হারানো শৈশব খুঁজে পাওয়া যাবে যে সিনেমায়

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১০: ০৯

শরীফ উদ্দিন সবুজের ছোট গল্প অবলম্বনে মোহাম্মদ নূরুজ্জামান নির্মাণ করেছেন পূর্ণদৈর্ঘ্য শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘আম-কাঁঠালের ছুটি’। কারও সঙ্গে মিশতে না পারা ৮ বছর বয়সী একটি শহুরে ছেলে গ্রীষ্মের ছুটিতে গ্রামে বেড়াতে যায়। সেখানে গিয়ে কীভাবে নতুন এক জগৎ আবিষ্কার করে ছেলেটা, তারই আখ্যান এই পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। সম্প্রতি বিনা কর্তনে সেন্সর ছাড়পত্র পেয়েছে সিনেমাটি। বোর্ড সদস্যরা চলচ্চিত্রের দৃশ্যপট, সাবলীল অভিনয় আর বাস্তবানুগ কাহিনি বিন্যাসে মুগ্ধ হয়েছেন বলে জানান নির্মাতা।

নুরুজ্জামান বলেন, ‘আশি ও নব্বইয়ের দশকে শৈশব-কৈশোর পেরোনো প্রজন্ম নিজেদের শৈশবকে খুঁজে পাবেন এ সিনেমায়। আমার মেয়েকে নিজের শৈশব দেখানোর একটা প্রচেষ্টা হিসেবেই সিনেমাটি তৈরি করতে শুরু করেছিলাম। সেন্সর কমিটির সদস্যরা যখন এই কাজটাকে অন্য সিনেমাগুলো থেকে ব্যতিক্রম বলছেন, তাতে মনে হয় কাজটার পেছনে ব্যয় করা আমার প্রায় ছয় বছরের সময় আর শ্রম সার্থক।’

 গাজীপুরের হারবাইদসংলগ্ন প্রায় ২৫-৩০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে শুটিং হয়েছে সিনেমাটির। সম্পূর্ণ কাজ শেষ করতে সময় লেগেছে প্রায় ৬ বছর! নির্মাতা জানিয়েছেন, সিনেমা হলে দর্শক যেন তাঁর হারানো শৈশবের সেই অনুভূতি খুঁজে পান, তাই সাদাকালো ফরম্যাটে তৈরি হয়েছে সিনেমাটি। আগামী ২১ জুলাই সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন নির্মাতা।

গত বছর ২৬ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় অনুষ্ঠিত জগজা এশিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ‘আম-কাঁঠালের ছুটি’ সিনেমার আন্তর্জাতিক প্রিমিয়ার হয়। এরপর এশিয়ান পারসপেক্টিভ বিভাগে সিনেমাটির আরও একটি প্রদর্শনী হয়। উৎসব কমিটিসহ উপস্থিত দর্শকেরাও সিনেমাটির প্রশংসা করে।

প্রযোজনা ও পরিচালনার পাশাপাশি চিত্রনাট্য ও সংলাপ রচনা, চিত্রগ্রহণ, সম্পাদনা এবং সাউন্ড ডিজাইন করেছেন মোহাম্মদ নূরুজ্জামান নিজেই। সিনেমার প্রধান সহকারী পরিচালক ‘আদিম’খ্যাত নির্মাতা যুবরাজ শামীম। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন জুবায়ের, লিয়ন, আরিফ, হালিমা, তানজিল, ফাতেমা এবং কামরুজ্জামান কামরুল।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত