আলাউদ্দিন আল আজাদ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন আলাউদ্দিন আল আজাদ। সারা দিন ক্লাস করে বিকেলে যেতেন পাঠাগারে। পড়াশোনা করতেন। বিকেলে অবশ্য তাঁর যেতেই হতো নির্দিষ্ট একটি জায়গায়। ছোট্ট কাঁচা একটি ঘর। প্রতিষ্ঠানও। নাম পুঁথিপত্র প্রকাশনী। নতুন-পুরোনো নানা রকম বই থাকত সেখানে। বিক্রির জন্য। আলাউদ্দিন আল আজাদের লোভ ছিল অবশ্য ময়লা মলাটের তামাদি বইগুলোর দিকে। সেগুলোর পাতা উলটিয়ে পড়তেন তিনি। আর ছিল আড্ডার লোভ। কমরেড সুলতানের এই প্রকাশনীতে তখনকার ছাত্রনেতারা এসে যে আড্ডা দিতেন, সেটা ছিল বাড়তি পাওনা।
একুশের প্রথম সংকলনের জন্য সম্পাদক হাসান হাফিজুর রহমান বহুদিন ধরে কবিতা চাইছিলেন। আলসেমির কারণে আলাউদ্দিন আল আজাদ দিচ্ছিলেন না।
একদিন ক্লাস থেকে ফিরছেন আজাদ। দেখা হয়ে গেল মোহাম্মদ সুলতানের সঙ্গে। সুলতান হেসে বললেন, ‘লেখাটি এখনো দেননি বুঝি?’ সেই সংকলনের প্রকাশক ছিলেন সুলতান।
আলাউদ্দিন আল আজাদ লজ্জা পেয়ে বললেন, ‘জি না। একটা কবিতা লেখা আছে, শুনবেন?’
‘নিশ্চয়ই শুনব, পড়ুন।’
হাতের খাতাটাতেই লেখা ছিল সে কবিতা। আজাদ পড়লেন, স্মৃতিস্তম্ভ কবিতাটি।
মোহাম্মদ সুলতান আনন্দে হাততালি দিয়ে উঠলেন। বললেন, ‘আমরা এটা নেব।’
‘একুশে ফেব্রুয়ারি’ সংকলনটি ছাপা হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু খুব দ্রুত সেটা বাজেয়াপ্ত করল সরকার। তছনছ করা হয়েছিল মোহাম্মদ সুলতানের পুঁথিপত্র প্রকাশনী।
আলাউদ্দিন আল আজাদ প্রমাদ গুনলেন। কবিতাটি বুঝি আর ছাপার অক্ষরে দেখতে পাওয়া যাবে না।
কিন্তু কিছুদিন পর একদিন আলাউদ্দিন আল আজাদ দেখলেন, মোহাম্মদ সুলতান একটা বই খুলে পড়ছেন,
‘স্মৃতির মিনার ভেঙেছে তোমার?
ভয় কি বন্ধু?’
আলাউদ্দিন আল আজাদের মনে তখন হাজারো জোনাকি উড়ছে।
সূত্র: আলাউদ্দিন আল আজাদ, স্মৃতি জোনাকিরা, মোহাম্মদ সুলতান, কয়েকটি রেখায়, পৃষ্ঠা ১৫৩-১৫৪
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন আলাউদ্দিন আল আজাদ। সারা দিন ক্লাস করে বিকেলে যেতেন পাঠাগারে। পড়াশোনা করতেন। বিকেলে অবশ্য তাঁর যেতেই হতো নির্দিষ্ট একটি জায়গায়। ছোট্ট কাঁচা একটি ঘর। প্রতিষ্ঠানও। নাম পুঁথিপত্র প্রকাশনী। নতুন-পুরোনো নানা রকম বই থাকত সেখানে। বিক্রির জন্য। আলাউদ্দিন আল আজাদের লোভ ছিল অবশ্য ময়লা মলাটের তামাদি বইগুলোর দিকে। সেগুলোর পাতা উলটিয়ে পড়তেন তিনি। আর ছিল আড্ডার লোভ। কমরেড সুলতানের এই প্রকাশনীতে তখনকার ছাত্রনেতারা এসে যে আড্ডা দিতেন, সেটা ছিল বাড়তি পাওনা।
একুশের প্রথম সংকলনের জন্য সম্পাদক হাসান হাফিজুর রহমান বহুদিন ধরে কবিতা চাইছিলেন। আলসেমির কারণে আলাউদ্দিন আল আজাদ দিচ্ছিলেন না।
একদিন ক্লাস থেকে ফিরছেন আজাদ। দেখা হয়ে গেল মোহাম্মদ সুলতানের সঙ্গে। সুলতান হেসে বললেন, ‘লেখাটি এখনো দেননি বুঝি?’ সেই সংকলনের প্রকাশক ছিলেন সুলতান।
আলাউদ্দিন আল আজাদ লজ্জা পেয়ে বললেন, ‘জি না। একটা কবিতা লেখা আছে, শুনবেন?’
‘নিশ্চয়ই শুনব, পড়ুন।’
হাতের খাতাটাতেই লেখা ছিল সে কবিতা। আজাদ পড়লেন, স্মৃতিস্তম্ভ কবিতাটি।
মোহাম্মদ সুলতান আনন্দে হাততালি দিয়ে উঠলেন। বললেন, ‘আমরা এটা নেব।’
‘একুশে ফেব্রুয়ারি’ সংকলনটি ছাপা হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু খুব দ্রুত সেটা বাজেয়াপ্ত করল সরকার। তছনছ করা হয়েছিল মোহাম্মদ সুলতানের পুঁথিপত্র প্রকাশনী।
আলাউদ্দিন আল আজাদ প্রমাদ গুনলেন। কবিতাটি বুঝি আর ছাপার অক্ষরে দেখতে পাওয়া যাবে না।
কিন্তু কিছুদিন পর একদিন আলাউদ্দিন আল আজাদ দেখলেন, মোহাম্মদ সুলতান একটা বই খুলে পড়ছেন,
‘স্মৃতির মিনার ভেঙেছে তোমার?
ভয় কি বন্ধু?’
আলাউদ্দিন আল আজাদের মনে তখন হাজারো জোনাকি উড়ছে।
সূত্র: আলাউদ্দিন আল আজাদ, স্মৃতি জোনাকিরা, মোহাম্মদ সুলতান, কয়েকটি রেখায়, পৃষ্ঠা ১৫৩-১৫৪
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৩ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৭ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৭ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৭ দিন আগে