ঝুলন দত্ত, কাপ্তাই (রাঙামাটি)
চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের কাপ্তাই বাসস্ট্যান্ড। পাশে ৪ নম্বর কাপ্তাই ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়। একটু দূরে কাপ্তাই প্রকৌশল একাডেমি।বাসস্ট্যান্ডটি ছোট হলেও বেশ জনাকীর্ণ এই এলাকা। বাসস্ট্যান্ডের পাশে শণের চাল এবং বেড়া দিয়ে ঘেরা খাবারের দোকানটির নাম ‘মাস্টার হোটেল’। হোটেলটি এলাকাবাসীর কাছে বেশ সুপরিচিত। এখানে পাওয়া যায় প্রায় ২০ প্রকারের দেশীয় মাছ!
বাচা, বোয়াল, কাতলা, রুই, শোল, আইর, সরপুঁটি, কাজলি, কাচকি, ট্যাংরা, চিংড়ি, কোরাল, বাচকুইট্যা, কালিগইন্যা মাছসহ ২০ প্রকারের মাছ রান্না হয় মাস্টারের হোটেলে। সেই সঙ্গে পাহাড়ি মুরগি ও বিভিন্ন পদের ভর্তাও পাওয়া যায় সেখানে। কাপ্তাই লেক ও কর্ণফুলী নদীর তাজা এসব মাছের স্বাদ খেলেই বোঝা যায়।
সম্প্রতি এক দুপুরে মাস্টারের হোটেলে উপস্থিত হই। দোকানের ক্যাশবাক্সে তখন বসে ছিলেন হোটেলের মালিক ৭৪ বছর বয়সী ফয়েজ আহমেদ মাস্টার। কথা হয় তাঁর সঙ্গে। বয়স আর জীবনের অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ মানুষটির চুল ও দাড়ি পুরো সফেদ। ফয়েজ আহমেদ জানান, তাঁর বাড়ি ফেনীর সোনাগাজী উপজেলায়। স্বাধীনতার পর পরই তিনি সোনাগাজী ছেড়ে কাপ্তাইয়ে বসবাস শুরু করেন। সেখানে গাড়ির সহকারী এবং ট্রাকচালক হিসেবে দীর্ঘ দিন কাজ করেছেন। সেই সঙ্গে অনেককে শিখিয়েছেন গাড়ি চালানো। সেই সুবাদে তাঁকে সবাই মাস্টার নামে ডাকে।
২০০৩ সালে কাপ্তাই ইউনিয়ন পরিষদের পাশে কাপ্তাই বাসস্ট্যান্ডে এই হোটেলের ব্যবসা শুরু করেন ফয়েজ। তাঁর হোটেলে তাজা মাছ রান্না করা হয়। কাপ্তাই লেক ও কর্ণফুলী নদী থেকে আসে সেগুলো। প্রতিদিন সকালে ফয়েজ আহমেদ নিজে কাপ্তাই জেটিঘাট মৎস্য আহরণ কেন্দ্র থেকে মাছ নিয়ে আসেন। এরপর রান্না করেন। মাছ তাজা থাকে বলে খেতে সুস্বাদু হয়। সে জন্য প্রতিদিনের মাছ প্রতিদিনই শেষ হয়। খাবার বাসি থাকে না।
মাস্টার হোটেলের খাবারদাবার যে সুস্বাদু তা বুঝতে বাকি থাকে না টেবিলে সাজানো বড় বড় থালায় রাখা মাছের তরকারি দেখে। গাঢ় খয়েরি রঙের ঝোলের ওপর ভেসে থাকা তাজা মাছ, তার সঙ্গে এক প্লেট ভাত! খাওয়া শেষে কিছুটা তেল লেগে থাকবে হাতে। কিন্তু তার চেয়েও বেশি জিভে লেগে থাকবে সুস্বাদু খাবারের স্বাদ। অনেক দিন ভুলতে পারবেন না। খেতে খেতে বুঝবেন, এ হোটেলের রান্না ঠিক বাণিজ্যিক রান্না নয়, ঘরোয়া। ভাবনার সত্যতা পাওয়া যায় ফয়েজ আহমেদের কথায়।
বাসায় একেবারে ঘরোয়া পরিবেশে ফয়েজ আহমেদের স্ত্রী ও মেয়ে রান্না করেন এসব খাবার। সেখান থেকে এনে ফয়েজসহ আরও তিনজন মিলে ক্রেতাদের পরিবেশন করেন। প্রতিদিন শখানেক মানুষ খাবার খেতে আসেন এখানে। দৈনিক খরচ বাদ দিয়ে ৫০০ টাকা লাভ থাকে বলে জানান ফয়েজ। তিনি জানান, খাবার বিক্রি করে বেশি লাভের ইচ্ছে তাঁর নেই।
মাস্টার হোটেলে প্রায়ই খেতে আসেন কাপ্তাই উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান দিলদার হোসেন। মাস্টার হোটেলে সব খাবার যে তাজা তার সার্টিফিকেট মেলে দিলদার হোসেনের কাছ থেকে।
দুপুরে এই দোকানে খেতে আসা একটি প্রতিষ্ঠানের বিপণন প্রতিনিধি ইব্রাহীম শাহজাহানের সঙ্গে কথা হয়। তিনি জানান, পেশাগত কারণে কাপ্তাই নতুনবাজার, জেটিঘাট এলাকায় এলে নিয়মিত এই মাস্টার হোটেলেই দুপুরের খাবার শেষ করেন। এই হোটেলের খাবারের মান অত্যন্ত সুস্বাদু ও মানসম্মত বলে জানান ইব্রাহীম শাহজাহান।
কাপ্তাই উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মাহাবুব হাসান বাবু জানান, স্কুল পরিদর্শনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের যাঁরাই আসেন প্রায়ই তাঁদের এই হোটেলের খাবার দিয়ে আপ্যায়ন করান তিনি। ৪ নম্বর কাপ্তাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আবদুল লতিফ জানান, তাঁর ইউনিয়ন পরিষদের পাশের মাস্টার হোটেল মূলত খাবারের মানের কারণে পরিচিতি পেয়েছে।
চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের কাপ্তাই বাসস্ট্যান্ড। পাশে ৪ নম্বর কাপ্তাই ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়। একটু দূরে কাপ্তাই প্রকৌশল একাডেমি।বাসস্ট্যান্ডটি ছোট হলেও বেশ জনাকীর্ণ এই এলাকা। বাসস্ট্যান্ডের পাশে শণের চাল এবং বেড়া দিয়ে ঘেরা খাবারের দোকানটির নাম ‘মাস্টার হোটেল’। হোটেলটি এলাকাবাসীর কাছে বেশ সুপরিচিত। এখানে পাওয়া যায় প্রায় ২০ প্রকারের দেশীয় মাছ!
বাচা, বোয়াল, কাতলা, রুই, শোল, আইর, সরপুঁটি, কাজলি, কাচকি, ট্যাংরা, চিংড়ি, কোরাল, বাচকুইট্যা, কালিগইন্যা মাছসহ ২০ প্রকারের মাছ রান্না হয় মাস্টারের হোটেলে। সেই সঙ্গে পাহাড়ি মুরগি ও বিভিন্ন পদের ভর্তাও পাওয়া যায় সেখানে। কাপ্তাই লেক ও কর্ণফুলী নদীর তাজা এসব মাছের স্বাদ খেলেই বোঝা যায়।
সম্প্রতি এক দুপুরে মাস্টারের হোটেলে উপস্থিত হই। দোকানের ক্যাশবাক্সে তখন বসে ছিলেন হোটেলের মালিক ৭৪ বছর বয়সী ফয়েজ আহমেদ মাস্টার। কথা হয় তাঁর সঙ্গে। বয়স আর জীবনের অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ মানুষটির চুল ও দাড়ি পুরো সফেদ। ফয়েজ আহমেদ জানান, তাঁর বাড়ি ফেনীর সোনাগাজী উপজেলায়। স্বাধীনতার পর পরই তিনি সোনাগাজী ছেড়ে কাপ্তাইয়ে বসবাস শুরু করেন। সেখানে গাড়ির সহকারী এবং ট্রাকচালক হিসেবে দীর্ঘ দিন কাজ করেছেন। সেই সঙ্গে অনেককে শিখিয়েছেন গাড়ি চালানো। সেই সুবাদে তাঁকে সবাই মাস্টার নামে ডাকে।
২০০৩ সালে কাপ্তাই ইউনিয়ন পরিষদের পাশে কাপ্তাই বাসস্ট্যান্ডে এই হোটেলের ব্যবসা শুরু করেন ফয়েজ। তাঁর হোটেলে তাজা মাছ রান্না করা হয়। কাপ্তাই লেক ও কর্ণফুলী নদী থেকে আসে সেগুলো। প্রতিদিন সকালে ফয়েজ আহমেদ নিজে কাপ্তাই জেটিঘাট মৎস্য আহরণ কেন্দ্র থেকে মাছ নিয়ে আসেন। এরপর রান্না করেন। মাছ তাজা থাকে বলে খেতে সুস্বাদু হয়। সে জন্য প্রতিদিনের মাছ প্রতিদিনই শেষ হয়। খাবার বাসি থাকে না।
মাস্টার হোটেলের খাবারদাবার যে সুস্বাদু তা বুঝতে বাকি থাকে না টেবিলে সাজানো বড় বড় থালায় রাখা মাছের তরকারি দেখে। গাঢ় খয়েরি রঙের ঝোলের ওপর ভেসে থাকা তাজা মাছ, তার সঙ্গে এক প্লেট ভাত! খাওয়া শেষে কিছুটা তেল লেগে থাকবে হাতে। কিন্তু তার চেয়েও বেশি জিভে লেগে থাকবে সুস্বাদু খাবারের স্বাদ। অনেক দিন ভুলতে পারবেন না। খেতে খেতে বুঝবেন, এ হোটেলের রান্না ঠিক বাণিজ্যিক রান্না নয়, ঘরোয়া। ভাবনার সত্যতা পাওয়া যায় ফয়েজ আহমেদের কথায়।
বাসায় একেবারে ঘরোয়া পরিবেশে ফয়েজ আহমেদের স্ত্রী ও মেয়ে রান্না করেন এসব খাবার। সেখান থেকে এনে ফয়েজসহ আরও তিনজন মিলে ক্রেতাদের পরিবেশন করেন। প্রতিদিন শখানেক মানুষ খাবার খেতে আসেন এখানে। দৈনিক খরচ বাদ দিয়ে ৫০০ টাকা লাভ থাকে বলে জানান ফয়েজ। তিনি জানান, খাবার বিক্রি করে বেশি লাভের ইচ্ছে তাঁর নেই।
মাস্টার হোটেলে প্রায়ই খেতে আসেন কাপ্তাই উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান দিলদার হোসেন। মাস্টার হোটেলে সব খাবার যে তাজা তার সার্টিফিকেট মেলে দিলদার হোসেনের কাছ থেকে।
দুপুরে এই দোকানে খেতে আসা একটি প্রতিষ্ঠানের বিপণন প্রতিনিধি ইব্রাহীম শাহজাহানের সঙ্গে কথা হয়। তিনি জানান, পেশাগত কারণে কাপ্তাই নতুনবাজার, জেটিঘাট এলাকায় এলে নিয়মিত এই মাস্টার হোটেলেই দুপুরের খাবার শেষ করেন। এই হোটেলের খাবারের মান অত্যন্ত সুস্বাদু ও মানসম্মত বলে জানান ইব্রাহীম শাহজাহান।
কাপ্তাই উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মাহাবুব হাসান বাবু জানান, স্কুল পরিদর্শনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের যাঁরাই আসেন প্রায়ই তাঁদের এই হোটেলের খাবার দিয়ে আপ্যায়ন করান তিনি। ৪ নম্বর কাপ্তাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আবদুল লতিফ জানান, তাঁর ইউনিয়ন পরিষদের পাশের মাস্টার হোটেল মূলত খাবারের মানের কারণে পরিচিতি পেয়েছে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে