সাবিত আল হাসান, নারায়ণগঞ্জ
চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি রাতে ফতুল্লার মাসদাইর এলাকায় অজ্ঞাতদের ছুরিকাঘাতে নিহত হয় কিশোর আমান আলী (১৭)। এই ঘটনায় মামলার আগেই সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ছয় তরুণকে। তারা সবাই আমানের সহকর্মী ও বন্ধু হিসেবে পরিচিত। তবে এই মামলায় তারাই হত্যাকারী কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয় পুলিশ। তবে তাদের দৈনন্দিন পরিকল্পনা ও কার্যক্রম দেখে চোখ কপালে উঠেছে তদন্তকারী কর্মকর্তাদের।
গত ২৯ থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ফতুল্লার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে নিহত আমানের বন্ধু ও সন্দেহভাজন ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা হলো—রাসেল (১৯), আব্দুল হাকিম (১৯), সৌরভ ওরফে হৃদয় (১৮), আনিস (১৮), আব্দুস ছালাম স্বাধীন (১৯), আশিক (১৮)। এ ছাড়া ঘটনার পর থেকে দুজন সন্দেহভাজন পলাতকও রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তারা সবাই বিভিন্ন গার্মেন্টস ও প্রিন্টিং কারখানায় কর্মরত ছিল।
থানা সূত্র জানায়, নিহত আমান ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল থানার মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে। পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগে নিহতের মা তার বন্ধুদেরই প্রাথমিকভাবে দায়ী করেন।
পরিবারের সন্দেহ থেকেই আমানের সঙ্গে চলাফেরা করে এমন আটজনকে চিহ্নিত করে পুলিশ। তাদের মধ্যে উল্লেখিত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে ৫৪ ধারায় আদালতে পাঠায়। তবে গ্রেপ্তারের পরপরই তাদের মোবাইল ফোনে প্রাপ্ত ছবি ও জিজ্ঞাসাবাদে দেওয়া বয়ানে মিলেছে চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃতদের সবাই উঠতি বয়সী। তাদের মোবাইলে দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে মারমুখী ভঙ্গিমায় তোলা ছবি পাওয়া যায়। তারা যে টাকা বেতন পেত, তা দিয়ে প্রতি মাসে ব্যক্তিগতভাবে ছুরি, চাকু কিনত। এসব ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে প্রভাব বিস্তারের পরিকল্পনা ছিল তাদের।’
গ্রেপ্তারকৃতদের একজন জানায়, আমানসহ ৯ বন্ধু নিয়মিত একসঙ্গে আড্ডা দিত। সেখান থেকেই তাদের স্বপ্ন জাগে একদিন ফতুল্লার শিল্পাঞ্চলের ডন তথা প্রভাব বিস্তারকারী হবে। কে কত দ্রুতগতিতে অস্ত্র চালাতে পারবে, তা ইংরেজি সিনেমার অ্যাকশন দেখে অনুপ্রাণিত হতো। সে পরিকল্পনা অনুযায়ী বন্ধুদের কেউ কেউ প্রস্তাব দেয় রাজনৈতিক নেতার হাত ধরার। আবার কেউ প্রস্তাব দেয় নিজেরাই গ্রুপ তৈরি করে বিসিক নিয়ন্ত্রণ করবে। আর তাই নিজেদের প্রস্তুত ও ট্রেনিং রপ্ত করার জন্য প্রতি মাসে প্রাপ্ত বেতনের টাকায় ছুরি-চাকু কিনে সংগ্রহ শুরু করে।
ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তারিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, টিকটক কিংবা ছবির বিষয় সামনে এনে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়নি। নিহত আমানের পরিবার মামলা করলে বিষয়গুলো আরও পরিষ্কার হবে।
চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি রাতে ফতুল্লার মাসদাইর এলাকায় অজ্ঞাতদের ছুরিকাঘাতে নিহত হয় কিশোর আমান আলী (১৭)। এই ঘটনায় মামলার আগেই সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ছয় তরুণকে। তারা সবাই আমানের সহকর্মী ও বন্ধু হিসেবে পরিচিত। তবে এই মামলায় তারাই হত্যাকারী কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয় পুলিশ। তবে তাদের দৈনন্দিন পরিকল্পনা ও কার্যক্রম দেখে চোখ কপালে উঠেছে তদন্তকারী কর্মকর্তাদের।
গত ২৯ থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ফতুল্লার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে নিহত আমানের বন্ধু ও সন্দেহভাজন ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা হলো—রাসেল (১৯), আব্দুল হাকিম (১৯), সৌরভ ওরফে হৃদয় (১৮), আনিস (১৮), আব্দুস ছালাম স্বাধীন (১৯), আশিক (১৮)। এ ছাড়া ঘটনার পর থেকে দুজন সন্দেহভাজন পলাতকও রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তারা সবাই বিভিন্ন গার্মেন্টস ও প্রিন্টিং কারখানায় কর্মরত ছিল।
থানা সূত্র জানায়, নিহত আমান ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল থানার মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে। পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগে নিহতের মা তার বন্ধুদেরই প্রাথমিকভাবে দায়ী করেন।
পরিবারের সন্দেহ থেকেই আমানের সঙ্গে চলাফেরা করে এমন আটজনকে চিহ্নিত করে পুলিশ। তাদের মধ্যে উল্লেখিত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে ৫৪ ধারায় আদালতে পাঠায়। তবে গ্রেপ্তারের পরপরই তাদের মোবাইল ফোনে প্রাপ্ত ছবি ও জিজ্ঞাসাবাদে দেওয়া বয়ানে মিলেছে চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃতদের সবাই উঠতি বয়সী। তাদের মোবাইলে দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে মারমুখী ভঙ্গিমায় তোলা ছবি পাওয়া যায়। তারা যে টাকা বেতন পেত, তা দিয়ে প্রতি মাসে ব্যক্তিগতভাবে ছুরি, চাকু কিনত। এসব ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে প্রভাব বিস্তারের পরিকল্পনা ছিল তাদের।’
গ্রেপ্তারকৃতদের একজন জানায়, আমানসহ ৯ বন্ধু নিয়মিত একসঙ্গে আড্ডা দিত। সেখান থেকেই তাদের স্বপ্ন জাগে একদিন ফতুল্লার শিল্পাঞ্চলের ডন তথা প্রভাব বিস্তারকারী হবে। কে কত দ্রুতগতিতে অস্ত্র চালাতে পারবে, তা ইংরেজি সিনেমার অ্যাকশন দেখে অনুপ্রাণিত হতো। সে পরিকল্পনা অনুযায়ী বন্ধুদের কেউ কেউ প্রস্তাব দেয় রাজনৈতিক নেতার হাত ধরার। আবার কেউ প্রস্তাব দেয় নিজেরাই গ্রুপ তৈরি করে বিসিক নিয়ন্ত্রণ করবে। আর তাই নিজেদের প্রস্তুত ও ট্রেনিং রপ্ত করার জন্য প্রতি মাসে প্রাপ্ত বেতনের টাকায় ছুরি-চাকু কিনে সংগ্রহ শুরু করে।
ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তারিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, টিকটক কিংবা ছবির বিষয় সামনে এনে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়নি। নিহত আমানের পরিবার মামলা করলে বিষয়গুলো আরও পরিষ্কার হবে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে