সবুজ শর্মা শাকিল, সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম)
পাঁচ দিনের টানা ভারী বর্ষণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড অংশের অর্ধশতাধিক স্থানে ছোট-বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এসব গর্তের কারণে দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামমুখী যানবাহন চলাচলে মারাত্মক দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। ধীরগতির ফলে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন যাত্রী ও চালকেরা। গতকাল মঙ্গলবার মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে যাত্রী ও যানবাহনচালকদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের প্রায় ৩৮ কিলোমিটার পথ সীতাকুণ্ডের মধ্যে পড়েছে। এর মধ্যে ৩৩ কিলোমিটার পথ বর্ষা শুরুর আগেই দামি পলিমার মোডিফাইড বিটুমিন (পিএমবি) দিয়ে সংস্কারকাজ করে সওজ। গত জুনের শেষ দিকে এ কাজ শেষ হয়। এতে ব্যয় হয় প্রায় ১৪৫ কোটি টাকা। সাধারণ বিটুমিনের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি স্থায়িত্ব পিএমবির। কিন্তু দেড় মাসের মাথায় মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়।
সওজ জানিয়েছে, সংস্কারকাজ করার সময় মহাসড়কের পুরোনো অংশের ওপর নতুন করে দুই ইঞ্চির পিচ ঢালাই (কার্পেটিং) দেওয়া হয়। তবে সংস্কারকাজ চলাকালে সড়কের যেসব স্থানে ভিত্তি (বেস) নষ্ট ছিল, সেসব স্থান চিহ্নিত করতে না পারায় পিএমবি দিয়েও লাভ হয়নি। ভিত্তি নষ্ট থাকা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও অতিরিক্ত ওজনবাহী যানবাহন চলাচলের কারণে এসব গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
গতকাল সরেজমিনে দেখা যায়, নগরীর সিটি গেট থেকে বড় দারোগারহাট পর্যন্ত প্রায় ৩৮ কিলোমিটার সড়কের বিভিন্ন স্থানে অর্ধশতাধিক ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। এর মধ্যে পৌর শহরের উত্তর ও দক্ষিণ বাইপাস, বাড়বকুণ্ড, ভাটিয়ারী, মাদামবিবির হাট, বাংলাবাজার, ছোট কুমিরা, বড় কুমিরা বাইপাস, ফৌজদারহাট, বটতল, নুনাছড়া, ছোট দারোগারহাট ও বড় দারোগার হাট অংশের মহাসড়কের অবস্থা সবচেয়ে বেশি খারাপ। সড়কের এসব স্থানের খানাখন্দে আটকে পড়ে অসংখ্য যানবাহন বিকল হচ্ছে। এসব বিকল যানবাহন সরাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে হাইওয়ে পুলিশ।
বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীর বলেন, ‘বর্ষা শুরুর মাসখানেক আগে মহাসড়কের সীতাকুণ্ড অংশে তড়িঘড়ি করে সংস্কারকাজ করে সওজ। সে সময় সংস্কারকাজের কারণে মহাসড়কজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। দুর্ভোগ কমাতে সওজ বিরামহীন কাজ করে। তবু কয়েক দিনের টানা ভারী বর্ষণে সংস্কারকাজ করা মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে পিচঢালাই উঠে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সংস্কারবিহীন অবশিষ্ট পাঁচ কিলোমিটার পথের অবস্থা আরও শোচনীয়। কয়েক দিন ধরে খানাখন্দে যানবাহন আটকে পড়ছে, বিকল হচ্ছে। সওজ কর্তপক্ষ যদি অচিরেই মহাসড়কজুড়ে সৃষ্ট এসব গর্ত মেরামত না করে, তাহলে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।’
সওজের চট্টগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা বলেন, ‘আজ থেকে (মঙ্গলবার) মহাসড়কের বাড়বকুণ্ড, কুমিরা ও ভাটিয়ারী অংশে খানাখন্দ ভরাটের কাজ শুরু হয়েছে। তবে বৃষ্টির কারণে কাজ করতে বেগ পেতে হচ্ছে। বৃষ্টি কমলে দ্রুত সংস্কারকাজ করা হবে।’
পাঁচ দিনের টানা ভারী বর্ষণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড অংশের অর্ধশতাধিক স্থানে ছোট-বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এসব গর্তের কারণে দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামমুখী যানবাহন চলাচলে মারাত্মক দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। ধীরগতির ফলে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন যাত্রী ও চালকেরা। গতকাল মঙ্গলবার মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে যাত্রী ও যানবাহনচালকদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের প্রায় ৩৮ কিলোমিটার পথ সীতাকুণ্ডের মধ্যে পড়েছে। এর মধ্যে ৩৩ কিলোমিটার পথ বর্ষা শুরুর আগেই দামি পলিমার মোডিফাইড বিটুমিন (পিএমবি) দিয়ে সংস্কারকাজ করে সওজ। গত জুনের শেষ দিকে এ কাজ শেষ হয়। এতে ব্যয় হয় প্রায় ১৪৫ কোটি টাকা। সাধারণ বিটুমিনের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি স্থায়িত্ব পিএমবির। কিন্তু দেড় মাসের মাথায় মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়।
সওজ জানিয়েছে, সংস্কারকাজ করার সময় মহাসড়কের পুরোনো অংশের ওপর নতুন করে দুই ইঞ্চির পিচ ঢালাই (কার্পেটিং) দেওয়া হয়। তবে সংস্কারকাজ চলাকালে সড়কের যেসব স্থানে ভিত্তি (বেস) নষ্ট ছিল, সেসব স্থান চিহ্নিত করতে না পারায় পিএমবি দিয়েও লাভ হয়নি। ভিত্তি নষ্ট থাকা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও অতিরিক্ত ওজনবাহী যানবাহন চলাচলের কারণে এসব গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
গতকাল সরেজমিনে দেখা যায়, নগরীর সিটি গেট থেকে বড় দারোগারহাট পর্যন্ত প্রায় ৩৮ কিলোমিটার সড়কের বিভিন্ন স্থানে অর্ধশতাধিক ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। এর মধ্যে পৌর শহরের উত্তর ও দক্ষিণ বাইপাস, বাড়বকুণ্ড, ভাটিয়ারী, মাদামবিবির হাট, বাংলাবাজার, ছোট কুমিরা, বড় কুমিরা বাইপাস, ফৌজদারহাট, বটতল, নুনাছড়া, ছোট দারোগারহাট ও বড় দারোগার হাট অংশের মহাসড়কের অবস্থা সবচেয়ে বেশি খারাপ। সড়কের এসব স্থানের খানাখন্দে আটকে পড়ে অসংখ্য যানবাহন বিকল হচ্ছে। এসব বিকল যানবাহন সরাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে হাইওয়ে পুলিশ।
বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীর বলেন, ‘বর্ষা শুরুর মাসখানেক আগে মহাসড়কের সীতাকুণ্ড অংশে তড়িঘড়ি করে সংস্কারকাজ করে সওজ। সে সময় সংস্কারকাজের কারণে মহাসড়কজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। দুর্ভোগ কমাতে সওজ বিরামহীন কাজ করে। তবু কয়েক দিনের টানা ভারী বর্ষণে সংস্কারকাজ করা মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে পিচঢালাই উঠে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সংস্কারবিহীন অবশিষ্ট পাঁচ কিলোমিটার পথের অবস্থা আরও শোচনীয়। কয়েক দিন ধরে খানাখন্দে যানবাহন আটকে পড়ছে, বিকল হচ্ছে। সওজ কর্তপক্ষ যদি অচিরেই মহাসড়কজুড়ে সৃষ্ট এসব গর্ত মেরামত না করে, তাহলে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।’
সওজের চট্টগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা বলেন, ‘আজ থেকে (মঙ্গলবার) মহাসড়কের বাড়বকুণ্ড, কুমিরা ও ভাটিয়ারী অংশে খানাখন্দ ভরাটের কাজ শুরু হয়েছে। তবে বৃষ্টির কারণে কাজ করতে বেগ পেতে হচ্ছে। বৃষ্টি কমলে দ্রুত সংস্কারকাজ করা হবে।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে