সাইফুল মাসুম, ঢাকা
একেবারে জীর্ণশীর্ণ দোতলা ভবন। দেয়াল ও ছাদের আস্তরণ ভেঙে পড়েছে। কোথাও কোথাও লাল ইট কালচে হয়ে বেরিয়ে এসেছে। রাজধানীর রায়েরবাজার মার্কেটের অবস্থা এমনই। ১৬ বছর আগেই ভবনটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। একাধিকবার উদ্যোগ নেওয়া হয় ভেঙে ফেলারও। কিন্তু পরে আর তা হয়নি। ফলে পরিত্যক্ত মার্কেটে বহাল তবিয়তে ব্যবসা করছেন দোকানিরা। এতে একদিকে তৈরি হয়েছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি অন্যদিকে বছরের পর বছর কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সিটি করপোরেশন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পরিত্যক্ত ঘোষণার কারণে মার্কেটটির ব্যবসায়ীদের ট্রেড লাইসেন্স অনেক দিন ধরে নবায়ন করা হচ্ছে না। ফলে রাজস্ব জমা দেওয়ারও প্রশ্ন নেই। ডিএনসিসি সূত্রে জানা যায়, অর্ধশতাব্দী আগে পাকিস্তান আমলে তৈরি হয়েছে মার্কেটটি। ৭২ হাজার বর্গফুটের বেশি আয়তনের মার্কেটটিতে বর্তমানে ৯৭৫টি দোকান রয়েছে। ডিএনসিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০৬ সালের ২৪ এপ্রিল অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের তৎকালীন মেয়র সাদেক হোসেন খোকা মার্কেটটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন। পরে ২০০৭ সালের ১২ জুলাই উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে নিলামে বিক্রি করা হয়। তখন নিলাম ক্রেতা মার্কেটের কিছু অংশ অপসারণ করেন। কিন্তু বেশির ভাগ অংশই আগের মতো থেকে যায়। ২০১৯ সালের ১৪ জানুয়ারি ডিএনসিসির এক সভায় মার্কেটটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে আবার ভাঙার সিদ্ধান্ত হয়। তখনো অদৃশ্য কারণে আর ভাঙা হয়নি।
ডিএনসিসির অঞ্চল-৫-এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা (উপসচিব) মোতাকাব্বীর আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অনেক আগে থেকেই মার্কেটটি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে তালিকাভুক্ত। মার্কেট পরিদর্শন করে একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। কিন্তু উচ্ছেদের বিষয়ে কোনো ফাইল না আসায় আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না।’
গতকাল বুধবার সরেজমিন দেখা যায়, জীর্ণশীর্ণ মার্কেটটির কিছু কিছু দোকানে বাঁশ দিয়ে ঠেক দেওয়া হয়েছে। ঝুঁকি নিয়েই চলছে কেনাকাটা। ট্যানারি মোড়ের কল্লাবাগ এলাকার বাসিন্দা হাওয়া নুর বেগম (৫৬) ২০ বছর ধরে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কেনেন রায়েরবাজার মার্কেট থেকে। তিনি বলেন, ‘দোকান আছে বলেই আমরা আসি। কেনাকাটা তো করতে হয়। যদিও কখন ভেঙে পড়ে, তা নিয়ে ভয়েই থাকি।’ স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মার্কেটের সামনে ‘ঝুঁকিপূর্ণ পরিত্যক্ত’ লেখা সাইনবোর্ড ছিল। সম্প্রতি বাজারের ব্যবসায়ীরা সাইনবোর্ডটি খুলে ফেলেন। ব্যবসায়ীরা জানান, আগে ক্রেতারা গাড়ি নিয়ে মার্কেটে ঢুকতেন। ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ সাইনবোর্ডের কারণে ক্রেতা কমে যায়। বিক্রি কম হওয়ায় সাইনবোর্ডটি খুলে ফেলা হয়েছে।
রায়েরবাজার মার্কেটে প্লাস্টিকের সামগ্রী বিক্রি করেন রাসেল এন্টারপ্রাইজের মালিক মোহাম্মদ সোহেল। তিনি বলেন, ‘প্রায় সময় ছাদের আস্তরণ খসে পড়ে দোকানের মালামাল নষ্ট হয়। নতুন ভবন করে আমাদের জায়গা দেওয়া হোক।’ নগর-পরিকল্পনাবিদ আদিল মোহাম্মদ খান বলেন, ‘দুর্ঘটনা তো বলে-কয়ে আসে না। ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেট ভেঙে প্রাণহানি ঘটলে এর দায় সিটি করপোরেশন এড়াতে পারবে না।’
রায়েরবাজার সিটি করপোরেশন মার্কেট বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাজস্ব জমা দেওয়ার বিষয়ে আমরা একাধিকবার সিটি করপোরেশনে চিঠি দিয়েছি। কিন্তু তাদের কোনো সাড়া পাইনি। আমরা চাই নতুন ভবন হোক। যাতে করে আমরাও নিরাপদে ব্যবসা করতে পারি।’
সার্বিক বিষয়ে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সেলিম রেজা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রায়েরবাজার মার্কেট যেকোনো সময় ভেঙে ফেলা হতে পারে। ভাঙার আগে কিছু প্রক্রিয়া আছে, তা সম্পন্ন করা হচ্ছে। এই জায়গায় আমরা বহুতলবিশিষ্ট আধুনিক সুপার মার্কেট গড়ে তুলব। আশা করছি, অল্প কিছুদিনের মধ্যেই পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ শুরু করতে পারব।’
একেবারে জীর্ণশীর্ণ দোতলা ভবন। দেয়াল ও ছাদের আস্তরণ ভেঙে পড়েছে। কোথাও কোথাও লাল ইট কালচে হয়ে বেরিয়ে এসেছে। রাজধানীর রায়েরবাজার মার্কেটের অবস্থা এমনই। ১৬ বছর আগেই ভবনটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। একাধিকবার উদ্যোগ নেওয়া হয় ভেঙে ফেলারও। কিন্তু পরে আর তা হয়নি। ফলে পরিত্যক্ত মার্কেটে বহাল তবিয়তে ব্যবসা করছেন দোকানিরা। এতে একদিকে তৈরি হয়েছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি অন্যদিকে বছরের পর বছর কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সিটি করপোরেশন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পরিত্যক্ত ঘোষণার কারণে মার্কেটটির ব্যবসায়ীদের ট্রেড লাইসেন্স অনেক দিন ধরে নবায়ন করা হচ্ছে না। ফলে রাজস্ব জমা দেওয়ারও প্রশ্ন নেই। ডিএনসিসি সূত্রে জানা যায়, অর্ধশতাব্দী আগে পাকিস্তান আমলে তৈরি হয়েছে মার্কেটটি। ৭২ হাজার বর্গফুটের বেশি আয়তনের মার্কেটটিতে বর্তমানে ৯৭৫টি দোকান রয়েছে। ডিএনসিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০৬ সালের ২৪ এপ্রিল অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের তৎকালীন মেয়র সাদেক হোসেন খোকা মার্কেটটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন। পরে ২০০৭ সালের ১২ জুলাই উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে নিলামে বিক্রি করা হয়। তখন নিলাম ক্রেতা মার্কেটের কিছু অংশ অপসারণ করেন। কিন্তু বেশির ভাগ অংশই আগের মতো থেকে যায়। ২০১৯ সালের ১৪ জানুয়ারি ডিএনসিসির এক সভায় মার্কেটটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে আবার ভাঙার সিদ্ধান্ত হয়। তখনো অদৃশ্য কারণে আর ভাঙা হয়নি।
ডিএনসিসির অঞ্চল-৫-এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা (উপসচিব) মোতাকাব্বীর আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অনেক আগে থেকেই মার্কেটটি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে তালিকাভুক্ত। মার্কেট পরিদর্শন করে একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। কিন্তু উচ্ছেদের বিষয়ে কোনো ফাইল না আসায় আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না।’
গতকাল বুধবার সরেজমিন দেখা যায়, জীর্ণশীর্ণ মার্কেটটির কিছু কিছু দোকানে বাঁশ দিয়ে ঠেক দেওয়া হয়েছে। ঝুঁকি নিয়েই চলছে কেনাকাটা। ট্যানারি মোড়ের কল্লাবাগ এলাকার বাসিন্দা হাওয়া নুর বেগম (৫৬) ২০ বছর ধরে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কেনেন রায়েরবাজার মার্কেট থেকে। তিনি বলেন, ‘দোকান আছে বলেই আমরা আসি। কেনাকাটা তো করতে হয়। যদিও কখন ভেঙে পড়ে, তা নিয়ে ভয়েই থাকি।’ স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মার্কেটের সামনে ‘ঝুঁকিপূর্ণ পরিত্যক্ত’ লেখা সাইনবোর্ড ছিল। সম্প্রতি বাজারের ব্যবসায়ীরা সাইনবোর্ডটি খুলে ফেলেন। ব্যবসায়ীরা জানান, আগে ক্রেতারা গাড়ি নিয়ে মার্কেটে ঢুকতেন। ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ সাইনবোর্ডের কারণে ক্রেতা কমে যায়। বিক্রি কম হওয়ায় সাইনবোর্ডটি খুলে ফেলা হয়েছে।
রায়েরবাজার মার্কেটে প্লাস্টিকের সামগ্রী বিক্রি করেন রাসেল এন্টারপ্রাইজের মালিক মোহাম্মদ সোহেল। তিনি বলেন, ‘প্রায় সময় ছাদের আস্তরণ খসে পড়ে দোকানের মালামাল নষ্ট হয়। নতুন ভবন করে আমাদের জায়গা দেওয়া হোক।’ নগর-পরিকল্পনাবিদ আদিল মোহাম্মদ খান বলেন, ‘দুর্ঘটনা তো বলে-কয়ে আসে না। ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেট ভেঙে প্রাণহানি ঘটলে এর দায় সিটি করপোরেশন এড়াতে পারবে না।’
রায়েরবাজার সিটি করপোরেশন মার্কেট বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাজস্ব জমা দেওয়ার বিষয়ে আমরা একাধিকবার সিটি করপোরেশনে চিঠি দিয়েছি। কিন্তু তাদের কোনো সাড়া পাইনি। আমরা চাই নতুন ভবন হোক। যাতে করে আমরাও নিরাপদে ব্যবসা করতে পারি।’
সার্বিক বিষয়ে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সেলিম রেজা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রায়েরবাজার মার্কেট যেকোনো সময় ভেঙে ফেলা হতে পারে। ভাঙার আগে কিছু প্রক্রিয়া আছে, তা সম্পন্ন করা হচ্ছে। এই জায়গায় আমরা বহুতলবিশিষ্ট আধুনিক সুপার মার্কেট গড়ে তুলব। আশা করছি, অল্প কিছুদিনের মধ্যেই পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ শুরু করতে পারব।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২০ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে