আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম
ক্রমেই কমছে দেশের অন্যতম বৃহৎ পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের জৌলুশ। নানা কারণে তিন শ’ বছরের পুরোনো এই বাজার ছাড়ছেন ব্যবসায়ীরা। অব্যাহত জলাবদ্ধতা, দীর্ঘ সময়েও ব্যবসাবান্ধব অবকাঠামো সৃষ্টি না হওয়াসহ নানা কারণের উল্লেখ করছেন তাঁরা।
পরিকল্পনা কমিশনের এক সমীক্ষা সূত্রে জানা গেছে, জলাবদ্ধতার কারণে এক দশকে খাতুনগঞ্জের ক্ষতি বেড়েছে প্রায় তিন গুণ। ৫ হাজার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ওপর চালানো হয় এই সমীক্ষা। এতে উল্লেখ করা হয়, ২০২০ সালে খাতুনগঞ্জ ও আশপাশের ব্যবসায়ীদের ৫১৪ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। অথচ ২০১১ সালে এ ক্ষতির পরিমাণ ছিল ১৭৪ কোটি টাকা।
চলতি বছরের মার্চে ‘স্থানীয় বাণিজ্যে জলাবদ্ধতার অর্থনৈতিক প্রভাব: খাতুনগঞ্জ’ শীর্ষক সমীক্ষার প্রতিবেদন প্রকাশ করে পরিকল্পনা কমিশন।
শুধু জলাবদ্ধতা নয় আরও বেশ কিছু কারণে চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ী ক্ষতির শিকার হচ্ছেন। তাঁরা এর জন্য ১২টি মৌলিক সমস্যা চিহ্নিত করেছেন। এর মধ্যে শত বছরেও অবকাঠামো উন্নয়ন না হওয়া ও বর্ষায় জলাবদ্ধতাকে অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে বলছেন তাঁরা। এ ছাড়া ট্রাক টার্মিনাল না থাকা, যানজট ও শৌচাগারের অভাবকেও তুলে ধরছেন। এদিকে আর্থিক প্রতারণার কারণে ব্যবসায়ীদের অনেকের বিশ্বাসে চিড় ধরেছে। ব্যবসায়ী নেতাদের সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৬ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ৬৭টি বড় আর্থিক প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে।
খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ী নেতারা আরও জানিয়েছেন, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান কার্যালয় ঢাকায়। আমদানি আইপি সংগ্রহ করতেও তাঁদের ঢাকায় যেতে হয়। সব মিলিয়ে বাণিজ্যিক সুবিধাসমূহ ঢাকাকেন্দ্রিক হওয়ায় ব্যবসায়ীদের অনেকেই এখন ঢাকামুখী। এ ছাড়া চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙর থেকে লাইটার জাহাজে করে নানা ধরনের ভোগ্যপণ্য ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও নোয়াপাড়ায় সহজে পৌঁছে যাচ্ছে। এতে গুরুত্ব কমছে খাতুনগঞ্জের।
খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক পরিচালক ছৈয়দ ছগির আহাম্মদ বলেন, এ সময় দেশের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের প্রায় ৫০ ভাগ জোগান দিত খাতুনগঞ্জের পাইকারি আড়ত। এখানকার পাঁচ হাজার ব্যবসায়ী রয়েছেন। শুধু খাতুনগঞ্জেই দিনে ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকার লেনদেন হতো। যা দিন দিন কমে যাচ্ছে।
আক্ষেপের সুরে এই ব্যবসায়ী নেতা বলেন, স্বাধীনতার এত বছর পরও খাতুনগঞ্জে একটি শৌচাগার পর্যন্ত তৈরি হয়নি। ট্রাকের চালক ও সহকারীরা দূর থেকে পণ্য নিয়ে খাতুনগঞ্জ আসলে তাঁদের বিশ্রামের জায়গা ও গোসলের প্রয়োজন হয়। সে ব্যবস্থা এখানে নেই। তিনি চাক্তাই, আসাদগঞ্জ ও খাতুনগঞ্জ এলাকাকে বাণিজ্যিক জোন ঘোষণা করে সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর দাবি করেন।
ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের খাতুনগঞ্জ শাখা ব্যবস্থাপক এম এ ফারুক আহাম্মেদ বলেন, ‘দশ বছর আগে এখানে যে পরিমাণ লেনদেন হতো এখন তা প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। আমার জানামতে বড় আমদানিকারকদের বেশির ভাগই এখন ঢাকামুখী।’
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর ও খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জামাল উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক নেতাদের ব্যর্থতার কারণে খাতুনগঞ্জের ব্যবসার ঐতিহ্য হারিয়ে যাচ্ছে।’
চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মো. মাহবুবুল আলম বলেন, ‘এখন ব্যবসা-বাণিজ্য সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। আর খাতুনগঞ্জেও আধুনিক অবকাঠামো গড়ে ওঠেনি। এ সব বিষয়ে আমরা সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলে জানিয়েছি।’
ক্রমেই কমছে দেশের অন্যতম বৃহৎ পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের জৌলুশ। নানা কারণে তিন শ’ বছরের পুরোনো এই বাজার ছাড়ছেন ব্যবসায়ীরা। অব্যাহত জলাবদ্ধতা, দীর্ঘ সময়েও ব্যবসাবান্ধব অবকাঠামো সৃষ্টি না হওয়াসহ নানা কারণের উল্লেখ করছেন তাঁরা।
পরিকল্পনা কমিশনের এক সমীক্ষা সূত্রে জানা গেছে, জলাবদ্ধতার কারণে এক দশকে খাতুনগঞ্জের ক্ষতি বেড়েছে প্রায় তিন গুণ। ৫ হাজার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ওপর চালানো হয় এই সমীক্ষা। এতে উল্লেখ করা হয়, ২০২০ সালে খাতুনগঞ্জ ও আশপাশের ব্যবসায়ীদের ৫১৪ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। অথচ ২০১১ সালে এ ক্ষতির পরিমাণ ছিল ১৭৪ কোটি টাকা।
চলতি বছরের মার্চে ‘স্থানীয় বাণিজ্যে জলাবদ্ধতার অর্থনৈতিক প্রভাব: খাতুনগঞ্জ’ শীর্ষক সমীক্ষার প্রতিবেদন প্রকাশ করে পরিকল্পনা কমিশন।
শুধু জলাবদ্ধতা নয় আরও বেশ কিছু কারণে চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ী ক্ষতির শিকার হচ্ছেন। তাঁরা এর জন্য ১২টি মৌলিক সমস্যা চিহ্নিত করেছেন। এর মধ্যে শত বছরেও অবকাঠামো উন্নয়ন না হওয়া ও বর্ষায় জলাবদ্ধতাকে অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে বলছেন তাঁরা। এ ছাড়া ট্রাক টার্মিনাল না থাকা, যানজট ও শৌচাগারের অভাবকেও তুলে ধরছেন। এদিকে আর্থিক প্রতারণার কারণে ব্যবসায়ীদের অনেকের বিশ্বাসে চিড় ধরেছে। ব্যবসায়ী নেতাদের সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৬ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ৬৭টি বড় আর্থিক প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে।
খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ী নেতারা আরও জানিয়েছেন, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান কার্যালয় ঢাকায়। আমদানি আইপি সংগ্রহ করতেও তাঁদের ঢাকায় যেতে হয়। সব মিলিয়ে বাণিজ্যিক সুবিধাসমূহ ঢাকাকেন্দ্রিক হওয়ায় ব্যবসায়ীদের অনেকেই এখন ঢাকামুখী। এ ছাড়া চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙর থেকে লাইটার জাহাজে করে নানা ধরনের ভোগ্যপণ্য ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও নোয়াপাড়ায় সহজে পৌঁছে যাচ্ছে। এতে গুরুত্ব কমছে খাতুনগঞ্জের।
খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক পরিচালক ছৈয়দ ছগির আহাম্মদ বলেন, এ সময় দেশের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের প্রায় ৫০ ভাগ জোগান দিত খাতুনগঞ্জের পাইকারি আড়ত। এখানকার পাঁচ হাজার ব্যবসায়ী রয়েছেন। শুধু খাতুনগঞ্জেই দিনে ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকার লেনদেন হতো। যা দিন দিন কমে যাচ্ছে।
আক্ষেপের সুরে এই ব্যবসায়ী নেতা বলেন, স্বাধীনতার এত বছর পরও খাতুনগঞ্জে একটি শৌচাগার পর্যন্ত তৈরি হয়নি। ট্রাকের চালক ও সহকারীরা দূর থেকে পণ্য নিয়ে খাতুনগঞ্জ আসলে তাঁদের বিশ্রামের জায়গা ও গোসলের প্রয়োজন হয়। সে ব্যবস্থা এখানে নেই। তিনি চাক্তাই, আসাদগঞ্জ ও খাতুনগঞ্জ এলাকাকে বাণিজ্যিক জোন ঘোষণা করে সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর দাবি করেন।
ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের খাতুনগঞ্জ শাখা ব্যবস্থাপক এম এ ফারুক আহাম্মেদ বলেন, ‘দশ বছর আগে এখানে যে পরিমাণ লেনদেন হতো এখন তা প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। আমার জানামতে বড় আমদানিকারকদের বেশির ভাগই এখন ঢাকামুখী।’
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর ও খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জামাল উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক নেতাদের ব্যর্থতার কারণে খাতুনগঞ্জের ব্যবসার ঐতিহ্য হারিয়ে যাচ্ছে।’
চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মো. মাহবুবুল আলম বলেন, ‘এখন ব্যবসা-বাণিজ্য সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। আর খাতুনগঞ্জেও আধুনিক অবকাঠামো গড়ে ওঠেনি। এ সব বিষয়ে আমরা সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলে জানিয়েছি।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৪ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৮ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৮ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৮ দিন আগে