নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম শহরের সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসক সংকট না থাকলেও বিপরীত চিত্র প্রত্যন্ত এলাকায়। নগরীর হাসপাতালগুলোতে কোনো পদ খালি নেই। তবে উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালে সেই সংকট প্রকট।
এমন পরিস্থিতিতে ৪২তম বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডার থেকে চট্টগ্রাম জেলায় মেডিকেল অফিসার ও সহকারী সার্জন পদে নিয়োগ দিয়েছেন ১৪১ জন চিকিৎসক। এর মাধ্যমে জেলায় চিকিৎসক সংকট কিছুটা কমবে। তবে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, চট্টগ্রামে আরও চিকিৎসক প্রয়োজন। সঙ্গে প্রয়োজন তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীও। তা হলেই সংকট পুরোপুরি দূর হবে।
চট্টগ্রাম নগরীতে সিভিল সার্জনের অধীনে রয়েছে ১১টি স্বাস্থ্য কেন্দ্র। এর মধ্যে একটি টিবি ক্লিনিক, ৯টি আরবান ডিসপেনসারি ও ১টি স্কুল হেলথ ক্লিনিকে চিকিৎসকের পদ রয়েছে ২৬ টি। এর মধ্যে একটি পদও খালি নেই। তবে সিভিল সার্জনের অধীন গ্রামের হাসপাতালগুলোয় চিকিৎসক আছেন ৫০ থেকে ৭৫ শতাংশ। নতুন করে চিকিৎসক যোগ দেওয়ায় এখন অবশ্য সংকট কিছুটা কমবে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, ‘১৪১ জন চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়ায় চট্টগ্রাম জেলায় সংকট কিছুটা কমবে। তবে পুরোপুরি সংকট কমাতে আরও চিকিৎসক দরকার।’
প্রায় একই কথা বলেছেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরীও। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শুধু চিকিৎসক নয়, আমাদের জেলায় প্রয়োজন তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীও। সে জন্য শুধু চিকিৎসক নিয়োগ দিলেই চলবে না। কেননা, শুধু মাংস দিয়ে তো মাংস রান্না হবে না। সঙ্গে মসলাও দরকার।’
নতুন চিকিৎসকদের বরণ: এদিকে গত মঙ্গলবার ১৪১ জন চিকিৎসকের যোগদান উপলক্ষে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে নতুন চিকিৎসকদের অভ্যর্থনা জানানো হয়। সুযোগ-সুবিধার অভাবে গ্রাম পর্যায়ে চিকিৎসকদের দায়িত্ব পালনের বিষয়ে অনীহা দেখা যায়।
এ বিষয়টি মনে করিয়ে দিয়ে নতুন যোগ দেওয়া চিকিৎসকদের উদ্দেশে চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর বলেছেন, ‘যাদের যে উপজেলায় পদায়ন করা হয়েছে তাদের সেখানেই অবস্থান করে জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে হবে। রোগীদের বেকায়দায় ফেলে কর্মস্থল ত্যাগ করা যাবে না।’
সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সুজন বড়ুয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শেখ ফজলে রাব্বি, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) চট্টগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি অধ্যাপক ডা. মুজিবুল হক খান ও সাধারণ সম্পাদক ডা. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য দেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এমওসিএস ডা. ওয়াজেদ চৌধুরী অভি। বক্তব্য রাখেন সন্দ্বীপ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফজলুল করিম, লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ হানিফ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের সভাপতি চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে হাসপাতালের অন্যান্য চিকিৎসকের পাশাপাশি নতুন যোগ দেওয়া ১৪১ জন চিকিৎসক আন্তরিকভাবে সেবা দিতে হবে। রোগীর প্রতি কোনো ধরনের অবহেলা না করে সেবার মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে। কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসাসেবা থেকে কেউ যেন বঞ্চিত না হয় সে দিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
চট্টগ্রাম শহরের সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসক সংকট না থাকলেও বিপরীত চিত্র প্রত্যন্ত এলাকায়। নগরীর হাসপাতালগুলোতে কোনো পদ খালি নেই। তবে উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালে সেই সংকট প্রকট।
এমন পরিস্থিতিতে ৪২তম বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডার থেকে চট্টগ্রাম জেলায় মেডিকেল অফিসার ও সহকারী সার্জন পদে নিয়োগ দিয়েছেন ১৪১ জন চিকিৎসক। এর মাধ্যমে জেলায় চিকিৎসক সংকট কিছুটা কমবে। তবে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, চট্টগ্রামে আরও চিকিৎসক প্রয়োজন। সঙ্গে প্রয়োজন তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীও। তা হলেই সংকট পুরোপুরি দূর হবে।
চট্টগ্রাম নগরীতে সিভিল সার্জনের অধীনে রয়েছে ১১টি স্বাস্থ্য কেন্দ্র। এর মধ্যে একটি টিবি ক্লিনিক, ৯টি আরবান ডিসপেনসারি ও ১টি স্কুল হেলথ ক্লিনিকে চিকিৎসকের পদ রয়েছে ২৬ টি। এর মধ্যে একটি পদও খালি নেই। তবে সিভিল সার্জনের অধীন গ্রামের হাসপাতালগুলোয় চিকিৎসক আছেন ৫০ থেকে ৭৫ শতাংশ। নতুন করে চিকিৎসক যোগ দেওয়ায় এখন অবশ্য সংকট কিছুটা কমবে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, ‘১৪১ জন চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়ায় চট্টগ্রাম জেলায় সংকট কিছুটা কমবে। তবে পুরোপুরি সংকট কমাতে আরও চিকিৎসক দরকার।’
প্রায় একই কথা বলেছেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরীও। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শুধু চিকিৎসক নয়, আমাদের জেলায় প্রয়োজন তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীও। সে জন্য শুধু চিকিৎসক নিয়োগ দিলেই চলবে না। কেননা, শুধু মাংস দিয়ে তো মাংস রান্না হবে না। সঙ্গে মসলাও দরকার।’
নতুন চিকিৎসকদের বরণ: এদিকে গত মঙ্গলবার ১৪১ জন চিকিৎসকের যোগদান উপলক্ষে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে নতুন চিকিৎসকদের অভ্যর্থনা জানানো হয়। সুযোগ-সুবিধার অভাবে গ্রাম পর্যায়ে চিকিৎসকদের দায়িত্ব পালনের বিষয়ে অনীহা দেখা যায়।
এ বিষয়টি মনে করিয়ে দিয়ে নতুন যোগ দেওয়া চিকিৎসকদের উদ্দেশে চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর বলেছেন, ‘যাদের যে উপজেলায় পদায়ন করা হয়েছে তাদের সেখানেই অবস্থান করে জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে হবে। রোগীদের বেকায়দায় ফেলে কর্মস্থল ত্যাগ করা যাবে না।’
সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সুজন বড়ুয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শেখ ফজলে রাব্বি, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) চট্টগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি অধ্যাপক ডা. মুজিবুল হক খান ও সাধারণ সম্পাদক ডা. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য দেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এমওসিএস ডা. ওয়াজেদ চৌধুরী অভি। বক্তব্য রাখেন সন্দ্বীপ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফজলুল করিম, লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ হানিফ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের সভাপতি চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে হাসপাতালের অন্যান্য চিকিৎসকের পাশাপাশি নতুন যোগ দেওয়া ১৪১ জন চিকিৎসক আন্তরিকভাবে সেবা দিতে হবে। রোগীর প্রতি কোনো ধরনের অবহেলা না করে সেবার মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে। কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসাসেবা থেকে কেউ যেন বঞ্চিত না হয় সে দিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে