সম্পাদকীয়
শফিউর রহমান ছিলেন ঢাকা হাইকোর্টের একজন কর্মচারী। ১৯১৮ সালে তাঁর জন্ম। জন্মেছিলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার কোন্নগর গ্রামে। কলকাতা গভর্নমেন্ট কমার্শিয়াল কলেজ থেকে তিনি আইকম পাস করেন। পড়াশোনা আর এগোয়নি। দারিদ্র্য তাঁকে চাকরিজীবী হতে বাধ্য করে। চাকরিরত অবস্থায়ই দেশভাগ হয়। তিনি আর পশ্চিমবঙ্গে থাকেননি। স্ত্রী আকিলা বেগমকে নিয়ে চলে আসেন ঢাকায়। কেরানির কাজ নেন হাইকোর্টে।
শফিউর রহমান গুলিবিদ্ধ হন ১৯৫২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি। সেদিন সকালে তিনি সাইকেলে করে নবাবপুর রোড দিয়ে তাঁর অফিসে যাচ্ছিলেন। সে সময় পুলিশের একটি গুলি এসে তাঁর শরীরে লাগে। তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তিনি মারা যান। চিকিৎসকেরা যখন শফিউর রহমানের দেহে অস্ত্রোপচার করছিলেন, তখন হাসপাতালে তাঁর বৃদ্ধ মা, বাবা, স্ত্রী ও মেয়ে শাহনাজ উপস্থিত ছিলেন।
শফিউরের মৃত্যু হলেও লাশ স্বজনদের কাছে দেওয়া হয়নি। আজিমপুর কবরস্থানে তাঁকে কবর দেওয়া হয়। কবরটি এখনো আছে।
শফিউর রহমানের মৃত্যুর তিন মাস পর তাঁর একটি পুত্রসন্তানের জন্ম হয়। তাঁর নাম রাখা হয় শফিকুর রহমান।
স্মৃতিচারণা করে আকিলা খাতুন বলেন, ‘আমার শাশুড়ি বলেছিলেন ওর কবরের জায়গাটা কিনে দিস। ওর মেয়ে শাহনাজ এবং গর্ভজাত শিশু যাতে তাদের বাবার একটি স্মৃতিচিহ্ন খুঁজে পায়। আমি আমার জমানো ১০০ টাকা ওনাদের হাতে দিলাম। এখন এই কবর বাঙালি জাতির অমর স্মৃতি হয়ে আছে। তিনি মারা গেছেন শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায়, রোববার রাতে আজিমপুর কবরস্থানে কবর দেওয়া হয়। আমার শ্বশুর ও দেবর ট্রলির ওপর শোয়ানো আমার স্বামীকে মুমূর্ষু অবস্থায় দেখেন। তাঁর তখনো জ্ঞান ছিল। হাতে ঘড়ি ও হীরার আংটি ছিল। পকেটে ছিল কুড়ি টাকা।... তিনি তখন বারবার শাহনাজের কথা বলছিলেন। ‘আমার শাহনাজ, আমার শাহনাজ।’
সূত্র: ভাষা আন্দোলনের শহীদেরা, বাংলা একাডেমি, ১৯৯১, পৃষ্ঠা ৬৪, শফিকুর রহমান, ভাষাশহীদ শফিউর রহমান, বাংলা একাডেমি, পৃষ্ঠা ৩৩
শফিউর রহমান ছিলেন ঢাকা হাইকোর্টের একজন কর্মচারী। ১৯১৮ সালে তাঁর জন্ম। জন্মেছিলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার কোন্নগর গ্রামে। কলকাতা গভর্নমেন্ট কমার্শিয়াল কলেজ থেকে তিনি আইকম পাস করেন। পড়াশোনা আর এগোয়নি। দারিদ্র্য তাঁকে চাকরিজীবী হতে বাধ্য করে। চাকরিরত অবস্থায়ই দেশভাগ হয়। তিনি আর পশ্চিমবঙ্গে থাকেননি। স্ত্রী আকিলা বেগমকে নিয়ে চলে আসেন ঢাকায়। কেরানির কাজ নেন হাইকোর্টে।
শফিউর রহমান গুলিবিদ্ধ হন ১৯৫২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি। সেদিন সকালে তিনি সাইকেলে করে নবাবপুর রোড দিয়ে তাঁর অফিসে যাচ্ছিলেন। সে সময় পুলিশের একটি গুলি এসে তাঁর শরীরে লাগে। তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তিনি মারা যান। চিকিৎসকেরা যখন শফিউর রহমানের দেহে অস্ত্রোপচার করছিলেন, তখন হাসপাতালে তাঁর বৃদ্ধ মা, বাবা, স্ত্রী ও মেয়ে শাহনাজ উপস্থিত ছিলেন।
শফিউরের মৃত্যু হলেও লাশ স্বজনদের কাছে দেওয়া হয়নি। আজিমপুর কবরস্থানে তাঁকে কবর দেওয়া হয়। কবরটি এখনো আছে।
শফিউর রহমানের মৃত্যুর তিন মাস পর তাঁর একটি পুত্রসন্তানের জন্ম হয়। তাঁর নাম রাখা হয় শফিকুর রহমান।
স্মৃতিচারণা করে আকিলা খাতুন বলেন, ‘আমার শাশুড়ি বলেছিলেন ওর কবরের জায়গাটা কিনে দিস। ওর মেয়ে শাহনাজ এবং গর্ভজাত শিশু যাতে তাদের বাবার একটি স্মৃতিচিহ্ন খুঁজে পায়। আমি আমার জমানো ১০০ টাকা ওনাদের হাতে দিলাম। এখন এই কবর বাঙালি জাতির অমর স্মৃতি হয়ে আছে। তিনি মারা গেছেন শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায়, রোববার রাতে আজিমপুর কবরস্থানে কবর দেওয়া হয়। আমার শ্বশুর ও দেবর ট্রলির ওপর শোয়ানো আমার স্বামীকে মুমূর্ষু অবস্থায় দেখেন। তাঁর তখনো জ্ঞান ছিল। হাতে ঘড়ি ও হীরার আংটি ছিল। পকেটে ছিল কুড়ি টাকা।... তিনি তখন বারবার শাহনাজের কথা বলছিলেন। ‘আমার শাহনাজ, আমার শাহনাজ।’
সূত্র: ভাষা আন্দোলনের শহীদেরা, বাংলা একাডেমি, ১৯৯১, পৃষ্ঠা ৬৪, শফিকুর রহমান, ভাষাশহীদ শফিউর রহমান, বাংলা একাডেমি, পৃষ্ঠা ৩৩
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৩ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৭ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৭ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৭ দিন আগে