তবু বিশ্বকাপে স্পিনে ভরসা থাকছে বাংলাদেশের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ১৬ আগস্ট ২০২৩, ১২: ২৪
আপডেট : ১৬ আগস্ট ২০২৩, ১৬: ০৩

শামীম হোসেন ও মুশফিকুর রহিমের কাছে মার খেয়ে ১ ওভারেই ১৯ রান দিয়েছিলেন নাসুম আহমেদ। দুদিন আগে মিরপুরে ম্যাচের আবহে শেষ পাওয়ার প্লে অনুশীলনের ঘটনা ছিল এটি। তবে গত পরশু দৃশ্যপট বদলে গেল, ওই নাসুমই দারুণ এক ডেলিভারিতে ক্যাচে ফেরালেন মুশফিককে। ক্যাচটিও ধরলেন আবার নাসুমের কাছে দলে জায়গা হারানো তাইজুল ইসলাম। কদিন আগেই বাংলাদেশ দলের স্পিন বোলিং কোচ রঙ্গনা হেরাথ বলেছিলেন, ‘কে প্রথম পাওয়ার প্লেতে বোলিং করতে পারে, কে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপে বোলিং করতে পারে? সেদিক থেকে আমার মনে হয়, সব স্পিনারই বিশ্বকাপে বড় প্রভাব রাখবে।’

এবার এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপ  উপমহাদেশে হতে চললেও স্পিনারদের স্বস্তিতে থাকার সুযোগ নেই।  এখন বড় টুর্নামেন্ট মানেই ব্যাটিং-সহায়ক উইকেট। ছক্কা-চারের ফুলঝুরি না হলে দর্শকদের মনোরঞ্জনে পূর্ণতা আসে না। তখন স্পিনারদের জন্য কাজটি হয়ে ওঠে আরও কঠিন।সেপ্টেম্বরের শেষে বৃষ্টির প্রভাব কমে আসে উপমহাদেশে, অক্টোবর-নভেম্বরে শীতের আগমনী বার্তা দিয়ে শিশির পড়তে শুরু করে। ভারতে অনুষ্ঠেয় ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ডিউ ফ্যাক্টরের চ্যালেঞ্জ নিতে হবে স্পিনারদের। ন্যাড়া উইকেট, শিশির ও ভেজা আউটফিল্ড—ফিঙ্গার স্পিনারদের জন্য কাজটা স্বাভাবিকভাবেই কঠিন হবে। এবার এশিয়া কাপের দলে বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞ ও খণ্ডকালীন স্পিনারের সংখ্যা মোট ৬ জন। একজন রিস্ট স্পিনারের হাপিত্যেশ পুরোনো, বাংলাদেশ দলের সবাই ফিঙ্গার স্পিনার। যতই চ্যালেঞ্জ থাক, বাংলাদেশের স্পিন বিভাগকে নিয়ে আশাবাদী হওয়ার যথেষ্ট সুযোগ আছে। স্বয়ং অধিনায়ক এই বিভাগের নেতা। সাকিবের সঙ্গে মিরাজের অভিজ্ঞতাও কম নয়। তাঁরা জানেন, এ ধরনের চ্যালেঞ্জ কীভাবে সামলাতে হয়। গত কদিনে রঙ্গনা হেরাথের ক্লাসেও ছিল এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলারই দীক্ষা। ফ্ল্যাট উইকেট, শিশির কিংবা ভেজা কন্ডিশনে বল যখন টার্ন করবে না, তখন স্পট বোলিংয়ে কীভাবে ভালো করবেন ফিঙ্গার স্পিনাররা, সেটিরই অনুশীলন চলছে মিরাজদের।

সাকিব এলপিএলে প্রস্তুতি সারছেন। যেকোনো উইকেটে ভালো করার সামর্থ্য রয়েছে তাঁর। মিরাজও বড় ভরসা এখন। দলের বিশেষজ্ঞ স্পিনারদের মধ্যে শুধু নাসুমের অভিজ্ঞতা কম, ওয়ানডে খেলেছেন ৭ ম্যাচ। এখন পর্যন্ত ওয়ানডেতে শিকার ৮ উইকেট, ইকোনমি রেট ৩.৭৩—উইকেট শিকারের চেয়ে কৃপণ বোলিংয়ে তাঁর বেশি মনোযোগ। নাসুমকে নিয়ে এশিয়া কাপের দল ঘোষণার দিন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বলেছিলেন, ‘তাইজুল আক্রমণাত্মক। নাসুম একটু রক্ষণাত্মক। ম্যানেজমেন্ট যে পরিকল্পনা দিয়েছে, তাতে নাসুমের দিকে গিয়েছি। এশিয়া কাপে ফ্ল্যাট উইকেটে খেলা হতে পারে, নাসুমকে সেভাবেই বিবেচনা করা।’

জেনুইন স্পিনারদের পাশাপাশি কার্যকর হতে হবে খণ্ডকালীন বোলারদেরও। গত মাসে ইমার্জিং এশিয়া কাপের দারুণ খেলা মেহেদীর আছে ৩টি ওয়ানডে খেলার অভিজ্ঞতা। আছেন আফিফ হোসেনও। ওয়ানডে অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা শামীম পাটোয়ারীকে কতটা কাজে লাগায় টিম ম্যানেজমেন্ট, সেটি অবশ্য এখনো নিশ্চিত নয়। সব রকম প্রস্তুতিই নিচ্ছেন স্পিনাররা। হেরাথ আত্মবিশ্বাসী, হতাশ করবেন না তাঁর শিষ্যরা, ‘বিশ্বকাপে স্পিনাররা বড় প্রভাব ফেলবে। সাকিব-মেহেদীর সঙ্গে আরও কিছু স্পিনার থাকছে দলে। আমি নিশ্চিত, তারা তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন। যেকোনো পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার টেকনিক্যাল ও ট্যাকটিক্যাল সামর্থ্য তাদের আছে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

জাতিকে ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত