নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
অধিক পরিমাণ আমদানি বিল পরিশোধ করার পরে বাংলাদেশ ব্যাংকে সঞ্চিত বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভে টান পড়েছে। বিগত দুই মাসে ২২৪ কোটি মার্কিন ডলারের আমদানি বিল পরিশোধ করার পর রিজার্ভের আকার দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ১৯০ কোটি ডলারে, যা গত দেড় বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। অথচ গত বছরের ২৫ আগস্ট রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৪৮ বিলিয়ন ডলার বা ৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলার।
জানা গেছে, এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) মার্চ-এপ্রিল মেয়াদের ২ দশমিক ২৪ বিলিয়ন (২২৪ কোটি) ডলারের আমদানি বিল পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৩ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা। এর আগে কখনোই আকুভুক্ত দেশগুলোর এত বেশি বিল শোধ করেনি বাংলাদেশ। এর ফলে অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ এই সূচক ৪১ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। এর আগে ২০২০ সালের নভেম্বরে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৪ হাজার ১২৬ কোটি ডলার। বর্তমানের আমদানির খরচ হিসাবে এই রিজার্ভ দিয়ে পাঁচ মাসের কিছু বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব হবে। অথচ সাত-আট মাস আগেও ১০ থেকে ১১ মাসের আমদানি খরচ মেটানোর রিজার্ভ ছিল বাংলাদেশ ব্যাংকে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করায় আমদানি ব্যয় অধিক হারে বেড়েছে। ২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরুর আগে মাসে আমদানি খাতে গড়ে ৪ থেকে সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলার খরচ হতো। করোনার মধ্যে তা কমে গড়ে ৩ থেকে সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে। সবশেষ ফেব্রুয়ারি মাসে আমদানিতে খরচ হয়েছে ৮ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার। বিশ্লেষকদের মতে, আমদানি বৃদ্ধির কারণেই রিজার্ভ কমছে। এ ছাড়া প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে যাওয়ার ধাক্কাও রিজার্ভে পড়েছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ বর্তমানে আকুর সদস্য। এই দেশগুলো থেকে বাংলাদেশ যেসব পণ্য আমদানি করে, তার বিল দুই মাস পরপর আকুর মাধ্যমে পরিশোধ করতে হয়। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের কাছে অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রা মজুত থাকতে হয়। গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারির পণ্য আমদানি খরচের হিসাবে বর্তমানের রিজার্ভ দিয়ে পাঁচ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে।
রিজার্ভ কমার বিষয়ে জানতে চাইলে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর আজকের পত্রিকাকে বলেন, আমদানি বৃদ্ধি পেলে রিজার্ভ কমার ঘটনা একেবারে স্বাভাবিক। এতে উদ্বিগ্ন হওয়ার তেমন কিছু নেই। এখনো সন্তোষজনক পরিমাণ রিজার্ভ রয়েছে। তবে যে করেই হোক এখন আমদানিতে লাগাম টানতে হবে। একই সঙ্গে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় আরও বাড়ানোর দিকে নজর দিতে হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে ৫৮ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার বা ৫ হাজার ৮৭৭ কোটি ডলারের বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি করেছেন দেশের ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৪৬ দশমিক ৭০ শতাংশ বেশি।
ঈদকে কেন্দ্র করে এপ্রিলে রেমিট্যান্সে গতি ফিরেছে। এপ্রিলে দেশে ২০০ কোটি ৯৫ লাখ ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে, টাকায় যার পরিমাণ প্রায় ১৭ হাজার ২৮১ কোটি।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, আমদানিতে রিজার্ভ থেকে আগের চেয়ে বেশি খরচ হচ্ছে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে এখনো পর্যাপ্ত রিজার্ভ মজুত রয়েছে। ফলে আমদানি বাড়লেও দুশ্চিন্তার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই।
রেমিট্যান্স সম্পর্কিত পড়ুন:
অধিক পরিমাণ আমদানি বিল পরিশোধ করার পরে বাংলাদেশ ব্যাংকে সঞ্চিত বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভে টান পড়েছে। বিগত দুই মাসে ২২৪ কোটি মার্কিন ডলারের আমদানি বিল পরিশোধ করার পর রিজার্ভের আকার দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ১৯০ কোটি ডলারে, যা গত দেড় বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। অথচ গত বছরের ২৫ আগস্ট রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৪৮ বিলিয়ন ডলার বা ৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলার।
জানা গেছে, এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) মার্চ-এপ্রিল মেয়াদের ২ দশমিক ২৪ বিলিয়ন (২২৪ কোটি) ডলারের আমদানি বিল পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৩ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা। এর আগে কখনোই আকুভুক্ত দেশগুলোর এত বেশি বিল শোধ করেনি বাংলাদেশ। এর ফলে অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ এই সূচক ৪১ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। এর আগে ২০২০ সালের নভেম্বরে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৪ হাজার ১২৬ কোটি ডলার। বর্তমানের আমদানির খরচ হিসাবে এই রিজার্ভ দিয়ে পাঁচ মাসের কিছু বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব হবে। অথচ সাত-আট মাস আগেও ১০ থেকে ১১ মাসের আমদানি খরচ মেটানোর রিজার্ভ ছিল বাংলাদেশ ব্যাংকে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করায় আমদানি ব্যয় অধিক হারে বেড়েছে। ২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরুর আগে মাসে আমদানি খাতে গড়ে ৪ থেকে সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলার খরচ হতো। করোনার মধ্যে তা কমে গড়ে ৩ থেকে সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে। সবশেষ ফেব্রুয়ারি মাসে আমদানিতে খরচ হয়েছে ৮ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার। বিশ্লেষকদের মতে, আমদানি বৃদ্ধির কারণেই রিজার্ভ কমছে। এ ছাড়া প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে যাওয়ার ধাক্কাও রিজার্ভে পড়েছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ বর্তমানে আকুর সদস্য। এই দেশগুলো থেকে বাংলাদেশ যেসব পণ্য আমদানি করে, তার বিল দুই মাস পরপর আকুর মাধ্যমে পরিশোধ করতে হয়। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের কাছে অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রা মজুত থাকতে হয়। গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারির পণ্য আমদানি খরচের হিসাবে বর্তমানের রিজার্ভ দিয়ে পাঁচ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে।
রিজার্ভ কমার বিষয়ে জানতে চাইলে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর আজকের পত্রিকাকে বলেন, আমদানি বৃদ্ধি পেলে রিজার্ভ কমার ঘটনা একেবারে স্বাভাবিক। এতে উদ্বিগ্ন হওয়ার তেমন কিছু নেই। এখনো সন্তোষজনক পরিমাণ রিজার্ভ রয়েছে। তবে যে করেই হোক এখন আমদানিতে লাগাম টানতে হবে। একই সঙ্গে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় আরও বাড়ানোর দিকে নজর দিতে হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে ৫৮ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার বা ৫ হাজার ৮৭৭ কোটি ডলারের বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি করেছেন দেশের ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৪৬ দশমিক ৭০ শতাংশ বেশি।
ঈদকে কেন্দ্র করে এপ্রিলে রেমিট্যান্সে গতি ফিরেছে। এপ্রিলে দেশে ২০০ কোটি ৯৫ লাখ ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে, টাকায় যার পরিমাণ প্রায় ১৭ হাজার ২৮১ কোটি।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, আমদানিতে রিজার্ভ থেকে আগের চেয়ে বেশি খরচ হচ্ছে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে এখনো পর্যাপ্ত রিজার্ভ মজুত রয়েছে। ফলে আমদানি বাড়লেও দুশ্চিন্তার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই।
রেমিট্যান্স সম্পর্কিত পড়ুন:
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১৬ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে