হিলাল ফয়েজী
হিলারি ম্যাডাম এসেছে ফিরিয়া...
‘ম্যাডাম’ অনেক দিন শিরোনামে ছিলেন না। তাই বলে তিনি কখনোই নিষ্ক্রিয় থাকেন না। মার্কিনি ক্ষমতাভুবনের ওপরতলার সক্রিয় একজন মাস্টারমাইন্ড হিসেবে তিনি মহাগণ্য, কখনো সশব্দে। কভু নিঃশব্দে।
সেই ওপরতলায় তাঁর পরিচিতি একজন সদা ‘ক্ষমতাচক্রী’ হিসেবেই। যেমন প্রবীণ বাইডেন যখন বিমান সিঁড়িতে কিংবা সভামঞ্চে হঠাৎ হড়কে পড়েন, তখনই নাকি ম্যাডামের মনে পুনঃ প্রেসিডেন্ট হওয়ার বাসনা রোশনাই হয়ে ওঠে। তবুও সেই প্রশ্নে প্রকাশ্য শিরোনামে তিনি এখনো আসেননি। ‘ডেমোক্রেসি’ শব্দটিকে ভুবনজুড়ে দলাইমলাই করা ডেমোক্রেটিক পার্টির বিভিন্ন দল-উপদল-খণ্ডাংশে হিলারি আপুর বিরোধীও কম নেই। নইলে ট্রাম্প তাঁকে ওভাবে ওভারট্রাম্প দিয়ে সেবার প্রেসিডেন্ট পদে বিজয়ী হতেন না। যাক, সেই বড় বড় বানরের বড় বড় লেজ নিয়ে কথা। আমরা বড় ভয়ে আছি পুঁচকে ইঁদুরেরা। মাও সে-তুং বেঁচে নেই। তবু বড় বড় দেশে ইয়া ম্যাঁওয়ের সংখ্যা বর্ধমান।
এত বড় দেশের ‘এতনা বড়া’ ম্যাডামকে নিয়ে এই বকলম নিম্নমানের রসিকতার অস্ত্র নিয়ে মাঠে নামলাম অনেক দিন পর। মার্কিনি পত্রিকাতেই খবর-গুজব পড়েছিলাম। বছর কয়েক আগে ম্যাডামের একজন সিকিউরিটি মানবকে জড়িয়ে ম্যাডামের নাম উঠেছিল। তারপর থেকে সেই সিকিউরিটি যে ‘হাওয়া’ কিংবা ‘গুম’ হয়ে গেল, আজও তার হদিস মেলেনি। সেই সিকিউরিটি ব্যক্তির বোধ করি মা নেই এবং সে দেশে ‘মায়ের কান্না’র সুযোগও নেই।
তা হিলারি হচ্ছেন একজন পেশাজীবী ‘দালাল’। না হে পাঠক, ‘দালাল’ শব্দ ব্যবহারে চট করে অধমের ওপর চটেমটে উঠবেন না। মার্কিন মুল্লুকে রাষ্ট্রীয়ভাবেই ‘দালাল’ মানে ‘লবিস্ট’ পেশা অনুমোদিত। আমাদের দেশের ক্ষমতার ওপরওয়ালা বড় বড় দল-ব্যক্তি-যুদ্ধাপরাধী গং—এরা সবাই প্রায়ই প্রয়োজনে লবিস্ট ধরে মার্কিন মহল্লায়। তাতে কখনো ফল, কখনো বিফল। এবার অবশ্য আমাদের প্রধান বিরোধী দল সে দেশে বিপুল টংক-ব্যয়ে নানা ‘লবি’ প্রভাবিত করে বেশ সাফল্য অর্জন করেছে। ফলে ক্ষমতা ছুঁই ছুঁই আনন্দে তারা কখনো ‘ডগমগ’, কখনো ‘মগডগ’ হয়ে যাচ্ছে।
আমাদের হিলারি ম্যাডামদের পারিবারিক ফাউন্ডেশন যার নাম ‘ক্লিনটন ফাউন্ডেশন’ একটি সক্রিয় মালদার সংগঠন। পৃথিবীর নানাবিধ ‘সমাজকল্যাণ’-সংগঠনের নামে চাঁদা তোলে। সেই চাঁদার একটা কমিশন দিতে হয় চাঁদাপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানটিকে। সেই বিচারে ‘গ্রামীণ ব্যাংক’ একটি দারুণ পাওয়া মোয়া। সংগঠনটির নাম এবং মহিমা যত ছড়ানো যাবে, ততই গ্রান্ট, ফান্ড, সাহায্য এবং সেই বিচারে ক্লিনটন ফাউন্ডেশনের অঢেল ঢালাও কমিশন ডলার।
এতে হাসিনা সরকারের অসুবিধা কিংবা উষ্মার কী কারণ থাকতে পারে! এখানেই গোলক ধাঁধা। বাংলাদেশে ক্ষমতার প্রধান তিনটি পক্ষ: সরকারি দল, বিরোধী দল ও সুশীল বাহিনী। এই সুশীল বাহিনীর ধারণা, বাংলাদেশের রাজনীতিকদের মাথায় নেই মগজ, খালি খালি গজগজ। বিদেশি বিনিয়োগকারী মহলের কানে সদা কানাকানি, রাজনৈতিক দল নয়, আমাদের হাতে দাও, দেখো দেশটাকে উন্নয়নের চাঙে তুলে দিই।
অতএব প্রকল্প এক: ২০০১ সালে ইউরোপ-আমেরিকা-ভারতকে একসূত্রে গেঁথে হাসিনা সরকারকে চরকি খাওয়াও, উড়িয়ে দাও। প্রকল্প এক পরিপূর্ণ সফল হলো। ক্ষমতায় সপুত্র সপরিবারে খালেদা। এবার প্রকল্প দুই: খালেদা সরকারকে দুর্নীতির অবাধ সুযোগ দাও। এরাও পচে যাবে অচিরেই। অতঃপর প্রকল্প তিন: এসো হে এক-এগারো। মিলিটারি-সুশীল মিলিয়ে এসো হে ক্ষমতা। আমাদের প্রধান মুখ হবেন ড. ইউনূস। ক্ষুদ্রঋণের বিশাল কুশীলব।
এখানেই কিঞ্চিৎ গড়বড় হয়ে গেল। ড. ইউনূসের ইগো কিংবা অহং সমুদ্রসমান। তিনি বলেছেন, এখন ফখরুদ্দিন ড. কে বসাও। আমি দল গড়ব। ভোট করব। ন্যূনতম দশ বছরে দেশকে সিধা করে দেব। শুরু হলো হালকা ডিজিটাল নাগরিক শক্তি দল। বাংলা প্রবচনে কলকে পেল না মহান প্রস্তুতির বিশাল তহবিলের দল। হাসিনা-খালেদা একযোগে বিশেষ জেলে এবং গোপন ঐক্য। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র বনাম সেনা সংঘর্ষ। এরপর আন্তর্জাতিক মহল, সুশীল রেজিমেন্ট এবং মিলিটারি জেনারেলদের যুগপৎ পশ্চাদপসরণ। পরিবর্তিত বাস্তবতায় হাসিনা ক্ষমতায়। এক-এগারো বাহিনীর সরকারপ্রধান ও সেনাপ্রধান ভেসে গেলেন মার্কিন মুল্লুকের মায়ামি বিচে।
এখন একদিকে হাসিনা। অপরদিকে খালেদা + সুশীল। চলছে লড়াই ১৫ বছর ধরে। চলবে লড়াই। পদ্মা বাঁধে হিলারি ম্যাডামের চ্যালা ধরণি ব্যাংকের তখনকার প্রধানকে ঘাড়ে ধরে বরাদ্দ বাতিল করানো হলো। তবু হাসিনার ইচ্ছাশক্তির কাছে হার মানতে হলো ইউনূস গংয়ের।
অবশেষে এবার নবায়িত যোশে আমেরিকা+ইউরোপ+সুশীল+বিরোধী মিলে জাতীয় সরকারের তত্ত্ব-আমসত্ত্ব। মার্কিনি হুংকার। ওহে পুঁচকে বাংলাদেশ, আমরা চীনের বিরুদ্ধে, আমাদের জোটে তোমাদেরও চাই। না, তোমাদের সেনা সাহায্য চাই না, চাই বঙ্গোপসাগর। যদি না আসো ঘাড় মটকে দেব। জাতীয় সরকারে ড. ইউনূসকে প্রধান করে বুঝিয়ে দেব ওই ক্রম-ক্ষমতাবান চীনকে। আর হাসিনা? কী যে হবে তোমার? পঁচাত্তর-দুই হাজার চারের আগস্ট মনস্টারদের ভুলে গেছ?
এদিকে ভারত পড়েছে বিপাকে। তারা চীনের বিরুদ্ধে, তাই বলে হাসিনারও বিরুদ্ধে, তা নয়। আর মার্কিনি মদদে হঠাৎ তাগড়া বিএনপি তো ‘এক দফা-শেষ দফা’ করে আকাশ-পাতাল-মর্ত্যভূমি কাঁপিয়ে দিতে থাকল। এদিকে খোদ আমেরিকাকে চ্যালেঞ্জ জানাল হাসিনা। অ্যান্ট (পিঁপড়া) বুঝি হুংকার ছড়াল এলিফ-অ্যান্ট (হস্তী)-কে।
এদিকে ড. ইউনূস তাঁর বিশ্ববাহিনী নিয়ে বিবৃতি-মিসাইল ছুড়ে সর্বশক্তি নিয়ে মাঠে। সুশীলেরা পুনঃ তাগড়া। এখন কী হবে?
এই অ্যালজেবরাটি এখন জাবর-থাবর হয়ে আছে। চাকরির বয়সসীমা নিয়ে আদালতে গেলেন ইউনূস ভ্রাতঃ আপনি। হারলেন। এখন আদালতে আপনার বিরুদ্ধে মামলা। আপনি দোষী না নির্দোষ, সেটা পরের কথা। মাঠে নেমে এলেন খোদ হিলারি। আমাদের বিচার বিভাগ বিশ্বাসযোগ্য নয় বলছেন। তা ট্রাম্প মশাইও তো বলছেন মার্কিন সরকার ও বিচার বিভাগ ইহা-উহা-যাহা-তাহা।
আমরা মূর্খ মর্ত্যবাসী তাহা হইলে আর কী কহিব হিলারি ম্যাডাম?
লেখক: রম্যলেখক
হিলারি ম্যাডাম এসেছে ফিরিয়া...
‘ম্যাডাম’ অনেক দিন শিরোনামে ছিলেন না। তাই বলে তিনি কখনোই নিষ্ক্রিয় থাকেন না। মার্কিনি ক্ষমতাভুবনের ওপরতলার সক্রিয় একজন মাস্টারমাইন্ড হিসেবে তিনি মহাগণ্য, কখনো সশব্দে। কভু নিঃশব্দে।
সেই ওপরতলায় তাঁর পরিচিতি একজন সদা ‘ক্ষমতাচক্রী’ হিসেবেই। যেমন প্রবীণ বাইডেন যখন বিমান সিঁড়িতে কিংবা সভামঞ্চে হঠাৎ হড়কে পড়েন, তখনই নাকি ম্যাডামের মনে পুনঃ প্রেসিডেন্ট হওয়ার বাসনা রোশনাই হয়ে ওঠে। তবুও সেই প্রশ্নে প্রকাশ্য শিরোনামে তিনি এখনো আসেননি। ‘ডেমোক্রেসি’ শব্দটিকে ভুবনজুড়ে দলাইমলাই করা ডেমোক্রেটিক পার্টির বিভিন্ন দল-উপদল-খণ্ডাংশে হিলারি আপুর বিরোধীও কম নেই। নইলে ট্রাম্প তাঁকে ওভাবে ওভারট্রাম্প দিয়ে সেবার প্রেসিডেন্ট পদে বিজয়ী হতেন না। যাক, সেই বড় বড় বানরের বড় বড় লেজ নিয়ে কথা। আমরা বড় ভয়ে আছি পুঁচকে ইঁদুরেরা। মাও সে-তুং বেঁচে নেই। তবু বড় বড় দেশে ইয়া ম্যাঁওয়ের সংখ্যা বর্ধমান।
এত বড় দেশের ‘এতনা বড়া’ ম্যাডামকে নিয়ে এই বকলম নিম্নমানের রসিকতার অস্ত্র নিয়ে মাঠে নামলাম অনেক দিন পর। মার্কিনি পত্রিকাতেই খবর-গুজব পড়েছিলাম। বছর কয়েক আগে ম্যাডামের একজন সিকিউরিটি মানবকে জড়িয়ে ম্যাডামের নাম উঠেছিল। তারপর থেকে সেই সিকিউরিটি যে ‘হাওয়া’ কিংবা ‘গুম’ হয়ে গেল, আজও তার হদিস মেলেনি। সেই সিকিউরিটি ব্যক্তির বোধ করি মা নেই এবং সে দেশে ‘মায়ের কান্না’র সুযোগও নেই।
তা হিলারি হচ্ছেন একজন পেশাজীবী ‘দালাল’। না হে পাঠক, ‘দালাল’ শব্দ ব্যবহারে চট করে অধমের ওপর চটেমটে উঠবেন না। মার্কিন মুল্লুকে রাষ্ট্রীয়ভাবেই ‘দালাল’ মানে ‘লবিস্ট’ পেশা অনুমোদিত। আমাদের দেশের ক্ষমতার ওপরওয়ালা বড় বড় দল-ব্যক্তি-যুদ্ধাপরাধী গং—এরা সবাই প্রায়ই প্রয়োজনে লবিস্ট ধরে মার্কিন মহল্লায়। তাতে কখনো ফল, কখনো বিফল। এবার অবশ্য আমাদের প্রধান বিরোধী দল সে দেশে বিপুল টংক-ব্যয়ে নানা ‘লবি’ প্রভাবিত করে বেশ সাফল্য অর্জন করেছে। ফলে ক্ষমতা ছুঁই ছুঁই আনন্দে তারা কখনো ‘ডগমগ’, কখনো ‘মগডগ’ হয়ে যাচ্ছে।
আমাদের হিলারি ম্যাডামদের পারিবারিক ফাউন্ডেশন যার নাম ‘ক্লিনটন ফাউন্ডেশন’ একটি সক্রিয় মালদার সংগঠন। পৃথিবীর নানাবিধ ‘সমাজকল্যাণ’-সংগঠনের নামে চাঁদা তোলে। সেই চাঁদার একটা কমিশন দিতে হয় চাঁদাপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানটিকে। সেই বিচারে ‘গ্রামীণ ব্যাংক’ একটি দারুণ পাওয়া মোয়া। সংগঠনটির নাম এবং মহিমা যত ছড়ানো যাবে, ততই গ্রান্ট, ফান্ড, সাহায্য এবং সেই বিচারে ক্লিনটন ফাউন্ডেশনের অঢেল ঢালাও কমিশন ডলার।
এতে হাসিনা সরকারের অসুবিধা কিংবা উষ্মার কী কারণ থাকতে পারে! এখানেই গোলক ধাঁধা। বাংলাদেশে ক্ষমতার প্রধান তিনটি পক্ষ: সরকারি দল, বিরোধী দল ও সুশীল বাহিনী। এই সুশীল বাহিনীর ধারণা, বাংলাদেশের রাজনীতিকদের মাথায় নেই মগজ, খালি খালি গজগজ। বিদেশি বিনিয়োগকারী মহলের কানে সদা কানাকানি, রাজনৈতিক দল নয়, আমাদের হাতে দাও, দেখো দেশটাকে উন্নয়নের চাঙে তুলে দিই।
অতএব প্রকল্প এক: ২০০১ সালে ইউরোপ-আমেরিকা-ভারতকে একসূত্রে গেঁথে হাসিনা সরকারকে চরকি খাওয়াও, উড়িয়ে দাও। প্রকল্প এক পরিপূর্ণ সফল হলো। ক্ষমতায় সপুত্র সপরিবারে খালেদা। এবার প্রকল্প দুই: খালেদা সরকারকে দুর্নীতির অবাধ সুযোগ দাও। এরাও পচে যাবে অচিরেই। অতঃপর প্রকল্প তিন: এসো হে এক-এগারো। মিলিটারি-সুশীল মিলিয়ে এসো হে ক্ষমতা। আমাদের প্রধান মুখ হবেন ড. ইউনূস। ক্ষুদ্রঋণের বিশাল কুশীলব।
এখানেই কিঞ্চিৎ গড়বড় হয়ে গেল। ড. ইউনূসের ইগো কিংবা অহং সমুদ্রসমান। তিনি বলেছেন, এখন ফখরুদ্দিন ড. কে বসাও। আমি দল গড়ব। ভোট করব। ন্যূনতম দশ বছরে দেশকে সিধা করে দেব। শুরু হলো হালকা ডিজিটাল নাগরিক শক্তি দল। বাংলা প্রবচনে কলকে পেল না মহান প্রস্তুতির বিশাল তহবিলের দল। হাসিনা-খালেদা একযোগে বিশেষ জেলে এবং গোপন ঐক্য। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র বনাম সেনা সংঘর্ষ। এরপর আন্তর্জাতিক মহল, সুশীল রেজিমেন্ট এবং মিলিটারি জেনারেলদের যুগপৎ পশ্চাদপসরণ। পরিবর্তিত বাস্তবতায় হাসিনা ক্ষমতায়। এক-এগারো বাহিনীর সরকারপ্রধান ও সেনাপ্রধান ভেসে গেলেন মার্কিন মুল্লুকের মায়ামি বিচে।
এখন একদিকে হাসিনা। অপরদিকে খালেদা + সুশীল। চলছে লড়াই ১৫ বছর ধরে। চলবে লড়াই। পদ্মা বাঁধে হিলারি ম্যাডামের চ্যালা ধরণি ব্যাংকের তখনকার প্রধানকে ঘাড়ে ধরে বরাদ্দ বাতিল করানো হলো। তবু হাসিনার ইচ্ছাশক্তির কাছে হার মানতে হলো ইউনূস গংয়ের।
অবশেষে এবার নবায়িত যোশে আমেরিকা+ইউরোপ+সুশীল+বিরোধী মিলে জাতীয় সরকারের তত্ত্ব-আমসত্ত্ব। মার্কিনি হুংকার। ওহে পুঁচকে বাংলাদেশ, আমরা চীনের বিরুদ্ধে, আমাদের জোটে তোমাদেরও চাই। না, তোমাদের সেনা সাহায্য চাই না, চাই বঙ্গোপসাগর। যদি না আসো ঘাড় মটকে দেব। জাতীয় সরকারে ড. ইউনূসকে প্রধান করে বুঝিয়ে দেব ওই ক্রম-ক্ষমতাবান চীনকে। আর হাসিনা? কী যে হবে তোমার? পঁচাত্তর-দুই হাজার চারের আগস্ট মনস্টারদের ভুলে গেছ?
এদিকে ভারত পড়েছে বিপাকে। তারা চীনের বিরুদ্ধে, তাই বলে হাসিনারও বিরুদ্ধে, তা নয়। আর মার্কিনি মদদে হঠাৎ তাগড়া বিএনপি তো ‘এক দফা-শেষ দফা’ করে আকাশ-পাতাল-মর্ত্যভূমি কাঁপিয়ে দিতে থাকল। এদিকে খোদ আমেরিকাকে চ্যালেঞ্জ জানাল হাসিনা। অ্যান্ট (পিঁপড়া) বুঝি হুংকার ছড়াল এলিফ-অ্যান্ট (হস্তী)-কে।
এদিকে ড. ইউনূস তাঁর বিশ্ববাহিনী নিয়ে বিবৃতি-মিসাইল ছুড়ে সর্বশক্তি নিয়ে মাঠে। সুশীলেরা পুনঃ তাগড়া। এখন কী হবে?
এই অ্যালজেবরাটি এখন জাবর-থাবর হয়ে আছে। চাকরির বয়সসীমা নিয়ে আদালতে গেলেন ইউনূস ভ্রাতঃ আপনি। হারলেন। এখন আদালতে আপনার বিরুদ্ধে মামলা। আপনি দোষী না নির্দোষ, সেটা পরের কথা। মাঠে নেমে এলেন খোদ হিলারি। আমাদের বিচার বিভাগ বিশ্বাসযোগ্য নয় বলছেন। তা ট্রাম্প মশাইও তো বলছেন মার্কিন সরকার ও বিচার বিভাগ ইহা-উহা-যাহা-তাহা।
আমরা মূর্খ মর্ত্যবাসী তাহা হইলে আর কী কহিব হিলারি ম্যাডাম?
লেখক: রম্যলেখক
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে