সোহেল মারমা, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামের ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্ত বিশ্বাস হত্যা মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে নেওয়ার আকুতি জানিয়েছেন তাঁর বাবা মেঘনাথ বিশ্বাস। ২০১৭ সালে ৬ অক্টোবর নগরীর সদরঘাট থানাধীন দক্ষিণ নালাপাড়ার বাসা থেকে বের করে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করা হয় সুদীপ্তকে। তিনি ওই সময় চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সহসম্পাদক পদে ছিলেন।
এ হত্যা মামলার তদন্ত শেষ হতে সময় লাগে সাড়ে তিন বছর। ২০২০ সালে ১ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের এক প্রভাবশালীর নেতাসহ ২৪ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এরপর এই মামলার বেশ কয়েকবার তারিখ নির্ধারণ হলেও চার্জগঠন হয়নি এখনও। চলতি নভেম্বরের শুরুতে মামলাটি মহানগর হাকিম থেকে মহানগর দায়রা আদালতে বদলি হয়। গত বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) সেখান থেকে আবার মামলাটি বদলি হয় দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা আদালতে। এই আদালত আরও দুই মাস সময় নিয়ে মামলাটির পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেন।
সুদীপ্তের স্কুলশিক্ষক বাবা মেঘনাথ বিশ্বাস অভিযোগ করেন, মামলাটি নিয়ে সব সময় তাঁদের আতংকের মধ্যে থাকতে হয়।
২০১৩ সালে অবসরে যাওয়ার পর ভেবেছিলেন ছেলেরা সংসারের হাল ধরবেন। কিন্তু সুদীপ্ত হত্যাকাণ্ডে তাঁর সেই আশা ধুলিস্যাৎ হয়ে যায়। বর্তমানে তাঁকে সংসার চালাতে হচ্ছে টিউশন করে। মেঘনাথ বিশ্বাস বলেন, ‘জানি না এভাবে আমি আর কতদিন পারব। সুদীপ্তের মা তিন বছর ধরে অসুস্থ। তাঁর চিকিৎসা খরচ জোগাতেও কষ্ট হচ্ছে।’ আর্থিক অবস্থাও খারাপ হওয়ায় সংকটের মধ্যে দিন কাটছে তাঁদের।
সুদীপ্তের বাবা আরও বলেন, ‘আমি আর কতদিন বাঁচব। মরার আগে যদি ছেলে হত্যার বিচারটা দেখে যেতে পারতাম তাহলে শান্তি পেতাম। ছেলের আত্মাও শান্তি পেত।’ তিনি মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে নেওয়ার আহ্বান জানান।
৬৮ বছর বয়সী মেঘনাথ বিশ্বাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জানি না সামনে কী হবে? আমাদের ওপর যদি দয়া হয়, তাহলে বিচার পেলেও পেতে পারি। কিন্তু তারপরও কেমন জানি মনে হয়। কোনো কিছু বিশ্বাস করতে পারছি না। আপনারা তো সবই দেখছেন মামলাটি নিয়ে কি হচ্ছে। ছেলে হত্যার ঘটনার সাক্ষী পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।’
মেঘনাথ আরও বলেন, ‘যাঁরা আাসমি তাঁরা রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ও প্রভাবশালী। অনেক টাকা-পয়সার মালিক তাঁরা। প্রধান আসামির বাবা একজন সরকারি উকিল। এ জন্য মামলাটি নিয়ে সবসময়ই আমাদের ভয়ের মধ্যে থাকতে হয়।’
গত বৃহস্পতিবার আদালতে আসামিদের কয়েক জন যখন জামিন চেয়েছিলেন, তখন তাঁদের পক্ষে অনেক আইনজীবী লড়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি তো এত জন দিতে পারব না। কয়েক দিন আগে একজন আইনজীবী দিয়েছিলাম।’
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা আদালতের কৌঁসুলি (পিপি) মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলা যাওয়ার বিষয়টি একেবারেই সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এজন্য একটি সেল রয়েছে। সেখানে চাঞ্চল্যকর কিংবা গুরুত্বপূর্ণ কোন কোন মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে যাবে এর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আমাদের এখানে করার কিছু নেই।’
২০১৭ সালের ৬ অক্টোবর ভোরে মোটরসাইকেল ও ট্যাক্সিতে করে নগরীর সদরঘাটের নালাপাড়ায় সুদীপ্ত বিশ্বাসের বাসায় হানা দেয় এক দল দুর্বৃত্ত। এ সময় ঘুমন্ত সুদীপ্তকে টেনেহিঁচড়ে বাইরে নিয়ে আসে। পরে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করে তাঁকে।
চট্টগ্রামের ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্ত বিশ্বাস হত্যা মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে নেওয়ার আকুতি জানিয়েছেন তাঁর বাবা মেঘনাথ বিশ্বাস। ২০১৭ সালে ৬ অক্টোবর নগরীর সদরঘাট থানাধীন দক্ষিণ নালাপাড়ার বাসা থেকে বের করে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করা হয় সুদীপ্তকে। তিনি ওই সময় চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সহসম্পাদক পদে ছিলেন।
এ হত্যা মামলার তদন্ত শেষ হতে সময় লাগে সাড়ে তিন বছর। ২০২০ সালে ১ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের এক প্রভাবশালীর নেতাসহ ২৪ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এরপর এই মামলার বেশ কয়েকবার তারিখ নির্ধারণ হলেও চার্জগঠন হয়নি এখনও। চলতি নভেম্বরের শুরুতে মামলাটি মহানগর হাকিম থেকে মহানগর দায়রা আদালতে বদলি হয়। গত বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) সেখান থেকে আবার মামলাটি বদলি হয় দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা আদালতে। এই আদালত আরও দুই মাস সময় নিয়ে মামলাটির পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেন।
সুদীপ্তের স্কুলশিক্ষক বাবা মেঘনাথ বিশ্বাস অভিযোগ করেন, মামলাটি নিয়ে সব সময় তাঁদের আতংকের মধ্যে থাকতে হয়।
২০১৩ সালে অবসরে যাওয়ার পর ভেবেছিলেন ছেলেরা সংসারের হাল ধরবেন। কিন্তু সুদীপ্ত হত্যাকাণ্ডে তাঁর সেই আশা ধুলিস্যাৎ হয়ে যায়। বর্তমানে তাঁকে সংসার চালাতে হচ্ছে টিউশন করে। মেঘনাথ বিশ্বাস বলেন, ‘জানি না এভাবে আমি আর কতদিন পারব। সুদীপ্তের মা তিন বছর ধরে অসুস্থ। তাঁর চিকিৎসা খরচ জোগাতেও কষ্ট হচ্ছে।’ আর্থিক অবস্থাও খারাপ হওয়ায় সংকটের মধ্যে দিন কাটছে তাঁদের।
সুদীপ্তের বাবা আরও বলেন, ‘আমি আর কতদিন বাঁচব। মরার আগে যদি ছেলে হত্যার বিচারটা দেখে যেতে পারতাম তাহলে শান্তি পেতাম। ছেলের আত্মাও শান্তি পেত।’ তিনি মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে নেওয়ার আহ্বান জানান।
৬৮ বছর বয়সী মেঘনাথ বিশ্বাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জানি না সামনে কী হবে? আমাদের ওপর যদি দয়া হয়, তাহলে বিচার পেলেও পেতে পারি। কিন্তু তারপরও কেমন জানি মনে হয়। কোনো কিছু বিশ্বাস করতে পারছি না। আপনারা তো সবই দেখছেন মামলাটি নিয়ে কি হচ্ছে। ছেলে হত্যার ঘটনার সাক্ষী পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।’
মেঘনাথ আরও বলেন, ‘যাঁরা আাসমি তাঁরা রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ও প্রভাবশালী। অনেক টাকা-পয়সার মালিক তাঁরা। প্রধান আসামির বাবা একজন সরকারি উকিল। এ জন্য মামলাটি নিয়ে সবসময়ই আমাদের ভয়ের মধ্যে থাকতে হয়।’
গত বৃহস্পতিবার আদালতে আসামিদের কয়েক জন যখন জামিন চেয়েছিলেন, তখন তাঁদের পক্ষে অনেক আইনজীবী লড়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি তো এত জন দিতে পারব না। কয়েক দিন আগে একজন আইনজীবী দিয়েছিলাম।’
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা আদালতের কৌঁসুলি (পিপি) মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলা যাওয়ার বিষয়টি একেবারেই সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এজন্য একটি সেল রয়েছে। সেখানে চাঞ্চল্যকর কিংবা গুরুত্বপূর্ণ কোন কোন মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে যাবে এর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আমাদের এখানে করার কিছু নেই।’
২০১৭ সালের ৬ অক্টোবর ভোরে মোটরসাইকেল ও ট্যাক্সিতে করে নগরীর সদরঘাটের নালাপাড়ায় সুদীপ্ত বিশ্বাসের বাসায় হানা দেয় এক দল দুর্বৃত্ত। এ সময় ঘুমন্ত সুদীপ্তকে টেনেহিঁচড়ে বাইরে নিয়ে আসে। পরে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করে তাঁকে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৫ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৯ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৯ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৯ দিন আগে