নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর বনশ্রীতে গতকাল মঙ্গলবার একটি ভ্যান থেকে সবজি কিনছিলেন গৃহিণী আয়েশা আহমেদ। বরবটি, ঢ্যাঁড়স, বেগুন ও পটোল—এ চার সবজির প্রতি পদই ২৫০ গ্রাম কেনেন তিনি। এই গৃহিণী বলেন, ‘বাজারে ১২০ টাকার নিচে সবজি নাই। দাম বাড়তি, তাই কেনার পরিমাণও কমিয়ে দিলাম। আগে এক কেজির নিচে সবজি কিনতাম না। এখন ২৫০ গ্রাম দিয়েই চালিয়ে নেব।’
বাজারে সবজির দাম যেভাবে বাড়ছে, তাতে বাধ্য হয়ে ভোগ কমিয়ে দিতে হচ্ছে ভোক্তাদের। ফলে আয়েশা আহমেদের মতো অনেকেই এখন এক কেজির জায়গায় আধা কেজি বা আরও কম সবজি কিনছেন। এতে বাজারে বিক্রিও কমতে শুরু করেছে।
গতকাল দুপুরে কারওয়ান বাজার সবজির মার্কেটে গোল বেগুনের দাম জিজ্ঞেস করছিলেন আইয়ূব হোসেন নামের এক ব্যক্তি। দোকানি রিপন মিয়া প্রতি কেজি গোল বেগুনের দাম হাঁকান ১৮০ টাকা। তখন আইয়ূব হোসেন আক্ষেপের সঙ্গে বলে ওঠেন, ‘দুই গজ দূরে এসেই দাম কেজিতে ২০ টাকা বাড়ল।’ দাম শুনে বেগুন না কিনে চলে গেলেন তিনি।
রাজধানীসহ সারা দেশে সবজির বাজারে রীতিমতো ‘আগুন’ লেগেছে; দামের আগুন। দাম শুনেই হাত গুটিয়ে নিচ্ছে সাধারণ ক্রেতারা। শুধু সবজি নয়, চাল, ডাল, তেল, আলু, পেঁয়াজ, ডিমের দামও বাড়তি। বাজারভেদে রয়েছে দামের বিস্তর ব্যবধান।
গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজারের সবজির পাইকারি দোকান ঘুরে পেঁপে ছাড়া সব সবজির দাম ৮০ টাকার ওপরে হাঁকতে দেখা গেছে আড়তদারদের।
সেই সবজি কারওয়ান বাজারের বাইরে এসে কেজিপ্রতি ৩০-৪০ টাকা বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে।
কারওয়ান বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ২৮০ টাকায় বিক্রি হলেও তা বনশ্রী-রামপুরা এলাকায় ৪৮০-৬০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। কারওয়ান বাজারে যে ঢ্যাঁড়স ৮০-৯০ টাকা কেজি, সেটি পাড়া-মহল্লার দোকানে ১০০-১২০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
একইভাবে ১৬০-১৮০ টাকার গোল বেগুন ২০০-২২০ টাকা, ১১০-১২০ টাকার লম্বা বেগুন ১৩০-১৪০ টাকা, ৮০ টাকার করলা ১২০ টাকা, ৮০ টাকার ঝিঙে-ধুন্দল ১২০ টাকা, ৯০ টাকার বরবটি ১৪০ টাকা এবং ৬০ টাকার শসা ৮০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
কারওয়ান বাজার ক্ষুদ্র আড়তদার সমিতির সভাপতি এ টি এম ফারুক বলেন, ১ অক্টোবর থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত বাজারে কচু, লতি ও পেঁপের মৌসুম চলে। এই তিন সবজির সরবরাহ ও দাম স্বাভাবিক রয়েছে। অন্যান্য সবজির মৌসুম এখন নয়। এ কারণে দাম বাড়তি হতে পারে। তবে ১৫ নভেম্বরের পর বাজারে সবজির সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন, যেসব জেলায় অতিবৃষ্টি ও বন্যা হয়েছে, সেখানে সবজির আবাদ বেশি হয় না। যেসব জেলায় সবজির আবাদ বেশি হয়, সেখানে বন্যা বা অতিবৃষ্টি কোনোটিই হয়নি। ব্যবসায়ীরা নানা অজুহাত দেখিয়ে দাম বাড়াচ্ছেন। সরকারকে কঠোর হস্তে তা দমন করতে হবে।
গতকাল সচিবালয়ে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম আয়োজিত মতবিনিমিয় সভায় যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ব্যবসায়ীদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, যারা ইচ্ছাকৃতভাবে সিন্ডিকেট করছে, তাদের বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেপ্তার করা হবে। ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট আওয়ামী লীগ সরকার নিয়ন্ত্রণ করত। কিন্তু সিন্ডিকেটের ভেতরে যেসব ব্যবসায়ী বসেছিলেন, তাঁরা এখনো রয়েছেন।
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির সঙ্গে যারা জড়িত ছিল, তাদের অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, একজন চাঁদাবাজকে গ্রেপ্তার করা হলে সেই জায়গায় অন্যজন রিপ্লেস হচ্ছে। গোড়াটা শনাক্ত করার চেষ্টা করছি, কাজ করছি। এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোকেও সহায়তা করতে হবে।’
রাজধানীর বনশ্রীতে গতকাল মঙ্গলবার একটি ভ্যান থেকে সবজি কিনছিলেন গৃহিণী আয়েশা আহমেদ। বরবটি, ঢ্যাঁড়স, বেগুন ও পটোল—এ চার সবজির প্রতি পদই ২৫০ গ্রাম কেনেন তিনি। এই গৃহিণী বলেন, ‘বাজারে ১২০ টাকার নিচে সবজি নাই। দাম বাড়তি, তাই কেনার পরিমাণও কমিয়ে দিলাম। আগে এক কেজির নিচে সবজি কিনতাম না। এখন ২৫০ গ্রাম দিয়েই চালিয়ে নেব।’
বাজারে সবজির দাম যেভাবে বাড়ছে, তাতে বাধ্য হয়ে ভোগ কমিয়ে দিতে হচ্ছে ভোক্তাদের। ফলে আয়েশা আহমেদের মতো অনেকেই এখন এক কেজির জায়গায় আধা কেজি বা আরও কম সবজি কিনছেন। এতে বাজারে বিক্রিও কমতে শুরু করেছে।
গতকাল দুপুরে কারওয়ান বাজার সবজির মার্কেটে গোল বেগুনের দাম জিজ্ঞেস করছিলেন আইয়ূব হোসেন নামের এক ব্যক্তি। দোকানি রিপন মিয়া প্রতি কেজি গোল বেগুনের দাম হাঁকান ১৮০ টাকা। তখন আইয়ূব হোসেন আক্ষেপের সঙ্গে বলে ওঠেন, ‘দুই গজ দূরে এসেই দাম কেজিতে ২০ টাকা বাড়ল।’ দাম শুনে বেগুন না কিনে চলে গেলেন তিনি।
রাজধানীসহ সারা দেশে সবজির বাজারে রীতিমতো ‘আগুন’ লেগেছে; দামের আগুন। দাম শুনেই হাত গুটিয়ে নিচ্ছে সাধারণ ক্রেতারা। শুধু সবজি নয়, চাল, ডাল, তেল, আলু, পেঁয়াজ, ডিমের দামও বাড়তি। বাজারভেদে রয়েছে দামের বিস্তর ব্যবধান।
গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজারের সবজির পাইকারি দোকান ঘুরে পেঁপে ছাড়া সব সবজির দাম ৮০ টাকার ওপরে হাঁকতে দেখা গেছে আড়তদারদের।
সেই সবজি কারওয়ান বাজারের বাইরে এসে কেজিপ্রতি ৩০-৪০ টাকা বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে।
কারওয়ান বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ২৮০ টাকায় বিক্রি হলেও তা বনশ্রী-রামপুরা এলাকায় ৪৮০-৬০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। কারওয়ান বাজারে যে ঢ্যাঁড়স ৮০-৯০ টাকা কেজি, সেটি পাড়া-মহল্লার দোকানে ১০০-১২০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
একইভাবে ১৬০-১৮০ টাকার গোল বেগুন ২০০-২২০ টাকা, ১১০-১২০ টাকার লম্বা বেগুন ১৩০-১৪০ টাকা, ৮০ টাকার করলা ১২০ টাকা, ৮০ টাকার ঝিঙে-ধুন্দল ১২০ টাকা, ৯০ টাকার বরবটি ১৪০ টাকা এবং ৬০ টাকার শসা ৮০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
কারওয়ান বাজার ক্ষুদ্র আড়তদার সমিতির সভাপতি এ টি এম ফারুক বলেন, ১ অক্টোবর থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত বাজারে কচু, লতি ও পেঁপের মৌসুম চলে। এই তিন সবজির সরবরাহ ও দাম স্বাভাবিক রয়েছে। অন্যান্য সবজির মৌসুম এখন নয়। এ কারণে দাম বাড়তি হতে পারে। তবে ১৫ নভেম্বরের পর বাজারে সবজির সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন, যেসব জেলায় অতিবৃষ্টি ও বন্যা হয়েছে, সেখানে সবজির আবাদ বেশি হয় না। যেসব জেলায় সবজির আবাদ বেশি হয়, সেখানে বন্যা বা অতিবৃষ্টি কোনোটিই হয়নি। ব্যবসায়ীরা নানা অজুহাত দেখিয়ে দাম বাড়াচ্ছেন। সরকারকে কঠোর হস্তে তা দমন করতে হবে।
গতকাল সচিবালয়ে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম আয়োজিত মতবিনিমিয় সভায় যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ব্যবসায়ীদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, যারা ইচ্ছাকৃতভাবে সিন্ডিকেট করছে, তাদের বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেপ্তার করা হবে। ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট আওয়ামী লীগ সরকার নিয়ন্ত্রণ করত। কিন্তু সিন্ডিকেটের ভেতরে যেসব ব্যবসায়ী বসেছিলেন, তাঁরা এখনো রয়েছেন।
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির সঙ্গে যারা জড়িত ছিল, তাদের অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, একজন চাঁদাবাজকে গ্রেপ্তার করা হলে সেই জায়গায় অন্যজন রিপ্লেস হচ্ছে। গোড়াটা শনাক্ত করার চেষ্টা করছি, কাজ করছি। এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোকেও সহায়তা করতে হবে।’
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে