মযহারুল ইসলাম বাবলা
কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালীনই আন্দোলনের নতুন নামকরণ করা হয় ‘বৈষম্যবিরোধী’ আন্দোলন। অর্থাৎ বাংলাদেশের প্রধানতম সমস্যাটি হচ্ছে বৈষম্য। সামাজিক, অর্থনৈতিক বৈষম্যের শিকার সমষ্টিগত মানুষ। এতে আন্দোলনের গতি প্রবলতর হয়ে ওঠে, সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহণে। বাস্তবে আন্দোলনকারীরা বৈষম্য শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন ৫৬ শতাংশ কোটা সংরক্ষণের বৈষম্যের বিরুদ্ধে। তাঁরা কোটা-বৈষম্যের অবসান চেয়েছিলেন। কিন্তু সামাজিক, অর্থনৈতিক বৈষম্য আন্দোলনে অন্তর্ভুক্ত ছিল না। আন্দোলনকারীরা সেটা বলেনওনি। একটি অরাজনৈতিক সরকারি চাকরির নিশ্চয়তার আন্দোলন ক্রমেই সরকার পতনের অভিমুখে রওনা দিয়েছিল। কারণটা সবারই জানা। সরকার গত ১৬ বছরে বিরোধী দলের আন্দোলনকে কঠোর পন্থাবলম্বনে দমনে সফল হয়েছিল। একই পন্থা কোটা আন্দোলনকারীদের ক্ষেত্রেও ব্যবহার করে লেলিয়ে দেওয়া হয় ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগের ঠ্যাঙারে বাহিনীকে। তারা নির্বিচারে আন্দোলনকারী ছাত্র-ছাত্রীদের নৃশংসভাবে আহত-নিহত করে। আহতরা ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে গেলে সেখানেও ছাত্রলীগ আহতদের ব্যাপকভাবে মারধর করে। ওদিকে বসে ছিল না রাষ্ট্রের পুলিশ। তারা নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালানোর ফলে সাধারণ মানুষ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পক্ষে দাঁড়িয়ে যায়। বিগত সরকারের আমলে পুলিশের দৌরাত্ম্য এবং অসীম ক্ষমতার নৃশংসতার শিকার গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অংশ নেওয়া প্রতিটি রাজনৈতিক দল ও জোটকে বহন করতে হয়েছে।
আমার দেখা উনসত্তর এবং নব্বইয়ের অভ্যুত্থানের পুনরাবৃত্তি এবারও দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সমর্থন প্রত্যাহারে আইয়ুবের পতন ঘটেছিল। নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানেও সেনাবাহিনী জেনারেল এরশাদের পক্ষ ত্যাগ করায় এরশাদকে ক্ষমতা ত্যাগ করতে হয়েছিল। শেখ হাসিনার ক্ষেত্রেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। আমাদের অতীত এবং হালের গণ-অভ্যুত্থানের পরিণতিও অভিন্ন বলেই মনে হচ্ছে। আইয়ুবের স্থলে ইয়াহিয়া খানের ক্ষমতা দখল। সত্তরের নির্বাচন এবং চূড়ান্তে গণহত্যা। জেনারেল এরশাদের পতনের আন্দোলনে প্রধান দুই দলের নেত্রী ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ফলে আন্দোলন গণ-অভ্যুত্থানে রূপ লাভ করে। পরিণতিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন-পরবর্তী দুই দলের বৈরিতায় একে অপরের প্রধান শত্রুতে পরিণত হয়। দ্বিদলীয় ব্যবস্থায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার বিপরীতে স্বৈরাচারী শাসনেরই পুনরাবৃত্তি ঘটেছিল। দুই বছর মেয়াদি সেনাশাসিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শাসনামলের পর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৪ দলীয় জোট ক্ষমতাসীন হয়ে একদলীয় শাসন ১৬ বছর বলবৎ করতে পেরেছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। তাঁকে বিদায় নিতে হয়েছে।
সেনাপ্রধান দেশের সর্বময় দায়িত্ব গ্রহণের প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছিলেন বটে, তবে প্রত্যক্ষে তাঁরা ক্ষমতা গ্রহণ করেননি। নেপথ্যে রয়েছেন। আন্দোলনকারীদের পছন্দানুযায়ী দেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের সংবাদ প্রচার হলেও নেপথ্যে কারা ছিল সেটা ক্রমেই প্রকাশ পাবে। কিন্তু রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে সরকার আশা জাগানিয়া কিছু এ পর্যন্ত করতে পেরেছে বলে অনুমিত হয়নি। আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটেছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার নানা ঘটনা ঘটছে। গণহারে হামলা এবং বিগত সরকারের অনুরূপ মামলা দেওয়া অবিরাম চলছে। যাঁদেরই গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাঁদের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ব্যতিরেকে হত্যা মামলায় অভিযুক্ত করে রিমান্ডে নিয়ে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। এতে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে পূর্ববর্তী সরকারের অনিবার্য ধারাবাহিকতা।
স্বীকার করতে হবে, বহু ত্যাগ-আত্মত্যাগে সফল গণ-অভ্যুত্থান গণমানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন অতীতেও বাস্তবায়িত হয়নি। আগামীতে হবে তেমনটাও আশা করা যাচ্ছে না। সরকার সংস্কারের কথা বলছে। কিন্তু বিদ্যমান ব্যবস্থাকে অক্ষুণ্ন রেখে সংস্কারে কুলাবে না। ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন ব্যতীত সব মানুষের অধিকার, সমমর্যাদা এবং বৈষম্য দূর করা না গেলে একের পর এক ঘটনা ঘটতেই থাকবে। জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না। বৈষম্যকে ভিত্তি করেই সমাজ ও রাষ্ট্রের সব বৈষম্যের অবসান করতে হবে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন সফল হয়েছে। এখন সামাজিক, অর্থনৈতিক বৈষম্যের অবসান করা সম্ভব না হলে, সে তো একই বৃত্তে ঘুরপাক করা দাঁড়াবে।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা আন্দোলনকারীদের ফাউন্ডেশন গঠনে ১০০ কোটি টাকা দিয়েছেন। অথচ ব্যাংক থেকে মানুষ নিজেদের জমাকৃত অর্থ উত্তোলন করতে পারছে না, ব্যাংকে অর্থ না থাকার কারণে। বন্যা-পরবর্তী মানুষের দুর্দশা মোচনে সরকারের কোনো ভূমিকা দেখা যায়নি। বিপরীতে শিক্ষাঙ্গনে বিরাজনীতিকরণের প্রক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। এমনকি কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ১৪ দফা দাবির প্রথম দাবিটি হচ্ছে দেশের সব শিক্ষাঙ্গনে ছাত্র, শিক্ষক, কর্মচারীদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি। এ ধরনের গর্হিত উদ্যোগ ব্রিটিশ, পাকিস্তানি এবং বাংলাদেশের শাসকশ্রেণি বহু চেষ্টা করেও সফল হতে পারেনি। ক্ষমতার দম্ভে আন্দোলনকারীদের দাবিও ধোপে টিকবে না। বিপরীতে বিতর্কিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। একটি চরম ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসানের পর আমরা সামাজিক বৈষম্য নিরসনের প্রত্যাশায় আছি। বিদ্যমান ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তনে একটি গণতান্ত্রিক সমাজ ও রাষ্ট্রের আকাঙ্ক্ষাও আমাদের আছে। সংস্কারের কথা জোরালোভাবে প্রচারিত হচ্ছে। কিন্তু সংস্কারে সমষ্টিগত মানুষের ভাগ্য-বদল আশা করা যাবে না। দেশবাসীর আশা-আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়নের স্বপ্ন তবে কি অধরাই থেকে যাবে, তাদের স্বপ্ন-আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন ঘটবে না? কেবল অতীতের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতারই বদল হবে, ব্যবস্থার নয়? সমাজ বদলের কোনো আলামত তো আমরা দেখতে পারছি না। তবে কি কেবলই কানামাছি, কেবলই অন্ধকার!
লেখক: নির্বাহী সম্পাদক, নতুন দিগন্ত
কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালীনই আন্দোলনের নতুন নামকরণ করা হয় ‘বৈষম্যবিরোধী’ আন্দোলন। অর্থাৎ বাংলাদেশের প্রধানতম সমস্যাটি হচ্ছে বৈষম্য। সামাজিক, অর্থনৈতিক বৈষম্যের শিকার সমষ্টিগত মানুষ। এতে আন্দোলনের গতি প্রবলতর হয়ে ওঠে, সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহণে। বাস্তবে আন্দোলনকারীরা বৈষম্য শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন ৫৬ শতাংশ কোটা সংরক্ষণের বৈষম্যের বিরুদ্ধে। তাঁরা কোটা-বৈষম্যের অবসান চেয়েছিলেন। কিন্তু সামাজিক, অর্থনৈতিক বৈষম্য আন্দোলনে অন্তর্ভুক্ত ছিল না। আন্দোলনকারীরা সেটা বলেনওনি। একটি অরাজনৈতিক সরকারি চাকরির নিশ্চয়তার আন্দোলন ক্রমেই সরকার পতনের অভিমুখে রওনা দিয়েছিল। কারণটা সবারই জানা। সরকার গত ১৬ বছরে বিরোধী দলের আন্দোলনকে কঠোর পন্থাবলম্বনে দমনে সফল হয়েছিল। একই পন্থা কোটা আন্দোলনকারীদের ক্ষেত্রেও ব্যবহার করে লেলিয়ে দেওয়া হয় ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগের ঠ্যাঙারে বাহিনীকে। তারা নির্বিচারে আন্দোলনকারী ছাত্র-ছাত্রীদের নৃশংসভাবে আহত-নিহত করে। আহতরা ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে গেলে সেখানেও ছাত্রলীগ আহতদের ব্যাপকভাবে মারধর করে। ওদিকে বসে ছিল না রাষ্ট্রের পুলিশ। তারা নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালানোর ফলে সাধারণ মানুষ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পক্ষে দাঁড়িয়ে যায়। বিগত সরকারের আমলে পুলিশের দৌরাত্ম্য এবং অসীম ক্ষমতার নৃশংসতার শিকার গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অংশ নেওয়া প্রতিটি রাজনৈতিক দল ও জোটকে বহন করতে হয়েছে।
আমার দেখা উনসত্তর এবং নব্বইয়ের অভ্যুত্থানের পুনরাবৃত্তি এবারও দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সমর্থন প্রত্যাহারে আইয়ুবের পতন ঘটেছিল। নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানেও সেনাবাহিনী জেনারেল এরশাদের পক্ষ ত্যাগ করায় এরশাদকে ক্ষমতা ত্যাগ করতে হয়েছিল। শেখ হাসিনার ক্ষেত্রেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। আমাদের অতীত এবং হালের গণ-অভ্যুত্থানের পরিণতিও অভিন্ন বলেই মনে হচ্ছে। আইয়ুবের স্থলে ইয়াহিয়া খানের ক্ষমতা দখল। সত্তরের নির্বাচন এবং চূড়ান্তে গণহত্যা। জেনারেল এরশাদের পতনের আন্দোলনে প্রধান দুই দলের নেত্রী ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ফলে আন্দোলন গণ-অভ্যুত্থানে রূপ লাভ করে। পরিণতিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন-পরবর্তী দুই দলের বৈরিতায় একে অপরের প্রধান শত্রুতে পরিণত হয়। দ্বিদলীয় ব্যবস্থায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার বিপরীতে স্বৈরাচারী শাসনেরই পুনরাবৃত্তি ঘটেছিল। দুই বছর মেয়াদি সেনাশাসিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শাসনামলের পর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৪ দলীয় জোট ক্ষমতাসীন হয়ে একদলীয় শাসন ১৬ বছর বলবৎ করতে পেরেছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। তাঁকে বিদায় নিতে হয়েছে।
সেনাপ্রধান দেশের সর্বময় দায়িত্ব গ্রহণের প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছিলেন বটে, তবে প্রত্যক্ষে তাঁরা ক্ষমতা গ্রহণ করেননি। নেপথ্যে রয়েছেন। আন্দোলনকারীদের পছন্দানুযায়ী দেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের সংবাদ প্রচার হলেও নেপথ্যে কারা ছিল সেটা ক্রমেই প্রকাশ পাবে। কিন্তু রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে সরকার আশা জাগানিয়া কিছু এ পর্যন্ত করতে পেরেছে বলে অনুমিত হয়নি। আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটেছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার নানা ঘটনা ঘটছে। গণহারে হামলা এবং বিগত সরকারের অনুরূপ মামলা দেওয়া অবিরাম চলছে। যাঁদেরই গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাঁদের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ব্যতিরেকে হত্যা মামলায় অভিযুক্ত করে রিমান্ডে নিয়ে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। এতে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে পূর্ববর্তী সরকারের অনিবার্য ধারাবাহিকতা।
স্বীকার করতে হবে, বহু ত্যাগ-আত্মত্যাগে সফল গণ-অভ্যুত্থান গণমানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন অতীতেও বাস্তবায়িত হয়নি। আগামীতে হবে তেমনটাও আশা করা যাচ্ছে না। সরকার সংস্কারের কথা বলছে। কিন্তু বিদ্যমান ব্যবস্থাকে অক্ষুণ্ন রেখে সংস্কারে কুলাবে না। ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন ব্যতীত সব মানুষের অধিকার, সমমর্যাদা এবং বৈষম্য দূর করা না গেলে একের পর এক ঘটনা ঘটতেই থাকবে। জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না। বৈষম্যকে ভিত্তি করেই সমাজ ও রাষ্ট্রের সব বৈষম্যের অবসান করতে হবে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন সফল হয়েছে। এখন সামাজিক, অর্থনৈতিক বৈষম্যের অবসান করা সম্ভব না হলে, সে তো একই বৃত্তে ঘুরপাক করা দাঁড়াবে।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা আন্দোলনকারীদের ফাউন্ডেশন গঠনে ১০০ কোটি টাকা দিয়েছেন। অথচ ব্যাংক থেকে মানুষ নিজেদের জমাকৃত অর্থ উত্তোলন করতে পারছে না, ব্যাংকে অর্থ না থাকার কারণে। বন্যা-পরবর্তী মানুষের দুর্দশা মোচনে সরকারের কোনো ভূমিকা দেখা যায়নি। বিপরীতে শিক্ষাঙ্গনে বিরাজনীতিকরণের প্রক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। এমনকি কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ১৪ দফা দাবির প্রথম দাবিটি হচ্ছে দেশের সব শিক্ষাঙ্গনে ছাত্র, শিক্ষক, কর্মচারীদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি। এ ধরনের গর্হিত উদ্যোগ ব্রিটিশ, পাকিস্তানি এবং বাংলাদেশের শাসকশ্রেণি বহু চেষ্টা করেও সফল হতে পারেনি। ক্ষমতার দম্ভে আন্দোলনকারীদের দাবিও ধোপে টিকবে না। বিপরীতে বিতর্কিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। একটি চরম ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসানের পর আমরা সামাজিক বৈষম্য নিরসনের প্রত্যাশায় আছি। বিদ্যমান ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তনে একটি গণতান্ত্রিক সমাজ ও রাষ্ট্রের আকাঙ্ক্ষাও আমাদের আছে। সংস্কারের কথা জোরালোভাবে প্রচারিত হচ্ছে। কিন্তু সংস্কারে সমষ্টিগত মানুষের ভাগ্য-বদল আশা করা যাবে না। দেশবাসীর আশা-আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়নের স্বপ্ন তবে কি অধরাই থেকে যাবে, তাদের স্বপ্ন-আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন ঘটবে না? কেবল অতীতের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতারই বদল হবে, ব্যবস্থার নয়? সমাজ বদলের কোনো আলামত তো আমরা দেখতে পারছি না। তবে কি কেবলই কানামাছি, কেবলই অন্ধকার!
লেখক: নির্বাহী সম্পাদক, নতুন দিগন্ত
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১৪ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে