের ক্ষতি সাইবার অপরাধীরা করতে পারে, সে নিয়ে চিন্তায় আছেন অনেকে। বিষয়টি আমলে নিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সরকারি ওয়েবসাইটগুলোর তথ্য সুরক্ষা, সাইবার নিরাপত্তা যাচাই করার এবং ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, যদি প্রতিমন্ত্রীর কথাই ঠিক হয়, তাহলে যাঁরা সরকারি ওয়েবসাইট তৈরি করেছেন, সেখানে নাগরিকের তথ্যের নিরাপত্তা দিতে পারেননি। ডেটা প্রোটেকশন আইনে ওই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আইনের আওতায় আনা যাবে। এ ছাড়া এত এত বরাদ্দ দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি হলো, কিন্তু নিরাপত্তাবলয় রাখা হলো না কেন? এ নিয়েও তদন্ত হতে পারে।
দুটি কমিটি
তথ্য ফাঁসের ঘটনায় দুইটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। গতকাল সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের নেতৃত্বে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো (সিআইআই) তালিকায় থাকা ২৯টি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে তথ্য ফাঁসের বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক করা হয়।পাশাপাশি ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে। সবাইকে সে বিষয়ে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়। বৈঠক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
বৈঠক শেষে জুনাইদ আহমেদ পলক সাংবাদিকদের জানান, ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির মহাপরিচালককে প্রধান করে গঠন করা কমিটিকে আগামী সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। আরেকটি স্থায়ী কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটি এ ধরনের ঘটনা নিয়মিত মনিটরিং করবে।
তথ্য ফাঁসে ঝুঁকির বিষয়ে পলক বলেন, তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পেলেই ঝুঁকির পরিমাণ পরিষ্কার হয়ে যাবে। লাখ লাখ তথ্য ফাঁসের বিষয়ে পলক বলেন, যেসব তথ্য ফাঁস হয়েছে, তা লাখ লাখ বলা হলেও কথাটি সত্য নয়। বরং গুটিকয়েক মানুষের তথ্য ফাঁস হয়েছে, যা কোনোভাবেই জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি নয়। তবে ব্যক্তি পর্যায়ে কিছুটা ঝুঁকির শঙ্কা আছে।
কয়েক কোটি নাগরিকের গোপন তথ্য ফাঁসের ঘটনায় তিন দিন পরও কোনো মামলা বা সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়নি। এই ঘটনায় দায় কার বা কাদের, তা-ও নিরূপণ হয়নি। শুধু দুইটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তথ্য ফাঁসের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার সুযোগ রয়েছে। তবে এর আগে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করে দায়ী হিসেবে যারা চিহ্নিত হবে, তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয়, ফৌজদারি, ডিজিটাল নিরাপত্তা কিংবা দুদক আইনে মামলা করা যাবে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অনলাইন সংবাদ মাধ্যম টেকক্রাঞ্চের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারি একটি ওয়েবসাইট থেকেই নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়েছে বলে একটি সাইবার সিকিউরিটি প্রতিষ্ঠান প্রমাণ পেয়েছে। সেই সাইট থেকে কয়েক কোটি মানুষের নাম, ফোন নম্বর, ই-মেইল ঠিকানা, এনআইডি নম্বরসহ ব্যক্তিগত গোপনীয় তথ্য পাওয়া যায়।
এক দিন পর সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি স্বীকার করেছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেছেন, ঘটনাটি ঘটেছে কারিগরি দুর্বলতায়। কেউ ওয়েবসাইট হ্যাক করেনি।
ওয়েবসাইটটি নিজে থেকেই ভঙ্গুর ছিল। সরকার বলছে, প্রাথমিকভাবে সরকারি দুটি সার্ভার থেকে নাগরিকদের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিগত তথ্য ‘ফাঁস’ হয়েছে বলে জানা গেছে। দুটি ওয়েবসাইটের একটি জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন-সংক্রান্ত রেজিস্ট্রার জেনারেল কার্যালয়। এটি স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনে। ওয়েবসাইটটি এনআইডির তথ্যভান্ডারের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও মাঝে কোনো নিরাপত্তাবলয় ছিল না।
তথ্য ফাঁসের খবর প্রকাশের পর তথ্যের সুরক্ষা নিয়ে সবার মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে কী ধরনের ক্ষতি সাইবার অপরাধীরা করতে পারে, সে নিয়ে চিন্তায় আছেন অনেকে। বিষয়টি আমলে নিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সরকারি ওয়েবসাইটগুলোর তথ্য সুরক্ষা, সাইবার নিরাপত্তা যাচাই করার এবং ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, যদি প্রতিমন্ত্রীর কথাই ঠিক হয়, তাহলে যাঁরা সরকারি ওয়েবসাইট তৈরি করেছেন, সেখানে নাগরিকের তথ্যের নিরাপত্তা দিতে পারেননি। ডেটা প্রোটেকশন আইনে ওই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আইনের আওতায় আনা যাবে। এ ছাড়া এত এত বরাদ্দ দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি হলো, কিন্তু নিরাপত্তাবলয় রাখা হলো না কেন? এ নিয়েও তদন্ত হতে পারে।
দুটি কমিটি
তথ্য ফাঁসের ঘটনায় দুইটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। গতকাল সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের নেতৃত্বে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো (সিআইআই) তালিকায় থাকা ২৯টি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে তথ্য ফাঁসের বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক করা হয়।পাশাপাশি ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে। সবাইকে সে বিষয়ে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়। বৈঠক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
বৈঠক শেষে জুনাইদ আহমেদ পলক সাংবাদিকদের জানান, ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির মহাপরিচালককে প্রধান করে গঠন করা কমিটিকে আগামী সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। আরেকটি স্থায়ী কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটি এ ধরনের ঘটনা নিয়মিত মনিটরিং করবে।
তথ্য ফাঁসে ঝুঁকির বিষয়ে পলক বলেন, তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পেলেই ঝুঁকির পরিমাণ পরিষ্কার হয়ে যাবে। লাখ লাখ তথ্য ফাঁসের বিষয়ে পলক বলেন, যেসব তথ্য ফাঁস হয়েছে, তা লাখ লাখ বলা হলেও কথাটি সত্য নয়। বরং গুটিকয়েক মানুষের তথ্য ফাঁস হয়েছে, যা কোনোভাবেই জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি নয়। তবে ব্যক্তি পর্যায়ে কিছুটা ঝুঁকির শঙ্কা আছে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে